পোস্টগুলি

মসজিদে জুমা যেখানে রাসুল (সা.) প্রথম জুমা আদায় করেন

ছবি
মো. আবু রায়হানঃ মসজিদে জুমা সৌদি আরব এর মদিনা শহরে অবস্থিত।মদিনা শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে, ওয়াদি রানুনার নিকটে, মসজিদে কুবা থেকে ৯০০ মিটার উত্তরে এবং মসজিদে নববী থেকে ৬ কিমি দূরত্বে অবস্থিত। রাসুল (সাঃ) ও তাঁর মুহাজির সঙ্গীরা মক্কা থেকে মদীনা পর্যন্ত হিজরতের পথে,কয়েক দিনের জন্য কুবা অঞ্চলে কাফেলা থামিয়েছিলেন।একদিন শুক্রবার সকালে তারা পুনরায় মদিনার পথে যাত্রা শুরু করেন এবং জুমার নামাজের সময় হলে ওয়াদি রানুনা অঞ্চলে কাফেলা থামিয়ে রাসুল (সা) তাঁর কাসওয়া উট থেকে নেমে সেখানে জুমার নামাজ আদায় করেছিলেন। জুমার নামাজে প্রায় শতাধিক লোক এই প্রথম জুমাতে শরিক হন।যাদের মধ্যে বনি নাজির ও বনি আমর গোত্রের ছিলেন। Approximately one hundred Muslims participated in this first Jummah salah. Amongst them were the Prophet’s (SM) relatives from Bani an-Najjar who had come to meet him and some from Bani Amr who had escorted him from Quba.এ অঞ্চলটিকে আজও জুমাহ বলে উল্লেখ করা হয়। The Masjid Al-Juma is where the prophet (peace be upon him) prayed his first Friday congregational after he left the Quba village fo

রাসুলুল্লাহ'র হিজরতে নিরাপদ আশ্রয় ঐতিহাসিক সাওর গুহা

ছবি
মো.আবু রায়হানঃ মক্কার কাফের কুরাইশ, মুশরিকদের অত্যাচার নির্যাতন বেড়ে গেলে রাসল (সা.) আল্লাহর নির্দেশে ৬২২ খ্রিস্টাব্দের ১২ সেপ্টেম্বর মক্কা ত্যাগ করে হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.)-কে সঙ্গে নিয়ে মদিনার উদ্দেশে রওনা করেন।ইসলামের ইতিহাসে এটি হিজরত হিসাবে পরিচিত।এদিকে মক্কার কাফের মুশরিকরা তাঁদের পেছনে ধাওয়া করলে মক্কা থেকে তিন মাইল দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত সাওর পাহাড়ের একটি গুহায় রাসুল (সা.) ও আবু বকর (রা.) তিন দিন আত্মগোপন করে ছিলেন। হযরত আসমার ভাই আবদুল্লাহ তখনো ইসলাম গ্রহণ করেননি। তিনি সারাদিন কাফেরদের ইচ্ছা আর পরামর্শ সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতেন এবং রাত্রে নবীজীকে সব জানাতেন। হযরত আবু বকর (রা.) এর মেষ পালক আগের রাতের বেলা মেষ নিয়ে গুহায় মুখে হাযির হতেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী দুধ দিয়ে ফিরে আসতেন।হযরত আসমাও দু’তিন দিনের খাবার নিয়ে হাযির হন। নাস্তা এবং পানির মশক বাঁধার জন্য রশি দরকার। কিন্তু এই মুহূর্তে হাতের কাছে কোন রশি নেই। হযরত আসমা নেতাক বা উড়না খুলে দু’টুকরো করে রশির কাজ সারেন। এক টুকরা দিয়ে নাস্তা আর অপর টুকরা দিয়ে মশকের মুখ বন্ধ করা হয় তখন রাসল (সা.) হযরত আসমাকে যাতুননেতাকাইন উপাধি দেন। এস

ইসলামের প্রথম মসজিদ 'মসজিদে কুবা' নির্মাণের ইতিহাস

ছবি
মো. আবু রায়হানঃ ইসলামের ইতিহাসে প্রথম নির্মিত মসজিদ মসজিদে কুবা। মসজিদটি মদিনা শরিফের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত। এর দূরত্ব মসজিদে নববী থেকে তিন কিলোমিটারের মতো।The Quba Mosque located in Medina (Madinah), western Saudi Arabia. It is the first mosque in Islamic history, and the oldest mosque in the world, originally completed in 622 CE. It was founded by the Islamic prophet Muhammad (SM), after his migration from Mecca to Medina. মহানবী (সা.) ২০ সেপ্টেম্বর ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মক্কা থেকে মদিনার কুবায় প্রবেশ করেন। কুবায় অবতরণ করে তিনি সাহাবি আবু আইয়ুব আনসারি (রা.)-এর ঘরে অবস্থান করেন। তখন কুবা মসজিদ নির্মাণ করা হয়। কুবা একটি কূপের নাম। এই কূপকে কেন্দ্র করে যে বসতি গড়ে উঠেছে তাকে কুবা মহল্লা বলা হয়। এই সূত্রে মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছে মসজিদে কুবা। এই মসজিদের নির্মাণকাজে স্বয়ং নবী করিম (সা.) অংশগ্রহণ করেন। নির্মাণকাজ শেষ হলে তিনি আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করেন এবং কুবাবাসীর প্রশংসা করেন। নবনির্মিত মসজিদে প্রথম নামাজ তিনিই আদায় করেন। During the migration from Mecca to Medina, while the Prophet Muh

হেরাগুহা যেখান থেকে বিচ্ছুরিত হলো হেদায়তের দ্যুতি

ছবি
মো.আবু রায়হানঃ আল্লাহর অদৃশ্য ইশারায় রাসুল (সা.) প্রতিবছর হেরা গুহায় মাসখানেক গভীর ধ্যান ও গবেষণায় নিয়োজিত থাকতেন।নির্জনে ধ্যান করাকে আরবি ভাষায় বলে তাহন্নুস। আর এর জন্য উপযুক্ত জায়গা খুঁজে পান ফারান পর্বতের এই হেরা গুহা বা গারে হেরায়। জাবাল আল নুর পাহাড়টির আদি নাম ফারান। এ পাহাড়েই আল্লাহর পক্ষ থেকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর সর্বপ্রথম বরকতময় আলোকিত কুরআন নাজিল হয়। যা শুধু মুসলিম উম্মাহ নয় বরং বিশ্ব মানবতার জন্য নূর বা আলো। সে কারণেই এ পাহাড় বিশ্বব্যাপী জাবাল আল নূর নামেই পরিচিত। মহানবী (সা.) ১৫ বছর একাধারে হেরা গুহায় ধ্যান বা মোরাকাবা করেছেন। নবীজি (সা.) হেরাগুহায় ধ্যান করে আপন হূদয়কে আলোকিত করেছেন এবং সাধনার সর্বোচ্চ স্তরে উপনীত হয়ে আল্লাহর দিদার লাভ করেছেন। রাসুল (সা.)-এর ফরমান, ‘আমার প্রভুকে আমি অতি উত্তম সুরতে দেখেছি’ (তাফসীরে রুহুল বয়ান)। জাবাল আল নুর পাহাড়টি পবিত্র মসজিদুল হারাম থেকে ৩ কিমি উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত।The Cave of Hira is located on top of Jabal Al-Nour about 3 km from Mecca.এ পাহাড়ের মূল উচ্চতা ৬৪০ মিটার ২১০০ ফুট।এই পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থি

জয়পুরহাটের গর্ব জীবন্ত শহিদ বুদ্ধিজীবী মজিবর রহমান দেবদাস

ছবি
মো আবু রায়হানঃ একুশে পদক বিজয়ী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণিত বিভাগের সাবেক শিক্ষক জীবন্ত শহিদ বুদ্ধিজীবী নামে খ্যাত ড. মজিবর রহমান দেবদাস গতকাল মারা গেছেন। বার্ধক্যজনিত কারণে সোমবার (১৮ মে) জয়পুরহাটের মহুরুল গ্রামের নিজ বাড়িতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।গতকাল দুপুরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পুলিশের একটি দল তার মরদেহে রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে। পরে তাকে জয়পুরহাট জেলার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসরদের গণহত্যা, তাণ্ডবলীলা, নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা দেখে নিজের নাম পরিত্যাগ করে নতুন নাম দেবদাস ধারণ করেন। এছাড়া লোকমুখে আরেকটি কথা প্রচলন রয়েছে- ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের নিপীড়নের মুখে যখন বাংলাদেশের অনেক হিন্দু যখন জীবন বাঁচাতে হিন্দু নাম বাদ দিচ্ছিল, তখন নিজের নাম পরিবর্তন করে দেবদাস রাখেন মজিবর রহমান। ড. মজিবর রহমান দেবদাস ১৯৩০ সালের ১ জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্ভুক্ত জয়পুরহাট জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়। তিনি ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দে খঞ্জনপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে প্

মসজিদে নববী নির্মাণের ইতিহাস ও ঐতিহ্য

ছবি
মো. আবু রায়হানঃ হযরত মুহাম্মদ (সা.) হিজরত করে মদিনায় আসার পর মসজিদে নববী নির্মিত হয়। এটি পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ মসজিদ। এই মসজিদটিই হচ্ছে পৃথিবীর সর্বোত্তম ও পবিত্র স্থানের মধ্যে দ্বিতীয়।(Masjid al Nabawi is the second holiest mosque in Islam, the second largest mosque in the world after the Masjid al-Haram in Mecca. It is resting place of the Prophet Muhammad. It was built by the Prophet himself, next to the house where he settled after his migration to Medina in 622 AD. মহিমান্বিত এই মসজিদে নববী অর্থ নবীজির মসজিদ। হযরত মুহাম্মদ (সা.) যখন মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করেন, তখন এ শহরটির নাম ছিল ইয়াসরিব। রাসুল (সা.) আগমনের পরপরই ইয়াসরিব নামটি পবির্তন করে মদিনা নামকরণ করেন। কিন্তু সেখানে কোন মসজিদ ছিল না যেখানে নবীজিসহ সাহাবীরা নামাজ আদায় করবেন। নতুন হিজরতকারীদের মধ্যে নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদের শূন্যতা দেখা দিলে নবী (সা.) নিজেই একটি মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করেন। আর এ মসজিদের নাম দেন মদীনা মসজিদ। যা মসজিদে নববী (সা.) বা মদিনায়ে মুনাওয়ারা হিসেবে পরিচিত। এ মসজিদের গুরুত্ব ও মর্যাদা নিয়ে কোরআন-হাদি

মুসলমানদের প্রথম কেবলা আল-আকসা মসজিদ

ছবি
আল-আকসা মসজিদ মো. আবু রায়হানঃ আল-আকসা মসজিদ মুসলমানদের প্রথম কেবলা হিসেবে পরিচিত এ মসজিদটি পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত। মসজিদল আল আকসার মোট সাতটি নাম রয়েছে। এর অন্য নামগুলো হচ্ছে বায়তুল মোকাদ্দাস বা বায়তুল মাকদিস ,আল কুদস, মসজিদে ইলিয়া, সালাম, উরুশলেম ও ইয়াবুস। আল আকসা মসজিদের অর্থ হচ্ছে- দূরবর্তী মসজিদ।মুসলিমদের কাছে মর্যাদার তৃতীয় স্থানে রয়েছে আল-আকসা মসজিদ ।মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীর পর যার স্থান।ইসলামের প্রথম কিবলা ও রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর স্মৃতিবাহী মসজিদ হিসেবে আল-আকসা মসজিদের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে মুসলিমদের কাছে। নবি (আ.)-গণের পদচারণায় মুখরিত পবিত্র এই ভূমির সঙ্গে ঐতিহাসিক অনেক কারণেই জড়িয়ে আছে মুসলমানদের ধর্মীয় ভাবাবেগ। মহানবী (সা.) মিরাজের রাতে মসজিদুল হারাম থেকে আল-আকসা মসজিদে এসেছিলেন। পবিত্র কুরআনে সেই ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে, ‘পবিত্র সেই সত্তা যিনি তাঁর বান্দাকে মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত রাত্রি ভ্রমণ করিয়েছেন। যার চারপাশকে আমি বরকতময় করেছি। যেন আমি তাকে আমার কিছু নিদর্শন দেখাতে পারি। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।’(সুরা ইসরা আয়াত-১)।এই মসজিদ প্রাঙ্গ