মসজিদে জুমা যেখানে রাসুল (সা.) প্রথম জুমা আদায় করেন


মো. আবু রায়হানঃ মসজিদে জুমা সৌদি আরব এর মদিনা শহরে অবস্থিত।মদিনা শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে, ওয়াদি রানুনার নিকটে, মসজিদে কুবা থেকে ৯০০ মিটার উত্তরে এবং মসজিদে নববী থেকে ৬ কিমি দূরত্বে অবস্থিত। রাসুল (সাঃ) ও তাঁর মুহাজির সঙ্গীরা মক্কা থেকে মদীনা পর্যন্ত হিজরতের পথে,কয়েক দিনের জন্য কুবা অঞ্চলে কাফেলা থামিয়েছিলেন।একদিন শুক্রবার সকালে তারা পুনরায় মদিনার পথে যাত্রা শুরু করেন এবং জুমার নামাজের সময় হলে ওয়াদি রানুনা অঞ্চলে কাফেলা থামিয়ে রাসুল (সা) তাঁর কাসওয়া উট থেকে নেমে সেখানে জুমার নামাজ আদায় করেছিলেন। জুমার নামাজে প্রায় শতাধিক লোক এই প্রথম জুমাতে শরিক হন।যাদের মধ্যে বনি নাজির ও বনি আমর গোত্রের ছিলেন। Approximately one hundred Muslims participated in this first Jummah salah. Amongst them were the Prophet’s (SM) relatives from Bani an-Najjar who had come to meet him and some from Bani Amr who had escorted him from Quba.এ অঞ্চলটিকে আজও জুমাহ বলে উল্লেখ করা হয়। The Masjid Al-Juma is where the prophet (peace be upon him) prayed his first Friday congregational after he left the Quba village for Madinah. ঐতিহাসিকদের বর্ণনা মতে, রাসুল (সা.) মদিনায় হিজরত করার পর কুবায় আবু আইয়ুব আনসারি (রা.)-এর বাড়িতে অবস্থান করেন। সেখান থেকে জুমার দিন সকালে তিনি মদিনার উদ্দেশে রওনা হন। পথে বনু সালেম ইবনে আউফের বসতিতে পৌঁছলে জুমার নামাজের সময় হয়ে যায়। ফলে তিনি সেখানে যাত্রাবিরতি করেন এবং জুমার নামাজ আদায় করেন। সেখানেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মসজিদে জুমা। রাসুল (সা.)-এর জুমা আদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে মসজিদের নামকরণ করা হয়েছে। সাদা রঙের কারুকার্যমণ্ডিত জুমা মসজিদ এখনো রাসূলের (সা) পবিত্র স্মৃতিচিহ্ন ধারণ করে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।তবে এই মসজিদকে মসজিদে ওয়াদি, মসজিদে আতিকা, মসজিদে কুবাইব , বানি সেলিম মসজিদও বলা হয়। It was also known as the Bani Salim Mosque and the Wadi Mosque as the area was part of the Wadi Al-Ranouna. Another name for the very same mosque is Atikah mosque.

প্রথম জুমার নামাজে রাসুল (সা) যে খুতবা দিয়েছিলেন-The Prophet (SM) delivered this khutbah (sermon):“Praise belongs to Allah. I praise Him, ask for His help and seek His Forgiveness and beseech Him for Guidance. I believe in Him and do not reject Him. I despise those who disbelieve Him. And I bear witness that there is no God but Allah, the One, Who has no partner, and that Muhammad is His slave and His Messenger who is sent with guidance and true religion, light and admonition, when there has not been a Messenger for a long time, when knowledge is but little, men are misguided, and end of time is near, death being at hand.He who obeys Allah and His Messenger is indeed guided and he who disobeys them is lost on the wrong path, is fallen down to a terrible misguidance.And I urge you to fear Allah – the best advice a Muslim may give to another Muslim, urging him to prepare for the Hereafter and to fear Allah. O People; keep away from that which Allah has asked to shun. And there is no counsel greater than that and no remembrance greater than that. Know! For him who fears Allah in his pursuits, the best course is taqwa (righteousness) in affairs of the Hereafter. He who keeps his relationship with Allah, both secret and open, correct – being sincere – that will be an asset for him after death more than zikr in this world. But if anyone fails in that then he would wish that his deeds were kept away from him. As for him who believes and fulfils his promise then;“The word is not changed with Me, nor do I wrong (My) servants.” [50:29] Muslims! Fear Allah in what concerns you now and what will follow, in what is hidden and what is open, for,“And he who fears Allah, He will acquit him of his evil deeds and He will magnify reward for him.” [65:5] And those who fear Allah will gain a mighty success. It is fear of Allah that keeps away His disapproval, punishment and wrath. It is taqwa (fear of Allah) that brightens the countenance, pleases the Lord and raises ranks.O Muslims! Pursue good fortune but do not lag behind in rights of Allah. He taught you His Book and guided you on the path that the righteous and the false may be distinguished. O People! Allah has been good to you and you should be like that to others. Keep away from His enemies and strive in His cause with determination. He has chosen you and named you Muslims so that he who perishes, does so for worthy cause and he who lives, follows a worthy cause. And every piety is done with His help.O People! Remember Allah. Strive for the Hereafter. As for him, who corrects his relationship with Allah then Allah corrects his relationship with other people.Know! Allah judges over people but is not judged by anyone. He is their Master but they have no power over Him. Allah is the Greatest. And there is no power (to do good) except with Allah the Mighty.”( Ibn Jarir)

মসজিদটি ঠিক কার সময় নির্মিত হয় তা জানা যায় না। মসজিদটি সর্বপ্রথম পাথুরে শিলা দ্বারা নির্মিত হয়েছিল, পরে বেশ কয়েকবার ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় ও সংস্কার করা হয়। সংস্কারের পূর্বে মসজিদটির দৈর্ঘ্য ছিল ৮ মিটার, প্রস্থে সাড়ে চার মিটার এবং লম্বায় ৫.৫ মিটার এবং একমাত্র গম্বুজটি ছিল লাল ইট দ্বারা নির্মিত। পূর্ব অংশের সাথে ৮ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৬ মিটার প্রস্থ সহ একটি উঠান ছিল।উমাইয়া খলিফা ওমর ইবনে আবদুল আজিজ পাথরের অবকাঠামোতে নির্মিত মসজিদের সংস্কার করেন। নবম হিজরিতে শামসুদ্দিন কাবিন ও উসমানীয় সুলতান দ্বিতীয় বায়জিদ মসজিদে জুমার সংস্কার করেন। সর্বশেষ ১৯৮৮ সালে বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ মসজিদের পুনর্নির্মাণ ও সম্প্রসারণ করেন।বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ এর নেতৃত্বে সৌদি সরকারের আওকাফ মন্ত্রণালয় এর পুরাতন অংশ ধ্বংস করে একটি নতুন অংশ নির্মাণে করেন, যেখানে ইমাম এবং মোয়েজ্জিন এর থাকার জন্য একটি বাসভবন, একটি গ্রন্থাগার, তাহফিদজ আল কুরআন নামে একটি মাদ্রাসা , একটি মহিলাদের জন্য প্রার্থনার ঘর এবং একটি বাথরুম নির্মান করেন। সম্প্রসারণের পর মসজিদের ধারণ ক্ষমতা ৭০ থেকে ৬৫০ জনে উন্নীত হয়।একটি প্রধান গম্বুজ এবং চারটি ছোট গম্বুজ, সুউচ্চ মিনার নিয়ে নির্মিত মসজিদটি ১৯৯১ সালে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

যে গাছ ইহুদিদের আশ্রয় দেবে অর্থাৎ ইহুদিদের বন্ধু গাছ

রক্তপাতহীন মক্কা বিজয়ের দিন আজ

খন্দক যুদ্ধ কারণ ও ফলাফল