পোস্টগুলি

দানের ফজিলত ও একটি ঘটনা

ছবি
মো. আবু রায়হানঃ  ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় সাদকা বা দান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।দান করা অতি মহৎ কাজ। ধনী গরীব ব্যবধান দূরীভূত করে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা কায়েমে দানের রয়েছে অপরিসীম গুরুত্ব। দান করতে বিশাল অর্থ বিত্তের মালিক হতে হয় না। অল্প পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেও দান করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট।দানের জন্য বিত্তের চেয়ে চিত্তের ঐকান্তিক ইচ্ছা ও উদারতা বেশি প্রয়োজন। অনেকের ধারণা দান করলে সম্পদ কমে যায় এটি একটি ভুল ধারণা বরং সম্পদ বৃদ্ধি ও বরকত প্রাপ্ত হয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “সাদকা করলে কোন মানুষের সম্পদ কমে না।” (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ)। দানের ফলে বিপদ আপদ দূর হয়।মানুষের কল্যাণে নিজের অর্থ-সম্পদ ব্যয় বা প্রদান করাকে দান বলা হয়।Cambridge Dictionary তে দানের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে,"money or goods that are given to help a person or organization. হযরত  আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন, সদকা সম্পদ হ্রাস করে না। কাউকে ক্ষমা করলে এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা বান্দার ইজ্জত বৃদ্ধিই করে থাকেন। এবং যে কেউ আল্লাহর জন্য বিনম্র হয়, আল্লাহ তার মর্যদা বাড়িয়েই দেন।  (সহিহ

শ্রীলঙ্কায় সন্ত্রাসী হামলার পর আতঙ্কে মুসলমানরা

গতকালের হামলার পর মুসলিম কয়েক জনের নাম আসায় ও একটি জঙ্গি সংগঠনের দায় স্বীকার করার পর শ্রীলঙ্কার মুসলিমরা আতঙ্কে রয়েছে। শ্রীলঙ্কায় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সম্পর্কের ইতিহাস এমনিতেই খুব ভালো না। গত বছর ক্যান্ডি এবং আশপাশের বেশ কিছু শহরে মসজিদ এবং মুসলিম ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কট্টর বৌদ্ধদের হামলার পর সাময়িক জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিল।ভারতের দক্ষিণে অবস্থিত শ্রীলঙ্কার মোট আয়তন ৬৫ হাজার ৬১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এবং ভারত মহাসাগরে এটিই সবচেয়ে বড় দ্বীপ দেশ হিসেবে পরিচিত। ভারত উপমহাদেশ থেকে শ্রীলঙ্কায় ইসলামের বিস্তার ঘটে এবং এ ক্ষেত্রে ইরানি বণিকদের অবদান ছিল। অবশ্য শ্রীলঙ্কায় ইসলাম প্রসারের ক্ষেত্রে ভারতীয় মুসলমানদেরও বড় ভূমিকা ছিল। দেশটির মোট জনসংখ্যার দশ শতাংশই মুসলমান। বর্তমানে শ্রীলঙ্কায় ১৫শ'টি  মসজিদ, ১০০টি কুরআন শিক্ষা কেন্দ্র এবং ২০০টির মত মাদরাসা বা দ্বীনী শিক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। শ্রীলঙ্কার মুসলিম জনগোষ্ঠী দেশটির গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছে।

‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ’-এর ফজিলত

ছবি
মো. আব রায়হান:  এটি নিয়মতি পাঠ করলে জান্নাতের ধানাগার অর্জিত হয়। হাদিসে এসেছে- হযরত আবু মুসা আল আশআরী (রা) বর্ণনা করেন, একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি গিরিপথ দিয়ে অথবা (বর্ণনাকারী বলেন) একটি চুড়া হয়ে যাচ্ছিলেন। তখন এক ব্যক্তি এর উপর ওঠে জোরে জোরে বলল- ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।’হযরত আবু মুসা বলেন, তখন রাসুল (সা) তাঁর খচ্চরে আরোহী ছিলেন। তখন রাসুল (সা)  বললেন, তোমরা তো কোনো বধির ‍কিংবা কোনো অনুপস্থিত কাউকে ডাকছো না। অতঃপর তিনি বললেন-‘হে আবু মুসা! বা হে আবদুল্লাহ!“তোমাকে জান্নাতের অন্যতম ধনভাণ্ডারের কথা বলে দেব না কি?” আমি বললাম, ‘অবশ্যই বলে দিন, হে আল্লাহর রাসূল!’ তিনি বললেন, لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ (লা হাওলা অলা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ)  (বুখারী ও মুসলিম)। ‘লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ। অর্থাৎ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ভরসা নেই; কোনো ক্ষমতা বা শক্তি নেই।’ (বুখারি)হাদিসের ঘোষণা অনুযায়ী, ‘লা হাওলা ওয়া লা কুওয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহ’-এর পাঠে জান্নাতে ধনাগার লাভ হয়। যাতে রয়েছে বান্দার যাবতীয় কল্যাণ।আবূ যার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলে

পুরোনো মজার একটি শিক্ষণীয় গল্প

পুরোনো মজার একটি গল্প।  #বিটিভির দর্শক সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। #এদেশে ২৩ বছরে মাস্টার্স কমপ্লিট হয়। #মন্ত্রী মহোদয়গণ অন্যদেশের মন্ত্রীদের পরামর্শ দেন। ভ্রমণে বের হওয়ার আগে এক রাজা মন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলেন, আবহাওয়ার খবর কী? ঝড়-বৃষ্টি হবে নাতো? মন্ত্রী জানালেন, না হবে না। কিছুদূর যাওয়ার পর এক ধোপার সঙ্গে দেখা হলো। ধোপা রাজার কাছে জানতে চাইলো অসময়ে কেন বের হয়েছেন? ঝড়-বৃষ্টি হবে একটু পর। রাজা বিশ্বাস না করে যাত্রা অব্যাহত রাখলেন এবং ঝড় বৃষ্টিতে পড়লেন। ফিরে এসে রাজা মন্ত্রীকে বরখাস্ত করে সেই ধোপাকে মন্ত্রী বানালেন। ধোপা মন্ত্রী হওয়ার পর ভয়ে ভয়ে একদিন রাজার কাছে স্বীকার করলো যে, আবহাওয়া সম্পর্কে সে তেমন কিছইু জানতো না। ঝড়-বৃষ্টি হওয়ার আগে তার গাধাটা কান নাড়াতো এবং ধোপা বুঝে নিতো যে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। রাজা তখন সেই ধোপাকে বরখাস্ত করে গাধাকে মন্ত্রী বানালেন। দয়া করে এই গল্পের ভেতর কেউ কোনও মোরাল, রাজনীতি বা মেসেজ খুঁজতে যাবেন না।

ইসলামি বিধান পালনে মুসলিম দেশের চেয়ে অমুসলিম দেশের মুসলিমরা এগিয়ে

ইসলামি বিধান পালনে মুসলিম দেশের চেয়ে অমুসলিম দেশের মুসলিমরা এগিয়ে- জরিপে দেখা গেছে সবচেয়ে ইসলামি বিধান মেনে চলা দেশ হচ্ছে নিউজিল্যান্ড এবং দ্বিতীয় অবস্থানে লুক্সেমবার্গ। তারপর এসেছে পর্য্যায়ক্রমে আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ষষ্ঠ ও কানাডা সপ্তম অবস্থানে। মালয়েশিয়া ৩৮তম, কুয়েত ৪৮তম, বাহরাইন ৬৪তম, এবং অবাক করা কান্ড সৌদি আরব ১৩১তম অবস্থানে। গ্লোবাল ইকোনমি জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় বাংলাদেশের অবস্থান সৌদীদেরও নীচে।উক্ত জরিপটি মুসলিম বিশ্বের বিখ্যাত পন্ডিত মুহাম্মদ আবদুহ এর বাণীর প্রতিচ্ছবি- “I went to the West and saw Islam, but no Muslims; I got back to the East and saw Muslims, but no Islam.” (আমি পাশ্চাত্যে ইসলাম দেখেছি কিন্তু মুসলিম দেখিনি, প্রাচ্যে ফিরে এসে মুসলিম দেখেছি কিন্তু ইসলাম দেখিনি।) ( জরিপটি করেন জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক হুসেন আসকারী)

আল্লাহর আদেশ অমান্যের পরিণতি!

ইবলিশ ৬ লক্ষ বছর আল্লাহর ইবাদত করেছে, এক সিজদায় ৬ হাজার বছর কেটে দিয়েছে এবং আসমান ও জমীনের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে তার সিজদা পড়েনি। সেই ইবলিশ আল্লাহ তায়ালার একটি মাত্র আদেশ অমান্য করার কারণে অভিশপ্ত শয়তান হয়ে গেল- "এবং যখন আমি হযরত আদম (আঃ)-কে সেজদা করার জন্য ফেরেশতাগণকে নির্দেশ দিলাম, তখনই ইবলীস ব্যতীত সবাই সিজদা করলো। সে (নির্দেশ) পালন করতে অস্বীকার করল এবং অহংকার প্রদর্শন করল। ফলে সে কাফেরদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে গেল।"                                 ( সুরা বাকারা ২:৩৪ ) অথচ আমরা প্রতিনিয়ত আল্লাহ তায়ালার কত আদেশ অমান্য করি আবার নিজেকে একজন খাঁটি মুসলমান হিসেবেও পরিচয় দেই!

পৃথিবীর প্রথম মার্ডার কেস

আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন, ‘নরহত্যা বা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি ছাড়া কেউ কাউকে হত্যা করলে সে যেন দুনিয়ার সমগ্র মানবগোষ্ঠীকে হত্যা করলো।’ (মায়িদা: ৩২) কবীরা গুনাহগুলোর মধ্যে সবচে বড় গুনাহ হলো আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা, নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা, পিতামাতার অবাধ্য হওয়া এবং মিথ্যা কথা বলা।’ (বুখারী : ৬৮৭১; মুসলিম : ৮৮) সম্প্রতি প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি আবিষ্কার বলছে, পৃথিবীতে মানুষ খুন হয়েছিল আজ থেকে ৪ লাখ ৩০ হাজার বছর আগে। গবেষকদের হিসেবে সেটিই প্রথম খুন।উত্তর স্পেনের অ্যাটাপুরে পর্বতের এক গুহা থেকে কিছু দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয় সম্প্রতি। এর একটির মাথার খুলির ময়নাতদন্ত করে এ সিদ্ধান্তে আসেন গবেষকরা। পবিত্র কুরআনের বর্ণনামতে, পৃথিবীর প্রথম মানব হজরত আদম (আ.)-এর ছেলে ছিলেন হাবিল ও কাবিল। পরশ্রীকাতরতায় ভুগে কাবিল তার ভাই হাবিলকে হত্যা করে। পৃথিবীর বুকে সেটিই প্রথম হত্যাকাণ্ড। বাইবেলের বর্ণনাও প্রায় একই। প্রথম খুন হওয়া মানুষটির নাম আবেল। আপন ভাইয়ের কুঠারের আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছিল।পৃথিবীতে আগমনের পর হযরত আদম (আ:) ও বিবি হাওয়া (আ:) এর সন্তান জন্ম হতে লাগলো। ধীরে ধীরে

জেনেটিকালি মুসলিম হওয়া যায় না

জেনেটিকালি শাকসবজি উৎপাদন ও অন্যান্য বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার সম্ভব। কিন্তু বাবা মুসলিম সেই হিসেবে জেনেটিকালি আমিও মুসলিম হবো তা কিন্তু সব সময় সম্ভব নয়। আপনি বংশ ধারায় বাবা মার জিনগত বৈশিষ্ট্য পেতে পারেন কিন্তু তার বিশ্বাস ও ধর্ম আপনাকে নাও প্রভাবিত করতে পারে। আবার আপনি  আপনার পিতা মাতার চেয়ে বেশি ধার্মিক ও সংস্কৃতিমনা হতে পারেন শুধু বিশ্বাস ও আমল দিয়ে। জেনেটিকালি ধর্ম কারো ওপর প্রভাব ফেলে না। এটি একান্ত নিজের অর্জন। যেমন বলা হয়ে থাকে - " তরুলতা সহজেই তরুলতা, পশুপক্ষী সহজেই পশুপক্ষী, কিন্তু মানুষ প্রাণপণ চেষ্টায় তবে মানুষ' তেমনি বাবা মুসলিম হলেই আপনি মুসলিম ঘটনা এমনটি না এটি সম্পূর্ণ আপনার জ্ঞান ও মেধার ওপর নির্ভর করে। কোনটি সত্য ও শাশ্বত তা গ্রহণের ওপর। তবে মুসলিম ঘরে জন্ম গ্রহণ আপনার জন্য অবশ্যই প্লাস পয়েন্ট। একধাপ এগিয়ে গেলেন। কিন্তু কোনো অমুসলিম ইসলাম কবুল করলে তারও সুযোগ আছে। হাদিস শরিফে এসেছে, 'ইসলাম গ্রহণ আগের সব পাপ মোচন করে দেয়। হিজরত আগের সব পাপ মোচন করে দেয়। হজ আগের সব পাপ মোচন করে দেয়।' (মুসলিম শরিফ : হা. ১২১) হাজিব ইবনু ওয়ালীদ (রহঃ) ..... আবু হুরাইরাহ (

মোবাইলের টাচ স্কিনে অযু ছাড়া কি কুরআন পড়া যায়?

মোবাইলের টাচ স্কিনে অযু ছাড়া কি কুরআন পড়া যায়? “নিশ্চয়ই ইহা সন্মানিত কুরআন, যাহা সুরক্ষিত আছে কিতাবে। যাহারা পূত-পবিত্র তাহারা ব্যতীত অন্য কেহ তাহা স্পর্শ করে না। ইহা জগতসমূহের প্রতি পালকের নিকট থেকে অবতীর্ণ”। ___ সূরা ওয়াকিয়া ৫৬:৭৭-৮০। উপরিউক্ত আয়াত সমূহ কাগজে লেখা কুরআনের জন্য প্রযোজ্য বলে আলিমদের মত। কিন্তু মোবাইলের স্ক্রিনে দৃশ্যমান কোরআন মাজিদ স্থায়ী নয়। কিছু আলোকরশ্মির মাধ্যমে তা দৃশ্যমান হয়। সুতরাং তা ওজু ছাড়া স্পর্শ করা যাবে। সমকালীন বিখ্যাত ফকীহ শাইখ আব্দুর রহমান ইবনে নাসের, শাইখ সালেহ ফাওযান প্রমুখ এমনই ফতোয়া দিয়েছেন।আবার বলা হয় যেহেতু এর উপরে গ্লাসের আবরণ থাকে তাই এটি স্পর্শ করা যায়। কিছু আলেম বলেন,কোরআন মাজিদের যথাযথ মর্যাদা রক্ষার্থে মোবাইলের স্ক্রিনে দৃশ্যমান অংশও বিনা ওজুতে স্পর্শ করা যাবে না।  মূলকথা,বিষয়টি যেহেতু মতভেদপূর্ণ। তাই স্ক্রিনে দৃশ্যমান কোরআনের আয়াত বিনা ওজুতে স্পর্শ না করাই ভালো ।তবে পবিত্রতার শর্ত হলো ভালো ভাবে গোসল ও অযু সম্পাদন।

দুর্যোগ কি মোকাবেলা করা যায়?

ছবি
মো.আবু রায়হান: আমরা কথায় কথায় দুর্যোগ মোকাবেলা করার কথা বলি।আদৌও কি দুর্যোগ মোকাবেলা করার মতো হিম্মত ও সাহস আমাদের কি আছে? স্রষ্টা কর্তৃক সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করার জন্য আমরা কি উপযুক্ত! হায় বাঙালি মুসলমান! আমরা কথায় কথায় মোকাবেলা শব্দটি ব্যবহার করি কিন্তু এর সমার্থক অর্থ গুলো কি আসে আমরা কি তা জানি।? মোকাবেলা মানে সামনাসামনি বোঝাপড়া, বিরুদ্ধাচরণ, প্রতিশোধ ইত্যাদি। বিশ্বাস না হলে বাংলা একাডেমির বাংলা অভিধান দেখুন। শব্দটির কত  ওজন,  কিন্তু  আমরা তা না জেনে হরহামেশাই তা ব্যবহার করছি। শব্দের অর্থ গুলো নিয়ে একবার চিন্তা করুন। দুর্যোগ দেন কে? কে বা তা প্রশমিতই করেন?  আমাদের কি তা মোকাবেলা করার মত সুযোগ ও সক্ষমতা আছে?  বিজ্ঞানের এ যুগে আমরা সর্বোচ্চ যেটা করতে পারি তা হলো দুর্যোগ পূর্ব কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ। যা আমাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হ্রাস করতে পারে। কিন্তু রীতিমতো দুর্যোগ মোকাবিলায় নেমে পড়লেন? কেমনে সম্ভব? একবার চিন্তা করেন। শব্দ চয়নের ভুলের কারণে আমরা কত বড় স্পর্ধা দেখাচ্ছি! একবার ভেবে দেখেছেন। বলতে পারেন দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে আমাদের সাধ্যের মধ্যে যে ব্

দাড়িওয়ালা মানুষের চেয়ে কুকুর বেশি পরিষ্কার

আসুন আগে খবরটা পড়ি। তারপর যুক্তি খন্ডন করি। সুইজারল্যান্ডে একটি ক্লিনিকে পরিচালিত এক গবেষণায় পুরুষের দাড়ি সম্পর্কে ভয়াবহ এক ফলাফল বেরিয়ে এসেছে যে মানুষের দাড়িতে কুকুরের পশমের থেকে বেশি জীবাণু থাকে।হার্সল্যান্ডেন নামক একটি নামকরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গবেষণাটি করা হয়।মানুষের এমআরআই স্ক্যান যে মেশিনে করা হয়, সেটাতেই কুকুরেরও এমআরআই স্ক্যান করা সম্ভব কিনা - তা দেখাই ছিল ঐ গবেষণার প্রধান উদ্দেশ্য ।কিন্তু তা করতে গিয়ে দাড়ি রাখার না-জানা বিপদ ফাঁস হয়ে গেছে।গবেষণায় ১৮ জন পুরুষের দাড়ির নমুনা এবং ৩০টি কুকুরের পশমের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।তারপর যে ফলাফল দেখা যায় তা আঁতকে ওঠার মতো।১৮ জন পুরুষের প্রত্যেকের দাড়িতে উঁচুমাত্রায় ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে।তাদের মধ্যে সাতজনের দাড়িতে এতো উঁচু মাত্রায় ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে যেটা যে কোনো সময় ঐ মানুষগুলো অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।কুকুরের পশম কি মানুষের দাড়ির চেয়ে নিরাপদ? অন্তত একটি গবেষণা তাই বলছে।অন্যদিকে, যে ৩০টি কুকুরের নমুনা পরীক্ষা করা হয়, তাদের মধ্যে ২৩টির পশমে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি ছিল। কিন্তু বাকি সাতটি কুকুরের পশম ছিল পুরোপুরি জীবাণ

অমুসলিমদের জানমাল ও উপাসনালয়ের নিরাপত্তায় ইসলাম

ছবি
মো. আবু রায়হানঃ মানুষের মধ্যকার বিরোধ অবধারিত হলেও সব ধর্ম ও মতাদর্শের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোকে শ্রদ্ধার চোখে দেখে এবং কোনো উপাসনালয়ে হামলা যেকোনো আইনের চোখে অপরাধ। শান্তির ধর্ম ইসলাম এ বিষয়ে সর্বাধিক সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে। প্রয়োজনে অন্য ধর্মের উপাসনালয় রক্ষায় যুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। এ বিষয়ে কোরআনের ভাষ্য এমন : ‘...আল্লাহ যদি মানবজাতির এক দলকে অন্য দল দ্বারা প্রতিহত না করতেন, তাহলে বিধ্বস্ত হয়ে যেত খ্রিস্টান সংসারবিরাগীদের উপাসনাস্থল, গির্জা, ইহুদিদের উপাসনালয় ও মসজিদসমূহ, যার মধ্যে আল্লাহর নাম অধিক স্মরণ করা হয়...।’ (সুরা  হজ আয়াত - ৪০) আল্লাহ রাব্বুল আলামীন স্বয়ং কোরানে বলেছেন, “তোমার ধর্মের বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ করেনি, তোমার বসতি থেকে তোমাকে উচ্ছেদ করেনি, তাদের প্রতি তোমার দয়ালু হওয়া উচিৎ এবং তাদের সাথে ন্যায়ানুগ আচরণ কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায় ভালোবাসেন।” (৬০ / ৮)। অমুসলিম নাগারিককে হত্যা করা সম্পর্কে রাসুলে মকবুল (সঃ) বলেছেন, “যে কোন সংখ্যালঘুকে হত্যা করবে সে বেহেশতের ঘ্রাণও উপভোগ করতে পারবেনা। অথচ বেহেশতের সুঘ্রাণ চল্লিশ বছরের দূরত্ব হতেও অনু

#অদ্ভুত অনিয়ম

#এদেশে ২৫ বছর না হলে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য হতে পারবেন না। #৩৫ বছর না হলে প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। বুড়ো বয়সে মন্ত্রী এমপি হতে পারবেন। কিন্তু ৩০ বছর পার হলে আপনি সরকারি জবে ঢুকতে পারবেন না। আপনার মেধাকে এখানেই গলাটিপে হত্যা করা হচ্ছে। আপনার স্বপ্নকে বয়স সীমা নামের বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। অথচ এদেশে পড়াশোনা শেষ করে মাস্টার্সের সার্টিফিকেট নিতে লাগে ২৬, ২৭ বছর। দুই তিন বছরেই আপনার আজীবনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের সীমা রেখা বেধে দেওয়া হচ্ছে। এসময়ের মধ্যে এদেশে কাঙ্ক্ষিত জব জোগাড় করা দুরূহ ও কল্পনাতীত। অথচ বিশ্বের ১৫৫টি দেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমা ৩৫ এর ওপরে। আবার কোনো কোনো দেশে নির্ধারিত বয়স সীমা নেই। কিন্তু বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল একটি রাষ্ট্রে তরুণ সমাজ চাকরির বয়স সীমার গ্যাঁড়াকলে আটকে পড়ে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্র এক্ষেত্রে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিয়ে আইন করে তাদের মেধা ও মননশীলতা বিকশিত করার সব পথ রুদ্ধ করে রেখেছে। যা রীতিমতো মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকারের সুষ্পষ্ট লংঘন।

একটি ন্যায্য দাবির যেভাবে অপমৃত্যু হলো

বাংলাদেশের  যুবনীতিতে যুবকদের বয়স ১৮থেকে ৩৫ বছর সুতরাং সরকারি চাকুরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবীটা অবশ্যই  যৌক্তিক ।দেশের মানুষের গড় আয়ু যখন ৪৫ বছর ছিল, তখন চাকরিতে প্রবেশের বয়স ছিল ২৭ বছর, আয়ু বেড়ে ৫০ হলে ৩০ বছর করা হয়। এখন আয়ু বেড়ে  যাওয়ার পরও চাকরিতে প্রবেশের বয়স কোনোভাবেই ৩০ বছর থাকতে পারে না।বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭২ বছর। সেই হিসেবে চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমা অন্তত ৩৫ হওয়া উচিত।সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্যে বর্তমানে চাকরি শুরু করার বয়স ৩০ হলেও মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী, উপজাতি কোটায় এই বয়স ৩২, নার্সের চাকরির জন্যে ৩৬ আর বিভাগীয় প্রার্থীর কোটায় ৩৫ বছর রয়েছে। সরকারি চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে ৫৭ থকে ৫৯ বছর, যা ৬১ তে উন্নীত করার আলোচনা চলছে। অন্যদিকে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরি থেকে অবসরের বয়স ৬৫ বছর এবং বিচারকদের ৬৭ বছর। বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বর্তমান বয়সসীমা বিশ্বের ১৬২টি দেশের সর্বনিম্ন বয়সের চেয়েও পাঁচ বছর কম। ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মতো উন্নত দেশে চাকরির সর্বোচ্চ বয়স ৪০ থেকে ৫৯ বছর। হাতে গোনা বিশ্বের কয়েকটি দেশে চাক