পোস্টগুলি

ফুটবলের দেশ ব্রাজিলে ইসলাম ও মুসলমান

ছবি
ব্রাজিল হচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার সর্ববৃহৎ রাষ্ট্র। এছাড়াও জনসংখ্যা ও ভৌগোলিক আয়তনের দিক থেকে এটি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম দেশ। বাংলাদেশ থেকে ব্রাজিল প্রায় ১৫ হাজার ৯১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ব্রাজিলের উত্তরে রয়েছে ভেনেজুয়েলা, গায়ানা, সুরিনাম, ও ফ্রান্সের সামুদ্রিক দেপার্ত্যমঁ ফরাসি গায়ানা। এছাড়াও এর উত্তর-পশ্চিমভাগে কলম্বিয়া; পশ্চিমে বলিভিয়া ও পেরু; দক্ষিণ-পশ্চিমে আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়ে, এবং সর্ব-দক্ষিণে দক্ষিণে উরুগুয়ে অবস্থিত।ব্রাজিলের সাথে চিলি ও ইকুয়েডর ব্যতীত দক্ষিণ আমেরিকার সকল দেশেরই সীমান্ত-সংযোগ রয়েছে। ১৫০০ সালে পর্তুগিজ অভিযাত্রী পেদ্রু আলভারেজ কাবরাউয়ের ব্রাজিলে এসে পৌঁছানোর পর থেকে ১৮১৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ব্রাজিল ছিলো একটি পর্তুগিজ উপনিবেশ। ১৮১৫ সালে এটি যুক্তরাজ্য, পর্তুগাল, ও আলগ্রেভিজের সাথে একত্রিত হয়ে একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থা গঠন করে। মূলত ১৮০৮ সালেই ব্রাজিলের পর্তুগিজ উপনিবেশ’ পরিচয়ে ফাটল ধরে, কারণ নেপোলিয়নের পর্তুগাল আক্রমণের রেশ ধরে পর্তুগিজ সাম্রাজ্যের কেন্দ্র লিসবন থেকে ব্রাজিলের রিও দি জানেইরুতে সরিয়ে নওয়া হয়। ১৮২২ সালে ব্রাজিল, পর্তু

আমেরিকায় ইসলামের আগমন ও বর্তমান অবস্থা

ছবি
মো.আবু রায়হানঃ আমেরিকা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র।আমেরিকার সরকারি নাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকা ( United States of America )সংক্ষেপে ইউ.এস ।প্রচলিত নামগুলি হল the U.S., the USA, ও America. মার্কিন নাগরিকেরা বাংলা ভাষায় মার্কিনী নামে পরিচিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সংক্রান্ত বিশেষণ হিসেবে মার্কিন শব্দটি ব্যবহার করা ।১৫০৭ সালে জার্মান মানচিত্রকর মার্টিন ওয়াল্ডসিম্যুলার বিশ্বের একটি মানচিত্র প্রকাশ করেন। এই মানচিত্রে তিনি ইতালীয় আবিষ্কারক ও মানচিত্রকর আমেরিগো ভেসপুচির নামানুসারে পশ্চিম গোলার্ধের নামকরণ করেন আমেরিকা। ১৪৯২ সালে ইতালীয় নাবিক কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করেন। ক্রিস্টোফার কলম্বাসের নামানুসারে কলম্বিয়া নামটি এককালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম হিসেবে ব্যবহৃত হত।ডিস্ট্রিক্ট অফ কলম্বিয়া নামের মধ্যে এই নামটির আজও অস্তিত্ব রয়েছে।আমেরিকা উত্তর আমেরিকা মহাদেশের মধ্যভাগে অবস্থিত।দেশটির পশ্চিম দিকে রয়েছে প্রশান্ত মহাসাগর এবং পূর্ব দিকে রয়েছে আটলান্টিক মহাসাগর। উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত কানাডার সাথে এবং দক্ষিনাঞ্চলে রয়েছে মেক্সিকো।ইহা উত্তর আমেরিকায় অবস্থিত ৫০ রাজ্য,

সুইজারল্যান্ডে ইসলামের আগমন ও বিকাশ

ছবি
মো.আবু রায়হানঃ  সুইজারল্যান্ড ইউরোপ মহাদেশে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র। স্থানীয় ভাষায় দেশটি সুয়াতিনি নামে পরিচিত। সুইজারল্যান্ড একটি ছোট স্থলবেষ্টিত দেশ, যার চারপাশে রয়েছে ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি এবং অস্ট্রিয়া।দেশটির পশ্চিমে ফ্রান্স, উত্তরে জার্মানি, পূর্বে অস্ট্রিয়া ও দক্ষিণে ইতালি অবস্থিত। সুইজারল্যান্ড বহুভাষী রাষ্ট্র এবং এখানকার চারটি রাষ্ট্র ভাষা রয়েছে- জার্মান, ফরাসি, ইতালীয় এবং রোমানীয়। বাকিরা স্পেনীয়, পর্তুগিজ আর তুর্কীয় ভাষায় কথা বলে।জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশই জার্মানির অধিবাসী। এরা জার্মান ভাষায় কথা বলে। ২০ শতাংশ লোকের ভাষা ফ্রান্স, আর ৪ শতাংশ মানুষের ভাষা ইতালি। সুইজারল্যান্ড ১৬৪৮ সালে রোমান সাম্রাজ্য থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে। তবে দেশটি প্রজাতন্ত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ১২৯১ সালে। সুইজারল্যান্ড ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য না হওয়ার পাশাপাশি এটি ন্যাটোর সদস্য নয়।সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে, ২০১২ সাল পর্যন্ত সুইজারল্যান্ড জাতিসংঘের সদস্য ছিল না। এটি পৃথিবীর ধনী রাষ্ট্রসমূহের অন্যতম। সুইজারল্যান্ডের ঘড়ি, ট্রেন এবং চকলেটের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। তবে সুইস ব্যাংকসমূহ পৃথিবীর সক

সুরিনামে ইসলাম ও মুসলমানদের অবস্থা

ছবি
মো.আবু রায়হানঃসুরিনাম আটলান্টিক মহাসাগরের তীরে দক্ষিণ আমেরিকার উত্তর-পূর্ব অংশে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র। সুরিনামের উত্তরে আটলান্টিক মহাসাগর, পূর্বে ফরাসি গায়ানা, দক্ষিণে ব্রাজিল, ও পশ্চিমে গায়ানা। এটি দক্ষিণ আমেরিকার ক্ষুদ্রতম স্বাধীন রাষ্ট্র। সুরিনামের একমাত্র নগর এলাকা ও রাজধানীর নাম প্যারামারিবো।১৬শ শতকের শেষের দিকে এই এলাকায় প্রথম ইংরেজ, ফরাসি ও ওলন্দাজ বেনিয়াদের আগমন ঘটে।১৯৭৫ সালের আগ পর্যন্ত সুরিনাম নেদারল্যান্ড্‌সের একটি উপনিবেশ ছিল এবং তখন এর নাম ছিল ওলন্দাজ গায়ানা। সুরিনামের আয়তন ১,৬৩,২৬৫ বর্গ কিমি। বর্তমানে এর লোকসংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখ।২০১২ সালের আদমশুমারি অনুসারে সুরিনামে ৭৫,০৫৩ জন মুসলমান রয়েছে। এই সংখ্যা ২০০৪ সালে, ৬৬,৩০৭ জন মুসলমানের চেয়ে বেশি। the Muslim population there represents nearly 20% (114,821) of the population (Chitwood 2016), making Suriname the country with the highest proportion of Muslims in the Americas.তবে, গত অর্ধ শতাব্দীতে মুসলমানদের অংশ ১৯.৬% থেকে ১৩.৯% এ নেমেছে। সুরিনামে মুসলমানদের অংশীদারিত্ব হ্রাসের মূল কারণ হল জাভানিজ বংশোদ্ভূত আহমাদী মুসলমানদ

গায়ানায় ইসলাম ও মুসলমানদের অবস্থা

ছবি
মো.আবু রায়হানঃ গায়ানা দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের উত্তর উপকূলে অবস্থিত একটি দেশ। দেশটির পূর্ণ সরকারি নাম গায়ানা সহযোগিতামূলক প্রজাতন্ত্র (Cooperative Republic of Guyana)। গায়ানা একটি আদিবাসী আমেরিকান শব্দ, যার অর্থ পানির দেশ। নামটা ব্রিটিশ গায়ানা হলেও এটা একটি স্বাধীন দেশ। এর অল্প দুরত্বের মধ্যেই আরেকটি গায়ানা রয়েছে বলে এটা ব্রিটিশ গায়ানা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। অন্যটি ফ্রেঞ্চ গায়ানা। গায়ানা বিষুবরেখার উত্তরে, আটলান্টীক মহাসাগরের উপকূলে ক্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থিত। এর পশ্চিমে ভেনেজুয়েলা, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ব্রাজিল এবং পূর্বে সুরিনাম। পূর্ব ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দ্বীপগুলির মত গায়ানাতেও স্পেনীয় ও পর্তুগিজেরা বসতি স্থাপন করেনি। গায়ানা প্রথমে একটি ওলন্দাজ উপনিবেশ ছিল। পরবর্তীতে ১৮শ শতকের শেষ দিকে এটি ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণে আসেএবং তখন এর নাম ছিল ব্রিটিশ গায়ানা। ২৬ মে ১৯৬৬ সালে ১৫০ বছরের ঔপনিবেশিক শাসন শেষে ব্রিটিশ গায়ানা স্বাধীনতা লাভ করে এবং গায়ানা নাম নেয় ।গায়ানা ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭০ তারিখে কমনওয়েলথের সদস্য অবশিষ্ট একটি প্রজাতন্ত্র হয়ে ওঠে। এটি দক্ষিণ আমেরিকার একমাত্র ইংরেজি ভা

বিশ্বজয়ে বাংলা ভাষা

ছবি
মো.আবু রায়হানঃমা মাতৃভাষা আর মাতৃভূমি অতি আবেগ ও অস্তিত্বের তিনটি অবলম্বন । তিনটি বিষয়ে মানুষের ভালোবাসা চিরন্তন ও অশেষ। এরমধ্যে মাতৃভাষা হলো শিশুকাল থেকে বার্ধক্য এমনকি বংশ পরম্পরায় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ভাবের বাহন।দৈনন্দিন জীবনে ভাব আদান প্রদানে মাতৃভাষা্র গুরুত্ব অনন্য।এদেশের আলো বাতাসে জন্মগ্রহণ করায় বিদ্যমান বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। বাংলা ভাষা বিকাশের ইতিহাস প্রায় ১৩০০ বছরের পুরনো। চর্যাপদ হলো বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন। অষ্টম শতক থেকে বাংলায় রচিত সাহিত্যের বিশাল ভাণ্ডারের মধ্য দিয়ে অষ্টাদশ শতকের শেষে বাংলা ভাষা পূর্ণতা পেয়ে বর্তমান রূপ পরিগ্রহ করেছে।পৃথিবীর একমাত্র জাতি হিসেবে বাঙালিরাই মায়ের ভাষার জন্য ১৯৫২ সালে জীবন উৎসর্গ করেছেন। বাংলা ভাষার ওপর ভিত্তি করেই ১৯৭১ সালে ভাষা ভিত্তিক জাতি রাষ্ট্র বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা সূচিত হয়েছিল। ৫৬ হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশের ভূখন্ডের বাইরেও বাংলা ভাষার জন্য বাঙালিরাই জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন।৫২ 'র ভাষা আন্দোলনের এক দশক না পেরুতেই ১৯৬১ সালে মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলার অধিকার হরণের বিরুদ্ধে ভারতের আসামের বরাক উপত্যকার জনতা প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠে

রাশিয়ায় ইসলাম ও মুসলিম

ছবি
  মো. আবু রায়হানঃ রাশিয়া সরকারিভাবে রুশ ফেডারেশন নামে পরিচিত যেটা পূর্ব ইউরোপে অবস্থিত।রাশিয়া আয়তনের দিক থেকে বর্তমান বিশ্বের বৃহত্তম রাষ্ট্র।বর্তমান আয়তন ১,৭১,২৫,১৯১ বর্গ কি.মি., যা বিশ্বের মোট ভূমির এক–অষ্টমাংশ। ইউরেশিয়ার কেন্দ্রীয় অঞ্চলে অবস্থিত রাশিয়া আয়তনের দিক থেকে ইউরোপ, ওশেনিয়া ও অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ তিনটির চেয়ে বড় এবং দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের চেয়ে সামান্য ছোট! আয়তনের দিক থেকে ইউরোপ ও এশিয়া উভয় মহাদেশের বৃহত্তম এই রাষ্ট্রটিকে বাংলাদেশের সঙ্গে তুলনা করলে বলা যায়, বাংলাদেশের সমান ১১৬টি ভূখণ্ডকে একত্রিত করলে সেই সম্মিলিত ভূখণ্ডটি রাশিয়ার সমান হবে! রাশিয়ার রাজধানী মস্কো দেশটির প্রশাসনিক, বাণিজ্যিক, শিল্প ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। রাশিয়া বর্তমানে একটি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এই দেশটি অর্ধ প্রেসিডেনসিয়াল ফেডারেল প্রজাতন্ত্র যার সংবিধান ৮৩ টি ফেডারেল বিষয় দ্বারা গঠিত।রাশিয়ার বিশাল ভূখণ্ড পশ্চিমে বাল্টিক সাগর থেকে পূর্বে প্রশান্ত মহাসাগর পর্যন্ত এবং উত্তরে আর্কটিক মহাসাগর থেকে দক্ষিণে কৃষ্ণসাগর ও ককেশাস পর্বতমালা পর্যন্ত বিস্তৃত।রাশিয়ার সঙ্গে ১৬টি রাষ্ট্রের স্থল সীমান্ত রয়েছে।রাশিয়ার