পোস্টগুলি

কানাডায় ইসলাম ও মুসলিম

ছবি
মসজিদ আল রাশিদ মো.আবু রায়হানঃ বহুকৃষ্টির দেশ কানাডা উত্তর আমেরিকার উত্তরাংশে অবস্থিত একটি দেশ। দেশটির দশটি প্রদেশ (আলবার্তা, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, মনিটোবা, নিউ ব্রুনসউইক, নিউফাউন্ডল্যান্ড এবং ল্যাব্রাডার, নোভা স্কশিয়া, অন্টারিও, প্রিন্স এডওয়ার্ড দ্বীপ, কুইবেক, এবং সাসকাচুয়ান) ও তিনটি অধীন অঞ্চল(উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য, নুনাভাট এবং য়ুকন) আটলান্টিক মহাসাগর থেকে প্রশান্ত মহাসাগর এবং উত্তরে আর্কটিক মহাসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত, যা এটিকে মোট আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তর দেশে পরিণত করেছে।কানাডার অধিকৃত ভূমি প্রথম বসবাসের জন্য চেষ্টা চালায় আদিবাসী জনগোষ্ঠীসমূহ। পঞ্চদশ শতকের শুরুতে ইংরেজ এবং ফরাসি অভিযাত্রীরা আটলান্টিক উপকূল আবিষ্কার করে এবং পরে বসতি স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। কানাডায় ফরাসি উপনিবেশকে নব্য ফ্রান্স বলা হত, যার বিস্তৃতি ছিল সেন্ট লরেন্স নদী থেকে গ্রেইট লেইকসের উত্তর উপকূল পর্যন্ত।ফ্রান্স দীর্ঘ সাত বছরের যুদ্ধে পরাজয়ের ফলস্বরূপ ১৭৬৩ সালে উত্তর আমেরিকায় তাদের সব উপনিবেশ ইংরেজদের কাছে ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে, ১৮৪১ সাল পর্যন্ত, এটি যথাক্রমে "উচ্চ কানাডা" এবং &qu

তানজানিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জাঞ্জিবার

ছবি
Malindi Mosque মো.আবু রায়হানঃভারত মহাসাগরের তীরে অবস্থিত পূর্ব আফ্রিকার একটি প্রজাতন্ত্র তানজানিয়া ।১৯৬৪ সালে তাঙ্গানিকা ও জাঞ্জিবার দেশ দুইটির একটি মিলিত ফেডারেশন হিসেবে তানজানিয়া প্রতিষ্ঠা করা হয়। তাঙ্গানিকার তান এবং জাঞ্জিবারের জান শব্দাংশ দুইটি থেকে দেশটির নাম তানজানিয়া রাখা হয়েছে।তানজানিয়ার উত্তরে কেনিয়া ও উগান্ডা, পূর্বে ভারত মহাসাগর, দক্ষিণে মোজাম্বিক, মালাউই ও জাম্বিয়া এবং পশ্চিমে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, বুরুন্ডি ও রুয়ান্ডা। ভারত মহাসাগরের জাঞ্জিবার ও পেম্বা দ্বীপ এবং আরও কিছু ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশটির সীমান্তের অন্তর্ভুক্ত। তানজানিয়ার মোট আয়তন ৯৪৫,১০০ বর্গকিলোমিটার।তানজানিয়া আফ্রিকার ১৩ তম বৃহত্তম দেশ এবং পৃথিবীর ৩১ তম বৃহত্তম। ২০১৪ সালের হিসেব অনুযায়ী, জনসংখ্যার ৬১.৪ শতাংশ খ্রিস্টান, ৩৫.২ শতাংশ মুসলমান, ১.৮ শতাংশ ঐতিহ্যগত আফ্রিকান ধর্ম পালন করে, ১.৪ শতাংশ কোন ধর্মের সাথে বিচ্ছিন্ন এবং ০.২ অন্যান্য ধর্মের অনুসারী। জাঞ্জিবার, সমস্ত মুসলমানের প্রায় ৯০% সুন্নি এবং সাধারণত শাফী মাজহাব অনুসরণ করে।তানজানিয়ার বেশিরভাগ মুসলিমের জাঞ্জিবারে বসবাস । জাঞ্জিবার ভার

অস্ট্রেলিয়ায় ইসলাম ও মুসলমান

ছবি
মো.আবু রায়হানঃঅস্ট্রেলিয়া একটি দ্বীপ-মহাদেশ।এটি এশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বে ওশেনিয়া অঞ্চলে অবস্থিত। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের ক্ষুদ্রতম মহাদেশ, কিন্তু ৬ষ্ঠ বৃহত্তম দেশ। কাছের তাসমানিয়া দ্বীপ নিয়ে এটি কমনওয়েল্‌থ অফ অস্ট্রেলিয়া গঠন করেছে। দেশটির উত্তরে তিমুর সাগর, আরাফুরা সাগর, ও টরেস প্রণালী, পূর্বে প্রবাল সাগর এবং তাসমান সাগর; দক্ষিণে ব্যাস প্রণালী ও ভারত মহাসাগর; পশ্চিমে ভারত মহাসাগর। অস্ট্রেলিয়া ৬টি অঙ্গরাজ্য নিয়ে গঠিত - নিউ সাউথ ওয়েল্স, কুইন্সল্যান্ড, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া, তাসমানিয়া, ভিক্টোরিয়া, ও পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া। এছাড়াও আছে দুইটি টেরিটরি — অস্ট্রেলীয় রাজধানী টেরিটরি এবং উত্তর টেরিটরি। বহিঃস্থ নির্ভরশীল অঞ্চলের মধ্যে আছে অ্যাশমোর ও কার্টিয়ার দ্বীপপুঞ্জ, অস্ট্রেলীয় অ্যান্টার্কটিকা, ক্রিসমাস দ্বীপ, কোকোস দ্বীপপুঞ্জ, কোরাল সি দ্বীপপুঞ্জ, হার্ড দ্বীপ ও ম্যাকডনাল্ড দ্বীপপুঞ্জ, এবং নরফোক দ্বীপ। সিডনী বৃহত্তম শহর। দুইটি শহরই দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত। অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরা। সিডনী বৃহত্তম শহর। দুইটি শহরই দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত। ১৭শ শতাব্দীর আগ পর্যন্

সূর্যোদয়ের দেশ জাপানে ইসলামের আগমন

ছবি
  ১৯৬৬ খৃস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত ইন্টারন্যাশানাল ইসলামিক সেন্টার #মো.আবু রায়হান সূর্যোদয়ের দেশ জাপান হল পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। এই দেশটি প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে জাপান সাগর, পূর্ব চীন সাগর, চীন, উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও রাশিয়ার পূর্ব দিকে উত্তরে ওখোৎস্ক সাগর থেকে দক্ষিণ পূর্ব চীন সাগর ও তাইওয়ান পর্যন্ত প্রসারিত।ছয় হাজার ৮৫২টি দ্বীপের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে এই দেশ।।জাপানের বৃহত্তম চারটি দ্বীপ হল হোনশু, হোক্কাইডো, কিংশু ও শিকোকু। এই চারটি দ্বীপ জাপানের মোট ভূখণ্ডের ৯৭% এলাকা নিয়ে গঠিত।জাপান জাতিসংঘ, জি-৭, জি৮ ও জি২০ গোষ্ঠীগুলির সদস্য।জাপান বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিপর্যয়ের পরও বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে দারুণ অগ্রগতি অর্জন করে দেশটি এবং ক্রয়ক্ষমতার সাম্য অনুযায়ী ৪র্থ-বৃহত্তম অর্থনীতি। জাপান বিশ্বের ৫ম-বৃহত্তম রফতানিকারক এবং ৫ম বৃহত্তম আমদানিকারক রাষ্ট্র। সরকারিভাবে জাপান যুদ্ধ ঘোষণা অধিকার বর্জন করলেও এই দেশটি একটি আধুনিক সামরিক বাহিনী রেখেছে।এদেশের সামরিক বাজেট বিশ্বের ৮ম বৃহত্তম সামরিক বাজেট। অবশ্য জাপানের সামরিক বাহিনীর কাজ হল আত্মরক্ষা ও শান্

দক্ষিণ কোরিয়ায় মুসলমানদের আগমন ও বিকাশ

ছবি
সিউল সেন্ট্রাল মসজিদ দক্ষিণ কোরিয়া উত্তর-পূর্ব এশিয়ার একটি দেশ যা কোরীয় উপদ্বীপের দক্ষিণ অংশটি নিয়ে গঠিত। এর সরকারি নাম কোরীয় প্রজাতন্ত্র । দক্ষিণ কোরিয়ার উত্তরে উত্তর কোরিয়া, পূর্বে জাপান সাগর, দক্ষিণে ও দক্ষিণ-পূর্বে কোরিয়া প্রণালী, যা জাপান থেকে দেশটিকে পৃথক করেছে, এবং পশ্চিমে পীত সাগর।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে কোরীয় উপদ্বীপের উত্তর অংশটি সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনারা এবং দক্ষিণ অংশটি মার্কিন সেনারা দখলে রেখেছিল। ১৯৪৮ সালে এ থেকে উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া রাষ্ট্রদ্বয়ের আবির্ভাব হয়।অবিভক্ত কোরিয়া মূলত জাপানিদের দখলে ছিল। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হেরে যাওয়ার সময় জাপানিরা সমাজতান্ত্রিক দেশ সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছে আত্মসমর্পণ করে। ফলে অবিভক্ত কোরিয়া দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়। তখন উত্তর কোরিয়া ১৯৫০ সালে সমাজতান্ত্রিক দেশ সোভিয়েত ইউনিয়নের মতাদর্শে সমাজতান্ত্রিক ব্লকে চলে যায়। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের মতাদর্শে পুঁজিবাদী ব্লকে যোগ দেয়। তখন থেকে কোরিয়া দুটি ভিন্ন নাম—উত্তর ও দক্ষিণ তথা দুটি ভিন্ন অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় চলতে শুরু করে।১৯৫০-১৯৫৩ সালে কোরীয় যুদ্ধের পরে ধ্বংসপ্রায়

বাল্টিক রাষ্ট্রে ইসলাম ও মুসলমান

ছবি
মো আবু রায়হানঃ বাল্টিক রাষ্ট্র বলতে উত্তর ইউরোপে বাল্টিক সাগরের তীরে অবস্থিত রাষ্ট্রসমূহকে বুঝায়।তবে ফিনল্যান্ড থেকে পোল্যান্ডের মাঝের তিনটি দেশ এস্তোনিয়া, লাটভিয়া ও লিথুয়ানিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে বাল্টিক প্রজাতন্ত্র বলে স্বীকৃত।শব্দটি সাংস্কৃতিক অঞ্চল, জাতীয় পরিচয় বা ভাষার প্রেক্ষাপটে ব্যবহৃত হয় না, কারণ লাটভিয়া এবং লিথুয়ানিয়ায় বেশিরভাগ লোক বাল্টিক মানুষ হলেও এস্তোনিয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠ ফিনিশ। তিনটি দেশ একটি সরকারী ইউনিয়ন গঠন করে না, তবে আন্তঃসরকার এবং সংসদীয় সহযোগিতায় জড়িত। তিন দেশের মধ্যে সহযোগিতার সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হল প্রতিরক্ষা, জ্বালানি এবং পরিবহন।তিনটি দেশই ন্যাটো, ইউরো জোন, ওইসিডি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য।২০২০-২০২১ সালে এস্তোনিয়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের একটি স্থায়ী সদস্য হয়। তিনটিই বিশ্বব্যাংক উচ্চ-আয়ের অর্থনীতি হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ এবং একটি খুব উচ্চ মানব উন্নয়ন সূচক বজায় রাখে। জনসংখ্যা ৬.১৩৫ মিলিয়ন। লাটভিয়া উত্তর-পূর্ব ইউরোপে বাল্টিক সাগরের পূর্ব তীরে লিথুয়ানিয়া ও এস্তোনিয়ার মধ্যস্থলে অবস্থিত রাষ্ট্র।১৩শ শতক থেকে লাটভিয়া ক্রমান্বয়ে জার্মানি,

স্ক্যান্ডিনেভিয়ান অঞ্চলে ইসলাম ও মুসলমান

ছবি
  মো.আবু রায়হানঃস্ক্যান্ডিনেভিয়া উত্তর ইউরোপের তিনটি দেশ তথা - নরওয়ে, সুইডেন ও ডেনমার্কের জন্য দেয়া নাম। এদের মধ্যে নরওয়ে ও সুইডেন স্ক্যান্ডিনেভীয় উপদ্বীপ গঠন করেছে। দেশ তিনটি ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত দিক থেকে পরস্পরের সাথে সম্পর্কিত। অনেক সময় আইসল্যান্ড , ফারো দ্বীপপুঞ্জ, ডেনমার্কর অধীন গ্রীণল্যান্ডকেও স্ক্যান্ডিনেভিয়ার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কখনো কখনো ফিনল্যান্ডকেও স্ক্যান্ডিনেভিয়ার অংশ মনে করা হয়, যদিও বাকী দেশগুলির সাথে ফিনল্যান্ডের কোন ভাষাগত সাদৃশ্য নেই। অধুনা উত্তর ইউরোপের পাঁচটি দেশ নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড ও আইসল্যান্ডের জন্য নর্ডীয় রাষ্ট্রসমূহ পরিভাষাটি বেশি ব্যবহৃত হয়। দেশগুলি ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে পরস্পর একতাবদ্ধ।স্ক্যান্ডিনেভিয়ার আয়তন ৩,৪২৫,৮০৪ বর্গকিলোমিটার। ২০১৭ সালের অনুমানের ভিত্তিতে, স্ক্যান্ডিনেভিয়ায় প্রায় ২১ মিলিয়ন মানুষ রয়েছে। এই অঞ্চলের জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গমাইলে ৬০ জনেরও কম। নিশীথ সূর্যের দেশ হিসেবে পরিচিত নরওয়ে, যেখানে মধ্যরাতেও সূর্যের দেখা মেলে। প্রতিবছর গ্রীষ্মকালে পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধের দেশ নরওয়ের কিছু অঞ্চলে দুই