পোস্টগুলি

শক্তির উৎস কোথায় ?

মো. আবু রায়হানঃরেজাল্ট  খারাপে মন খারাপ করো না।  হয়তো ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখতে। রেজাল্ট কাঙ্ক্ষিত হয়নি। প্রথম ধাপে হোচট খেয়েছ মনে হতে পারে।সময় ও সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি। জীবনের বাঁকে পরিবর্তন আসতে সময় লাগে না। তোমার সদিচ্ছা ও পরিশ্রম তোমাকে স্বপ্নের চেয়ে বড় কিছু এনে দিতে পারে। তুমি বাংলাদেশের ছেলে গুগল ইঞ্জিনিয়ার জাহিদ সবুরের সফল হবার কাহিনী হয়তো শুনেছো। প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলের প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার (ডিরেক্টর) পদে পদোন্নতি পেয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ জাহিদ সবুর। বিশ্বসেরা ইঞ্জিনিয়ারদের অন্যতম জাহিদ পড়াশোনা করেছেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে (এআইইউবি)। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না পেয়ে বাধ্য হয়ে ভর্তি হন সেখানে।কারণ তার রেজাল্ট খুব ভালো ছিল না। সেখানে ভর্তি হওয়ার পর তাকে অনেক কটূ কথা শুনতে হয়েছে। মুদি দোকানে পড়াশোনা করছেন তিনি এমন কটূক্তিও হজম করতে হয়েছে। শুরুতে তার প্রযুক্তি সম্পর্কে তেমন একটা জ্ঞান ছিল না। তবে স্কুলে থাকতে বিজ্ঞান মেলায় বরাবরই সেরাদের তালিকায় থাকতেন জাহিদ।সারাবিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিনটিতে এখন ফুলটাইম কর্মী আছেন লাখ খান

রোজার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

ছবি
#মো. আবু রায়হান রোজা ফারসি শব্দ আরবিতে সাওম। সাওমের বহু বচন সিয়াম। অর্থ বিরত থাকা,বিলাস ব্যাসন পরিহার করে সুবহ সাদিক হতে সূর্য অস্ত পর্যন্ত যাবতীয় যৌন কর্ম ও পানাহার হতে বিরত থাকাকে সাওম বলে।রোজা ইসলামের তৃতীয় স্তম্ভ। সুস্থ সবল মুসলিমের রোজা পালন করা ফরজ। রোজা শুধু উম্মতে মুহাম্মাদীর ওপর ফরজ করা হয়নি যুগে যুগে বিভিন্ন নবী রাসুল ও তাদের উম্মতের ওপর সাওম ফরজ ছিল। যেমন এ সম্পর্কে মহান আল্লাহতায়ালা পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেন, হে ইমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। যাতে তোমরা খোদাভীরু হতে পারো। (সূরা বাকারা, আয়াত-১৮৩)।এ আয়াতের ব্যাখ্যায় শায়খুল হিন্দ মাওলানা মাহমুদুল হাসান (রঃ) বলেছেনঃ রোযার হুকুম হযরত আদম (আঃ) এর যুগ হতে বর্তমান কাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে চলে এসেছে। ( ফাওয়াইদে উসমানী)। উক্ত আয়তের ব্যখ্যায় আল্লামা আলূসী (র.) স্বীয় তাফসীর গ্রন্থ ‘রুহুল মাআনী’ তে উল্লেখ করেছেন যে এখানে ‘মিন ক্বাবলিকুম’ দ্বারা হযরত আদম (আঃ) হতে শুরু করে হযরত ঈসা (আঃ) এর যুগ পর্যন্ত সকল যুগের মানুষকে বুঝানো হয়েছে । এতে এ কথা প্র

ভ্রূণ হত্যা ইসলামে নিষিদ্ধ ও বর্তমানে প্রচলিত আইন

ছবি
মো আবু রায়হানঃ বাংলাদেশের বর্তমানে ভ্রণ হত্যা বা গর্ভপাত আশংকা জনকভাবে বেড়ে গেছে। যদিও ভ্রূণ হত্যা বাংলাদেশের আইনে নিষিদ্ধ তারপরও গোপনে বিভিন্ন হসপিটাল ও ক্লিনিকে গর্ভপাত করানো হয়। যা নৈতিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিতে বেমানান ও অগ্রহণযোগ্য। আজকের আলোচনা ভ্রণ হত্যা নিয়ে ইসলাম ও বাংলাদেশের আইন কি বলে তা নিয়ে আলোচনা। সাধারণত কোনো স্ত্রীর গর্ভের ভ্রুণ নষ্ট করাকে গর্ভপাত বলে। গর্ভধারণের পর প্রথম আট সপ্তাহের মধ্যে একটি ভ্রূণ সন্তান হিসেব রূপলাভ করতে থাকে,প্রথম অবস্থায় এটি মাংস পিন্ড হিসেবে নারীর দেহের একটি অরগান হিসেবে থাকে। ধীরে ধীরে তা বিকাশ লাভ করে ও প্রাণ সঞ্চারিত হয়।  আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, ভ্রুণের বয়স যখন হয় তেতাল্লিশ দিনের কম, তখন ভ্রুণ একটি রক্তপিণ্ড হিসেবে মায়ের গর্ভে অবস্থান করে। এ সময় পর্যন্ত তার কোনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গ প্রকাশ পায় না।আধুনিক যুগে ভ্রুণ হত্যা জাহেলি যুগে কন্যা সন্তানকে জীবন্ত সমাধিস্থ করার মতোই। তখন বাবা নিজ মেয়েকে গর্তে পুঁতে ফেলত আর এখন আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে মায়ের পেটেই শিশুকে মেরে ফেলা হচ্ছে। বর্তমান সমাজ তথা রাষ্ট্রে নীতি নৈতিকতার অবক্ষয়ে বিভিন্ন প্রকারের সাম

নির্যাতিত চিনের উইঘুর মুসলিমরা। নিশ্চুপ কেন মুসলিম বিশ্ব?

মিয়ানমার সরকার যখন হাজার হাজার সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাকে হত্যা করে এবং সাত লাখ রোহিঙ্গাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করে, মুসলিম বিশ্ব চুপ ছিল না। প্রতিবাদের ঝড় তুলেছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন যখন তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর করে তখনও তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিল তারা। কিন্তু চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশে ইসলামকে দমন করার যে নারকীয় চেষ্টা, সে বিষয়ে তারা সবসময়ই নীরব। কেন? উইঘুর মুসলমানদের বাস জিনজিয়াং অঞ্চলে। চীনের বৃহত্তম এ প্রদেশটিতে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ। চীনের মোট আয়তনের এক ষষ্ঠাংশজুড়ে জিনজিয়াং। যার আয়তন বাংলাদেশের আয়তনের ১২ গুণ!এর আয়তন পূর্ব ইউরোপের দেশ জার্মান, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও স্পেনের সমন্বিত আয়তনের প্রায় সমান। এমনকি এটি স্বাধীন দেশ হলে ভৌগোলিক আয়তনের দিক থেকে পৃথিবীর ১৬তম বৃহত্তম দেশ হতো।র আয়তন ১৬ লাখ ৪৬ হাজার ৮০০ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ১ কোটি ৭০ লাখ। মোট জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশই মুসলিম। ১৯৪৯ সারে চীনে কমিউনিজম প্রতিষ্ঠার পর থেকে জিনজিয়াং অঞ্চলে মুসলমানদের ওপর জুলুম-নির্যাতন শুরু হয়। মধ্য এশিয়ায় বসবাসরত তুর্কি বংশোদ্ভূত একটি জাতিগোষ্ঠী।উইঘুররা এই অঞ্চলের সর

এ শহরে অস্বাভাবিক মৃত্যু আতঙ্কে থাকি

এ শহরের আকাশ ছোঁয়া নড়বড়ে বিল্ডিং হেলে দুলে মাথায় পড়ে। নির্মাণাধীন দালানের ইট, রড মাথায় ধপাস করে পড়ে। রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার মৃদু ভূকম্পনের ঝাঁকুনিতে দালানে চাপা পড়ে মরার আশংকায় থাকি। রুমের ফ্যান হঠাৎ  খসে মাথায় পড়ে মাথা থেঁতলে যাবার অজানা ভয়ে থাকি। এ শহরে আকস্মিকভাবে বিল্ডিং ধসে মানুষ চাপা পড়ে। জেব্রা ক্রসিংয়ে রাস্তা পারাপারের সময় দানব আকৃতির কোনো বাহনের চাকায় পিষ্ট হয়ে মরতে হয়। যে বাহনে লেখা থাকে আবার দেখা হবে। নিহত হলে বালাই নেই। কিন্তু আহত হলে আরেকবার পিষিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আতঙ্কে থাকি যদি বাসায় গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ওপারে যেতে হয়। এ যাত্রা যদি হয় বড্ড  অসময়ে প্রস্তুতি ছাড়া। হঠাৎ শর্টসার্কিট থেকে আগুনের লেলিহান শিখা এসে জড়িয়ে ধরে মুখ চেপে শেষ নিঃশ্বাস কেড়ে নেয়। ঝলসে দেয় এই রুপের প্রসাধনী মাখা শরীর। বড় আতঙ্কে থাকি। মৃত্যু কখন আসে বলা যায় না। যেভাবে মৃত্যু লেখা আছে সেভাবেই  হবে। তবে এসব মৃত্যু যে বড় অসহনীয় বড়ই কষ্টের। যদি জানতাম মালাকুল মাউতের ফিরিশতা আসার প্রহর। তাহলে আগেভাগেই কিছু আমল আখলাক করে হাত পা ছেড়ে বসে থাকতাম। সেই সম্মানিত ফিরিশতার জন্য।  গুছিয়ে রাখতাম মাল স

বিপথে মুসলিম বিপন্ন ইসলাম

আজ মুসলিমবিশ্ব ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। চারিদিকে ঘোর অমানিশা অনিশ্চয়তার দোলাচালে ঘুরপাক খাচ্ছে। বিবাদ বিসম্বাদ হানাহানি কোলাহল পারস্পরিক অবিশ্বাসের কারণে,   আজ পরস্পরে সংঘাত সংঘর্ষের যাঁতাকলে পিষ্ট। জিহাদের নামে অদৃশ্য আলো আঁধারি খেলায় নিজেদের জান্নাতী করতে গিয়ে মুসলিম বিশ্বকে করেছে ক্ষত বিক্ষত এবং নরকের টুকরো। মরীচিকার পেছনে ধাঁওয়া করতে গিয়ে দেশি বিদেশী বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের ফাঁদে পা দিয়ে নিজেরা আত্মাঘাতী ও ভাতৃঘাতী বিবাদে লিপ্ত। ইহুদি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট হয়ে মুসলিমদের ঐক্যে ফাটল ধরানোর উদ্দেশে এই অশুভ ষড়যন্ত্র। অন্যায়ভাবে মানুষ মেরে তারা ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এটা কোন ধরনের  ইসলাম? এটা তো মদীনার ইসলাম নয়। যে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে রাসুল ( স.) সারা জীবন মেহনত করলেন নিজের জীবন দ্বীন ইসলাম প্রতিষ্ঠার  জন্য উৎসর্গ করলেন, সেই ইসলাম ও জিহাদ এটা  নয় বরং এটি হচ্ছে সুস্পষ্ট ইসলামের বিধি লংঘন ও সন্ত্রাসী ক্রিয়া। ইসলাম বিরোধীদের চরিত্র। ইসলাম বলে অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা গোটা পৃথিবীর মানুষকে হত্যা করা। কাউকে বাঁচানো পৃথিবীর সব মানুষকে বাঁচানো। কিন্তু আমরা কি

বিতর্কিত ওয়াজ

আজকাল কিছু বক্তার ওয়াজ ইউটিউবে দেখে মনে খটকা লাগে। একই সঙে তাদের বয়ানের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠে। ইসলামের মৌলিক বিষয় নিয়ে কোনো মতবিরোধ নেই কিন্তু কিছু  বিষয় যা আলোচনা না করলেও চলে এমন বিষয়ের অবতারণা করে ইসলামকে বিতর্কিত ও সাধারণ মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে এসব বক্তব্যে। যেমন #নবীজি নুরের না মাটির তৈরি, #নবীজি ঈমানদার ও মুসলমান ছিলেন না, #কথায় কথায় মানুষকে কাফির ফতোয়া, #নবীজি জীবিত না মৃত #কিয়াম করা যাবে কি, যাবে না ইত্যাদি বিষয়ের অবতরণা।   এসব বিষয়ে কিছু যুক্তিহীন মনগড়া, হাদিস কুরআনের সঠিক দলীল পেশ না করে বয়ান দিয়ে উত্তপ্ত পরিবেশের তৈরি করা হচ্ছে। সেই সঙে ইসলাম যে মানবিক ঐক্যের এক পূর্ণাঙ্গ  জীবনব্যবস্থা সেই সৌন্দর্য্যের ধর্মকে বিতর্কিত করা হচ্ছে।অথচ আল্লাহ তায়ালা বলেন - তোমাদের মধ্য থেকে এমন একদল লোক বেরিয়ে আসুক যারা ভালো সব কিছুর প্রতি আহ্বান জানাবে, সৎ কাজের দেবে নির্দেশ এবং নিষেধ করবে মন্দ কাজে; তারাই হবে সফলকাম। ওদের মতো হয়ো না যারা নিজেরাই বিভক্ত এবং সুস্পষ্ট নিদর্শন লাভের পরও এ নিয়ে বিরোধিতায় লিপ্ত হয় : তাদের জন্য রয়েছে ভয়াবহ শাস্তি।           

দানের ফজিলত ও একটি ঘটনা

ছবি
মো. আবু রায়হানঃ  ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় সাদকা বা দান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।দান করা অতি মহৎ কাজ। ধনী গরীব ব্যবধান দূরীভূত করে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা কায়েমে দানের রয়েছে অপরিসীম গুরুত্ব। দান করতে বিশাল অর্থ বিত্তের মালিক হতে হয় না। অল্প পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেও দান করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট।দানের জন্য বিত্তের চেয়ে চিত্তের ঐকান্তিক ইচ্ছা ও উদারতা বেশি প্রয়োজন। অনেকের ধারণা দান করলে সম্পদ কমে যায় এটি একটি ভুল ধারণা বরং সম্পদ বৃদ্ধি ও বরকত প্রাপ্ত হয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “সাদকা করলে কোন মানুষের সম্পদ কমে না।” (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ)। দানের ফলে বিপদ আপদ দূর হয়।মানুষের কল্যাণে নিজের অর্থ-সম্পদ ব্যয় বা প্রদান করাকে দান বলা হয়।Cambridge Dictionary তে দানের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে,"money or goods that are given to help a person or organization. হযরত  আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেন, সদকা সম্পদ হ্রাস করে না। কাউকে ক্ষমা করলে এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা বান্দার ইজ্জত বৃদ্ধিই করে থাকেন। এবং যে কেউ আল্লাহর জন্য বিনম্র হয়, আল্লাহ তার মর্যদা বাড়িয়েই দেন।  (সহিহ