পোস্টগুলি

একজন সমাজসেবক ও ধর্ম প্রচারক ইবিট লিও

ছবি
  একজন সমাজসেবক ও ধর্ম প্রচারক সৎ, ন্যায়-নীতিবান, উদার সমাজ সংস্কারক মালয়েশিয়ায় সর্বপরিচিত। দেশটির সুশীল সমাজ, তরুণ-নবীন, যুব-প্রবীণ সমাজে রয়েছে তার যথেষ্ট সুনাম। তিনি হলেন ইবিট লিও। তিনি একজন মালয়েশিয়ান চাইনিজ মুসলিম। তিনি মালয়েশিয়ার ইসলামি উদ্যোক্তা এবং ধর্ম প্রচারক হিসেবে সব মহলে এবিট লিও নামে পরিচিত। তার পুরো নাম-ইবিট ইরাওয়ান বিন ইব্রাহিম লিও। ১৯৮৪ সালের ২১ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ার পাহাং রাজ্যে তিনি জন্মগ্রহণ করেছেন। তার পিতার নাম মুয়াডজম শাহে লিউ ইউ পাউ। ১১ জন ভাই-বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। দ্বীনকে অনুসরণ করে ১২ বছর বয়সে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। তিনি স্কুল (সেকোলাহ) কেবাংসান বুকিত রিদান, সেকোলাহ মেননগাহ কেবাংসান মুয়াডজম শাহ, পাহাং সেকোলাহ মেননগাহ টেকনিক জহুর বারু, এবং সেকোলা মেননগাহ কেবাংসান আবদুল রহমান তালিব, পাহাং থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন এবং ইউনিভার্সিটি পুত্রা মালয়েশিয়া থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। মালয়েশিয়ার সাধারণ মানুষের কাছে ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ ওস্তাদ ইবিট লিও। নিজের কাজের মাধ্যমে ইবিট লিও ইতিমধ্যে জনগণের কাছে একজন মানবিক মানুষ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। যেকোনো বিপদে-...

আছে বিশ্ব ভরা লক্ষ লক্ষ কুরআনের হাফেজ

করবে কেমন করে কুরআন ধ্বংস আগুনেরও তেজ আছে বিশ্ব ভরা লক্ষ লক্ষ কুরআনের হাফেজ। আল্লাহ তায়ালা বলেন, নিশ্চয় আমিই কুরআন নাযিল করেছি আর অবশ্যই আমি তার সংরক্ষক।( সুরা হিজর আয়াত ৯) প্রতি যুগেই লাখো লাখো বরং কোটি কোটি মুসলিম যুবক-বৃদ্ধ এবং বালক ও বালিকা এমন বিদ্যমান থাকা, যাদের বক্ষ-পাজরে আগাগোড়া কুরআন সংরক্ষিত রয়েছে। কোন বড় থেকে বড় আলেমের সাধ্য নেই যে, এক অক্ষর ভুল পাঠ করে। তৎক্ষনাৎ বালক-বৃদ্ধ নির্বিশেষে অনেক লোক তার ভুল ধরে ফেলবে। প্রায় ১৪ শত বছর আগের তুলির সাহায্যে লেখা আর বর্তমান কম্পিউটার যুগের কোরআনের মধ্যে বিন্দুমাত্র ফারাক নেই। এমন উদাহরণ আর কী আছে? নিশ্চয়ই নেই।এর কারণ হচ্ছে, কোরআন সর্বশেষ আসমানি কিতাব। এর সংরক্ষক আল্লাহতায়ালা স্বয়ং। পবিত্র কোরআনের মতো এমন অলৌকিক নজির আর কোথাও খুঁজে পাওয়া মুশকিল। হাফেজ বলতে বুঝানো হয়, যার সমস্ত কোরআন মুখস্থ আছে। সারাবিশ্বে হাফেজে কোরআনদের বেশ সম্মানের চোখে দেখা হয়, সম্মান করা হয়। কোরআন ব্যাতীত পৃথিবীতে আর কোনো বই কী আছে, যার শুরু থেকে শেষ অবধি কেউ মুখস্থ করেছেন? মনে হয় নেই, কারণ তা সম্ভব নয়। কিন্তু বিশ্বে পবিত্র কোরআনের সাড়ে ৬ কোটিরও বেশি সংখ্যক হা...

শেষ মুঘল সম্রাট

মনে আছে অখন্ড ভারতে মুঘল শাসনের কথা! ১৫২৬ সালে পানি পথের প্রথম যুদ্ধে জয়ী হয়ে সম্রাট বাবর যে সাম্রাজ্যের সূচনা করেছিলেন। যা স্থায়ী হয়েছিল কয়েক'শ বছর। ফতেহপুর সিক্রি, লালকেল্লা, আগ্রা দুর্গ ও লাহোর দুর্গ। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তানের অনেক অঞ্চল যেমন আগ্রা, আওরঙ্গবাদ, দিল্লি, ঢাকা, ফতেহপুর সিক্রি, জয়পুর, লাহোর, কাবুল, শেখপুরে মুঘল স্থাপত্যের নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে।৩.২ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটারের বেশি অঞ্চল মুঘল সাম্রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। এসময় সাম্রাজ্যের জনসংখ্যা ছিল ১৫০ মিলিয়নের বেশি যা তৎকালীন পৃথিবীর জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ এবং জিডিপি ছিল ৯০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। এই রাজবংশের ১৯তম এবং শেষ সম্রাট ছিলেন মির্জা আবু জাফর সিরাজ-উদ-দীন মুহাম্মদ (২৪ অক্টোবর ১৭৭৫–৭ নভেম্বর ১৮৬২)। যিনি দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ জাফর নামে পরিচিত। তিনি ছিলেন মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় আকবরের ২য় সন্তান। ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের সমর্থনে দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ একটি ফরমান জারি করেছিলেন। সিপাহী বিদ্রোহ ব্যর্থ হলে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তার বিরুদ্ধে রাজদ্রোহীতার অভিযোগ এনে কারাবন্দী করেছিল। শেষে তি...

মুসলমানদের স্বর্ণালী অতীত

  ঘটনা -১ কলকাতার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে সোমবার কালীপুজো ছিল। আর সেই উপলক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী বাড়ির পুজোয় গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত রাজ্যপাল লা গণেশন। সেই সময় রাজ্যপালকে নিজের বাড়ি ঘুরিয়ে দেখান মুখ্যমন্ত্রী। নিজে যে ঘরে থাকেন, সেই ঘরটিও দেখাতে নিয়ে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মুখ্যমন্ত্রীর থাকার ঘর দেখে খানিক অবাক রাজ্যপাল লা গণেশন। এত ছোট্ট ঘর! কীভাবে থাকেন? এমন প্রশ্নও বেরিয়ে আসে তাঁর মুখ থেকে। সোমবার সন্ধে সাতটা নাগাদ কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে এসে পৌঁছান রাজ্যপাল লা গণেশন। রাজ্যপালকে নিয়ে নিজের বাড়ি ঘুরিয়ে দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় ৩৫ মিনিট কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ছিলেন লা গণেশন। এর আগে কখনও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে আসা হয়ে ওঠেনি রাজ্যপাল লা গণেশনের। মমতার বাড়ির কালীপুজো উপলক্ষ্যেই গতকাল প্রথমবার কালীঘাটের বাড়িতে আসেন তিনি। সেখান বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান পশ্চিমবঙ্গের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্যপাল লা গণেশন। তাঁকে নিজের বাড়ি ঘুরে দেখান মমতা। আর তা দেখেই তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন রাজ্যপ...

নবীজির জীবদ্দশায় শেষ অভিযান

  নবম হিজরি, ৬৩০ খ্রিস্টাব্দে তাবুক যুদ্ধ সংঘটিত হয়। তাবুক মদিনা ও দামেস্কের (সিরিয়া) মধ্যবর্তী একটি স্থানের নাম। মদিনা থেকে এটি ৬৯০ কিলোমিটার দূরে এবং সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক থেকে ৬৯২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই যুদ্ধ ছিল ইসলামের বিরুদ্ধে আরবের কাফের ও মুনাফিকদের শেষ চেষ্টা। রোমানদের দ্বারা হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর দূত হারেস বিন উমায়ের (রা.)-কে হত্যার মধ্য দিয়ে এই যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। এ যুদ্ধে নবী করিম (সা.) ৩০ হাজার যোদ্ধা সাহাবির এক বাহিনী নিয়ে তাবুক অভিমুখে রওনা হন। এটাই ছিল নবী করিম (সা.)-এর জীবনের সবচেয়ে বড় ও শেষ সেনা অভিযান। আল্লাহ তাআলা এ যুদ্ধের প্রক্কালে কুরআনে উল্লেখ করেন, ‘যদি তোমরা অভিযানে বের না হও, তবে আল্লাহ তোমাদের কঠিন শাস্তি দেবেন এবং তোমাদের স্থলে অন্য কোনো জাতিকে নিয়ে আসবেন। আর তোমরা কিন্তু তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহ সব বিষয়ে সর্বশক্তিমান। (সুরা তাওবা, আয়াত ৩৯) নবী করিম (সা.) মক্কা বিজয় ও হুনায়েনের যুদ্ধ শেষে যখন মদিনায় ফিরে এলেন, এর কিছুদিন পর শাম (সিরিয়া) থেকে ফিরে আসা কতিপয় বণিক দলের কাছ থেকে খবর পেলেন, রোম সম্রাট হিরাক্লিয়াস মদিনা আক্রমণ করার জন...

ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে কে এই অ্যান্ড্রু টেট?

ছবি
এমরি অ্যান্ড্রু টেট তৃতীয় হলেন একজন বিখ্যাত আমেরিকান-ব্রিটিশ অনলাইন ব্যক্তিত্ব এবং প্রাক্তন পেশাদার কিকবক্সার।টেট ১৯৮৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে জন্মগ্রহণ করেন এবং ইংল্যান্ডের লুটনে বেড়ে ওঠেন।তার আফ্রিকান-আমেরিকান বাবা এমরি টেট ছিলেন একজন আন্তর্জাতিক দাবাড়ু। তার মা ক্যাটারিং তার সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। ২০০৫ সালে টেট বক্সিং এবং মার্শাল আর্ট অনুশীলন শুরু করেন। ২০০৮ সালের নভেম্বরে ইন্টারন্যাশনাল স্পোর্ট কিকবক্সিং অ্যাসোসিয়েশন (ISKA) কর্তৃক টেটকে ব্রিটেনের সপ্তম সেরা লাইট-হেভিওয়েট কিকবক্সার হিসেবে স্থান দেওয়া হয়।২০০৯ সালে তিনি ইংল্যান্ডের ডার্বিতে ব্রিটিশ ISKA ফুল কন্টাক্ট ক্রুজারওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিলেন এবং ইউরোপে নিজ বিভাগে এক নম্বরে ছিলেন। তিনি তার ১৯টি লড়াইয়ের মধ্যে ১৭টি জিতেছিলেন এবং তিনি বলেছিলেন যে, এটি তার প্রথম বেল্ট ও শিরোপা।২০১১ সালে টেট নকআউটের মাধ্যমে জিন লুক বেনয়টের বিরুদ্ধে তার প্রথম আইএসকেএ বিশ্ব শিরোপা জিতেছিলেন। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে টেট এনফিউশন চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্টে ফ্রান্সি গ্রাজের কাছে হেরে যান। তবে পরাজয়ের আগে নকআউটের মাধ্যমে ১৮ টি লড়া...

কোরআনে মাস ও বছর

কোরআন শরিফে ‘মাস’ শব্দটা এসেছে ১২ বার, দিবস শব্দ এসেছে ৩৬৫ বার। সৌর সনের হিসাবে মোটামুটি ৩৬৫ দিনে বছর হয় । কিন্তু উভয় বর্ষ গণনায় মাস হচ্ছে ১২টি। কুরআন মজীদে চান্দ্র সন ও সৌর সনের গুরুত্ব তুলে ধরে ইরশাদ হয়েছে : তিনিই (আল্লাহ) সূর্যকে তেজস্কর ও চন্দ্রকে জ্যোতির্ময় করেছেন এবং ওর মঞ্জিল নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন, যাতে তোমরা বছরের গণনা ও সময়ের হিসাব জানতে পার। আল্লাহ্ এটা অনর্থক সৃষ্টি করেননি। জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য তিনি এ সমস্ত নিদর্শন বিশদভাবে বিবৃত করেন। (সূরা ইউনুস : আয়াত ৫)।