পোস্টগুলি

মসজিদে শিশুদের কাতার

বুঝ হয়েছে, এমন নাবালেগ শিশুদের ব্যাপারে বিধান হলো, যদি শিশু একজন হয়, তাহলে তাকে বড়দের কাতারেই সমানভাবে দাঁড় করাবে। এ ক্ষেত্রে বড়দের নামাজের কোনো অসুবিধা হবে না। একাধিক শিশু হলে সাবালকদের পেছনে পৃথক কাতারে দাঁড় করানো সুন্নাত। তবে হারিয়ে যাওয়া বা দুষ্টুমি করার আশঙ্কা হলে, বড়দের কাতারেও দাঁড়াতে পারবে। (আলবাহরুর রায়েক : ১/৬১৮, আদ্দুররুল মুখতার : ১/৫৭১) ৪অনেকের এ ধারণা রয়েছে যে নাবালেগ শিশুদের বড়দের কাতারের মধ্যে দাঁড় করালে পেছনের মুসল্লিদের নামাজ হয় না বা নামাজ ত্রুটিযুক্ত হয়, আসলে ব্যাপারটি সে ধরনের নয়। বরং যদিও জামাতের কাতারের সাধারণ নিয়ম ও সুন্নাত হলো, প্রাপ্তবয়স্করা সামনে দাঁড়াবে ও অপ্রাপ্তবয়স্করা পেছনে থাকবে। কিন্তু এর ব্যতিক্রম হলে নামাজ অশুদ্ধ হওয়ার কোনো কারণ নেই। এ জন্য শিশু একা হলে বা পেছনে দুষ্টুমির আশঙ্কা হলে বড়দের কাতারে সমানভাবে দাঁড় করানোই উত্তম।

কুরআনের সুরের জাদুকর

ছবি
  আব্দুল বাসিত মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ,যিনি কারি আব্দুল বাসেত নামে পরিচিত। তিনি ছিলেন একজন মিশরীয় কারি। কুরআনের সুরের জাদুকর। কুরআনের সুমধুর তেলাওয়াতের কারণে বিশ্ববিখ্যাত কারি হিসেবেই স্বীকৃতি লাভ করেন।কারি আব্দুল বাসিত ১৯২৭ সালে মিশরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন তার বংশের প্রথম কারি। তার দাদা ছিলেন ধর্মীয় শিক্ষক। আব্দুল বাসিত ছোটবেলা থেকে কুরআন তেলাওয়াতকে ভালো বাসতেন। তিনি ভালোবাসতেন কারিদের মত কোরআন তেলাওয়াত করতে। এরি ধারাবাহিকতায় তিনি মাত্র দশ বছর বয়সেই কুরআন শরীফ মুুখস্ত করেন । কারি আব্দুল বাসিত কে মাত্র ১৪ বছর বয়সে মহল্লার মসজিদে তারাবি নামাজ পড়ানোর সুযোগ পান। তিনি ১৯৭০ এর দশকের প্রথম দিকে তিনটি বিশ্ব কেরা'আত প্রতিযোগিতা জিতেছিলেন। কারি বাসিত ছিলেন প্রথম হাফেজ, যিনি তার কুরআন পাঠ্যক্রমের বাণিজ্যিক রেকর্ডিং করেন, এবং তিনি ছিলেন মিশরের কারি পরিষদের প্রথম সভাপতি। কারি আব্দুল বাসিতের সুললিত কন্ঠের কুরআন তেলাওয়াত যে কাউকে করত মোহমুগ্ধ ও মোহাচ্ছন্ন। তার সুললিত কন্ঠের কুরআন তেলাওয়াত ও সুরের মূর্ছনায় আনন্দ লাভ করেছেন মসলিম,অমুসলিম সকলেই। অনেক এ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে তার সুললিত কন্...

ইমরান খানের পতনে একজন মাওলানা

ছবি
মাওলানা ফজলুর রহমান একজন পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ যিনি জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের (জেইউআই এফ) বর্তমান সভাপতি। ২০০২ সালে মতপার্থক্যের ঊর্ধ্বে ওঠে পাকিস্তানের সবকয়টি ইসলামি দলকে সঙ্গে নিয়ে মাওলানা ফজলুর রহমান ‘মুত্তাহিদা মজলিসে আমল’ বা এম এম এ নামে জোট গঠন করে নতুন এক শক্তি নিয়ে আবির্ভূত হন। কারচুপি সত্ত্বেও পরবর্তী নির্বাচনে ৭২টি আসন লাভ করেছিল এই জোট।১৯৮৮ সাল থেকে বর্তমান পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য। সাবেক মন্ত্রী ও ২০০৪ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন।কট্টরপন্থী হিসেবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন মাওলানা ফজলুর রহমান। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি কট্টর অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। বাম ও ডানপন্থীরাও তাঁর সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছেন। জেইউআই-এফ দলের ডাকে হাজার হাজার মাদ্রাসাশিক্ষার্থী এক হতে পারে। তবে দলটি কখনোই এককভাবে ক্ষমতায় আসতে পারেনি। এককভাবে ক্ষমতায় আসতে না পারলেও জেইউআই এফ সরকার গঠনে খেলোয়াড়ের ভূমিকা পালন করেছে। ইমরান খানের সঙ্গে শত্রুতা রয়েছে ফজলুর রহমানের। ইমরানের সাবেক স্ত্রী জেমিমা গোল্ডস্মিথকে বিয়ে করায় তিনি ইমরানকে ‘ইহুদি’ বলেও উপহাস করেছেন। ইমরান খানও পাল্টা তাঁকে `‘মোল্লা ডিজে...

রকস্টার থেকে ধর্মপ্রচারক জুনায়েদ জামশেদ

ছবি
জুনায়েদ জামশেদ খান (৩ সেপ্টেম্বর ১৯৬৪ – ৭ ডিসেম্বর ২০১৬) ছিলেন একজন পাকিস্তানি গায়ক-গীতিকার, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, ফ্যাশন ডিজাইনার, অভিনেতা এবং ইসলাম ধর্মপ্রচারক। প্রথম জীবনে তিনি ছিলেন একজন পপ-তারকা। তাঁর মিউজিক-ইন্ডাষ্ট্রি Vitalsings -এর গান আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করে। তার অ্যালবাম পাকিস্তানের সঙ্গীত চ্যানেল চার্টে শীর্ষস্থানে। বিমানবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জামশেদের ছেলে জুনায়েদ লাহোরের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে গ্রাজুয়েশন করেন৷ এরপর শখের বশেই রাহেল হায়াত ও শাহজাদ হাসানের সঙ্গে ১৯৮৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে দেশাত্মবোধক গান ‘দিল দিল পাকিস্তান’ গাওয়ার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন দেশটির প্রথম পপ ব্যান্ড ‘ভাইটাল সাইন’৷ তাদের প্রথম হিট এ্যালবাম ‘দিল দিল পাকিস্তান’ এনে দেয় আকাশচুম্বী খ্যাতি। এই গানটিই ঘুরিয়ে দেয় তার জীবনের মোড়। ১৯৯৪ সালে পিটিভির ‘ঢুন্ডলে রাস্তে’ সিরিজটির জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়ে জুনাইদ এবার নাম লেখালেন অভিনেতার খাতায়! অভিনেতা হিসেবে ছোট একটি ইনিংস খেলে জুনাইদ এবার মন দিলেন সলো গানের ক্যারিয়ারে। ১৯৯৮ সালে ব্য...

আমেরিকার বিরোধিতাকারী পাক শাসকদের পরিণতি

  পাকিস্তান সৃষ্টির পর ৭৪ বছরে এ পর্যন্ত ২২ জন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু কেউ মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। ২৩ তম প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। লিয়াকত আলী খান পাকিস্তানের ইতিহাসের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। ১৯৪৯ সালে পাকিস্তানের সংবিধানের রূপরেখা প্রণয়ন করেছিলেন তিনি। এর আড়াই বছরের মাথায় খুন হতে হয় তাঁকে। ১৯৫১ সালের ১৬ অক্টোবর রাওয়ালপিন্ডির কোম্পানিবাগে এক জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় আততায়ীর গুলিতে নিহত হন তিনি। তাৎক্ষণিকভাবে এই হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা না গেলেও পরবর্তী সময়ে এর রহস্য উন্মোচিত হয়। আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের ৬৪ বছর পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক গোপন নথি থেকে জানা যায়, আফগানিস্তানের তৎকালীন সরকারের সহায়তায় লিয়াকত আলী খানকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। গোপন ওই নথির বরাতে জানা যায়, গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে মার্কিন তেল কোম্পানিগুলোকে ইরানে তেল–সংশ্লিষ্ট চুক্তি পাইয়ে দেওয়ার জন্য লিয়াকত আলী খানকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সে...

জুমার খুতবার সময় কথা বলা

ছবি
খুতবা জুমার নামাজের শর্ত বা ফরজ। খুতবা ব্যতীত জুমার নামাজ হয় না। উপস্থিত মুসল্লিদের জন্য শোনা ওয়াজিব। তাই খুতবা চলাকালে নিরর্থক কাজে ব্যস্ত থাকা শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ নয়।হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, “রাসুল (সা.) বলেছেন- জুমার দিন খুতবার সময় যদি তুমি তোমার সঙ্গীকে ‘চুপ করো’ বলো সেটাও অনর্থক। ” (বুখারি, হাদিস: ৮৯২; মুসলিম, হাদিস: ২০০৫) হাদিস দ্বারা সুদৃঢ়ভাবে প্রমাণিত হয়, খুতবার সময় নিশ্চুপ হয়ে খুতবা শোনা ওয়াজিব ও কথাবার্তা বলা হারাম। অনুরূপ খুতবার সময় সুন্নত-নফল নামাজ পড়াও বৈধ নয়।

সুরমা আসলে কী ?

ছবি
অনেকের ধারণা সুরমা তুর পাহাড়ে পাওয়া যায়। হজরত মুসা (আ.) যখন তুর পাহাড়ে আল্লাহকে স্বচক্ষে দেখতে চেয়েছিলেন তখন আল্লাহর তাজাল্লিতে পাহাড় ভস্ম হয়ে গিয়েছিল। সেই ভস্মীভূত পাহাড় থেকেই সুরমার উৎপত্তি ও ব্যবহার—এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। সুরমা একটি খণিজ দ্রব্য। এর সঙ্গে তুর পাহাড়ের কোনো সম্পর্ক নেই। বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয়, অ্যান্টিমনি। অ্যান্টিমনি হলো একটি মৌলিক পদার্থ। এটি একটি চকচকে ধূসর ধাতুকল্প, এটি প্রকৃতিতে মূলত সালফাইড খনিজ স্টিবনেট হিসেবে পাওয়া যায়। অ্যান্টিমনি যৌগগুলো প্রাচীনকাল থেকেই পরিচিত ছিল এবং গুঁড়া করে চিকিৎসাক্ষেত্রে ও প্রসাধনীতে ব্যবহার করা হতো। এটিকে প্রায়ই আরবি কাজল নামে ডাকা হতো। এর সাথে তুর পাহাড়ের কোনো সম্পর্ক নেই। মুসা (আ.) এর আল্লাহকে দেখার ইচ্ছা ও তুর পাহাড়ের মূল ঘটনাটি সত্য। কোরআন মাজিদের সূরা আরাফের পূর্ণ বিবরণ রয়েছে। কিন্তু কোথাও এই ঘটনার সাথে সুরমাকে জড়িয়ে দেয়ার কথাটি উল্লেখ নেই। অতএব এই ধরনের কথা পরিহার করা জরুরি। চোখের যত্নে রাসুলুল্লাহ (সা( সুরমাকে এতটাই গুরুত্ব দিতেন যে সাহাবায়ে কেরামকে তিনি এটি লাগানোর ব্যাপারে উৎসাহ দিতেন। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি...