সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

যুগেযুগে বিভিন্ন পাপিষ্ঠ সম্প্রদায়ের উপর আল্লাহর যত গজব

মো.আবু রায়হান : আল্লাহ তায়ালা বড়ই দয়ালু ও মেহেরমান। তিনি তাঁর সৃষ্টি জগতের প্রতি অত্যন্ত সদাশয় ও ন্যায়নিষ্ঠ। আল্লাহ  তাঁর বান্দাদের হাজারো গুনাহ ক্ষমা করে দেন কিন্তু তাঁর সঙ্গে যারা নাফরমানী করে, অবাধ্য হয়ে যায়, পাপাচারে লিপ্ত হয়ে সীমা লংঘন করে তাদের তিনি গজবের  দ্বারা পাকড়াও করে সমূলে ধবংস করে দেন। মানুষের পাপে যখন সর্বত্র ছেয়ে যায় তখন আল্লাহর পক্ষ হতে শাস্তি অনিবার্য হয়ে যায়। কুরআনে আল্লাহপাক বলেন, ‘আর তোমাদের কৃতকর্মের কারণই তোমাদের ওপর বিপদ নেমে আসে। অথচ তিনি অনেক কিছুই উপেক্ষা করে থাকেন’ (সুরা আশ শুরা আয়াত- ৩০)। আল্লাহ পাক আরো এরশাদ করেন,‘মানুষের কৃতকর্মের দরুন স্থলে ও জলে বিশৃঙ্খলা ছেয়ে গেছে। এর পরিণামে তিনি তাদের কোন কোন কর্মের শাস্তির স্বাদ তাদের ভোগ করাবেন যাতে তারা আল্লাহর দিকে ফিরে আসে’ (সুরা আর রূম আয়াত - ৪১)।আল্লাহর অবাধ্যতা, সীমালঙ্ঘন ও অবাধ পাপাচারের জন্য আল্লাহ অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি,ঝড়, ভূকম্পন, আকাশের গর্জন ও প্লাবন দিয়ে অতীতে অনেক জাতি ও সম্প্রদায়কে ধবংস করেছেন। আল্লাহ বলেন,'......... তাদের প্রত্যেকেই তার অপরাধের জন্য শাস্তি দিয়েছিলোম। তাদের...

আজ মহিমান্বিত শবেবরাত ফজিলত ও আমল

সারা মুসলিম দুনিয়ায় আজি এসেছে নামিয়া শবে-বরাত, রুজি-রোজগার-জান-সালামৎ বণ্টন-করা পুণ্য রাত।                                                 - শবেবরাত, কবি গোলাম মোস্তফা হিজরি পঞ্জিকার অষ্টম মাস তথা শাবান মাসের ১৫ তারিখ অর্থাৎ ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে পবিত্র শবেবরাত পালিত হয়ে থাকে। হিজরি শাবান মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখের মধ্যে পালিত মুসলিমদের একটি পূণ্যময় মহিমান্বিত রজনী শবেবরাত।শবেবরাতের  আরবি হলো লাইলাতুল বরাত। ফারসি শব আর আরবি লাইলাতুন অর্থ রজনী, রাত। বরাত অর্থ হলো মুক্তি, পরিত্রাণ, ভাগ্য। তাহলে সমন্বিত অর্থ দাঁড়ায় পরিত্রাণের রজনী। এই রাতে আল্লাহ মুসলমানদের মাগফিরাত বা গুনাহ থেকে পরিত্রাণ দেন, তাই এ রাতের নামকরণ করা হয়েছে লাইলাতুল বরাত বা শবেবরাত। কুরআন, হাদিস, তাফসির, ফিকহ ও বিভিন্ন গ্রন্থে শবেবরাতের বর্ণনা আছে ভিন্ন নামে, ভিন্ন শব্দে ও আলাদা পরিভাষায়।কতিপয় আলেমদের অভিমত কুরআনের পরিভাষায় শবেবরাতকে ‘লাইলাতুম মুবারাকাহ বলা হয়েছে। হাদিসের পরিভাষায় এটাক...

ভাগ্যের লিখন না যায় খন্ডন!

মো. আবু রায়হান :ভাগ্য মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে না, মানুষই ভাগ্য নিয়ে প্রতারণা করে। - পিলপে চেষ্টা চালানো হয় না, ভাগ্যের চাকা ঘুরানোতে যতসব কৃপনতা, ভাল কাজে সময় গড়িয়ে যায় নষ্টে কষ্টে আজে-বাজে তবুও দোষ দেই না আমার, দোষ দেই ভাগ্যের।। ১৮৮৩ সাল, হেনরি জিগল্যান্ড তখন তাগড়া যুবক। কিন্তু সেই বয়সেই মস্ত বড় একটা ভুল করে ফেলেছিলেন, তবে ভাবতে পারেননি সেই ঘটনা তাঁকে তাড়া করে বেড়াবে এতগুলো বছর পরও! নিজের প্রাক্তন প্রেমিকার সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করায় তাঁর প্রেমিকা অবসাদগ্রস্থ হয়ে আত্মহত্যা করে বসেন। ফলে ঐ প্রেমিকার বড় ভাই ক্ষিপ্ত হয়ে ধেয়ে আসেন হেনরিকে খুন করবেন বলে, খুঁজে খুঁজে শেষ পর্যন্ত গুলিও করেন তাঁকে। এরপর হেনরিকে মৃত ভেবে নিজের মাথায়ও বন্দুক ঠেকিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যান হেনরি, গুলিটা তাঁর মুখ ঘেঁষে বেরিয়ে যায়, বিদ্ধ হয় পেছনেরই একটি গাছে। নিশ্চিতভাবেই ভাবলেন, “বড্ড ভাগ্যবান আমি, খুবজোর বেঁচে গেছি!” কিন্তু বিধাতার খেয়াল হয়তো ছিলো অন্যরকম। অনেকগুলো বছর কেটে গেছে এরপর, হেনরিও ততদিনে যৌবনকাল পিছনে ফেলে এসেছেন। একদিন সিদ্ধান্ত নিলেন, বাড়ির সামনের বিশালকায় গাছটি কেটে ফেলবেন। ততদিন...

করোনার দোয়া এবং বিবিধ প্রসঙ্গ

মো.আবু রায়হান :ফেরাউন যখন লোহিত সাগরে ডুবে মরছিল তখন বলছিল আহাদ, আহাদ, আহাদ অর্থ আল্লাহ অদ্বিতীয়, তার কোনো অংশীদার নেই। আল্লাহর কঠিন আজাব দেখে সেদিন ফেরাউন তাওবা করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তার তাওবা গৃহীত হয়নি। আল্লাহ তাআলা তাকে সাগরে ডুবিয়ে মেরেছেন। শুধু তাই নয় আল্লাহ তায়ালা বললেন,  ‘আজ আমি তোমার (ফেরাউন) দেহ রক্ষা করব, যাতে তুমি তোমার পরবর্তীদের জন্য নিদর্শন হয়ে থাকো। অবশ্যই মানুষের মধ্যে অনেকে আমার নিদর্শন সম্পর্কে উদাসীন।’ (সুরা : ইউনুুস, আয়াত : ৯২)।এতে বোঝা গেল,  তওবার দরজা সব সময় উন্মুক্ত থাকে না।কেননা  আল্লাহ তায়ালা বলেন, 'আর তোমরা তোমাদের রবের অভিমুখী হও এবং তোমাদের উপর আযাব আসার পূর্বেই তার কাছে আত্মসমর্পণ কর। তার (আযাব আসার) পরে তোমাদেরকে সাহায্য করা হবে না।'(সুরা আল জুমার,আয়াত-৫৪)।হাদিস শরিফে বলা হয়েছে, হযরত আবু মুসা আবদুল্লাহ ইবনে কায়েস আশয়ারী (রা.) রাসুল (সা.) থেকে বর্ণনা করেছেন, আল্লাহ পশ্চিম (আকাশ) দিক থেকে সূর্যোদয় (কেয়ামত) না হওয়া পর্যন্ত প্রতি রাতে তার ক্ষমার হাত সম্প্রসারিত করতে থাকেন। যাতে রাতে গুনাহগার তওবা করে। (মুসলিম)।উপরিউক্ত কোরআন ও হাদিসের আলো...

এক টুকরো কিয়ামতের মাঠ

  মো.আবু রায়হান : আজ ইতালিতে সবাই কাঁদছে,অসহায় ডাক্তার কাঁদছে, জনগণ কাঁদছে।নিরুপায় সবাই। শোকে বিহ্বল ইতালিবাসি। চারিদিকে শত শত লাশের সারি। শহরে কবর দেওয়ার জায়গা নেই।  সেনাবাহিনী ট্রাকে করে মৃতদেহ শহরের বাইরে নিয়ে কবর দিচ্ছে। লাশ সৎকারের সময় পরিবারের কাউকে যেতে দিচ্ছে না সংক্রমণের ভয়ে। কেউ কেউ ভয়ে মৃত আত্মীয় স্বজনের পাশেই ভিড়ছে না। সবাই নিজেদের নিয়ে চিন্তিত।বেঁচে থাকার লড়াইয়ে অস্থির।বিশ্বের মধ্যে জ্ঞান বিজ্ঞানে  উন্নত একটি রাষ্ট্র ইতালি।আজ সেই ইতালি অদৃশ্য ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পরাস্ত ও বড্ড অসহায়। করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর তালিকায় চীনকে ছাড়িয়ে ইতালি এখন শীর্ষে। এক করোনায় যেন ধ্বংসলীলায় পরিণত হয়েছে গোটা ইতালি। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে ইতালিতে ২৪ ঘণ্টায় গতকাল আরো ৬৫১ জন মারা গেছেন। এনিয়ে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫ হাজার ৪৭৬ জনে।দেশটিতে প্রতি দুই মিনিটে একজন করে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন।গড়ে প্রতি ঘণ্টায় ৩৩ জনের মৃত্যু হচ্ছে। ব্রিটিশ ডেইলি মিররের খবরে এমন তথ্য জানা গেছে। জাতির উদ্দেশ্যে  ভাষণে ইতালির প্রধানমন্ত্রী  বলেছেন, 'আমরা মহামারীর নিয়ন্ত্রণ হারিয়...

ভেজালের ভিড়ে আসল

বাঙালিদের জোচ্চুরি আর বদ স্বভাবের কারণে বাংলা কিছু শব্দের পূর্বে বিশ্বাসযোগ্য কিছু শব্দ প্রয়োগ না করলে বিশ্বাস ও আস্থার জায়গাটা থাকে না নষ্ট হয়ে যায়। যেমন আগের দিনে মধু বিক্রেতাকে মধু বিক্রয় করতে বলতে হতো না জনাব নেন খাঁটি মধু। এখন মধু দুধ এরকম ভালো কিছু জিনিস বিক্রয় করতে গেলে বলতে হয় নেন খাঁটি দুধ, খাটি মধু, খাটি সোনা, খাঁটি হীরা। এটা বলতে হয় এখন বাঙালিদের চরিত্রের অবক্ষয় ও চৌর্যবৃত্তির কারনে ও বিশ্বাস নামক বস্তুর তিরোধানের কারণে। আগের দিনে শাসন বললে ভালো কিছুই বোঝাত সেখানে কুশাসনের মাত্রা কম থাকত। এখন শাসন মানেই কুশাসনের লেশ আছে এজন্য শাসনকে জাতে আনার জন্য সুশাসন ব্যবহার করা হয়। আগে নীতি মানে পজিটিভ কিছু বোঝাত। এখন নীতির সাথে সুনীতি লাগে। নচেৎ বিশ্বাস নড়বড়ে ও হালকা হয়ে যায়। বাঙালীদের চরিত্রের অবক্ষয়ের সঙ্গে বাংলা শব্দের বিবর্তন ও পরিমার্জন হয়েছে। ভালো জিনিসের নকল তৈরি হয়। খারাপ জিনিসের হয়না। রাজাকার মানেই খারাপ এর আগে ভালো শব্দ যোগ করলেও রাজাকার ভালো হবেনা। আবার কেউ এর আগে ভুয়া শব্দ যোগ করে বলবে না ভুয়া রাজাকার, ভুয়া ডাকাত। কিন্তু ভালো একটা জিনিস মুক্তিযোদ্ধা এ সম্মানিত শব্দের পূর্বে...

ইতালির চেয়ে বড় ভুল করে আমরা কিভাবে নির্ভয়ে?

  মো.আবু রায়হান :ইতালির মিলান থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরের কডোনো শহরের করোনা সংক্রমিত এক বাসিন্দা হাসপাতালে ভর্তির পর পর্যাপ্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর ফলে করোনা ভাইরাস ওই হাসপাতালের অন্যান্য রোগী ও কর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকেই পুরো ইতালিতে করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে এবং মহামারির আকার ধারণ করেছে। ইতালির বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলেছেন, করোনাভাইরাসের কারণে চীনের সঙ্গে ফ্লাইট যোগাযোগ স্থগিত করার আগে থেকেই চীন বা করোনা আক্রান্ত অন্য যেকোনো দেশ থেকে কেউ এলে তাদের ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ রাখার এবং চিকিৎসাকর্মীদের দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।চীনের হুবেই প্রদেশের দুজন পর্যটক ২৩ জানুয়ারি ইতালির মিলান বিমানবন্দর দিয়ে প্রবেশের কিছুদিন পরই রোমে গিয়ে অসুস্থ হন। তাদের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। ৬ ফেব্রুয়ারি চীনের উহান থেকে ইতালিতে ফেরেন এক ইতালীয় নাগরিক। দৃশ্যত ওই তিনজনই ইতালির প্রথম করোনা রোগী। করোনাভাইরাসে ইতালিতে প্রথম মৃত্যু হয়েছে  ২২ ফেব্রুয়ারি। এই এক ভুলে  ইতালি করোনা ভাইরাসের কেন্দ্রস্থল ও মৃত্যু উপত্যকায় পরিনত হয়েছে।করোনার প্রথম সংক্র...