পোস্টগুলি

ইরিত্রিয়া দেশ পরিচিতি

ছবি
  #মো. আবু রায়হান ইরিত্রিয়া উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার একটি রাষ্ট্র। পুরো নাম স্টেট অব ইরিত্রিয়া।ইরিত্রিয়ার উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে রয়েছে সুদান, দক্ষিণ ও পশ্চিমে ইথিওপিয়া ও দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে জিবুতি। দেশটির পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব দিকে লোহিত সাগরের পাড়ে সুবিস্তৃত উপকূলীয় অঞ্চল রয়েছে। লোহিত সাগরের গ্রিক নামানুসারেই ইরিত্রিয়ার নামকরণ। রাজধানী: আসমারা দেশটির রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। আয়তন : এক লাখ ১৭ হাজার ৬০০ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা : ৬৩ লাখ ৮০ হাজার ৮০৩। ভাষা: সুনির্দিষ্ট নয় (ডি ফ্যাক্টো হিসেবে তিগ্রিনিয়া ব্যবহার করা হয়)। মুদ্রা : নাকফা। জাতিসংঘে যোগদান : ২৮ মে, ১৯৯৩। ইতিহাস দেশটি অতীতে ইতালি ও যুক্তরাজ্যের অধীনে ছিল। ১৯৫২ সালে ইথিওপিয়া দেশটিকে দখল করে। কিন্তু ইরিত্রিয়ার জনগণ স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু করে।ইথিওপিয়ার কাছ থেকে দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে ১৯৯৩ সালে। এর আগে ৩০ বছর ধরে চলে তাদের স্বাধীনতার লড়াই। আজো এ দুই রাষ্ট্র তাদের সম্পর্ক পুনর্নির্মাণের ক্ষেত্রে নেতিবাচক মনোভাবই বজায় রেখেছে। বলা যায়, তারা ইতিহাসের ভুলগুলো পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে।দুই দেশের সীমান্ত বন্ধ ও কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা। সরকারগুলোও দ

ইথিওপিয়ায় ইসলাম ও মুসলমান

ছবি
  #মো. আবু রায়হান  ইথিওপিয়া উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার একটি প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র।সরকারি নাম ইথিওপীয় সরকারী গণপ্রজাতন্ত্র। ইথিওপিয়ার উত্তর-পূর্বে ইরিত্রিয়া এবং জিবুতি, পূর্বে ও দক্ষিণ-পূর্বে সোমালিয়া, দক্ষিণ-পশ্চিমে কেনিয়া এবং পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমে সুদান। দেশটি নয়টি প্রশাসনিক অঞ্চলে বিভক্ত। ইথিওপিয়া আফ্রিকার প্রাচীনতম স্বাধীন রাষ্ট্র।প্রতিটি অঞ্চলে একটি করে প্রধান জাতিগত গোষ্ঠী বাস করে। বিংশ শতাব্দী পর্যন্তও দেশটি আবিসিনিয়া নামে পরিচিত ছিল। আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় উপনিবেশ থেকে তারাই প্রথম স্বাধীনতা লাভ করে। দেশটিতে মাত্র পাঁচ বছর ইতালির উপনিবেশ ছিল। ভূমিবেষ্টিত এই দেশ আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। এ ক্ষেত্রে শীর্ষ অবস্থান নাইজেরিয়ার দখলে। রাজধানীঃ আদদিস আবাবা রাজধানী ও সর্ববৃহৎ শহর । আয়তন: ১১ লাখ চার হাজার ৩০০ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যাঃ ৯ কোটি ৯৪ লাখ ৬৫ হাজার ৮১৯। জনগোষ্ঠী ওরোমো ৩৪.৫% , এরপর দ্বিতীয় বৃহৎ জনগোষ্ঠী হলো আমারা ২৬.৯%। এছাড়া রয়েছে সোমালি ৬.২% , টিগারাওয়ে ৬.১% , সিডামা ৪, গুরেজ ২.৫% , ওয়েলাইটা ২.৩% , হাদিয়া ১.৭% , আফার ১.৭%, গেডো (১.৩%)। ধর্মঃ থিওপিয়ন
ছবি
কুফার ঐতিহাসিক গ্র্যান্ড মসজিদ। এ মসজিদেই নামাজরত অবস্থায় এক ধর্মান্ধ খারিজির তরবারির আঘাতে আহত হন হযরত আলী (রা)। ১৯ রমজানের ওই হামলার ফলেই ২১ রমজান শাহাদত বরণ করেন তিনি। 

আন্দালুসিয়ান প্রতিভা

  মো.আবু রায়হানঃআন্দালুসিয়া মধ্যযুগে মুসলিম শাসিত ইবেরিয়ান উপদ্বীপ বোঝানো হয়। বর্তমানে এটি স্পেন ও পর্তুগালের অংশ।সংক্ষিপ্তকালের জন্য ফ্রান্সের দক্ষিণের সেপ্টিমেনিয়া অঞ্চল এর অংশ ছিল এবং এটি পশ্চিম ইউরোপ ও ইতালিকে সংযুক্ত করেছিল। পুরো ইবেরিয়ান উপদ্বীপকে বোঝানো হলেও রিকনকোয়েস্টা অগ্রসর হওয়ার সাথে সাথে এর সীমানা পরিবর্তন হয়েছে। ৭১১ থেকে ১৪৯২ সাল পর্যন্ত এর আয়ুষ্কাল ধরা হয়। ।অষ্টম শতকের প্রারম্ভে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার পর মধ্যযুগের প্রায় পুরোটা জুড়েই মুসলিমরা আন্দালুসিয়ার মূল শাসক ছিলেন । ৭১১ খ্রিস্টাব্দে মুসলমানরা স্পেন বিজয়ের দুই থেকে ৩০০ বছরের মধ্যেই স্পেনের প্রায় ৮০ শতাংশেরও বেশি মানুষ মুসলমান হয়েছিল; যা সংখ্যায় ৫০ লাখেরও বেশি। যাদের বেশির ভাগই স্পেনের স্থানীয় অধিবাসী ছিল। তাঁরা স্পেন শাসন করেন ৭৮০ বছর।বর্তমান ইউরোপের প্রবেশদ্বার জিব্রাল্টার থেকে কর্ডোবা, গ্রানাডা, মালাগা, আলমেরিয়া, সারাগোসা, টারাগোনা, বার্সেলোনা, টলেডো বর্তমান রাজধানী মাদ্রিদের নিকটবর্তী শহর এবং পিরেনিজ পর্বতমালা পর্যন্ত গোটা স্পেন ছিল মুসলমানদের বিজিত। আর সে সময়ে আন্দালুসিয়ার রাজধানী কর্ডোভা ছিল মুসলিম

ভারতের লক্ষাদ্বীপে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের বাস

ছবি
#মো. আবু রায়হান আরব সাগরে অবস্থিত লক্ষাদ্বীপ, ভারতীয় উপমহাদেশের একটি অংশ এবং ভারতের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল রূপে স্বীকৃতি লাভ করেছে।যা ৩৬টি দ্বীপকে নিয়ে গঠিত আরব সাগরের এই দ্বীপপুঞ্জটি ভারতের একটি মুসলিম অধ্যুষিত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, যা ভারতের মূল ভূ-খণ্ড থেকে ২০০-৪৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে মালাবার উপকূলে অবস্থিত। লক্ষাদ্বীপ অর্থ লক্ষ দ্বীপ। যদিও এই অঞ্চলটি লক্ষাদ্বীপ নামে পরিচিত, আসলে এটি কেবল ভৌগোলিকভাবে দ্বীপপুঞ্জের কেন্দ্রীয় দ্বীপসমূহর নাম।ভৌগোলিক মতবাদ অনুসারে, অসংখ্য মৃত প্রবাল কীটের দেহাবশেষ সঞ্চিত হয়ে সমুদ্র মধ্যে এই দ্বীপসমূহের সৃষ্টি হয় তাই এই দ্বীপপুঞ্জকে প্রবাল দ্বীপও বলা হয়ে থাকে।লক্ষাদ্বীপের প্রধান দ্বীপসমূহ হল কাবারট্টী, আগাটি, মিনিকয় এবং আমিনী। দ্বীপপুঞ্জটির দশটা দ্বীপে মানুষের বসতি আছে ও ১৭টি জনশুন্য দ্বীপ আছে । দ্বীপপুঞ্জটিতে কোনো প্রাচীন আদিবাসী বাসিন্দা নেই। ইতিহাসবিদরা এই দ্বীপপুঞ্জটিতে বসতি স্থাপনের ইতিহাস সম্পর্কে ভিন্ন মত পোষণ করেছেন। খ্রীষ্টপূর্ব ১৫০০ শতকে অঞ্চলটিতে মানব বসতির পুরাতাত্ত্বিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। দ্বীপপুঞ্জটি প্রাচীন কাল থেকে না

ভারতে ইসলামের আগমন ও মুসলিম শাসন

ছবি
  মো আবু রায়হানঃভারত দক্ষিণ এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। দেশটির সরকারি নাম ভারতীয় প্রজাতন্ত্র।ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তান উত্তর-পূর্বে চীন, নেপাল, ও ভূটান এবং পূর্বে বাংলাদেশ ও মায়ানমার অবস্থিত। ভারত দক্ষিণ-পশ্চিমে আরব সাগর, দক্ষিণ-পূর্বে বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণে ভারত মহাসাগর দিয়ে ঘেরা। ভারতীয় উপদ্বীপের দক্ষিণতম বিন্দুটি হল ভারত মহাসাগরের তীরে অবস্থিত কন্যাকুমারিকা অন্তরীপ। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ইন্দিরা পয়েন্ট হল ভারতের দক্ষিণতম বিন্দু। ভারতের দক্ষিণে অবস্থিত দ্বীপরাষ্ট্রগুলি হল মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও ইন্দোনেশিয়া। পক প্রণালী ও মান্নার উপসাগর ভারতকে শ্রীলঙ্কা থেকে পৃথক করেছে।অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ থেকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ধীরে ধীরে ভারতীয় ভূখণ্ডের অধিকাংশ অঞ্চল নিজেদের শাসনাধীনে আনতে সক্ষম হয়। ১৮৫৬ সালের মধ্যেই ভারতের অধিকাংশ অঞ্চল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হস্তগত হয়েছিল। এর এক বছর পরে ১৮৫৭ সালে ঘটে ভারতীয় সিপাহি ও দেশীয় রাজ্যগুলির সম্মিলিত এক জাতীয় গণ-অভ্যুত্থান। ভারতের ইতিহাসে এই ঘটনা ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বা সিপাহি বিদ্রোহ নামে পরিচিত। এই বিদ

মহানবি (সা.) কে কেন টার্গেট করা হচ্ছে ?

ছবি
মো আবু রায়হানঃমুসলিম উম্মাহকে বিপথগামী করতে, বিশ্বের বুকে তাদের মনোবলকে ভেঙে দিতেই যুগে যুগে ইসলাম বিদ্বেষীরা কখনো ইসলামের উপর আক্রমণ করেছে। আবার কখনো বিশ্বনবির ব্যঙ্গ চিত্র প্রকাশ করে চালিয়েছে ঘৃণ্য অপপ্রয়াস। ফ্যান্সের বিতর্কিত ম্যাগাজিন শার্লি হেবদো বিশ্বনবি (সা) কার্টুন প্রকাশ করে শুধু বিশ্বনবিকেই অপমান করেনি বরং কোটি কোটি মুসলমানের হৃদয়ে ও অনুভূতিতে আঘাত করেছে, অপমান করেছে। মক্কার মুশরিকরা আল্লাহর রাসুলকে নিয়ে কটাক্ষ করত। তারা কখনো আল্লাহর নবি সম্পর্কে বলত, তিনি নাকি কবি! কখনো তারা কটূক্তি করে তাঁকে পাগল বা জাদুকর বলত। এ ধারা এখনো অব্যাহত। কৃষ্ণ, বুদ্ধ, যীশু ,কবির ও নানক নয়, সব অপরাধ শুধু নবি মুহাম্মদ (সা)র ! কেন ? বিশ্বাসী -অবিশ্বাসী , মুসলিম -অমুসলিম, সবার মনেই এই প্রশ্ন, কেন নবি মুহাম্মদ (সা) এর এত বদনাম ? কেন তাকে অপমান করার চেষ্টা করতে হবে? যখন উগ্রবাদী শিবসেনা, গো রক্ষকরা ভারতে মুসলিমদের উপর নির্যাতন করে, ভারতের হিন্দু সেনাবাহিনী অন্যায়ভাবে কাশ্মীরি মুসলমানদের হত্যা করে, তখন কেউ কিন্তু কৃষ্ণকে এইজন্য দায়ী করে না ।যখন বার্মায় রোহিঙ্গাদের উপর পাশবিক গণহত্যা হলো, লক্ষ