ভারতে ইসলামের আগমন ও মুসলিম শাসন

 





মো আবু রায়হানঃভারত দক্ষিণ এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। দেশটির সরকারি নাম ভারতীয় প্রজাতন্ত্র।ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তান উত্তর-পূর্বে চীন, নেপাল, ও ভূটান এবং পূর্বে বাংলাদেশ ও মায়ানমার অবস্থিত। ভারত দক্ষিণ-পশ্চিমে আরব সাগর, দক্ষিণ-পূর্বে বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণে ভারত মহাসাগর দিয়ে ঘেরা। ভারতীয় উপদ্বীপের দক্ষিণতম বিন্দুটি হল ভারত মহাসাগরের তীরে অবস্থিত কন্যাকুমারিকা অন্তরীপ। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ইন্দিরা পয়েন্ট হল ভারতের দক্ষিণতম বিন্দু। ভারতের দক্ষিণে অবস্থিত দ্বীপরাষ্ট্রগুলি হল মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও ইন্দোনেশিয়া। পক প্রণালী ও মান্নার উপসাগর ভারতকে শ্রীলঙ্কা থেকে পৃথক করেছে।অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ থেকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ধীরে ধীরে ভারতীয় ভূখণ্ডের অধিকাংশ অঞ্চল নিজেদের শাসনাধীনে আনতে সক্ষম হয়। ১৮৫৬ সালের মধ্যেই ভারতের অধিকাংশ অঞ্চল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হস্তগত হয়েছিল। এর এক বছর পরে ১৮৫৭ সালে ঘটে ভারতীয় সিপাহি ও দেশীয় রাজ্যগুলির সম্মিলিত এক জাতীয় গণ-অভ্যুত্থান। ভারতের ইতিহাসে এই ঘটনা ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ বা সিপাহি বিদ্রোহ নামে পরিচিত। এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও তা দেশে কোম্পানির শাসনের দুর্বলতার দিকগুলি উন্মোচিত করে দেয়। তাই ভারতকে আনা হয় ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের প্রত্যক্ষ শাসনাধীনে অতঃপর এক সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৪৭ সালে ভারত একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্ররূপে আত্মপ্রকাশ করে। একই সঙ্গে দেশের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তের মুসলমান-অধ্যুষিত অঞ্চলগুলি বিভক্ত হয়ে গঠন করে পাকিস্তান রাষ্ট্র।১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি নতুন সংবিধান প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে ভারতে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র স্থাপিত হয়। স্বাধীনতার পরে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, জাতপাত, নকশালবাদ, সন্ত্রাসবাদ এবং জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অভুত্থান দেশে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। ১৯৯০-এর দশক থেকে ভারতের শহরাঞ্চলগুলি এই হানাহানির শিকার হতে থাকে। ১৯৬২ সালের ভারত-চীন যুদ্ধের ফলে চীনের সঙ্গে এবং ১৯৪৭, ১৯৬৫, ১৯৭১ ও ১৯৯৯ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের ফলে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত নিয়ে বিরোধ তীব্র হয়। ভারত রাষ্ট্রসংঘ (ব্রিটিশ ভারত হিসাবে) ও জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ১৯৭৪ সালে একটি ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক পরীক্ষণ ও ১৯৯৮ সালে আরও পাঁচটি পরমাণু পরীক্ষা চালিয়ে ভারত নিজেদের একটি পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে প্রকাশ করে।বর্তমানে ভারত ২৮টি রাজ্য ও আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বিশিষ্ট একটি সংসদীয় সাধারণতন্ত্র।
দেশটির মোট আয়তন ৩২,৮৭,২৬৩ বর্গকিলোমিটার।ভৌগোলিক আয়তনের বিচারে এটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এবং বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্র। ২০১৮ সালে দেশটির আনুমানিক জনসংখ্যা প্রায় ১৩৫ কোটি। ভারতের জনসংখ্যা পৃথিবীর মোট জন সংখ্যার প্রায় ১৭.৭৪ শতাংশ।জনসংখ্যার বিচারে এই দেশ বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল এবং পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।
সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ভারত একটি বহুধর্মীয়, বহুভাষিক, ও বহুজাতিক রাষ্ট্র। হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ও শিখ—বিশ্বের এই চার ধর্মের উৎসভূমি ভারত। খ্রিষ্টীয় প্রথম সহস্রাব্দে জরথুষ্ট্রীয় ধর্ম (পারসি ধর্ম), ইহুদি ধর্ম, খ্রিষ্টধর্ম ও ইসলাম এদেশে প্রবেশ করে, ও ভারতীয় সংস্কৃতিতে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে। ভারতবাসী হিন্দু, যদিও হিন্দু বলতে সিন্ধু নদের অববাহিকায় বসবাসরত সকলকেই বোঝায়।২০১১ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ ভারতীয় আদমশুমারিতে দেখা গেছে যে, মোট জনসংখ্যা ১২১.০৯ কোটি। এর মধ্যে হিন্দু ৯৬ কোটি ৬৩ লাখ, মুসলমান ১৭ কোটি ২২ লাখ।হিন্দুরা জনসংখ্যার ৭৯.৮ শতাংশ এবং মুসলমান ১৪.২ শতাংশ, খ্রিষ্টান ২.৩ শতাংশ,শিখ ১.৭ শতাংশ,বৌদ্ধ ০.৭ শতাংশ ,জৈন ০.৪ শতাংশ। উল্লেখ্য, ভারতে বিশ্বের বৃহত্তম হিন্দু, শিখ, জৈন, জরাথ্রুষ্টবাদী ও বাহাই ধর্মা‌বলম্বী জনসংখ্যা রয়েছে এবং দেশে আদিবাসী জনসংখ্যা ৮.১%।শুমারিতে দেখা গেছে, দেশটির জনসংখ্যা বিবেচনায় হিন্দুদের জন্মহার ০.৭ শতাংশ কমেছে এবং মুসলমানদের জন্মহার ০.৮ শতাংশ বেড়েছে। ইসলাম ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম।ভারতে প্রায় ১৯৫ মিলিয়ন মুসলমান (২০২০ সালের প্রাক্কলন মতে ) । ভারতের মুসলিম জনসংখ্যা সমগ্র বিশ্বের নিরিখে তৃতীয়-বৃহত্তম এবং অ-মুসলমান প্রধান দেশগুলির মধ্যে বৃহত্তম।বিশ্বের মুসলিম জনসংখ্যার ১০.৩% বাস করে ভারতে।ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা ১৯৫১-৬১ সালে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ৩২.৪ শতাংশ, ১৯৬১-৭১ সালে ৩০.৯ শতাংশ, ১৯৭১-৮১ সালে ৩০.৭ শতাংশ, ১৯৮১-৯১ সালে ৩২.৮ শতাংশ, ১৯৯১-২০০১ সালে ছিল ২৯.৫ শতাংশ ।আদমশুমারি অনুসারে ২০০১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ভারতের দ্রুত বর্ধমান ধর্ম ছিল ‘ইসলাম’। যার বৃদ্ধির হার ছিল ২৪.৬ শতাংশ এবং একই সময়ে হিন্দু ধর্ম বৃদ্ধির হার ছিল ১৫.৮ শতাংশ। ভারতে কমছে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার। ষাট বা সত্তরের দশকে দেশটিতে যে হারে মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ত, এখন আর সে হারে বাড়ছে না। ভারতের আদমশুমারির তথ্যের বরাত দিয়ে এখবর দিয়েছে আনন্দবাজার। ভারতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের নীতি আনতে মোদি সরকারকে জোর দিতে বলছে কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএস। তবে তাদের লক্ষ্য মুসলিমদের দিকে। ক্ষমতাসীন বিজেপির কয়েকজন নেতাও মুসলিমদের সন্তান বেশি হওয়ার বিষয়ে কটাক্ষ করেছেন। লক্ষদ্বীপ ৯৬.২% এবং জম্মু ও কাশ্মীরের ৬৮.৩ মুসলমান। ভারতের মোট মুসলমানের প্রায় ৪৭%, উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং বিহার এই তিনটি রাজ্যে বাস করেন । ভারতীয় মুসলমানদের মধ্যে ৮৫% এর বেশি সুন্নি ১৩% এরও বেশি শিয়া । সারা দেশে আহমদিয়া এবং কুরআনবাদীদের ক্ষুদ্র সংখ্যালঘুও রয়েছে। ভারতে প্রায় ৩০০,০০০ এরও বেশি মসজিদ রয়েছে, যা মুসলিম বিশ্বসহ অন্য যে কোন দেশের চেয়ে বেশি।
আরবে ইসলামের আবির্ভাবের পূর্ব থেকেই আরবদের সঙ্গে ভারতীয়দের বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।ইসলামের ভারত বিজয়ের পূর্বেই দক্ষিণ এশিয়ায় ইসলামের আবির্ভাব ঘটেছিল। আরব ও উপমহাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক অবশ্য আরবে ইসলামের প্রতিষ্ঠার আগে থেকেই বজায় ছিল।সেযুগে মালাবার অঞ্চলের বন্দরগুলিতে আরব বণিকদের প্রায়শই যাতায়াত ছিল। কারণ এই বন্দরগুলি ছিল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বন্দরগুলির প্রধান যোগসূত্র।খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর প্রথম ভাগে আরব বণিক, সুফি ও ধর্মপ্রচারকদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ভারতীয় উপকূলভাগে। The first ship bearing Muslim travellers was seen on the Indian coast as early as 630 CE.( Elliot and Dowson , The History of India, as Told by Its Own Historians)সপ্তম শতাব্দীর শেষভাগে আরব মুসলমানরা প্রথম ভারতের উপকূলীয় অঞ্চলে বসতি করেন এবং স্থানীয় মেয়েদের বিয়ে করেন। The first Arab Muslims settled on the Indian coast in the last part of the 7th century CE.( H.G. Rawlinson , Ancient and Medieval History of India) ইসলামের আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে আরব জাতি বিশ্বের অন্যতম প্রধান সাংস্কৃতিক শক্তিতে পরিণত হয়। এরপর আরব বণিক ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায় বিশ্বের সর্বত্র তাদের নতুন ধর্মপ্রচারে আত্মনিয়োগ করেন।৬২৯ সালে মুহাম্মাদ (৫৭১–৬৩২ খ্রি.) এর জীবদ্দশাতেই ভারতে প্রথম মসজিদ স্থাপিত হয়।চেরামন পেরুমল নামে জনৈক ধর্মান্তরিত মুসলমানের নির্দেশে কেরলের ত্রিসূর জেলায় মালিক বিন দিনার এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। The first Indian mosque, Cheraman Juma Mosque, is thought to have been built in 629 CE by Malik Deenar although some historians say the first mosque was in Gujarat in between 610 CE to 623 CE. উল্লেখ্য, পেরুমলকেই প্রথম ভারতীয় মুসলমান মনে করা হয়।মালাবারের মাপ্পিলা সম্প্রদায়ই সম্ভবত প্রথম ভারতীয় ধর্মান্তরিত মুসলমান সম্প্রদায়। The Mappilas may have been the first community to convert to Islam.এই সম্প্রদায়ই আরব বণিকদের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা করত। এই সময় সমগ্র উপকূল জুড়ে ব্যাপক প্রচারকার্য চালানো হয় এবং বেশ কিছু স্থানীয় অধিবাসী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এই সকল নব্য ধর্মান্তরিতেরা মাপ্পিলা সম্প্রদায়ভুক্ত হয়েছিলেন। আরব বণিকদের সঙ্গে এই সম্প্রদায়ের বৈবাহিক সম্পর্কও স্থাপিত হয়েছিল।
রাজনৈতিকভাবে ভারতে তিনটি পর্যায়ে ইসলামের আগমন ঘটে ।
প্রথম পর্যায়- হিন্দুস্থানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত ইস্‌লামের সংস্পর্শে প্রথম আসে অষ্টম শতাব্দীর প্রথম দিকে।
৭১১–১২ খ্রীষ্টাব্দে, ইরাকের শাসনকর্তা হজ্জাজ এর নৌ-সেনাপতি মুহাম্মদ-বিন-কাসেম সিন্ধু (অধুনা পাকিস্তান রাষ্ট্রের সিন্ধুপ্রদেশ) জয় করে ।সিন্ধু উমাইয়া খিলাফতের পূর্ব অঞ্চলের প্রদেশে পরিণত হয়।দ্বিতীয় পর্যায়-গজনীর সুলতান মাহমুদ ১০০০ থেকে ১০২৭ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে অন্তত সতেরো-বার ভারত আক্রমণ করেছিলেন। ১০০১ খ্রীষ্টাব্দে ভারতীয় হিন্দু রাজা জয়পাল পরাজিত হলেন; ১০২৫–২৬ খ্রিস্টাব্দে মাহমুদ সোমনাথের মন্দির লুণ্ঠনের জন্য দুবার অভিযান করেন। তবু উত্তর-পশ্চিম বাদে ভারতের অন্যান্য অঞ্চলে তখনও ইস্‌লাম ছায়াপাত করেনি।তৃতীয় পর্যায়ে – সুলতান মাহমুদের প্রায় দু’শ বছর পরে মহম্মদ বিন সাম—যাঁর সহজ পরিচয় মহম্মদ ঘুরি।ঘুরি সাম্রাজ্যের অন্যতম মহান শাসক ছিলেন।তরাইনের যুদ্ধ ১১৯১ ও ১১৯২ সালে বর্তমান হরিয়ানার থানেশ্বরের নিকটে তরাইন নামক শহরের নিকটে সংঘটিত হয়। এই স্থান দিল্লি থেকে ১৫০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। মুহাম্মদ ঘুরির নেতৃত্বাধীন ঘুরি বাহিনী ও পৃথ্বীরাজ চৌহানের নেতৃত্বে চৌহান রাজপুত বাহিনীর মধ্যে এই যুদ্ধগুলো সংঘটিত হয়।১১৯২ খ্রীষ্টাব্দে তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধ থেকে দিল্লী অঞ্চলে হিন্দু রাজত্বের অবসান ঘটে। শেষ পর্যন্ত দিল্লি সুলতানির পত্তন হয়। দিল্লি সালতানাত প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইসলাম উপমহাদেশের বড় অংশে ছড়িয়ে পড়ে।মুইজউদ্দিনের বিজয় অভিযান ভারতে মুসলিম শাসনের ভিত্তি স্থাপন করে। মুইজউদ্দিনের একজন সাবেক দাস কুতুবউদ্দিন আইবেক দিল্লির প্রথম সুলতান ছিলেন। ১২০৪ সালে বখতিয়ার খিলজি বাংলা জয় করেন যা ছিল তৎকালে মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে উত্তর প্রান্ত।
দিল্লি কেন্দ্রিক সর্ব ভারতীয় শাসন:সম্রাট মোহাম্মদ ঘোরী আমল থেকে শেষ মুগল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর- ১১৯৩ – ১৮৫৭ সন পর্যন্ত ।
মামলুক বংশ (১২০৬-১২৯০ )
২) ১২০৬ কুতুবউদ্দিন আইবেক।
৩) ১২১০ আরাম শাহ ।
৪) ১২১১ ইলতুতমিস শাহ ।
৫) ১২৩৬ ফিরোজ শাহ ।
৬) ১২৩৬ সুলতানা রাজিয়া ।
( ভারতের প্রথম মুসলিম সম্রাজ্ঞী সুলতানা রাজিয়া আজ থেকে প্রায় ৮০০ শত
বছর আগে দিল্লির মসনদে বসে চার বছর ভারত শাসন করেন।)
৭) ১২৪০ বৈরাম শাহ ।
৮) ১২৪২ আলাউদ্দিন মসুদ শাহ ।
৯) ১২৪৬ নাসিরুদ্দিন মহম্মদ শাহ ।
১০)১২৬৬ গিয়াসউদ্দিন বলবান শাহ ।
১১) ১২৮৬ খুশরো মুহাম্মদ শাহ ।
১২) ১২৮৭ মইজুদ্দিন মুহাম্মদ শাহ ।
১৩) ১২৯০ শমুউদ্দিন মুহাম্মদ শাহ ।
খিলজী বংশ (১২৯০-১৩২০)
১) ১২৯০ জালালউদ্দিন ফিরোজ খিলজী ।
২) ১২৯৬ আলাউদ্দিন খিলজী ।
৩) ১৩১৬ সাহাবুদ্দিন ওমর শাহ ।
৪) ১৩১৬ কুতুবউদ্দিন মুবারক শাহ ।
৫) ১৩২০ নাসিরুদ্দিন খুশরো শাহ ।
তুঘলক বংশ (১৩২০-১৪১৪)
১) ১৩২০ গিয়াসউদ্দিন তুঘলক (প্রথম) ।
২) ১৩২৫ মহম্মদ বিন তুঘলক(দ্বিতীয়) ।
৩) ১৩৫০ ফিরোজ সাহ তুঘলক ।
৪) ১৩৮৮ গিয়াসউদ্দিন তুঘলক (দ্বিতীয়) ।
৫) ১৩৮৯ আবু বকর শাহ ।
৬) ১৩৮৯ মহম্মদ তুঘলক (তৃতীয়) ।
৭) ১৩৯৪ সিকন্দর শাহ (প্রথম) ।
৮) ১৩৯৪ নাসিরুদ্দিন শাহ (দ্বিতীয়)
৯) ১৩৯৫ নসরত সাহ
১০) ১৩৯৯ নাসিরুদ্দিন মহম্মদ শাহ দ্বিতীয় বারের জন্য ক্ষমতায়
১১) ১৪১৩ দৌলত শাহ
সৈয়দ বংশ(১৪১৪- ১৪৫১)
১) ১৪১৪ খিজির খান
২) ১৪২১ মইজুদ্দিন মুবারক শাহ (দ্বিতীয়)
৩) ১৪৩৪ মহম্মদ শাহ (চতুর্থ)
৪)১৪৪৫ আলাউদ্দিন আলম
লোদী বংশ (১৪৫১-১৫২৬)
১ ১৪৫১ বহলোল লোদী
২) ১৪৮৯ সিকন্দর লোদী (দ্বিতীয়)
৩) ১৫১৭ ইব্রাহিম লোদী
মুঘল বংশ
১) ১৫২৬ জাহিরুদ্দিন মোহাম্মদ বাবর
২) ১৫৩০ সম্রাট মোহাম্মদ হুমায়ুন
৩) (১৫৩৯ – ১৫৫৫ মোগল শাসনের সাময়িক বিরতি – বিশ্ছেদ )।
( সম্ম্রাট হুমায়ুন ১৫৩৯ সনে শের শাহ সুরী নিকট পরাজিত হয়ে ক্ষমতা হারান ।
- ১৬ বছর পর১৫৫৫ সালে দ্বিতীয় বার – আবার দিল্লির ক্ষমতায় বসেন।
সুরী বংশ -( শের শাহ সুরী – পাঠান )
১) ১৫৩৯ শের শাহ সুরী ।
২) ১৫৪৫ ইসলাম শাহ সুরী ।
৩) ১৫৫২ মহম্মদ শাহ সুরী
৪) ১৫৫৩ ইব্রাহিম শাহ সুরী
৫) ১৫৫৪ ফিরোজ শাহ সুরী
৬) ১৫৫৪ মুবারক শাহ খান সুরী
৭) ১৫৫৫ সিকন্দর শাহ সুরী
মুঘল বংশের পুনঃ আরম্ভ।
১) ১৫৫৫ হুমায়ুন দ্বিতীয় বার সিংহাসনে ক্ষমতায় আসলেন
২) ১৫৫৬ জালালউদ্দিন আকবর
৩) ১৬০৫ জাহাঙ্গীর সলীম
৪) ১৬২৮ সম্রাট মোহম্মদ শাহজাহান
৫) ১৬৫৯ সম্রাট মোহম্মদ ঔরঙ্গজেব
৬) ১৭০৭ শাহ আলম (প্রথম)
৭) ১৭১২ জহাদর শাহ
৮) ১৭১৩ ফারুকশিয়র
৯) ১৭১৯ রইফুদ রাজন শাহ
১০)১৭১৯ রইফুদ দৌল্লা
১১) ১৭১৯ নেকুশিয়ার
১২) ১৭১৯ মহমুদ শাহ
১৩) ১৩৪৮ আহমেদ শাহ
১৪) ১৭৫৪ আলমগীর শাহ
১৫) ১৭৫৯ শাহ আলম শাহ
১৬) ১৮০৬ আকবর শাহ
১৭) ১৮৩৭ বাহাদুর শাহ জাফর
১৮৫৭ মুঘল বংশ সমাপ্ত

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

যে গাছ ইহুদিদের আশ্রয় দেবে অর্থাৎ ইহুদিদের বন্ধু গাছ

রক্তপাতহীন মক্কা বিজয়ের দিন আজ

খন্দক যুদ্ধ কারণ ও ফলাফল