পোস্টগুলি

ছবি
মো.আবু রায়হানঃওশেনিয়া হিসাবে পরিচিত অঞ্চলটিতে হাজার হাজার ক্ষুদ্র দ্বীপ রয়েছে যা কোনও মহাদেশের অংশ নয়, প্রশান্ত মহাসাগরের বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে পলিনেশিয়া, মেলোনেশিয়া আর মাইক্রোনেশিয়া; প্রশান্ত মহাসাগরের এই তিন অঞ্চল এবং অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড নিয়ে ওশেনিয়া বা অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ। ওশেনিয়া বিস্তৃত ভৌগলিক মহাদেশের একটি সাধারণ শব্দ যার মধ্যে অস্ট্রেলাসিয়া, মেলেনেশিয়া, মাইক্রোনেশিয়া এবং পলিনেশিয়া রয়েছে।অস্ট্রেলিয়া ভূতাত্ত্বিকভাবে একটি মহাদেশ ।ওশেনিয়ার সীমানা বিভিন্ন উপায়ে সংজ্ঞায়িত করা হয়। বেশিরভাগ সংজ্ঞায় অস্ট্রেলিয়ার কিছু অংশ যেমন অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং নিউগিনি এবং মেরিটাইম দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু অংশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ওশেনিয়াতে ১৪ টি দেশ রয়েছে- অস্ট্রেলিয়া, মাইক্রোনেশিয়া, ফিজি, কিরিবাতি, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, নাউরু, নিউজিল্যান্ড, পালাউ, পাপুয়া নিউ গিনি, সামোয়া, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, টঙ্গা, টুভালু এবং ভানুয়াতু। ওশেনিয়া মহাদেশ এর আয়তন ৮১ লাখ ১২ হাজার বর্গ কিমি |ওশেনিয়ার ইসলাম বলতে ওশেনিয়ার ইসলাম এবং মুসলমানদের বোঝায়। বর্তমান অনুমান অনুসারে ওশ

সামোয়ায় ইসলাম ও মুসলিম

ছবি
  মো আবু রায়হানঃ স্বাধীন সামোয়া রাষ্ট্র ( Independent State of Samoa) দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত স্বাধীন দ্বীপরাষ্ট্র। সামোয়া দ্বীপপুঞ্জ দুটি ভাগে বিভক্ত পূর্ব দ্বীপপুঞ্জগুলি ১৯০৪ সালে মার্কিন অঞ্চলে পরিণত হয়েছিল এবং আজকাল তা আমেরিকান সামোয়া হিসাবে পরিচিত।পশ্চিম দ্বীপপুঞ্জগুলি পশ্চিম সামোয়া হিসাবে পরিচিতি লাভ করে।স্বাধীন সামোয়া রাষ্ট্র নিউজিল্যান্ডের প্রায় ২৯০০ কিমি উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। প্রায় ৪৮০ কিমি দীর্ঘ সামোয়ান দ্বীপপুঞ্জের বৃহত্তর পশ্চিম ভাগ নিয়ে রাষ্ট্রটি গঠিত।রাষ্ট্রটি বহুদিন যাবৎ পশ্চিম সামোয়া নামে পরিচিত ছিল। দেশটি ১৮৯৯ থেকে ১৯১৫ অবধি জার্মান সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। ১৯১৫ সাল থেকে ১৯৬২ সালে স্বাধীনতা অর্জনের আগ পর্যন্ত যৌথ ব্রিটিশ, নিউজিল্যান্ডের উপনিবেশিক প্রশাসনের মাধ্যমে দখল অব্যাহত ছিল।সামোয়া এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে বিদেশী প্রভাব ও আধিপত্যের পরে নিউজিল্যান্ড থেকে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল।দেশটি জাতিসংঘের স্বীকৃতি পায় ১৯৭৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর।১৯৯৭ সাল পর্যন্ত দেশটি পশ্চিমা সামোয়া নামে পরিচিত ছিল।১৯৯৭ সালে এটির নাম সরকারীভাবে বদলে সামোয়া রাখা হয়। রাষ্ট্রট

ফিজিতে ইসলাম ও মুসলমান

ছবি
#মো.আবু রায়হান ফিজি দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত একটি স্বাধীন দ্বীপরাষ্ট্র। এর সরকারি নাম প্রজাতন্ত্রী ফিজি দ্বীপপুঞ্জ (Republic of the Fiji Islands) । এটি অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রায় ৩,১০০ কিমি উত্তর-পূর্বে এবং হাওয়াইয়ের ৫,০০০ কিমি দক্ষিণে।পশ্চিমে ভানুয়াতু, দক্ষিণ-পশ্চিমে ক্যালাডোনিয়া, দক্ষিণ-পূর্বে নিউজিল্যান্ড, পূর্বে টোঙ্গা, উত্তরে টুভালু ও উত্তর-পূর্বে ফ্রান্স।ফিজির মূল বন্দরটি রাজধানী সুভায় অবস্থিত।ফিজি সবার কাছে দ্বীপ রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। ফিজি মোট ৩৩০টি ক্ষুদ্র দ্বীপ নিয়ে গঠিত হয়। এর মধ্যে ১০৬টি ক্ষুদ্র দ্বীপে অধিবাসীরা বসবাস করে।সবচেয়ে দূরবর্তী দ্বীপ ওয়ান-আই-লাও। সবচেয়ে জনবসতি ভিটি লেভু ও ভানুয়া লেভু দ্বীপ। এই দুটি দ্বীপেই বাস করে দেশটির প্রায় ৮৭ শতাংশ মানুষ।এখানে জনবসতি শুরু হয় খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দে। ১৯ শতাব্দীর শুরুতেই ইউরোপীয় আধিবাসীরা ফিজি এসেছিল। তারও আগে ১৬৪৩ সালে একজন ডাচ আবেল তাসমান ফিজি আসেন।১৮৭৪ সালে ব্রিটেন এখানে উপনিবেশ স্থাপন করে। এই উপনিবেশ স্থায়ী ছিল ১৯৭০ সাল পর্যন্ত। ১৯৭০ সালের ১০ অক্টোবর, ফিজি স্বাধীনতা লাভ করে। ফিজিকে প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা

ফুটবলের স্বর্গরাজ্য আর্জেন্টিনায় ইসলাম ও মুসলমান

ছবি
আর্জেন্টিনা দক্ষিণ আমেরিকার একটি রাষ্ট্র।বাংলাদেশ থেকে আর্জেন্টিনা প্রায় ১৭ হাজার ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। দেশটি উত্তরে বলিভিয়া ও প্যারাগুয়ে, উত্তর-পূর্বে ব্রাজিল, পূর্বে দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগর। এবং দক্ষিণে ড্রেক প্রণালী। বুয়েনোস আইরেস দেশটির বৃহত্তম শহর ও রাজধানী। দেশটি দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণ অংশের প্রায় পুরোটা জুড়ে অবস্থিত। আয়তনের দিক থেকে এটি দক্ষিণ আমেরিকার ২য় বৃহত্তম এবং বিশ্বের ৮ম বৃহত্তম রাষ্ট্র। আধুনিক আর্জেন্টিনার ইতিহাস ১৬শ শতকে স্পেনীয় উপনিবেশীকরণের মাধ্যমে সূচিত হয়।১৭৭৬ সালে এখানে স্পেনীয় সাম্রাজ্যের অধীনে রিও দে লা প্লাতা উপরাজ্যটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে এই উপরাজ্যের উত্তরসূরী রাষ্ট্র হিসেবে আর্জেন্টিনার উত্থান ঘটে ।প্রায় তিন শতাব্দী ধরে ঔপনিবেশিক শাসনের পর ১৮১০ সালে আর্জেন্টিনা স্বাধীনতা ঘোষণা করে এবং ১৮১৮ সালে স্পেনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার যুদ্ধবিজয় শেষ হয়। আর্জেন্টিনার জাতীয়তাবাদী বিপ্লবীরা দক্ষিণ আমেরিকার অন্যত্রও বিপ্লবে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। এরপরে দেশটিতে অনেকগুলি গৃহযুদ্ধ সংঘটিত হয়। শেষ পর্যন্ত ১৮৬১ সালে অনেকগুলি অঙ্গরাজ্যের একটি ফেডারেশন হিসেবে দ

ফুটবলের দেশ ব্রাজিলে ইসলাম ও মুসলমান

ছবি
ব্রাজিল হচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার সর্ববৃহৎ রাষ্ট্র। এছাড়াও জনসংখ্যা ও ভৌগোলিক আয়তনের দিক থেকে এটি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম দেশ। বাংলাদেশ থেকে ব্রাজিল প্রায় ১৫ হাজার ৯১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ব্রাজিলের উত্তরে রয়েছে ভেনেজুয়েলা, গায়ানা, সুরিনাম, ও ফ্রান্সের সামুদ্রিক দেপার্ত্যমঁ ফরাসি গায়ানা। এছাড়াও এর উত্তর-পশ্চিমভাগে কলম্বিয়া; পশ্চিমে বলিভিয়া ও পেরু; দক্ষিণ-পশ্চিমে আর্জেন্টিনা ও প্যারাগুয়ে, এবং সর্ব-দক্ষিণে দক্ষিণে উরুগুয়ে অবস্থিত।ব্রাজিলের সাথে চিলি ও ইকুয়েডর ব্যতীত দক্ষিণ আমেরিকার সকল দেশেরই সীমান্ত-সংযোগ রয়েছে। ১৫০০ সালে পর্তুগিজ অভিযাত্রী পেদ্রু আলভারেজ কাবরাউয়ের ব্রাজিলে এসে পৌঁছানোর পর থেকে ১৮১৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ব্রাজিল ছিলো একটি পর্তুগিজ উপনিবেশ। ১৮১৫ সালে এটি যুক্তরাজ্য, পর্তুগাল, ও আলগ্রেভিজের সাথে একত্রিত হয়ে একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থা গঠন করে। মূলত ১৮০৮ সালেই ব্রাজিলের পর্তুগিজ উপনিবেশ’ পরিচয়ে ফাটল ধরে, কারণ নেপোলিয়নের পর্তুগাল আক্রমণের রেশ ধরে পর্তুগিজ সাম্রাজ্যের কেন্দ্র লিসবন থেকে ব্রাজিলের রিও দি জানেইরুতে সরিয়ে নওয়া হয়। ১৮২২ সালে ব্রাজিল, পর্তু

আমেরিকায় ইসলামের আগমন ও বর্তমান অবস্থা

ছবি
মো.আবু রায়হানঃ আমেরিকা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র।আমেরিকার সরকারি নাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকা ( United States of America )সংক্ষেপে ইউ.এস ।প্রচলিত নামগুলি হল the U.S., the USA, ও America. মার্কিন নাগরিকেরা বাংলা ভাষায় মার্কিনী নামে পরিচিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সংক্রান্ত বিশেষণ হিসেবে মার্কিন শব্দটি ব্যবহার করা ।১৫০৭ সালে জার্মান মানচিত্রকর মার্টিন ওয়াল্ডসিম্যুলার বিশ্বের একটি মানচিত্র প্রকাশ করেন। এই মানচিত্রে তিনি ইতালীয় আবিষ্কারক ও মানচিত্রকর আমেরিগো ভেসপুচির নামানুসারে পশ্চিম গোলার্ধের নামকরণ করেন আমেরিকা। ১৪৯২ সালে ইতালীয় নাবিক কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করেন। ক্রিস্টোফার কলম্বাসের নামানুসারে কলম্বিয়া নামটি এককালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম হিসেবে ব্যবহৃত হত।ডিস্ট্রিক্ট অফ কলম্বিয়া নামের মধ্যে এই নামটির আজও অস্তিত্ব রয়েছে।আমেরিকা উত্তর আমেরিকা মহাদেশের মধ্যভাগে অবস্থিত।দেশটির পশ্চিম দিকে রয়েছে প্রশান্ত মহাসাগর এবং পূর্ব দিকে রয়েছে আটলান্টিক মহাসাগর। উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত কানাডার সাথে এবং দক্ষিনাঞ্চলে রয়েছে মেক্সিকো।ইহা উত্তর আমেরিকায় অবস্থিত ৫০ রাজ্য,

সুইজারল্যান্ডে ইসলামের আগমন ও বিকাশ

ছবি
মো.আবু রায়হানঃ  সুইজারল্যান্ড ইউরোপ মহাদেশে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র। স্থানীয় ভাষায় দেশটি সুয়াতিনি নামে পরিচিত। সুইজারল্যান্ড একটি ছোট স্থলবেষ্টিত দেশ, যার চারপাশে রয়েছে ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি এবং অস্ট্রিয়া।দেশটির পশ্চিমে ফ্রান্স, উত্তরে জার্মানি, পূর্বে অস্ট্রিয়া ও দক্ষিণে ইতালি অবস্থিত। সুইজারল্যান্ড বহুভাষী রাষ্ট্র এবং এখানকার চারটি রাষ্ট্র ভাষা রয়েছে- জার্মান, ফরাসি, ইতালীয় এবং রোমানীয়। বাকিরা স্পেনীয়, পর্তুগিজ আর তুর্কীয় ভাষায় কথা বলে।জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশই জার্মানির অধিবাসী। এরা জার্মান ভাষায় কথা বলে। ২০ শতাংশ লোকের ভাষা ফ্রান্স, আর ৪ শতাংশ মানুষের ভাষা ইতালি। সুইজারল্যান্ড ১৬৪৮ সালে রোমান সাম্রাজ্য থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে। তবে দেশটি প্রজাতন্ত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ১২৯১ সালে। সুইজারল্যান্ড ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য না হওয়ার পাশাপাশি এটি ন্যাটোর সদস্য নয়।সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে, ২০১২ সাল পর্যন্ত সুইজারল্যান্ড জাতিসংঘের সদস্য ছিল না। এটি পৃথিবীর ধনী রাষ্ট্রসমূহের অন্যতম। সুইজারল্যান্ডের ঘড়ি, ট্রেন এবং চকলেটের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। তবে সুইস ব্যাংকসমূহ পৃথিবীর সক