পোস্টগুলি

মিয়ানমারের মুসলিম ও ভাগ্যাহত রোহিঙ্গারা

ছবি
মিয়ানমার বা মায়ানমার প্রাক্তন নাম ও কথ্যরূপ বর্মা বা বার্মা । দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। মায়ানমারের আনুষ্ঠানিক নাম হল মায়ানমার প্রজাতন্ত্র । তৎকালীন বার্মার গণতান্ত্রিক সরকারের উৎখাতের পর ১৯৮৯ সালে সেখানকার সামরিক সরকার বার্মার নতুন নামকরণ করে মিয়ানমার এবং প্রধান শহর ও তৎকালীন রাজধানী রেঙ্গুনের নতুন নাম হয় ইয়াঙ্গুন।বর্তমানে মিয়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গুন থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূরে অত্যন্ত পরিকল্পিত নতুন শহর নেপিডোতে। ২১ অক্টোবর ২০১০ থেকে দেশটির জাতীয় সঙ্গীত ও নতুন জাতীয় পতাকা প্রবর্তন করা হয়।বার্মা নামটি ব্রহ্মদেশ নামটির সঙ্গে সম্পর্কিত।মিয়ানমারের মোট আয়তন ৬৭৬,৫৫২ বর্গকিলোমিটার। মায়ানমারের পশ্চিমে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগ এবং ভারতের মিজোরাম, উত্তর-পশ্চিমে ভারতের আসাম, নাগাল্যান্ড ও মণিপুর অবস্থিত। মায়ানমারের সীমানার উত্তর-পূর্বাংশের ২,১৮৫ কিলোমিটার জুড়ে আছে তিব্বত এবং চীনের ইউনান প্রদেশ। দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে লাওস ও থাইল্যান্ড। দক্ষিণ-পশ্চিম এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর ও আন্দামান সাগরের সাথে মায়ানমারের ১,৯৩০ কিলোমিটার উপকূল রেখা রয়েছে। ব্রিটিশরা বার্মাকে ভারতের

সকল ধর্মের দেশ সিঙ্গাপুরে ইসলাম ও মুসলিম

ছবি
মো.আবু রায়হানঃসিঙ্গাপুর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপরাষ্ট্র। এ দেশটি সিঙ্গাপুর দ্বীপ ও নিকটবর্তী ৬৩টি ক্ষুদ্র দ্বীপ নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে সিঙ্গাপুর দ্বীপটি গোটা দেশের মোট আয়তনের ৮৮.৫ শতাংশ। দেশটি মালয় উপদ্বীপের নিকটে অবস্থিত। এর সরকারি নাম সিঙ্গাপুর প্রজাতন্ত্র। সিঙ্গাপুর একটি ক্ষুদ্র ও ব্যাপকভাবে নগরায়িত দ্বীপরাষ্ট্র। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে মালয় উপদ্বীপের দক্ষিণতম প্রান্তে, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার মাঝখানে অবস্থিত। সিঙ্গাপুরের স্থলভূমির মোট আয়তন ৬৯৯ বর্গকিলোমিটার।এটি মালয়েশিয়া থেকে জোহর প্রণালী এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে সিঙ্গাপুর প্রণালী দ্বারা বিচ্ছিন্ন।সিঙ্গাপুরের মূল ভূখণ্ডটি একটি হীরকাকৃতি দ্বীপ, তবে এর প্রশাসনিক সীমানার ভেতরে আরও বেশ কিছু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপ অবস্থিত।সিঙ্গাপুর প্রশাসন সমুদ্রতলের মাটি, পর্বত ও অন্যান্য দেশ থেকে মাটি সংগ্রহ করে দেশটির স্থলভাগের আয়তন বৃদ্ধি করে চলেছেন। ১৯৬০-এর দশকে দেশটির আয়তন ছিল প্রায় ৫৮২ বর্গকিলোমিটার, বর্তমান এটি ৬৯৯ বর্গকিলোমিটার এবং ২০৩৩ সাল নাগাদ এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে আরও ১০০ বর্গকিলোমিটার। সিঙ্গাপুরের জনসংখ্যা ৬০ লাখ।এর মধ্যে চী

মধ্য এশিয়ায় ইসলামের আগমন ও মুসলিম রাষ্ট্র

ছবি
মো.আবু রায়হানঃমধ্য এশিয়ার পশ্চিম দিকে রয়েছে ক্যাস্পিয়ান সাগর, পূর্ব দিকে চীন, দক্ষিণে ইরান, আফগানিস্তান, দক্ষিণে পাকিস্তান এবং উত্তরে রয়েছে রাশিয়া। আধুনিক মধ্য এশিয়া গঠিত পাঁচটি প্রজাতান্ত্রিক দেশের সমন্বয়ে, সেগুলি হল- কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, তাজিকিস্তান এবং কিরগিজস্তান। কখনও কখনও চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল জিনজিয়াং এবং ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানকেও অনেক সময় এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়।তবে তাদের কোনও ভাবেই এই পাঁচটি প্রজাতন্ত্রের ইতিহাস ও সংস্কৃতির সাথে একাত্ম করা যায় না। মধ্য এশিয়ার আয়তন ৩৯ লাখ ৯৪ হজার ৩০০ বর্গ কিলোমিটার। মধ্য এশিয়া (২০১৯) এর জনসংখ্যা প্রায় ৭২ মিলিয়ন, কাজাখস্তান জনসংখ্যা ১৮ মিলিয়ন, কিরগিজস্তান ৬ মিলিয়ন, তাজিকিস্তান ৯ মিলিয়ন, তুর্কমেনিস্তান ৬ মিলিয়ন এবং উজবেকিস্তান ৩৩ মিলিয়ন । জোরোস্ট্রিয়ানিজম, বৌদ্ধধর্ম এবং ম্যানিকাইজম-সহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা সেখানে থাকতেন। অল্প সংখ্যক অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে ছিলেন কিছু নেস্টোরিয়ান খ্রিস্টান এবং ইহুদি। বর্তমানে তুর্কমেনিস্তান নামে পরিচিত এলাকার বাসিন্দারা মূলত হেলেনীয় মতে বিশ্বাসী

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ইসলামের আগমন ও মুসলমান

ছবি
মো.আবু রায়হানঃদক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া হল সমগ্র এশিয়ার একটি ক্ষুদ্র অংশ, ভৌগোলিকভাবে বলা যেতে পারে- চীনের দক্ষিণে, ভারতের পূর্বে, নিউগিনির পশ্চিমে এবং অস্ট্রেলিয়ার উত্তরে অবস্থিত দেশগুলির সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উত্তর সীমানায় পূর্ব এশিয়া, পশ্চিমে দক্ষিণ এশিয়া ও বঙ্গোপসাগর, পূর্বে ওশেনিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর এবং দক্ষিণে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত মহাসাগর অবস্থিত।দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আয়তন প্রায় ৪৫ লাখ বর্গকিলোমিটার,যা এশিয়ার ১০.৫% বা পৃথিবীর মোট স্থলভাগের ৩%। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মোট জনসংখ্যা ৬৫৫ মিলিয়নেরও বেশি, বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ৮.৫%। দক্ষিণ এশিয়া এবং পূর্ব এশিয়ার পরে এটি এশিয়ার তৃতীয় সর্বাধিক জনসংখ্যার ভৌগোলিক অঞ্চল।দক্ষিণপূর্ব এশিয়া (Southeast Asia) কথাটি সর্বপ্রথম পাওয়া যায় ১৮৩৯ সালে আমেরিকার একজন ধর্মযাজক হাওয়ার্ড ম্যালকমের ( Howard Malcom) একটি ভ্রমণ বৃত্তান্তে।যিনি আমেরিকার ব্যাপ্টিস্ট মিশনারি সোসাইটির উদ্যোগে নানা অজানা তথ্য আহরণের জন্য এই অঞ্চলে এসেছিলেন। তার বিবরনীটির শিরোনাম ছিল   Travels in South-Eastern Asia, Embracing Hindu

ফিলিপাইনে ইসলাম ও বাংসামরোর স্বায়ত্তশাসন

ছবি
মো.আবু রায়হানঃফিলিপাইন সরকারীভাবে ফিলিপাইন প্রজাতন্ত্র। ফিলিপাইন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাত হাজার ১০০ দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। সমুদ্রবেষ্ঠিত এই দেশটির আয়তন দুই লাখ ৯৯ হাজার ৪০০ বর্গ কিলোমিটার। ফিলিপাইনের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১০ কোটি ৯৮ লাখ। পারস্য উপসাগর, দক্ষিণ ভারত এবং অন্যান্য মুসলিম সালতানাত থেকে আগত মুসলিম বণিকদের মাধ্যমে ১৪'শ শতকে ফিলিপাইনে ইসলাম ধর্মের আগমন ঘটে।দেশটিতে ইসলামের প্রথম আগমন ১৩১০ সালে। আরবের ব্যবসায়ী এবং সুফি সাধকের মাধ্যমে ফিলিপাইনের সুলু ও জুলু দ্বীপে ইসলামের প্রচার ও প্রসার ঘটে। এ ক্ষেত্রে ‘তুয়ান মাশায়েখের’ নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি সুলু দ্বীপে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন এবং এখানকার গোত্রপ্রধানের কন্যাকে বিয়ে করেন। ফলে সমাজে তার প্রভাব প্রতিষ্ঠিত হয়।তিনি ছেলেমেয়েদের ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলেন। তারা মিলে ইসলামের কাজে আত্মনিয়োগ করায় ধীরে ধীরে সুলুতে ইসলামের প্রসার ঘটে। ক্রমে জুলুসহ অন্যান্য দ্বীপেও ইসলামের বিস্তার ঘটে।১৩৪০ সালে মালয় থেকে করিমুল মাখদুম নামের এক দরবেশ সুলু দ্বীপে আগমন করেন। তার উদ্যোগে মিন্দানওয়ের সুলুতে প্রথম মসজিদ নির্ম

বিভিন্ন ভাষায় কুরআনের অনুবাদ

ছবি
কুরআনের প্রথম অনুবাদ করেন সালমান দ্য পারশিয়ান, যিনি ৭ম শতকের প্রথম দিকে সূরা আল-ফাতিহাকে ফারসি ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন। হাদিসে বর্ণিত রয়েছে, আবিসিনিয়া এর সম্রাট নেগুস এবং বাইজান্টাইন সম্রাট হেরাক্লিটাস এর কাছে মুহাম্মাদ (সা.) এর কাছ থেকে চিঠি আসে যেখানে কুরআন এর আয়াত যুক্ত ছিল।যাই হোক, মুহাম্মাদ এর জীবদ্দশায় কুরআন এর কোন অংশই সেই আবিসিনিয়া ও বাইজান্টাইন এর ভাষা বা অন্য কোন ভাষায় অনুবাদ করা হয়। ১৯২৬ সালে তুরস্কে ওসমানী খেলাফত বিলুপ্তির পর তুর্কী ভাষায় কোরআন অনুবাদ প্রচেষ্টার তারা বিরোধিতা করেন। কোরআনের ইংরেজী অনুবাদক নও মুসলিম মার্মাডিউক পিকথল যখন কোরআনের অনুবাদ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন, তখন হায়দারাবাদের শাসক নিযাম তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিলেও আল-আযহার কর্তৃপক্ষ এ উদ্যোগের তীব্র বিরোধিতা করেন। অবশ্য দীর্ঘদিন পর হলেও মক্কাভিত্তিক মুসলিম সংস্থা রাবেতা আল আলমে ইসলামী আয়োজিত বিশ্বের সর্বমতের ওলামায়ে ক্বেরাম কোরআন অনুবাদের একটি ঘোষণাপত্রে সই করে এ পথের যাবতীয় বাধা অপসারণ করেন, কিন্তু এটা তো ১৯৮১ সালের কথা, মাত্র সেদিনের ঘটনা। অবশ্য এরও বহু আগে ইংরেজ লেখক জর্জ সেল কোরআনের ইংরেজী অনুবাদ