সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বিভিন্ন ভাষায় কুরআনের অনুবাদ



কুরআনের প্রথম অনুবাদ করেন সালমান দ্য পারশিয়ান, যিনি ৭ম শতকের প্রথম দিকে সূরা আল-ফাতিহাকে ফারসি ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন। হাদিসে বর্ণিত রয়েছে, আবিসিনিয়া এর সম্রাট নেগুস এবং বাইজান্টাইন সম্রাট হেরাক্লিটাস এর কাছে মুহাম্মাদ (সা.) এর কাছ থেকে চিঠি আসে যেখানে কুরআন এর আয়াত যুক্ত ছিল।যাই হোক, মুহাম্মাদ এর জীবদ্দশায় কুরআন এর কোন অংশই সেই আবিসিনিয়া ও বাইজান্টাইন এর ভাষা বা অন্য কোন ভাষায় অনুবাদ করা হয়।১৯২৬ সালে তুরস্কে ওসমানী খেলাফত বিলুপ্তির পর তুর্কী ভাষায় কোরআন অনুবাদ প্রচেষ্টার তারা বিরোধিতা করেন। কোরআনের ইংরেজী অনুবাদক নও মুসলিম মার্মাডিউক পিকথল যখন কোরআনের অনুবাদ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন, তখন হায়দারাবাদের শাসক নিযাম তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিলেও আল-আযহার কর্তৃপক্ষ এ উদ্যোগের তীব্র বিরোধিতা করেন। অবশ্য দীর্ঘদিন পর হলেও মক্কাভিত্তিক মুসলিম সংস্থা রাবেতা আল আলমে ইসলামী আয়োজিত বিশ্বের সর্বমতের ওলামায়ে ক্বেরাম কোরআন অনুবাদের একটি ঘোষণাপত্রে সই করে এ পথের যাবতীয় বাধা অপসারণ করেন, কিন্তু এটা তো ১৯৮১ সালের কথা, মাত্র সেদিনের ঘটনা। অবশ্য এরও বহু আগে ইংরেজ লেখক জর্জ সেল কোরআনের ইংরেজী অনুবাদ প্রকাশ করেছেন: ১৭৩৪ সালে এই অনুবাদ কর্মটির প্রথম খ- প্রকাশিত হয়। ১৭৬৪ সালে তার পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ মুদ্রিত হয়। ১৮২৫ সালে এটি পুনঃমুদ্রিত হয়।

মিসরের জনপ্রিয় আরবি পত্রিকা আল ইয়াউমুস সাবঈ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। ওই প্রতিবেদনে দাবী করা হয়েছে বিশ্বের প্রাচীনতম কোরআন অনুবাদকদের তালিকা এটা।প্রকাশিত তালিকাটি হলো-
ইংরেজি
ইংরেজি ভাষায় সর্বপ্রথম আলেকজান্ডার রস (Alexander Ross) নামক এক ব্যক্তি কোরআন অনুবাদ করেন। তিনি ফরাসি ভাষা থেকে ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করেন। পরবর্তীতে অনুদিত কোরআনটি অধ্যয়ন করার পর অনুবাদক নিজেই বুঝতে পারেন তার অনুবাদটি তেমন যুৎসই হয়নি। পরে তিনি ১৬৪৮ সালে সরাসরি আরবি থেকে পুনরায় অনুবাদ করেন।
ফরাসি
ইস্তাম্বুলে ফ্রান্সের কনসাল জেনারেল আন্দ্রেয়া ডুরিয়া প্রথম বারের মতো সরাসরি আরবি ভাষা থেকে ফরাসি ভাষায় পবিত্র কোরআন অনুবাদ করেন। ফরাসি ভাষায় অনুদিত কোরআন শরিফ ১৬৪৭ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়।
ইব্রীয়
হারমান রাকানডুরাফ ১৮৫৭ সালে প্রথম বারের মতো ইব্রীয় ভাষায় কোরআন অনুবাদ করেন। পাদটীকায় বিভিন্ন বিষয়ের আলোচনায় পাশ্চাত্য বিদগ্ধ চিন্তাবিদদের বেশ কিছু মতামত উল্লেখ করেছেন। অনেকটা তুলনামূলক পর্যালোচনার মতো।
স্প্যানিশ
ত্রয়োদশ শতাব্দীতে স্পেনের দশম রাজা আল ফোনসো পবিত্র কোরআনের ইসরা সূরার ব্যাখ্যা-বিশ্লেশষসহ অনুবাদ করার নির্দেশ দেন। এ কাজের জন্য তার ব্যক্তিগত ডাক্তার ইবরাহিম আল দুনকে নির্ধারণ করেন। সে হিসেবে বলা চলে, ইবরাহিম আল দুনই হলেন- স্প্যানিশ ভাষায় প্রথম কোরআনের (আংশকি) অনুবাদক।
রুশ
রুশ ভাষায় ১৭১৬ সালে সর্বপ্রথম পবিত্র কোরআন অনুবাদ করা হয়। রাশিয়ার উত্তরাঞ্চলের পিটারুগার্দ (সেন্ট পিটার্সবার্গে প্রাচীন নাম) থেকে অনুবাদকৃত কোরআনটি প্রিন্ট করা হয়। কিন্তু অনুবাদকের নাম নিয়ে মতানৈক্য রয়েছে। ওই ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, রুশ ভাষায় প্রথম কোরআন অনুবাদ করেন, পিওটর ডি পেস্টনিকভ।
ইতালিয়ান
ইতালিয়ান ভাষায় ১৫৪৭ সালে আন্দ্রে অ্যারি ভ্যারিনি (Ander Arivaben) নামক এক ব্যক্তি অনুবাদ করেন এবং এটি পৃথিবীর প্রাচীনতম কোরআনের অনুবাদের স্বীকৃতি পেয়েছে।
ডাচ
হামবুর্গে ডাচ ভাষায় অনুদিত কোরআন ১৬৪১ সালে প্রকাশিত হয়েছে। গালাজা মাকার নামের এক ব্যক্তি ডাচ ভাষায় প্রথম কোরআন অনুবাদ করেন। এ অনুদিত কোরআন শরিফটি ১৬৫৮ সালে লন্ডনে প্রকাশিত হয়েছে।
সুইডিশ
সুইডিশ ভাষায় অনুদিত কোরআন শরিফ সর্বপ্রথম ১৮৪২ সালে প্রকাশিত হয়েছে। সুইডিশ ভাষায় মরক্কোতে সুইডেনের কনসাল জেনারেল ফ্রেডেরিক হান সেবাস্টিয়ান অনুবাদটি সম্পন্ন করেন। তবে অনুবাদটি নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে।
উর্দু
উর্দু ভাষায় ১৮২৮ সালে প্রথম কোরআন অনুবাদ করে আবদুস সালাম মুহাম্মদ।
এ ছাড়া ফার্সি ভাষায় ১৮৩৭ সালে কামালুদ্দিন হোসাইন, হিন্দিতে ১৯১৬ সালে আহমদ শাহ মাসিহি, কাশ্মীরি ভাষায় ১৯৮৭ সালে মুহাম্মদ ইয়াহিয়া শাহ, গুজরাটি ভাষায় ১৮৭৯ সালে আর কারিরি লোকমান, চায়নিজ ভাষায় ১৯২৭ সালে টিয়েংলি, কোরিয়ান ভাষায় ১৯৭১ সালে মং সান কিস, আফ্রিকান ভাষায় ১৯৬০ সালে ইসমাইল আবদুর রাজ্জাক, রুমানীয় ভাষায় ১৯১২ সালে সিলডেস্ট্রো কন্ট্রাভিয়ান, জার্মান ভাষায় ১৫৪৭ সালে সলেম স্কেইজার ও সুদানি ভাষায় ১৯৭১ সালে এইচ কামরুদ্দিন সালেহ।
পবিত্র কুরআনের পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ হয়েছে যেসব ভাষায় -১.আলবেনিয়ান, আলবেনিয়া, কোসোভা (প্রাক-যোগোগ্লোভিয়া), গ্রীস, ইতালি, বুলগেরিয়া। ২. আসামি, ভারত, আসাম (উত্তর ভারত), ভুটান, বাংলাদেশ। ৩. বাংলা, বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ (ভারত)। ৪.বুলগেরিয়ান, বুলগেরিয়া, গ্রীস, রোমানিয়া, মোল্দাভিয়া, ইউক্রেন। ৫. চাইনিজ, চীন, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া, হংকং, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর। ৬. চেক, চেক প্রজাতন্ত্র, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার কিছু অংশের ভাষা। ৭. ড্যানিশ, ডেনমার্ক, ফেরো দ্বীপপুঞ্জ, গ্রিনল্যান্ড, উত্তর জার্মানি। ৮. ডাচ, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, সুরিনাম, নেদারল্যান্ডস অ্যান্টিলিস, ফ্রান্স। ৯. ইংরেজি, উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া। কিছু এশিয়া ও আফ্রিকা। ১০. এসপেরান্ত, ইস্টার্ন ইউরোপ, জাপান, চীন, হল্যান্ড। ১১. ফিজিয়ান, ফিজি দ্বীপপুঞ্জ। ১২. ফ্রেঞ্চ, ফ্রান্স, কানাডা, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, আমেরিকা। ১৩. জার্মান, জার্মানি, অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ড, লিচেনস্টাইন। ১৪. গ্রিক, গ্রীস, সাইপ্রাস, তুরস্ক। ১৫.গুজরাটী, ভারত (গুজরাট, মহারাষ্ট্র), কিছু পাকিস্তান। ১৭. গুরুমুখী, ভারত। ১৭. হুসা নাইজার, নাইজেরিয়া, ক্যামেরুন, চাদ, ঘানা, পশ্চিম আফ্রিকা। ১৮. হিন্দী, ভারত, ফিজি, সুরিনাম, গুয়াইনস, কিছু আফ্রিকা। ১৯ আইজিবিও, দক্ষিণ-পূর্ব নাইজেরিয়া। ২০. ইন্দোনেশিয়ান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরে, ব্রুনেই। ২১. ইতালিয়ান, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, সান মেরিনো, ভ্যাটিকান সিটি। ২২. জাপানিজ, জাপান। ২৩. কিউকিউই, কেনিয়া, এনইসি আফ্রিকা। ২৪. কোরিয়ান কোরিয়া (উত্তর+দক্ষিণ), চীন, জাপান, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান। ২৫. লুগান্ডা, উগান্ডা।২৬. মালয়ালাম, দক্ষিণ-পশ্চিম ভারত, কেরালা। ২৭. মালয়, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরে, ব্রুনেই, ইন্দোনেশিয়া। ২৮. মণিপুরী, ভারত (আসাম)। ২৯. মারতি, মহারাষ্ট্র (উত্তর-পশ্চিম ভারত)। ৩০. মেন্ডে, সিয়েরা লিওন, লাইবেরিয়া। ৩১. ওরিয়া, ভারত (ওড়িশা)। ৩২. পশতু পাকিস্তান, আফগানিস্তান। ৩৩. পার্সিয়ান, ইরান, আফগানিস্তান। ৩৪. পোলিশ, পোল্যান্ড, সাবেক ইউএসএসআর এর কিছু প্রজাতন্ত্র। ৩৫. পর্তুগিজ, পর্তুগাল, ব্রাজিল, অ্যাঙ্গোলা, মোজাম্বিক, গিনি বিসাউ। ৩৬. পাঞ্জাবী, ভারত, পাকিস্তান। ৩৭. রুশিয়ান, রাশিয়া, অন্য কিছু প্রাক্তন ইউএসএসআর প্রজাতন্ত্র, আফগানিস্তান, চীন। ৩৮. সরাইকি, ভারত, পাকিস্তান। ৩৯. সিন্ধি, পাকিস্তান, ভারত। ৪০. স্প্যানিশ, স্পেন , সেন্ট্রাল + দক্ষিণ আমেরিকা, মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র। ৪১. সোহেলি, মোজাম্বিক, কেনিয়া, সোমালিয়া, কমোরোস, তানজানিয়া। ৪২. সুইডিশ, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, এস্তোনিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা। ৪৩. ট্যাগালগ, ফিলিপাইনস, লুজন, ম্যানিলা, মিন্দানা। ৪৪. তামিল, শ্রীলঙ্কা, ভারত , মালয়েশিয়া। ৪৫. তেলুগু, ভারত (অন্ধ্রপ্রদেশ)। ৪৬. তুর্কিস, তুর্কি, বুলগেরিয়া, তুর্কি সাইপ্রাস। ৪৭. তিউভুল, টুভালু, নাউরু। ৪৮. উর্দু, পাকিস্তান, কিছু ভারত। ৪৯. ভিতনামিসি, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া। ৫০. ইয়োরুবা, নাইজেরিয়া , বেনিন, টোগো।
পবিত্র কুরআনের আংশিক অনুবাদ হয়েছে যেসব ভাষায় - ১. আফ্রিকান, দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া, মালাউই, জাম্বিয়া, জাম্বাবুয়ে। ২. আলবেনিয়ান, আলবেনিয়া, কোসোভা (প্রাক-যোগোস্লাভিয়া), গ্রীস, ইতালি, বুলগেরিয়া। ৩. আমহারিক, ইথিওপিয়া, সুদান। ৪. আসানতে, ঘানা, টোগো, আইভরি কোস্ট। ৫. আসামি, ভারত, আসাম (উত্তর ভারত), ভুটান, বাংলাদেশ। ৬. আজারবাইজানি, আজারবাইয়ানান, ইরান, তুরস্ক, সিরিয়া, আফগানিস্তান। ৭. বেলিনেস, ইন্দোনেশিয়া, বালি (দ্বীপ)। ৮. বালুচী, বেলুচিস্তান (পাকিস্তান), ইরান, আফগানিস্তান, বাহরাইন, ভারত। ৯. বাংলা, বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ (ভারত)। ১০. বিবিএসএ, লাইবেরিয়া, এনডাব্লিউসি আফ্রিকা। ১১. বাটাকেস, সুমাত্রা, ইন্দোনেশিয়া। ১২. বিএমবিএবি, জাম্বিয়া, জাইয়ের। ১৩. বিটিই, আইভরি কোস্ট। ১৪. ভুটানি, ভুটান। ১৫. বৌল। ১৬. বুলগেরিয়ান, বুলগেরিয়া, গ্রীস, রোমানিয়া, মোল্দাভিয়া, ইউক্রেন। ১৭. বার্মিজ, মায়ানমার (বার্মা)। ১৮. কাতালান, স্প্যানিশ, ফ্রান্স, আন্দররা, ইতালি, বেলিয়ারিক দ্বীপপুঞ্জ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ১৯. সিচিয়াওয়ালা। ২০. চাইনিজ। ২১. CHIYAO। ২২. ক্রোয়েলি, মরিশাস, হাইতি। ২৩.চেক, চেক প্রজাতন্ত্র, আমেরিকা ও কানাডার কিছু। ২৪. দাগবানী, ঘানা, টোগো। ২৫. ড্যানিশ, ডেনমার্ক, ফেরো দ্বীপপুঞ্জ, গ্রীনল্যান্ড, উত্তর জার্মানি। ২৬. DOGR। ২৭.DUSUN। ২৮. ডাচ, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, সুরিনাম, নেদারল্যান্ডস অ্যান্টিলিস, ফ্রান্স। ২৯. ইংলিশ, উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, কিছু এশিয়া ও আফ্রিকা। ৩০. এসপারেন্তো, পূর্ব ইউরোপ, জাপান, চীন , তাইওয়ান, মালয়েশিয়া, হংকং, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর। ৩১. স্টোনিয়ান, এস্তোনিয়া, লাতভিয়া, রাশিয়া। ৩২. EW, ঘানা, দক্ষিণ টোগো, দক্ষিণ বেনিন। ৩৩. ফ্যান্টা, ঘানা, আইভরি কোস্ট, টোগো। ২৪. ফিজিয়ান, ফিজি দ্বীপপুঞ্জ। ৩৫. ফিনিশ, ফিনল্যান্ড, সুইডেন, এস্তোনিয়া, নরওয়ে, রাশিয়ায়। ৩৬. ফ্রেঞ্চ, ফ্রান্স, কানাডা, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ৩৭. ফুলা, নাইজেরিয়া, গিনি, সেনেগাল, পশ্চিম আফ্রিকার বুলে। ৩৮. GA, ঘানা, টোগো, বেনিন। ৩৯. জার্জিয়ান, জর্জিয়ান প্রজাতন্ত্র, আজারবাইজান, তুরস্ক, ইরান। ৪০. জার্মান, জার্মানি, অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ড, লিচেনস্টাইন। ৪১. গ্রীক, গ্রীস, সাইপ্রাস, তুরস্ক (এবং পার্শ্ববর্তী এলাকা)। ৪২. গুজরাটি, ভারত (গুজরাট, মহারাষ্ট্র), কিছু পাকিস্তান। ৪৩. গুরুমুখি, ভারত। ৪৪. হাওসা, নাইজার, নাইজেরিয়া, ক্যামেরুন, চাদ, ঘানা, পশ্চিম আফ্রিকা। ৪৫. হিব্রু, ইজরায়েল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ। ৪৬. হিন্দি, ভারত, ভারত, ফিজি, সুরিনাম, গুয়াইনস, কিছু আফ্রিকা। ৪৭. হাঙ্গারিয়ান, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, চেক এবং স্লোভাক প্রজাতন্ত্র, ইয়োগোস্লাভিয়া। ৪৮. আইজিবিবি, দক্ষিণ-পূর্ব নাইজেরিয়া। ৪৯. ইন্দোনেশিয়ান, ইন্দোনেশিয়া , মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরে, ব্রুনাই। ৫০. আইরিশ, আয়ারল্যান্ড৫১. ইটালিয়ান, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, সান মেরিনো, ভ্যাটিকান সিটি। ৫২. জাপানিজ, জাপান। ৫৩. জাভানেস, ইন্দোনেশিয়া (জাভা), মালয়েশিয়া, সুরিনাম। ৫৪. জুলা। ৫৫. কান্নাডা, দক্ষিণ-পশ্চিম ভারত (কর্ণাটক) । ৫৬. কাশ্মীরী, কাশ্মির (উত্তর ভারত / পাকিস্তান)। ৫৭. কিকাম্বা, এনইসি আফ্রিকা। ৫৮. কিংকংগো, জাইরে, অ্যাঙ্গোলা, কঙ্গো। ৫৯.কিআইকিউইইউ, কেনিয়া, এনইসি আফ্রিকা। ৬০. কোরিয়ান, কোরিয়া (উত্তর + দক্ষিণ), চীন, জাপান, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান। ৬১. কেপেলি, গিনি, লাইবেরিয়া। ৬২. কুর্দিশ, ইরাক, তুরস্ক, ইরান। ৬৩. লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, ইউক্রেন, এস্তোনিয়া, বেলোরুসিয়া। ৬৪. লিনগাল, এনডাব্লিউসি আফ্রিকা। ৬৫. লিথুয়ানিয়ান, লিত্ভা। ৬৬. লিগান্ডা, উগান্ডা। ৬৭. মাদিনকা, গিনি, মালি। ৬৮. মালয়, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরে, ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়ান। ৬৯. মালয়ালাম, দক্ষিণ-পশ্চিম ভারত, কেরালা। ৭০. মণিপুরী, ভারত (আসাম)। ৭১. মোরি, নিউজিল্যান্ড। ৭২. মারাঠি, মহারাষ্ট্র (উত্তর-পশ্চিম ভারত)। ৭৩. মেন্ডে, সিয়েরা লিওন, লাইবেরিয়া। ৭৪. NAYANJA। ৭৫.নেপালি, ভারত। ৭৬. নওরোজিয়ান, নরওয়ে, ডেনমার্ক। ৭৭. NZEMA। ৭৮. উড়িয়া, (উড়িষ্যা)। ৭৯. অরমো, ইথিওপিয়া, কেনিয়া। ৮০. পস্তু, পাকিস্তান, আফগানিস্তান। ৮১. পার্সিয়ান, ইরান, আফগানিস্তান। ৮২. পোলিশ, পোল্যান্ড, সাবেক ইউএসএসআর এর কিছু প্রজাতন্ত্র। ৮৩. পর্তুগিজ, ব্রাজিল, অ্যাঙ্গোলা, মোজাম্বিক, গিনি বিসাউ। ৮৪. পাঞ্জাবি, ভারত, পাকিস্তান। ৮৫. রোমানিয়া, ভওভোডিন, গ্রীস, আলবেনিয়া, বুলগেরিয়া, মোল্দাভিয়া। ৮৬. রাশিয়ান, রাশিয়া, কিছু অন্যান্য সাবেক মার্কিনএসআর প্রজাতন্ত্র, আফগানিস্তান, চীন। ৮৭.সামোয়ান, সামোয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, নিউজিল্যান্ড, ফিজি। ৮৮. সারেকি, ভারত, পাকিস্তান। ৮৯. এসআরবিও-ক্রোট, বসনিয়া, ক্রোয়েশিয়া, সার্বিয়া + মন্টিনিগ্রো (ল্যাটিন স্ক্রিপ্ট)। ৯০. সিন্ধী, পাকিস্তান (সিন্ধু), ভারত। ৯১. সিনহালা, শ্রীলঙ্কা। ৯২. স্প্যানিশ, স্পেন, সেন্ট্রাল + দক্ষিণ আমেরিকা, মেক্সিকো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ৯৩. সুদানেস, ইন্দোনেশিয়া (ওয়েস্টার্ন জাভা) । ৯৪. সূরান। ৯৫. সোহেলিয়া, মোজাম্বিক, কেনিয়া, সোমালিয়া, কমোরোস, তানজানিয়া। ৯৬. সুইডিশ, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, এস্তোনিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা। ৯৭. তাগালগ, ফিলিপাইনস, লুজন, ম্যানিলা, মিন্দানাও। ৯৮.তামিল, শ্রীলংকা, ভারত, মালয়েশিয়া। ৯৯. তেলেগু, ইন্ডিয়া (অন্ধ্রপ্রদেশ) । ১০০.তেমিন, সিয়েরা লিওন। ১০১.টঙ্গান, টঙ্গা। ১০২. শিলুবা। ১০৩. তুর্কী, তুরস্ক, বুলগেরিয়া, তুর্কি সাইপ্রাস। ১০৪. টুভালু, টুভালু, নাউরু। ১০৫. ইউক্রেনিয়ান, ইউক্রেন, পোল্যান্ড, চেক, স্লোভাক রেপুলিকস, সাবেক ইউএসএসআর। ১০৬. উর্দু, পাকিস্তান, ভারত। ১০৭. ভিআই, লাইবেরিয়া, সিয়েরা লিওন। ১০৮. ভিটনামস, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া। ১০৯. ওয়ালে। ১১০. ওয়েলস, যুক্তরাজ্য। ১১১. এক্সহোসা, দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১২. ইয়ুও, দক্ষিণ চীন, উত্তর লাওস, থাইল্যান্ড, মালাউই, মোজাম্বিক। ১১৩. ঈদ্দিশ, ইজরায়েল, সেন্ট্রাল ও ইস্টার্ন ইউরোপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ১১৪. ইয়ুরুবা, নাইজেরিয়া, বেনিন, টোগো।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সুফফা ইসলামের প্রথম আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

মো.আবু রায়হান:  সুফফা মসজিদে নববির একটি স্থান। যেখানে একদল নিঃস্ব মুহাজির যারা মদিনায় হিজরত করেন এবং বাসস্থানের অভাবে মসজিদে নববির সেই স্থানে থাকতেন।এটি প্রথমদিকে মসজিদ উত্তর-পূর্ব কোণায় ছিল এবং রাসুলের আদেশে এটাকে পাতার ছাউনি দিয়ে ছেয়ে দেয়া হয় তখন থেকে এটি পরিচিতি পায় আল-সুফফা বা আল-জুল্লাহ নামে। ( A Suffah is a room that is covered with palm branches from date trees, which was established next to Al-Masjid al-Nabawi by Islamic prophet Muhammad during the Medina period.)। মোটকথা রাসুল (সা) মসজিদে-নববির চত্ত্বরের এক পাশে আস সুফফা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সুফফা হলো ছাদবিশিষ্ট প্রশস্ত স্থান। সুফফার আকৃতি ছিল অনেকটা মঞ্চের মতো, মূল ভূমির উচ্চতা ছিল প্রায় অর্ধমিটার। প্রাথমিক পর্যায়ে এর দৈর্ঘ্য ছিল ১২ মিটার এবং প্রস্থ ছিল ৮ মিটার। মসজিদে নববির উত্তর-পূর্বাংশে নির্মিত সুফফার দক্ষিণ দিকে ছিল রাসুলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর স্ত্রীদের অবস্থানের হুজরা এবং সংলগ্ন পশ্চিম পাশে ছিল মেহরাব।আসহাবে সুফফা অৰ্থ চত্বরবাসী। ঐ সকল মহৎ প্ৰাণ সাহাবি আসহাবে সুফফা নামে পরিচিত, যারা জ্ঞানার্জনের জন্য ভোগবিলাস ত্যা...

খন্দক যুদ্ধ কারণ ও ফলাফল

#মো. আবু রায়হান ইসলামের যুদ্ধগুলোর মধ্যে খন্দকের যুদ্ধ অন্যতম। ৫ হিজরির শাওয়াল মাসে খন্দকের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। নবীজি (সা.) মদিনায় আসার আগে সেখানে বড় দুটি ইহুদি সম্প্রদায় বসবাস করত। বনু নাজির ও বনু কোরায়জা। ইহুদিদের প্ররোচনায় কুরাইশ ও অন্যান্য গোত্র মদিনার মুসলমানদের সঙ্গে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করে। খন্দকের এই যুদ্ধ ছিল মদিনার ওপরে গোটা আরব সম্প্রদায়ের এক সর্বব্যাপী হামলা এবং কষ্টকর অবরোধের এক দুঃসহ অভিজ্ঞতা। এসময় ২৭দিন ধরে আরব ও ইহুদি গোত্রগুলি মদিনা অবরোধ করে রাখে। পারস্য থেকে আগত সাহাবি সালমান ফারসির পরামর্শে হযরত মুহাম্মদ (স:) মদিনার চারপাশে পরিখা খননের নির্দেশ দেন। প্রাকৃতিকভাবে মদিনাতে যে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিল তার সাথে এই ব্যবস্থা যুক্ত হয়ে আক্রমণ কারীদেরকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে। জোটবাহিনী মুসলিমদের মিত্র মদিনার ইহুদি বনু কোরায়জা গোত্রকে নিজেদের পক্ষে আনে যাতে তারা দক্ষিণ দিক থেকে শহর আক্রমণ করে। কিন্তু মুসলিমদের তৎপরতার ফলে তাদের জোট ভেঙে যায়। মুসলিমদের সুসংগঠিত অবস্থা, জোটবাহিনীর আত্মবিশ্বাস হ্রাস ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে শেষপর্যন্ত আক্রমণ ব্যর্থ হয়।এই যুদ্ধে জয়ের ফলে ইসল...

কাবা ঘর নির্মাণের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

মো. আবু রায়হানঃ কাবা মুসলমানদের কিবলা, অর্থাৎ যে দিকে মুখ করে নামাজ পড়ে বা সালাত আদায় করে, পৃথিবীর যে স্থান থেকে কাবা যে দিকে মুসলমানগণ ঠিক সে দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করেন। হজ্জ এবং উমরা পালনের সময় মুসলমানগণ কাবাকে ঘিরে তাওয়াফ বা প্রদক্ষিণ করেন।কাবা শব্দটি এসেছে আরবি শব্দ মুকাআব অর্থ ঘন থেকে।কাবা একটি বড় ঘন আকৃতির ইমারত। (The Kaaba, meaning cube in Arabic, is a square building elegantly draped in a silk and cotton veil.)।যা সৌদি আরবের মক্কা শহরের মসজিদুল হারাম মসজিদের মধ্যখানে অবস্থিত। প্রকৃতপক্ষে মসজিদটি কাবাকে ঘিরেই তৈরি করা হয়েছে।কাবার ভৌগোলিক অবস্থান ২১.৪২২৪৯৩৫° উত্তর ৩৯.৮২৬২০১৩° পূর্ব।পৃথিবীর সর্বপ্রথম ঘর বায়তুল্লাহ বা পবিত্র কাবা ঘর ।আল্লাহ বলেন, নিশ্চয় সর্বপ্রথম ঘর যা মানুষের জন্য নির্মিত হয়েছে তা মক্কা নগরীতে। (সুরা আল ইমরান - ৯৬)। “প্রথম মাসজিদ বায়তুল্লাহিল হারাম তারপর বাইতুল মাকদিস, আর এ দুয়ের মধ্যে সময়ের ব্যবধান হলো চল্লিশ বছরের”।(মুসলিম- ৫২০)। ভৌগোলিকভাবেই গোলাকার পৃথিবীর মধ্যস্থলে কাবার অবস্থান। ইসলামের রাজধানী হিসেবে কাবা একটি সুপরিচিত নাম। পৃথিবীতে মাটির সৃষ্টি ...