পোস্টগুলি

মধ্য এশিয়ায় ইসলামের আগমন ও মুসলিম রাষ্ট্র

ছবি
মো.আবু রায়হানঃমধ্য এশিয়ার পশ্চিম দিকে রয়েছে ক্যাস্পিয়ান সাগর, পূর্ব দিকে চীন, দক্ষিণে ইরান, আফগানিস্তান, দক্ষিণে পাকিস্তান এবং উত্তরে রয়েছে রাশিয়া। আধুনিক মধ্য এশিয়া গঠিত পাঁচটি প্রজাতান্ত্রিক দেশের সমন্বয়ে, সেগুলি হল- কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, তাজিকিস্তান এবং কিরগিজস্তান। কখনও কখনও চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল জিনজিয়াং এবং ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানকেও অনেক সময় এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়।তবে তাদের কোনও ভাবেই এই পাঁচটি প্রজাতন্ত্রের ইতিহাস ও সংস্কৃতির সাথে একাত্ম করা যায় না। মধ্য এশিয়ার আয়তন ৩৯ লাখ ৯৪ হজার ৩০০ বর্গ কিলোমিটার। মধ্য এশিয়া (২০১৯) এর জনসংখ্যা প্রায় ৭২ মিলিয়ন, কাজাখস্তান জনসংখ্যা ১৮ মিলিয়ন, কিরগিজস্তান ৬ মিলিয়ন, তাজিকিস্তান ৯ মিলিয়ন, তুর্কমেনিস্তান ৬ মিলিয়ন এবং উজবেকিস্তান ৩৩ মিলিয়ন । জোরোস্ট্রিয়ানিজম, বৌদ্ধধর্ম এবং ম্যানিকাইজম-সহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা সেখানে থাকতেন। অল্প সংখ্যক অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে ছিলেন কিছু নেস্টোরিয়ান খ্রিস্টান এবং ইহুদি। বর্তমানে তুর্কমেনিস্তান নামে পরিচিত এলাকার বাসিন্দারা মূলত হেলেনীয় মতে বিশ্বাসী

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ইসলামের আগমন ও মুসলমান

ছবি
মো.আবু রায়হানঃদক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া হল সমগ্র এশিয়ার একটি ক্ষুদ্র অংশ, ভৌগোলিকভাবে বলা যেতে পারে- চীনের দক্ষিণে, ভারতের পূর্বে, নিউগিনির পশ্চিমে এবং অস্ট্রেলিয়ার উত্তরে অবস্থিত দেশগুলির সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উত্তর সীমানায় পূর্ব এশিয়া, পশ্চিমে দক্ষিণ এশিয়া ও বঙ্গোপসাগর, পূর্বে ওশেনিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর এবং দক্ষিণে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত মহাসাগর অবস্থিত।দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আয়তন প্রায় ৪৫ লাখ বর্গকিলোমিটার,যা এশিয়ার ১০.৫% বা পৃথিবীর মোট স্থলভাগের ৩%। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মোট জনসংখ্যা ৬৫৫ মিলিয়নেরও বেশি, বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ৮.৫%। দক্ষিণ এশিয়া এবং পূর্ব এশিয়ার পরে এটি এশিয়ার তৃতীয় সর্বাধিক জনসংখ্যার ভৌগোলিক অঞ্চল।দক্ষিণপূর্ব এশিয়া (Southeast Asia) কথাটি সর্বপ্রথম পাওয়া যায় ১৮৩৯ সালে আমেরিকার একজন ধর্মযাজক হাওয়ার্ড ম্যালকমের ( Howard Malcom) একটি ভ্রমণ বৃত্তান্তে।যিনি আমেরিকার ব্যাপ্টিস্ট মিশনারি সোসাইটির উদ্যোগে নানা অজানা তথ্য আহরণের জন্য এই অঞ্চলে এসেছিলেন। তার বিবরনীটির শিরোনাম ছিল   Travels in South-Eastern Asia, Embracing Hindu

ফিলিপাইনে ইসলাম ও বাংসামরোর স্বায়ত্তশাসন

ছবি
মো.আবু রায়হানঃফিলিপাইন সরকারীভাবে ফিলিপাইন প্রজাতন্ত্র। ফিলিপাইন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাত হাজার ১০০ দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। সমুদ্রবেষ্ঠিত এই দেশটির আয়তন দুই লাখ ৯৯ হাজার ৪০০ বর্গ কিলোমিটার। ফিলিপাইনের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১০ কোটি ৯৮ লাখ। পারস্য উপসাগর, দক্ষিণ ভারত এবং অন্যান্য মুসলিম সালতানাত থেকে আগত মুসলিম বণিকদের মাধ্যমে ১৪'শ শতকে ফিলিপাইনে ইসলাম ধর্মের আগমন ঘটে।দেশটিতে ইসলামের প্রথম আগমন ১৩১০ সালে। আরবের ব্যবসায়ী এবং সুফি সাধকের মাধ্যমে ফিলিপাইনের সুলু ও জুলু দ্বীপে ইসলামের প্রচার ও প্রসার ঘটে। এ ক্ষেত্রে ‘তুয়ান মাশায়েখের’ নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি সুলু দ্বীপে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন এবং এখানকার গোত্রপ্রধানের কন্যাকে বিয়ে করেন। ফলে সমাজে তার প্রভাব প্রতিষ্ঠিত হয়।তিনি ছেলেমেয়েদের ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলেন। তারা মিলে ইসলামের কাজে আত্মনিয়োগ করায় ধীরে ধীরে সুলুতে ইসলামের প্রসার ঘটে। ক্রমে জুলুসহ অন্যান্য দ্বীপেও ইসলামের বিস্তার ঘটে।১৩৪০ সালে মালয় থেকে করিমুল মাখদুম নামের এক দরবেশ সুলু দ্বীপে আগমন করেন। তার উদ্যোগে মিন্দানওয়ের সুলুতে প্রথম মসজিদ নির্ম

বিভিন্ন ভাষায় কুরআনের অনুবাদ

ছবি
কুরআনের প্রথম অনুবাদ করেন সালমান দ্য পারশিয়ান, যিনি ৭ম শতকের প্রথম দিকে সূরা আল-ফাতিহাকে ফারসি ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন। হাদিসে বর্ণিত রয়েছে, আবিসিনিয়া এর সম্রাট নেগুস এবং বাইজান্টাইন সম্রাট হেরাক্লিটাস এর কাছে মুহাম্মাদ (সা.) এর কাছ থেকে চিঠি আসে যেখানে কুরআন এর আয়াত যুক্ত ছিল।যাই হোক, মুহাম্মাদ এর জীবদ্দশায় কুরআন এর কোন অংশই সেই আবিসিনিয়া ও বাইজান্টাইন এর ভাষা বা অন্য কোন ভাষায় অনুবাদ করা হয়। ১৯২৬ সালে তুরস্কে ওসমানী খেলাফত বিলুপ্তির পর তুর্কী ভাষায় কোরআন অনুবাদ প্রচেষ্টার তারা বিরোধিতা করেন। কোরআনের ইংরেজী অনুবাদক নও মুসলিম মার্মাডিউক পিকথল যখন কোরআনের অনুবাদ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন, তখন হায়দারাবাদের শাসক নিযাম তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিলেও আল-আযহার কর্তৃপক্ষ এ উদ্যোগের তীব্র বিরোধিতা করেন। অবশ্য দীর্ঘদিন পর হলেও মক্কাভিত্তিক মুসলিম সংস্থা রাবেতা আল আলমে ইসলামী আয়োজিত বিশ্বের সর্বমতের ওলামায়ে ক্বেরাম কোরআন অনুবাদের একটি ঘোষণাপত্রে সই করে এ পথের যাবতীয় বাধা অপসারণ করেন, কিন্তু এটা তো ১৯৮১ সালের কথা, মাত্র সেদিনের ঘটনা। অবশ্য এরও বহু আগে ইংরেজ লেখক জর্জ সেল কোরআনের ইংরেজী অনুবাদ

আজারবাইজান-আর্মেনিয়া দ্বন্দ্ব এবং ফিরে দেখা ইতিহাস

ছবি
  মো.আবু রায়হানঃ১৯৯১ সালের আগে পর্যন্ত আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান, দুটি দেশই ছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পর দুটি স্বাধীন দেশ হিসেবে তারা আলাদা হয়।আজারবাইজান সরকারী নাম আজারবাইজান প্রজাতন্ত্র । এশিয়া মহাদেশের একটি প্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্র।আয়তন ৮৬ হাজার ৬০০বর্গকিলোমিটার। আয়তন ও জনসংখ্যার দিকে থেকে এটি ককেশীয় রাষ্ট্রগুলির মধ্যে বৃহত্তম। দেশটির উত্তরে রাশিয়া, পূর্বে কাস্পিয়ান সাগর, দক্ষিণে ইরান, পশ্চিমে আর্মেনিয়া, উত্তর-পশ্চিমে জর্জিয়া। এছাড়াও ছিটমহল নাখশিভানের মাধ্যমে তুরস্কের সাথে আজারবাইজানের একচিলতে সীমান্ত আছে। আজারবাইজানের রাষ্ট্রভাষা আজারবাইজানি। কাস্পিয়ান সাগরতীরে অবস্থিত বন্দর শহর বাকু আজারবাইজানের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। ১৯২২ সালে দেশটি আন্তঃককেশীয় সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের অংশ হিসেবে সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৩৬ সালে সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রটি ভেঙে তিনটি আলাদা প্রজাতন্ত্র আজারবাইজান, জর্জিয়া ও আর্মেনিয়াতে ভেঙে দেওয়া হয়। ১৯৯১ সালের ২০শে অক্টোবর আজারবাইজান স্বাধীনতা লাভ করে। এখনও নাগোর্নো-কারাবাখ ও আরও ৭টি

ওআইসি গঠন ও পরিচিতি

ছবি
মো.আবু রায়হানঃইসলামী সহযোগিতা সংস্থা বা সংক্ষেপে ওআইসি একটি আন্তর্জাতিক ইসলামী সংস্থা। জাতিসংঘের পরই দ্বিতীয় বৃহৎ আন্তদেশীয় সংগঠন হচ্ছে ওআইসি। প্রায় ১৮০ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে এ সংস্থা।প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ইসলামী খেলাফত ব্যবস্থা ভেঙে যায় এবং মুসলিম দেশগুলো সাম্রাজ্যবাদী ঔপনিবেশিক শক্তিগুলোর নানা অবিচারের শিকার হয়। যদিও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মুসলিম দেশগুলো ধীরে ধীরে স্বাধীন হতে থাকে, তবু খেলাফতব্যবস্থার শূন্যতা ও ঔপনিবেশিক শাসনের ক্ষত রয়ে যায় প্রায় প্রতিটি দেশেই, বিশেষত ইসলামের প্রথম কিবলা ও রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর স্মৃতিবাহী আল-আকসা মসজিদ এবং ফিলিস্তিন ইস্যু মুসলিম উম্মাহকে দারুণভাবে হতাশ ও মর্মাহত করে।১৯৬৭ সালের ছয়দিনের যুদ্ধের পর ১৯৬৯ সালের ২১ আগস্ট ইসরাইল জেরুজালেমের পবিত্র মসজিদুল আকসায় অগ্নিসংযোগ করে। এর ফলে সমগ্র মুসলিম বিশ্বে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।উল্লেখ্য, মক্কা মুয়াজ্জেমায় অবস্থিত বায়তুল্লাহ মুসলমানের কিবলাহ নির্ধারণের আগে মসজিদুল আকসা ছিল মুসলমানদের সর্বপ্রথম কিবলাহ। অগ্নিসংযোগের সময় জেরুজালেমের প্রধান মুফতি ছিলেন আমিন আল হুসাইনি। তিনিই সর্বপ্রথম ঘটনাটি বিশ্ব