পোস্টগুলি

কবর থেকে হাশর মুমিনের প্রশ্ন ব্যাংক

ছবি
প্রতিটি প্রাণীর জন্য মৃত্যু অবধারিত। মৃত্যু থেকে পালানোর কোনো পথ নেই। মহান আল্লাহু তায়ালা বলেন, ‘কুল্লু নাফসিন যা-ইকাতুল মাওত’ অর্থাৎ প্রতিটি প্রাণকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতেই হবে)। (সুরা আল ইমরান আয়াত- ১৮৫ )। মৃত্যুর পরে আমাদের পরবর্তী ঠিকানা কবর । কবর হলো তৃতীয় জগৎ। আখেরাতের প্রথম মনজিল। কবরকে আমরা ওয়েটিং রুম হিসেবে বুঝে নিতে পারি। ওয়েটিং রুমে যেমন মানুষ তার পরবর্তী অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে, আরামের হবে কিংবা কষ্টের হবে। আরামের হলে হেসেখেলে সময় পার করে। কষ্টের হলে এক ঘণ্টা এক বছরের মতো মনে হয় তারপরও সময় যেতে চায় না। অনুরূপ প্রত্যেকের কবরে কবরবাসীকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে সে জান্নাতি না জাহান্নামি। জান্নাতি হলে সে বড় আরামে সময় পার করবে। আর জাহান্নামি হলে বড় কষ্টে সময় অতিবাহিত করবে। এ কবর এমন এক ঘাঁটি যেখানে সাহায্যের বা বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজন বলতে কেউই থাকবে না। শুধুই নেক আমল হবে তার সাথী। দুনিয়ার হায়াতে নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত, কুরআন তেলাওয়াতসহ ইত্যাদি নেক আমল তাকে আজাব থেকে রক্ষা করবে। নবী করিম (সা) বলেন, বান্দাকে যখন কবরে রেখে তার সঙ্গীরা বিদায় নিয়ে চলে যায়, সে তাদের পায়ের জুতা বা

সাদা কালো বৈষম্যে আমেরিকা, ইসলাম বলে সমানাধিকার

ছবি
মো.আবু রায়হানঃআমেরিকার মিনেসোটা অঙ্গরাষ্ট্রের পুলিশ প্রকাশ্য রাস্তায় জর্জ ফ্লয়েড নামে রেস্তোরাঁয় নিরাপত্তাকর্মী এক কৃষ্ণাঙ্গের গলা হাঁটু দিয়ে চেপে ধরেছে। মৃত্যু যন্ত্রণায় ফ্লয়েড বারবার বলছে, 'আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না।' তার মুখ দিয়ে ফেনা বেরিয়ে আসছে। মৃত্যুর আগে পানি চেয়ে অনুরোধ জানায় পুলিশকে। পথচারীরাও অনুরোধ করে ফ্লয়েডকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। পাশে আরও পুলিশ ছিল একজন মানুষকে বাঁচানোর কোনও চেষ্টায় করেনি। মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতর ফ্লয়েডের অনুরোধ পুলিশ অফিসারের কানে যায়নি। মৃত্যুযন্ত্রণা তাকে এতটুকু টলাতে পারেনি। রীতিমতো হাঁটু দিয়ে মাটিতে পিষতে থাকে পুলিশ । ওই অবস্থায় কয়েক মিনিট ছটফট করতে করতে ফ্লয়েড নিস্তেজ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।এই হল তথাকথিত আধুনিক সভ্যতার দাবিদার আমেরিকার সাম্প্রতিককালের বর্ণবাদের ভয়ঙ্কর চিত্র। ইংরেজি রেস থেকে রেসিজম তথা বর্ণবাদ কথাটির উদ্ভব। এক্ষেত্রে মানুষের গাত্রবর্ণ, সামাজিক শ্রেণি, বংশ পরিচয় ও জন্মস্থানের উপর ভিত্তি করে মানুষে মানুষে বিভক্ত করে কোন জাতি বা গোষ্ঠী তাদের উপর প্রাধান্য বিস্তারের চেষ্টা করলে তাকে বর্ণবাদ বলে। উইলিয়াম জে. `Races &

ফিঙ্গারপ্রিন্টের আবিষ্কারক কাজী সৈয়দ মুহম্মদ আজিজুল হক

ছবি
কাজী সৈয়দ মুহম্মদ আজিজুল হক মো.আবু রায়হান ফিঙ্গার প্রিন্ট মহান আল্লাহ্ তায়ালার বিশেষ এক সৃষ্টি। ব্যক্তি সনাক্তকরণে বহুল ব্যবহৃত একটি পদ্ধতি হল ফিঙ্গার প্রিন্ট (আঙ্গুলের ছাপ)।পৃথিবীতে এ পর্যন্ত যত মানুষ ছিল, আছে এবং আসবে তাদের প্রত্যেকের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সম্পূর্ণ আলাদা।কারো সাথে কখনোই এটি মিলবে না।বিশ্বের সাড়ে সাতশ কোটি মানুষের প্রত্যক্যের ফিঙ্গার প্রিন্ট আলাদা।মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, মানুষ কি মনে করে যে, আমি (আল্লাহ) তার অস্থিসমূহ একে অন্যর সাথে একত্রিত করব? তাহলে তাদের বলো কেবল এই নয়, আমি তার আঙ্গুলের ডগা (আঙ্গুলের ছাপ) পর্যন্ত আলাদা করতে সক্ষম।(সূরা কিয়ামাহ আয়াত,৩-৪)। দুই ব্যক্তির আঙ্গুলের ছাপের পার্থক্য এতই আপেক্ষিক ও সূক্ষ্ম যে, কেবল অভিজ্ঞ ব্যক্তিই উপযুক্ত যন্ত্রপাতির মাধ্যমে তা শনাক্ত করতে পারে। এটি কোরআন মাজিদের অপর এক মোজেজা তা এই বাস্তবতার বর্ণনা দিয়েছে মানুষ তা ধারণা করারও বহু আগে। পৃথিবীতে এমন কোনো ব্যক্তি পাওয়া যাবে না যার আঙ্গুলে ছাপ অন্য কোনো ব্যক্তির সাথে হুবহু মিলে যাবে। Human fingerprints are detailed, nearly unique, difficult to alter, and durable over

জালিমের কারাগারে বন্দি কুরআনের হফেজা ও স্নায়ুবিজ্ঞানী আফিয়া

ছবি
মো.আবু রায়হানঃ যেদিন আফিয়ার কাহিনি পড়ি সেদিন চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি।মনে মনে স্থির করে রেখেছিলাম একদিন আফিয়াকে নিয়ে এই অধম কিছু লিখবে। অনেক দিন পর তার সম্পর্কে কিছু লেখার সুযোগ হলো।ড. আফিয়া সিদ্দিকী যিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বিখ্যাত একজন মুসলিম স্নায়ুবিজ্ঞানী।তিনি ১৯৭২ সালের ২ মার্চ পাকিস্তানের করাচির অত্যন্ত দ্বীনদার, সম্ভ্রান্ত অভিজাত ও উচ্চ শিক্ষিত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।তার বাবা মুহাম্মদ সালেহ সিদ্দিকী ব্র্রিটেনে শিক্ষাপ্রাপ্ত একজন স্নায়ুবিজ্ঞানী।তার মা ইসমাত সিদ্দিকী একজন সমাজকর্মী ও পাকিস্তানের সাবেক সংসদ সদস্য।বড় ভাই মুহাম্মদ সিদ্দিকী আমেরিকার টেক্সাসে বসবাসরত স্থপতি এবং বড় বোন ফাউজিয়া হার্ভার্ড ও জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রিপ্রাপ্ত স্নায়ুবিজ্ঞানী, যিনি বর্তমানে বাল্টিমোরের সিনাই হাসপা তালে কর্মরত। তিন ভাই-বোনের মধ্যে আফিয়া সবার ছোট।আফিয়া সিদ্দিকীর শৈশবকাল কাটে আফ্রিকার দেশ জাম্বিয়াতে।৮ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি সেখানে ছিলেন।এরপর পাকিস্তানে ফিরে আসেন এবং প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শেষ করেন। আফিয়া সিদ্দিকী পবিত্র কুরআন হিফজ করেন।একইভাবে বাইবেল আর তোরাহও প

জেনিফার আমেরিকান গায়িকা যার তেলাওয়াত ইউটিউবে ঝড় তুলেছে

ছবি
জেনিফার গ্রাউটের জন্ম ১৯৯০ সালে আমেরিকার বোস্টনে। Jennifer Grout  was  born  on May 20, 1990 in Boston.She first studied music at Longy School of Music and then at Walnut Hill School for the Arts, both in the Boston area. জেনিফার ৫ বছর বয়স থেকে সংগীত অধ্যয়ন শুরু করেন। কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাসিক্যাল সংগীতে পড়াশোনা করেন এবং সেখান থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। Jennifer was born and raised in Boston in a Christian family. Jennifer has a rare talent in singing Arabic songs. She can sing Arabic songs including the traditional old songs and the Berber Moroccan songs fluently, softly and beautifully. তার বাবা বেহালা ও পিয়ানোবাদক। জেনিফার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা আমেরিকায় হলেও ছোটবেলা থেকেই আরব সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রতি তার আলাদা টান ও ভালোবাসা ছিল। কিন্তু আরবের সঙ্গে তার কোন যোগসূত্র ছিল না। জেনিফার গ্রাউট আরবী এবং তাসলহিট সংগীতের একজন আমেরিকান গায়িকা। Jennifer Grout  is an American singer and model. She is 29 years old and lives in Boston, America. She is very interested in Arabi