পোস্টগুলি

মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া ইহুদিবাদি ইসরায়েল রাষ্ট্রের আজ জন্ম

ছবি
মো.আবু রায়হানঃ আজ ইহুদিবাদী জারজ ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠার ৭২ বছর পূর্তি।আজকের দিনে ১৪ মে, ১৯৪৮ সালে বর্তমানে ফিলিস্তিনের বুকে অবৈধ ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা হয়। ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা্য লাখ লাখ ফিলিস্তিনী বাস্তু-চ্যুত হয়েছে। নিহত হয়েছেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি মুসলমান। বর্তমানে ইসরায়েল আধিপত্যবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী নীতির দ্বারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ভূমি গ্রাস করে ফিলিস্তিনকে বিশ্ব মানচিত্রে একটি পরাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। ইসরায়েল পশ্চিম এশিয়া তথা মধ্যপ্রাচ্যের একটি রাষ্ট্র। আয়তন ২২ হাজার ৭২ বর্গকিলোমিটার। এটি ভূমধ্যসাগরের দক্ষিণ-পূর্ব তীরে ও লোহিত সাগরের উত্তর তীরে অবস্থিত। দেশটির উত্তর স্থলসীমান্তে লেবানন, উত্তর-পূর্বে সিরিয়া, পূর্বে জর্দান ও ফিলিস্তিনি-অধ্যুষিত ভূখন্ড পশ্চিম তীর, পশ্চিমে ফিলিস্তিনি ভূখন্ড গাজা উপত্যকা এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে মিশর অবস্থিত।ইসরায়েলে প্রায় ৮৩ লক্ষ লোকের বাস। এটি মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ; এখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৩৮১ জন লোক বাস করে। এদের মধ্যে ৬১ লক্ষ ইহুদী ধর্মাবলম্বী এবং ১৭ লক্ষ আরব জাতিভুক্ত (যাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান)। ১৮৯৭

রক্তপাতহীন মক্কা বিজয়ের দিন আজ

ছবি
মো.আবু রায়হানঃ আজ ২০ রমজান ঐতিহাসিক মক্কা বিজয়ের ১৪৩৩ তম বার্ষিকী।আজ থেকে ১৪৩৩ বছর আগে হিজরতের ৮ম বছরে ২০ রমজান তথা ৬৩০ খৃস্টাব্দে রাসুল (সা.) মক্কা বিজয় করেন। ইতিহাসে এই ঘটনা মক্কা বিজয় বা ফতেহ মক্কা নামে খ্যাত।২০ রমজান শুধু মক্কা বিজয়ই হয়নি বরং প্রিয় নবি স্বমহিমায় নিজ জন্মভূমিতে ফিরে এসেছিলেন।তাই ২০ রমজান ইসলামের ইতিহাসে অত্যন্ত তাৎপর্যবহ ঘটনার সাক্ষী হয়ে আছে।শুধু ইসলামের ইতিহাসে নয়, বিশ্ব ইতিহাসে অনন্য সাধারণ বৈশিষ্ট্য ও মর্যাদার অধিকারী হলো মক্কা বিজয়ের এ ঘটনা। পৃথিবীর আরম্ভ থেকে আজ পর্যন্ত যত যুদ্ধ ,বিজয় অভিযান, হয়েছে এসব যুদ্ধ ও অভিযানে একদল বিজয়ী হয়েছে আরেক দল পরাজয়কে বরণ করেছে। এসব যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন দিগ্বিজয়ী ইতিহাসের মহানায়কেরা। তাদের মধ্যে হিটলার,আলেকজেন্ডার,আর নেপোলিয়ান বেনাপোর্টের বিজয় অভিযানগুলো ছিল রক্তপাতের ইতিহাস,মানুষের রক্তে হাত রঞ্জিত হবার ইতিহাস।একমাত্র ব্যতিক্রম ছিল হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর রক্তপাতহীন মক্কা বিজয়। ঐতিহাসিকদের মতে মক্কা বিজয় ইসলামের ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ বিজয় যদিও আল কুরআনে হুদাইবি য়ার সন্ধিকেই ফাতহুম মুবিন বা প্রকাশ্য বিজয় বলে উল্লেখ করা হয়েছ

কাবা ঘরের চাবি কার কাছে থাকে ?

ছবি
পবিত্র কাবাকে বায়তুল্লাহ বা আল্লাহর ঘর বলা হয়। বর্তমান কাবা ঘরটি যেখানে অবস্থিত সে স্থানটিই পৃথিবীর প্রথম জমিন। বিশাল সাগরের মাঝে ধীরে ধীরে ভরাট হতে হতে এই ভূমির সৃষ্টি হয়েছে। এরপর ধীরে ধীরে সৃষ্টি হয়েছে বিশাল এক মহাদেশ। এভাবেই পরবর্তীতে সৃষ্টি হয় সাত মহাদেশ। ভৌগোলিকভাবে গোলাকার পৃথিবীর মধ্যস্থানে অবস্থিত এই পবিত্র কাবা ঘর আল্লাহ-তায়ালার জীবন্ত নিদর্শন হিসেবে পরিচিত। কাবাঘরের সেবা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। ফলে সমকালীন শাসকরা কাবার সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য কাজ করেছেন। এরই অংশ হিসেবেই কাবা ঘরের দরজা তৈরি করা হয়েছে স্বর্ণ দিয়ে।এ ঘরের দেখভাল এবং চাবি কার কাছে থাকে তা জানার আগ্রহ কমবেশি সবারই আছে। আজকের লেখা কাবা ঘরের চাবি কার কাছে থাকে তা নিয়ে - কাবাঘরের দরজার তালার চাবি বনি শাইবাহ গোত্রের কাছে সংরক্ষিত থাকে। পূর্ব থেকেই এ রীতি চলে আসছে। The Bani Shaiba or the sons of Shaiba are the tribe that hold the keys to the Kaaba today. They are in charge of the ‘Sudnah’ of the Kaaba which means the complete care of it including opening and closing it, cleaning and washing it, and caring for its Kiswah o

রাসুলুল্লাহ (সা.) এর কুরআন তেলাওয়াত শুনে জিনদের ইসলাম গ্রহণ

ছবি
মো. আবু রায়হানঃ জিন হচ্ছে একটি জীব বা মাখলুক।আরবি জিন শব্দটির অর্থ এমন কোন কিছু যা গুপ্ত, অদৃশ্য, লুক্কায়িত অন্তরালে বসবাসকারী বা অনেক দূরবর্তী। সাধারণত মানুষের চোখে তারা দৃষ্টিগ্রাহ্য নয়। কিন্তু, জিনরা মানুষদেরকে দেখতে পায়। এ কারণেই তাদেরকে জিন বলা হয়।অনেকে বলার চেষ্টা করেন আসলে জিন বলে কিছু নেই ,তা ডাহা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আসমানি কিতাবে যারা বিশ্বাস করে, যেমন—ইহুদি, খ্রিস্টান ও মুসলমান, তারা সবাই জিনের অস্তিত্বে বিশ্বাসী। পৌত্তলিক, কিছু দার্শনিক ও বস্তুবাদী গবেষক জিনের অস্তিত্ব স্বীকার করে না। দার্শনিকদের একটি দল বলে থাকে, ফেরেশতা ও জিন রূপক অর্থে ব্যবহৃত হয়।জিনের অস্তিত্ব স্বীকার করা ঈমান বিল গায়েব অদেখার প্রতি ঈমান আনার অন্তর্ভুক্ত। সুরা আর-রাহমানে জিন ও মানুষকে একসঙ্গে সম্বোধন করা হয়েছে।সুলায়মান (আ.)-এর আমলে জিনদের কাজকর্ম করার তথ্য কুরআনে উল্লেখ আছে।সুরা জিন নামের কুরআনে একটি স্বতন্ত্র সুরার নামকরণ হয়েছে। ছোট-বড় প্রায় ৫৭ টি আয়াতে এ সম্পর্কিত বহু বিস্ময়কর তথ্য রয়েছে, যা নিশ্চিতরূপে জিনের অস্তিত্ব প্রমাণ করে। জিন ও ফেরেশতাদের অস্তিত্ব কুরআন ও হাদিসের অকাট্য বর্ণনা দ্বারা প্রমাণ

কুরআন নাজিলের মাসে আজ এক কলঙ্কের দিন

ছবি
মো. আবু রায়হান আল্লাহ তায়ালা এই পৃথিবীতে মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন,সৃষ্টি করেই মানুষকে এমনি এমনি ছেড়ে দেননি বরং তাদের সঠিক পথের দিশা দিতে, অন্ধকার থেকে আলোর পথে আনার জন্য যুগে যুগে অসংখ্য নবী ও রাসুল প্রেরণ করেছেন।তাদের দিয়েছেন আসমানি কিতাব।সর্বশেষ আসমানি কিতাব আল কুরআন যা রাসুল (সা) এর ওপর নাযিল হয়, সমগ্র মানবজাতির মুক্তির দিশারি হিসেবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, "আর আমি আপনার উপর এই কিতাব নাযিল করেছি শুধু এজন্য যে, যে বিষয়ে তারা বিতর্ক করছে, তা তাদের জন্য আপনি স্পষ্ট করে দিবেন এবং (এটি) হিদায়াত ও রহমত সেই কওমের জন্য যারা ঈমান আনে।"(সূরা আন নাহল আয়াত-৬৪)। পবিত্র কুরআনের মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, "এটি একটি বরকতময় কিতাব, যা আমি আপনার প্রতি বরকত হিসেবে অবতীর্ণ করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসমূহ নিয়ে চিন্তা–ভাবনা করে এবং বুদ্ধিমানগণ যেন তা অনুধাবন করে।"(সূরা ছোয়াদ আয়াত-২৯)। কিন্তু কুরআনের মর্মার্থ বুঝতে অক্ষম হয়েছে এক শ্রেণির মানুষ ।যেকারণে কুরআনের বিরুদ্ধে যুগেযুগে হয়েছে অসংখ্য ষড়যন্ত্র । ভারতের দুইজন উগ্র সাম্প্রদায়িক নাগরিক পদ্মপল চোপরা ও শীতল

অস্তিত্ব রক্ষার প্রথম যুদ্ধ বদর দিবস আজ

ছবি
মো.আবু রায়হান আজ ঐতিহাসিক ১৭ রমজান। ৬২৪ খ্রিস্টাব্দে ১৭ মার্চ আজকের দিনে দ্বিতীয় হিজরিতে সংঘটিত হয়েছিল ইসলামের ইতিহাসে প্রথম যুদ্ধ বদরের যুদ্ধ। এ যুদ্ধ ছিল সত্য ও মিথ্যার, হক ও বাতিলের, মুসলিম ও কাফেরদের মধ্যকার চূড়ান্ত মীমাংসাকারী ঐতিহাসিক যুদ্ধ।বদর যুদ্ধ সংঘটিত হয় মদীনায় হিজরতের মাত্র ১ বছর ৬ মাস ২৭ দিন পরে।ঐতিহাসিক এ যুদ্ধ ছিল ইসলাম ও মুসলিমদের অস্তিত্বের।  বদর যুদ্ধে মুসলিমরা পরাজিত হলে বিশ্ব ইতিহাস হতে মুসলিমদের নাম নিশানা চিরদিনের জন্য নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত । কেননা বদর যুদ্ধের দিন রাসুল (সা.) আল্লাহর কাছে কাতর কন্ঠে এই বলে প্রার্থনা করেন যে হে প্রভু! আপনি আমার সঙ্গে বিজয়ের যে অঙ্গীকার করেছেন, তা এখানে পূরণ করুন। আপনি যদি ইসলামের এই ক্ষুদ্র অনুসারী দলটিকে ধ্বংস করে দেন, তবে এই পৃথিবীতে আপনার ইবাদতকারী বলতে কেউ থাকবে না। চিরদিনের জন্য নির্মূল হয়ে যাবে । কয়েক দিক দিয়ে বদরে যুদ্ধ ছিল খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ-প্রথমতঃ এটি ছিল প্রথম যুদ্ধ। দ্বিতীয়তঃ পূর্বে কোন পরিকল্পনা ছাড়াই ছিল এই যুদ্ধ। সিরিয়া থেকে বাণিজ্য-সামগ্রী নিয়ে মক্কাগামী আবূ সুফিয়ানের কাফেলার পথ অবরোধ করার জন্য ম