পোস্টগুলি

মুহাম্মদ আলি পাশা ও প্রথম সৌদি-আরব ওহাবি রাষ্ট্র দিরিয়া

উসমানীয় সেনাপতি মুহাম্মদ আলি পাশা আল-মাসউদ ইবনে আগা প্রথম সৌদি-আরব ওহাবি রাষ্ট্র, দিরিয়া আমিরাতকে ধ্বংস করেছিলেন । মুহাম্মদ আলি পাশা ছিলেন উসমানীয় সেনাবাহিনীর একজন উসমানীয় আলবেনীয় কমান্ডার। তিনি পাশা পদে পদোন্নতি লাভ করেছিলেন এবং নিজেকে মিশর ও সুদানের খেদিভ ঘোষণা করেছিলেন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি জাতীয়তাবাদি না হলেও সামরিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তার সংস্কারের ফলে তাকে আধুনিক মিশরের স্থপতি বিবেচনা করা হয়। মিশরের বাইরে তিনি লেভান্টও শাসন করেছেন। তার প্রতিষ্ঠিত মুহাম্মদ আলি রাজবংশ ১৯৫২ সালের বিপ্লবের আগ পর্যন্ত মিশর শাসন করেছে। ১৮০১ সালে আব্দুল্লাহ ইবনে সা'উদের সেনাবাহিনী কারবালায় হজরত হুসাইন ইবনে আলী (রাসূলের প্রিয় নাতি) এর সমাধি ধ্বংস করেছিল । যা মুসলমানদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছিল। এই জঘন্য অপরাধের পর ওহাবীরা পবিত্র শহর মক্কা ও মদীনার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মসজিদ মসজিদ -ই- নববি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং অনেক মুসলমানকে হত্যা করা হয়।উসমানীয় কাফেলাকে 'আব্দুল্লাহ ইবনে সা'ঊদ ও তার সেনাবাহিনী আক্রমণ করে। মক্কা ও মদিনা দখল ...

সাবেক ইউএফসি মুষ্টিযোদ্ধা কেভিন লি

ছবি
  আমেরিকান মিক্সড মার্শাল আর্টিস্ট এবং সাবেক ইউএফসি মুষ্টিযোদ্ধা কেভিন লি ১৯৯২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর মিশিগানের গ্র্যান্ড র ‍ ্যাপিডসে জন্মগ্রহণ করেন এবং ডেট্রয়েটে বেড়ে ওঠেন।কেভিন লি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন সম্প্রতি তিনি নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। একইসাথে জানিয়েছেন, একজন মুসলিম হিসেবে জীবনে তিনি দারুণ তৃপ্তি অনুভব করছেন।৩০ বছর বয়সী কিভেন লি ২০২১ সালে ইসলাম গ্রহণ করলেও গত ১০ জানুয়ারির আগে তিনি তা প্রকাশ করেননি।কেভিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে লেখেন, মুসলিম হওয়ার পর থেকে আমি অনেকের কাছ থেকেই সমর্থন পেয়েছি। মোবাইল বার্তা ও টেলিফোন কলে তারা তাদের ভালোবাসা জানিয়েছেন। তাদের এ আন্তরিকতায় আমি দারুণ মুগ্ধ।কেভিন বলেন, ‘সবই আল্লাহর ইচ্ছায় হয়। আমি গর্বিত যে আমি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি।’অপর এক টুইটবার্তায় কেভিন বলেন, যেহেতু আমি কিছু প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছি, তাই বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য জানাচ্ছি যে আমি ২০২১ সালের অক্টোবরে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি। কিন্তু এতদিন তা প্রকাশ্যে বলা হয়নি।তিনি বলেন, ‘আমি খুব শিগগিরই একটি পডকাস্ট শুরু করতে চাই, যাতে আমি সেখানে আরো গভীরভাবে কথাগুলো বলতে পারি।’...

ইউটিউবার দাউদ কিম

ছবি
সত্যের সন্ধানে দাউদ কিমের মতো হাজারো যুবক ইসলামের দিকে ধাবিত হচ্ছে। অন্যদিকে মুসলিম যুবকেরা হচ্ছে ইসলাম বিমুখ। দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত ব্লগার জে কিম ২০১৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ইসলাম গ্রহণ করেন। এরপর তিনি দাউদ কিম নাম ধারণ করেন। ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তিনি সারা বিশ্বে পরিচিত। নানা বিষয়ে ভিডিও তৈরি করে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। তার ইসলাম গ্রহণের ভিডিও প্রায় অর্ধকোটি বার ভিউ হয়। সর্বশেষ ওমরাহ পালনের উদ্দেশে মক্কায় পৌঁছেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত ইউটিউবার দাউদ কিম। গত শনিবার ইসলাম গ্রহণের পর দ্বিতীয়বার তিনি ইসলামের প্রধান সম্মানিত এই স্থানে যান। এর আগে ডিসেম্বরের শেষদিকে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দুর্দান্ত ভ্রমণের কথা জানান। পবিত্র কাবাঘর প্রাঙ্গণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ছবি পোস্ট করে দাউদ কিম বলেন, ‘পবিত্র এই স্থান আমার ঠিকানার মতো। এই স্থান খুবই পবিত্র ও সম্মানিত। এখানে এসে সবার মধ্যে জিজ্ঞাসা তৈরি হয় যে আমরা কেন জন্ম নিয়েছি? আমরা কেন বেঁচে আছি? আমরা কোথায় যাব?’ আল্লাহর অনুগ্রহে সুপথপ্রাপ্তির কথা জানিয়ে দাউদ কিম বলেন, ‘আমার জীবন ছিল খুবই এলোমেলো। আমি ভেবেছিলাম সবচেয়ে অসু...

পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের আসমানী

  আসমানীরে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও, রহিমদ্দির ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও। বাড়ি তো নয় পাখির বাসা ভেন্না পাতার ছানি, একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি। একটুখানি হাওয়া দিলেই ঘর নড়বড় করে, তারি তলে আসমানীরা থাকে বছর ভরে। পেটটি ভরে পায় না খেতে, বুকের ক-খান হাড়, সাক্ষী দিছে অনাহারে কদিন গেছে তার। এভাবেই আসমানীর দুর্ভোগ দুর্দশা নিয়ে কবিতার মাধ্যমে পল্লীকবি জসিম উদ্দিন তুলে ধরেছিলেন জীবন ধারা।পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের এই ‘আসমানী’ কবিতাটি ১৯৪৯ সাল তাঁর ‘এক পয়সার বাঁশি’ কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে এই কবিতা মাধ্যমিক স্কুলের পাঠ্য বইয়েও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।কবির সেই আসমানী অনেকটা অযত্ন অবহেলায় বাধ্যক্যজনিত রোগে মারা গেছেন গত দশ বছর আগে। ১৯১৩ সালে ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নে আসমানীর জন্ম। আরমান মল্লিকের মেয়ে আসমানীর মাত্র ৯ বছর বয়সে বিয়ে হয় পাশের রসুলপুর গ্রামের হাসাম মন্ডলের (রহিমদ্দির) সঙ্গে। তিনি দুই ছেলে ও ছয় মেয়ের জননী ছিলেন। ৯৯ বছরের বয়সের বার্ধক্যজনিত ও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালে তিনি মারা যান। এ সময় তিনি দুই ছেলেসহ চার মেয়ে রেখে যান।বর্তমানে আসমানীর পর...

সুইডেনে ইসলাম

ছবি
সুইডেন ইউরোপ মহাদেশের একটি রাষ্ট্র।রাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বদিকে রয়েছে ফিনল্যান্ড, পশ্চিমদিকে নরওয়ে ও দক্ষিণ-পশ্চিমদিকে ওরেসুন্দ সেতু যেটা দিয়ে ডেনমার্ক যাওয়া যায়। সুইডেন স্ক্যান্ডিনেভীয় দেশেগুলোর বৃহত্তম রাষ্ট্র।ঊনবিংশ শতক থেকেই সুইডেন একটি শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে নিজের অবস্থান বজায় রেখেছে এবং কোন প্রকার যুদ্ধে জড়ানো থেকে বিরত থেকেছে। সুইডেনের সর্ববৃহৎ শহর এবং রাজধানী হল স্টকহোম।'ভেনিস অব দ্য নর্থ' বলা হয় সুইডেনের স্টকহোমকে। ইউরোপের স'মিল বলা হয় সুইডেনকে। পৃথিবীর প্রথম কল্যাণমূলক রাষ্ট্র সুইডেন। সুইডেনের আয়তন ৪,৫০,২৯৫ বর্গকিলোমিটার। এটি ইউরোপের তৃতীয় সর্ববৃহৎ দেশ। মাত্র ৯৫ লক্ষ জনসংখ্যা নিয়ে সুইডেন ইউরোপের অন্যতম কম জনসংখ্যার ঘনত্বপূর্ণ অঞ্চল। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে মাত্র ২১ জন মানুষ বসবাস করে। সুইডেনের জনসংখ্যার প্রায় ৮৫% শহরকেন্দ্রিক এবং দেশের দক্ষিণপ্রান্তে অবস্থিত শহরসমূহে বসবাস করে।সুইডেন একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র। রাজা কার্ল ষোড়শ গুস্তাফ রাষ্ট্রপ্রধান। তবে বহুদিন ধরেই রাজার ক্ষমতা কেবল আনুষ্ঠানিক কাজ-কর্মেই সীমাবদ্ধ।ইকনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিট তাদের গণতন্ত্র...

যোগাযোগের নতুন দিগন্ত উন্মোচন

ছবি
ইংল্যান্ড ১৮৬৩ সালে লন্ডনে মেট্রোরেল, যেটাকে তারা টিউব বলে চালু করেছিল। আমেরিকার মেট্রোরেল বা সাবওয়ে চালু হয়েছিল ১৯০৪ সালে নিউইয়র্কে। এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে মেট্রোরেলে নাম লেখায় জাপান। ১৯২৭ সালে সাবওয়ে লাইন প্রতিষ্ঠিত হয় টোকিওতে।চীনের যাত্রা দেরিতেই বলতে হবে। দেশটির প্রথম মেট্রো বেইজিং সাবওয়ে যাত্রা করে ১৯৭১ সালে। আফ্রিকার দেশ হিসেবে মেট্রোয় প্রথম নাম লেখায় মিসর। ১৯৮৭ সালে কায়রোয় চালু হয় মেট্রোরেল। কলিকাতায় মেট্রো রেল চালু হয়েছিল আজ থেকে ৩৮ বছর আগে ১৯৮৪ সালে। দেরীতে হলেও আমরাও পেরেছি। স্বপ্নের মেট্রোরেল হোক আমাদের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম।

ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো

  ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। রোনালদো পাঁচটি ব্যালন ডি’অর এবং চারটি ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু অর্জন করেছেন, যা কোন ইউরোপীয় খেলোয়াড় হিসেবে রেকর্ড সংখ্যক জয়। কর্মজীবনে তিনি ৩২টি প্রধান সারির শিরোপা জয় করেছেন, তন্মধ্যে রয়েছে সাতটি লিগ শিরোপা, পাঁচটি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ, একটি উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ, এবং একটি উয়েফা নেশনস লিগ শিরোপা। রোনালদোর চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বাধিক ১৩৪টি গোল এবং ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সর্বাধিক ১২টি গোলের রেকর্ড রয়েছে। তিনি অল্পসংখ্যক খেলোয়াড়দের একজন যিনি ১,১০০টির উপর পেশাদার খেলায় অংশগ্রহণ করেছেন এবং তার ক্লাব ও দেশের হয়ে ৭৯০টির বেশি গোল করেছেন। তিনি ১০০টি আন্তর্জাতিক গোল করা দ্বিতীয় পুরুষ ফুটবলার এবং প্রথম ইউরোপীয়। ব্যক্তিগত জীবনে রোনালদো বিশ্বের সবচেয়ে ধনী খেলোয়াড়। রোনালদো তার দানশীলতা এবং বিশ্বব্যাপী অসহায় মুসলমানদের সাহায্য করার জন্য বহুল প্রশংসিত। সম্প্রতি এক জরিপে তাকে বিশ্বের সবচেয়ে দানশীল খেলোয়াড় হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ফিলিস্তিনের একটি সংস্থা তাকে পার্সন অফ দ্য ইয়ার ২০১৬ প্রদান করে।রোনালদো ২০১১ সালে জ...