পোস্টগুলি

পিতামাতার খেদমাত

যাদের পিতামাতা জীবিত আছেন। তাদের দোয়ার ব্যাংক আছে। ইচ্ছেমতো সেখান থেকে দোয়া নিয়ে নিজের একাউন্ট সমৃদ্ধ করতে পারেন। বৃদ্ধ বয়সে পিতামাতার কথা তীর্যক ও রূঢ় মনে হতে পারে। প্রত্যুত্তর তাদের প্রতি কোমল ও মোহনীয় আচরণ কাম্য। এ সংক্রান্ত একটি হাদিস উল্লেখ করা প্রয়োজন - আসমা বিনতে আবুবকর (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার মুশরিক মা আমার কাছে এসেছে। আমি কি তার সাথে সদ্ব্যবহার করব? তিনি বললেন, হ্যাঁ। সদ্ব্যবহার কর।’ এরশাদ হয়েছে 'আর যদি পিতা-মাতা তোমাকে চাপ দেয় আমার সঙ্গে কাউকে শরীক করার জন্য, যে বিষয়ে তোমার কোনো জ্ঞান নেই, তাহলে তুমি তাদের কথা মানবে না। তবে পার্থিব জীবনে তাদের সঙ্গে সদ্ভাব রেখে চলবে’ (সূরা: লোকমান ৩১/১৫) পিতামাতার খেদমতের ক্ষেত্রে সন্তানদের মধ্যে কম্পিটিশন হওয়া দরকার। কে সবচেয়ে বেশি তাদের খেদমত করে খুশি রাখতে পারে এই কম্পিটিশন। কে খেদমত করল আর কে খেদমত করল না এটি দেখার বিষয় না। আপনি আপনার অবস্থান থেকে সাধ্যানুযায়ী খেদমত করে যান এর প্রতিদান আপনি পাবেন। কারো অপেক্ষায় থেকে পিতামাতার খেদমত করা থেকে দূরে থাকা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। হজরত কাব (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার রাসুল (সা.) মিম্ব...
ছবি
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘শিগগির মানুষ তোমাদের আক্রমণ করার জন্য একে অপরকে আহ্বান করতে থাকবে, যেভাবে মানুষ তাদের সঙ্গে খাবার খাওয়ার জন্য একে অপরকে আহ্বান করে।’ জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘হে আল্লাহর রাসুল! তখন কি আমরা সংখ্যায় কম থাকবো।’ তিনি বললেন, ‘না, বরং তোমরা সংখ্যায় হবে অগণিত। কিন্তু তোমরা সমুদ্রের ফেনার মতো হবে, যাকে সহজেই সমুদ্রের স্রোত বয়ে নিয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা তোমাদের শত্রুর অন্তর থেকে তোমাদের ভয় দূর করে দেবেন এবং তোমাদের অন্তরে আল-ওয়াহান ঢুকিয়ে দেওয়া হবে।’ জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আল-ওয়াহান কি?’ রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল-ওয়াহান হলো- দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসা এবং মৃত্যুকে অপছন্দ করা।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৭৫৩৯) এই হাদিসের সঙ্গে সমগ্র বিশ্বের নিপীড়িত মুসলিম উম্মাহের অবস্থা দেখলে দেখা যায়, কিয়ামত খুব কাছে রয়েছে। আমরা শেষ জমানায় অবস্থান করছি। আর কিয়ামতের পূর্বনিদর্শনগুলো বাস্তবায়িত হতে দেখলে ঈমান দৃঢ় হয়। গত শতাব্দীতে দেখা গেছে- বিধর্মীরা মুসলিমদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে থাকে— হত্যা ও রাষ্ট্র দখলের জন্য। পাশাপাশি মুসলিমরাও পরস্পর হানাহানিতে লিপ্ত হয়ে রক্তপাত ঘটা...

মাহরাম ছাড়া হজ ও ওমরা পালন, ইসলাম কী বলে?

নারীদের হজ বা ওমরা পালনে আর মাহরাম বা অভিভাবকের প্রয়োজন হবে না। সোমবার মিসরের রাজধানী কায়রোর সৌদি দূতাবাসে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটা জানান সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী ডক্টর তৌফিক আল রাবিয়া। #নারীর জন্য প্রথম মাহরাম হলো- স্বামী। অতঃপর যাদের সঙ্গে ইসলামি বিধান মোতাবেক দেখা-সাক্ষাৎ করা জায়েজ এবং যাদের সঙ্গে বিয়ে হারাম। ইসলামের পরিভাষায় তারাই নারীর জন্য মাহরাম। এ সব লোকদের সঙ্গে সামর্থ্যবান নারীরা হজে গমন করতে পারবেন। #এক সাহাবি বলল, হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! আমার স্ত্রী হজ করতে যাচ্ছে আর আমি যুদ্ধে যাওয়ার জন্য নাম লিখিয়েছি। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তুমি তোমার স্ত্রীর সঙ্গে হজে যাও।’ (সহিহ বোখারি ও মুসলিম) হজরত ইমাম আবু হানিফা ও ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.)-এর মতে, নারীর হজ ফরজ হওয়ার জন্য শর্ত হলো- ‘মাহরাম।’ মাহরাম না থাকলে সম্পদ যতই থাকুক না কেন, নারীর ওপর হজ ফরজ হবে না।’ (বাদায়িউস সানা) হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘মাহরাম ছাড়া কোনো নারী কোনো পুরুষের সঙ্গে নির্জনে সাক্ষাৎ করবে না এবং কোনো নারী মাহরাম ব্যতিত সফর করব...

মুখ ঢাকলে এক লাখ টাকা জরিমানা

ছবি
পর্বতমালা আর হ্রদের সমাহারে মধ্য-ইউরোপের একটি সুন্দর দেশ সুইজারল্যান্ড। এটি ফেডারেল ধরনের একটি ছোট্ট রাষ্ট্র। দেশটির আয়তন ৪১ হাজার ২২৮ কিলোমিটার। স্থানীয় ভাষায় দেশটি ‘সুয়াতিনি’ নামে পরিচিত।কিংডম অব সুইজারল্যান্ড ১৬৪৮ সালে রোমান সাম্রাজ্য থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে। তবে দেশটি প্রজাতন্ত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ১২৯১ সালে। দেশটির পশ্চিমে ফ্রান্স, উত্তরে জার্মানি, পূর্বে অস্ট্রিয়া ও দক্ষিণে ইতালি অবস্থিত। মাত্র ৮৩ লাখ জনসংখ্যার (২০১৬) এই দেশটি শিল্প-বাণিজ্য, ব্যাংক-বীমা ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ। সুইজারল্যান্ডের রাজধানী বার্ন। দেশটির জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশই জার্মানির অধিবাসী। এরা জার্মান ভাষায় কথা বলে। ২০ শতাংশ লোকের ভাষা ফ্রান্স, আর ৪ শতাংশ মানুষের ভাষা ইতালি। সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় ভাষা ফ্রান্স, জার্মান, ইতালিয়ান ও রোমান। সুইজারল্যান্ডের সরকার সংসদে আইনের একটি খসড়া পাঠিয়েছে। সেই আইনে প্রস্তাব করা হয়েছে, যদি কেউ মুখ ঢাকা আইন ‘বোরকা নিষিদ্ধ’ ভঙ্গ করে তাহলে তাকে প্রায় এক হাজার ডলার জরিমানা করা হবে। বাংলাদেশের মুদ্রার তুলনায় যা এক লাখ টাকার সমান। নতুন এ সিদ্ধান্তের খসড়া পার্লামেন্টে পাঠিয়েছ...

জার্মানির কোলনে মাইকে জুমার আজানের অনুমতি

ছবি
জার্মানির কোলন শহরের সেন্ট্রাল মসজিদে আজ শুক্রবার থেকে মাইকে জুমার নামাজের আজান দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে শহর কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার কোলন শহর কর্তৃপক্ষ ও জার্মানিতে বসবাসকারী তুরস্কের নাগরিকদের সংগঠন ‘ডিটিব’-এর মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়। এ চুক্তির মধ্য দিয়ে মাইকে জুমার আজান দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টার মধ্যে সর্বোচ্চ পাঁচ মিনিট আজান দিতে পারবেন মুয়াজ্জিন। তবে আজানের শব্দের মাত্রা ৬০ ডেসিবেলের মধ্যে সীমিত রাখতে হবে। জার্মানির আইন অনুযায়ী, দেশটিতে ধর্মীয় রীতিনীতি পালনের স্বাধীনতা রয়েছে। আযানের অনুমতি দেওয়ার মাধ্যমে শহরের মুসলমানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়েছে। কোলন সেন্ট্রাল মসজিদটি পরিচালনা করেন তুরস্কের নাগরিকদের ধর্মীয় সংগঠন ‘ডিটিব’। জার্মানিতে নয়শরও বেশি মসজিদ পরিচালনা করে এ সংগঠনটি। ২০১৮ সালে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান জার্মানি সফরকালে কোলন সেন্ট্রাল মসজিদটি উদ্বোধন করেছিলেন। ফেডারেল রিপাবলিক অব জার্মানি আয়তনের দিক দিয়ে ইউরোপের সপ্তম বৃহৎ রাষ্ট্র। সর্বশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যা আট কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৮৫১ জন। ...

সুলতান রাজিয়া ছিলেন ভারতবর্ষের প্রথম নারী শাসক

ছবি
সুলতান রাজিয়া ছিলেন ভারতবর্ষের প্রথম নারী শাসক। সেই সঙ্গে নারী শাসকদের মধ্যে প্রথম মুসলিম নারী শাসক ছিলেন সুলতান রাজিয়া।Razia Sultan was the first Muslim woman to rule India and the only woman to have sat on the throne of Delhi. She was the fifth ruler of the Mamluk Dynasty of the Delhi Sultanate.তিনি ১২৩৬ থেকে ১২৪০ সাল পর্যন্ত প্রায় চার বছর রাজত্ব করেছিলেন।সুলতান রাজিয়া (১২০৫ - ১২৪০) ইংরেজি ইতিহাস বইসমূহে রাজিয়ার নাম Raḍiyya বা Raziyya হিসাবেও অনুবাদ করা হয়েছে। কিছু আধুনিক লেখক "সুলতানা" শব্দটি ব্যবহার করেন, এটি একটি ভুল নাম। কারণ এর প্রকৃত অর্থ "নারী শাসক" না বরং "রাজার স্ত্রী"। রাজিয়া'র নিজস্ব মুদ্রাগুলো তাকে সুলতান জালালত আল-দুনিয়া ওয়াল-দ্বিন বা আল-সুলতান আল-মুয়াজ্জম রাজিয়ত আল-দ্বিন বিনতে আল-সুলতান নামে অভিহিত করে। সালতানাতের সংস্কৃত ভাষার শিলালিপি তাকে জাল্লালাদিন বলে, আর প্রায় সমসাময়িক ইতিহাসবিদ মিনহাজ তাকে সুলতান রাজিয়ত আল-দুনিয়া ওয়া'ল দিন বিনতে আল-সুলতান বলে অভিহিত করেন। তিনি ছিলেন সুলতান ইলতুৎমিসের কন্যা ও ভারতবর্ষের প্রথম ম...

সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ আল ফাতিহর কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের সময়ে পরিহিত শিরস্ত্রাণ

ছবি
  আরবিতে কনস্টান্টিনোপল শব্দটি কুস্তুনতুনিয়া বলা হয়। মহানবী মুহাম্মদ (সা.) এ অঞ্চল বিজয়ে ভবিষ্যদ্বানী করেছিলেন। তাই এটি বিজয়ের জন্য মুসলিমরা অত্যন্ত আগ্রহী ও উৎসাহী ছিলেন। মহানবী (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমরা কনস্টান্টিনোপল বিজয় করবে। ওই সেনাপতি উত্তম সেনাপতি হবে এবং ওই সেনাবাহিনী উত্তম সেনাবাহিনী হবে।’ (মুসনাদে আহমদ ৪/৩৩৫, হাদিস : ১৮৯৫৭; মুসতাদরাকে হাকেম : ৫/৬০৩, হাদিস : ৮৩৪৯; তাবারানি, হাদিস : ১২১৬) ১৪৫৩ সালের ২৯ মে মাত্র ২১ বছর বয়সে উসমানি সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ আল ফাতিহ (রহ.) এই শহর জয় করে ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম লেখান। এটি ছিল রোমান (বাইজেন্টাইন) সাম্রাজ্যের রাজধানী। কনস্টান্টিনোপলে বিজয়কে ১৫০০ বছরের মত টিকে থাকা রোমান সাম্রাজ্যের সমাপ্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। উসমানীয়দের এই বিজয়ের ফলে উসমানীয় সেনাদের সামনে ইউরোপে অগ্রসর হওয়ার পথে আর কোনো বাধা থাকল না। খ্রিস্টানদের জন্য এই শোচনীয় পতন ছিল অকল্পনীয়।বিজয়ের পর সুলতান মুহাম্মদ তার রাজধানী এড্রিনোপল থেকে সরিয়ে কনস্টান্টিনোপল বা ইস্তাম্বুলে নিয়ে আসেন। শহর অবরোধের আগে ও পরে শহরের বেশ কিছু গ্রীক ও অগ্রীক বুদ্ধিজীবী পালিয়ে যা...