পোস্টগুলি

কফির উদ্ভাবক একজন মুসলিম

ছবি
সারা বিশ্বে কফি জনপ্রিয় একটি পানীয়।বিবিসির একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন প্রায় ২০০ কোটি কাপ কফি পান হয় পৃথিবীতে। জনপ্রিয় এই পানীয় আবিষ্কারক একজন মুসলিম। তার নাম খালেদি। তিনি কোনো বিজ্ঞানী নন, সাধারণ এক মুসলিম রাখাল। আরব-ইথিওপীয় খালেদি নবম শতকে জনপ্রিয় এই পানীয়র ব্যবহার শুরু করেন। খালেদির মেষগুলো প্রায়ই ক্লান্ত হয়ে যেত। হঠাৎ একদিন তিনি দেখলেন, মেষগুলোর ক্লান্তিভাব দূর হয়ে গেছে। উদ্যম ও চঞ্চলতায় ভরে উঠেছে সেগুলো। কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে তিনি লক্ষ করলেন, মেষগুলো লাল জামের মতো মতো কী যেন খাচ্ছে। ধর্মপ্রাণ খালেদি গাছ থেকে কয়েকটি ফল নিয়ে দ্রুত হাজির হলেন স্থানীয় মসজিদের ইমামের কাছে। ফলগুলো কাঁচা খাওয়া সম্ভব হবে না ভেবে ইমাম পাশে রাখা জ্বলন্ত আগুনে ফেললেন। দেখলেন আগুনের ভেতর থেকে দারুণ সুঘ্রাণ বের হচ্ছে। পরে ইমামের শিষ্যরা ফলগুলো সিদ্ধ করে গরম পানিসহ পান করলেন। এভাবেই পৃথিবীর পানীয় হিসেবে কফির ব্যবহার শুরু হয়। এই পানীয়টি খেয়ে তারা রাতে ঘন্টার পর ঘন্টা জেগে থাকতে পারছেন। প্রার্থনার জন্য ব্যাপারটি বেশ কার্যকরী মনে হলো তাদের। দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়লো গরম পানীয়টির সুনাম।কেউ কেউ বলেন, ইয়েমেনের ...

মধ্যযুগীয় বর্বরতা বলে কাদের গালি দেন? জানুন সঠিক ইতিহাস

ছবি
#মো.আবু রায়হান সহিংস ও বিভীষিকাময় কোনো ঘটনা ঘটলেই অনেকে একে মধ্যযুগীয় বর্বরতা বলে চালিয়ে দেন। অনেকে না বুঝে আবার কেউ নিজেকে অধিক প্রগতিশীল হিসেবে পরিচয় দিতে এই শব্দ গুচ্ছ ব্যবহার করেন। আসলেই মধ্যযুগ কি এতোটাই নৃশংস ছিল জ্ঞানবিজ্ঞানের স্বর্ণযুগ ছিল মধ্যযুগ, এই যুগ ছিল মুসলিম বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার দিয়ে বিশ্বকে আলোকিত করার যুগ। কিন্তু আধুনিক ইতিহাসবেত্তাগন মধ্যযুগকে অসভ্য বর্বর বলে মুসলমানদের আবিষ্কার গুলোকে জনসম্মুখ থেকে লুকিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু আমাদেরকে অতীত ইতিহাস থেকে জানতে হবে, আমাদের কী গর্ব অহংকারের কোন আবিষ্কার নেই? তাহলে জেনে আসি মূল ঘটনা। মধ্যযুগ কালবিভাজন অনুযায়ী ৬০০ সাল থেকে ১৩০০ সাল। সপ্তম শতাব্দী থেকে চতুর্দশ শতাব্দী পর্যন্ত ইসলামের ইতিহাসে সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক এবং বৈজ্ঞানিকভাবে সমৃদ্ধ হওয়ার সময়কালকে ইসলামের স্বর্ণযুগ বলা হয়। ৬২২ সালে মদিনায় প্রথম ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও ইসলামি শক্তির উত্থানের সময় থেকে শুরু হয় এ যুগের। ১২৫৮ সালে মঙ্গলদের দ্বারা বাগদাদ অবরোধের সময়কে এর সমাপ্তিকাল ধরা হয়।অনেকে ১৪৯২ সালে ইবেরিয়ান উপদ্বীপের আন্দালুসে খ্রিষ্টান রিকনকোয়েস্টার ফলে গ...

আমরা কেন মডারেট মুসলিম হতে পারি না

ছবি
#মো. আবু রায়হান ইংরেজি মডারেট ( Moderate) শব্দের বাংলা অর্থ মধ্যপন্থী । Make or become less extreme, intense, rigorous, or violent.(Oxford Dictionary) অর্থাৎ চরম নয় এমন, মাঝারি ধরনের মধ্যপন্থী। সে হিসেবে ‘মডারেট মুসলিম’-এর অর্থ ‘মধ্যপন্থী মুসলিম’ করলে হয়তো অতি সরলীকরণ করা হবে। কেননা পরিভাষাটির উদ্ভাবক পশ্চিমা বিশ্ব বিশেষ অর্থেই তা ব্যবহার করে।মডারেট মুসলিম বা মডার্নিস্ট মুসলিম অর্থাৎ আধুনিকতাবাদী মুসলিম। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মুসলিম দেশগুলো ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্ত হয়। কিন্তু তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয় পুঁজিবাদী গণতন্ত্র। আবার কোথাও পশ্চিমাদের প্রশ্রয়ে দীর্ঘায়িত হয় স্বৈরাচারী সামরিক শাসন। এই দুই ব্যবস্থার বিরুদ্ধেই আশির দশকের শেষভাগে মুসলিম বিশ্বে ক্ষোভ ও জাগরণের সৃষ্টি হয়। পরিবর্তনকামী মুসলিমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণ গণ-আন্দোলন এবং বৈপ্লবিক কমিউনিস্টদের মতো সশস্ত্র বিপ্লবের পথ—দুটিই অনুসরণ করে। তবে উভয় পদ্ধতি পশ্চিমা স্বার্থ ও অর্থনৈতিক উপনিবেশ প্রতিষ্ঠার পথে অন্তরায় হয়। তাই এই মুসলিমদের বিপরীতে ইউরোপবান্ধব একটি মুসলিম গোষ্ঠী সৃষ্টি করার জোর তাগিদ অনুভব করে ইউরোপ। মুসল...

নিঃসন্তান ও তালাক

ছবি
#মো.আবু রায়হান অর্থবৈভব ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের শোভা-আভা। সঠিক ও যথাযথ এগুলোর ব্যবহার হলে পরকালে কল্যাণ ও পুরস্কার লাভ হবে। না হয় এগুলোই ডেকে নিয়ে আসবে চূড়ান্ত বিপদ।আল্লাহ তায়ালা বলেন, ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের রূপ-সৌন্দর্য। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য। ‘স্থায়ী সৎকর্ম’ তোমার রবের কাছে পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য শ্রেষ্ঠ এবং আশান্বিত হওয়ার জন্যও সর্বোৎকৃষ্ট। ’ (সুরা কাহফ, আয়াত - ৪৬) হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মানুষ মৃত্যুবরণ করলে তার যাবতীয় আমল বন্ধ হয়ে যায়, তবে ৩টি আমল বন্ধ হয় না- ১. সদকায়ে জারিয়া, ২. এমন জ্ঞান (ইলম)- যার দ্বারা উপকৃত হওয়া যায় ও ৩. এমন নেক সন্তান- যে তার জন্য দোয়া করে। – সহিহ মুসলিম - ৪৩১০) সন্তান আল্লাহর দান। আল্লাহ যাকে খুশি তাকে সন্তান দান করেন এবং যাকে খুশি দান করেন না। সন্তান হওয়া একধরনের পরীক্ষা এবং সন্তান না হওয়া একধরনের পরীক্ষা। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যাসন্তান দেন, যাকে ইচ্ছা পুত্রসন্তান দেন। আবা...
  শ হিদ আরবি শব্দ। শ হিদ শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে শাহাদত শব্দ থেকে। ‘শাহাদত’ শব্দের অর্থ হচ্ছে- সনদ , সাক্ষ্য , প্রত্যয়নপত্র , সার্টিফিকেট ইত্যাদি।   শ হিদ   শব্দটির ভাবার্থ হলো- ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে জীবন কোরবানীর মাধ্যমে ঈমানের সত্যতার সাক্ষ্য , সনদ , সার্টিফিকেট বা প্রত্যয়ন প্রদান।’ আরবি ডিকশনারীতে ‘মু’জাম আল-অসীত’-এ ‘শহীদ’ শব্দের অর্থ দেয়া আছে: ‘যিনি আল্লাহর পথে নিহত হওয়ার জন্য নিজকে পেশ করলেন।’   মানব জাতিকে সৃষ্টির উদ্দেশ্য হচ্ছে মহান আল্লাহর ইবাদত করা , সেই ‘ইবাদত’ প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে একমাত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই যে মৃত্যুবরণ করলো , ইসলামী পরিভাষায় তাকে ‘শহীদ’ নামে আখ্যায়িত করা হয়। শহীদি মৃত্যু দুই প্রকার। এক প্রকার হলো প্রকৃত শহীদ। তা হলো , দ্বিন কায়েমের জন্য কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে জীবন দেওয়া। এ ধরনের শহীদের মর্যাদা অনেক বেশি। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন , ‘ আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয় , তাদের মৃত বলো না ; বরং তারা জীবিত , কিন্তু তোমরা তা বুঝ না।’ (সুরা আল-বাকারা : ১৫৪) আরেক প্রকারের শহীদ হলো , হুকুমি। অর্থাৎ তারা...

মহাবিস্ফোরণে পৃথিবীর সৃষ্টি ও কুরআনের বর্ণনা

ছবি
খুব বেশি দিনের কথা নয় যে মানুষ জানতে পেরেছে মহাবিশ্বের সূচনা এক মহাবিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে ঘটেছে। সৌরজগৎ সৃষ্টির মোটামুটি ১০০ মিলিয়ন বছর পর একগুচ্ছ সংঘর্ষের ফল হলো পৃথিবী। আজ থেকে ৪.৫৪ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবী নামের এই গ্রহটি আকার আকৃতি পায়। আইনস্টাইনের ক্ষেত্র সমীকরণ থেকে ফ্রিদমান সমীকরণ।তার পর বিশ্বতত্ত্ব নীতি এবং হোবল নীতি। ষ্টিফেন হকিং এর বিগ ব্যাং থিওরী আজ সর্বময় স্বীকৃত। এ থিওরী অনুযায়ী মহাবিশ্বের সকল দৃশ্য অদৃশ্য গ্রহ নক্ষত্র সৃষ্টির শুরুতে একটি বিন্দুতে পুঞ্জিভুত ছিল। এবং একটা বিশাল বিষ্ফোরণের মাধ্যমে এরা চারিদেকে ছড়িয়ে যেতে থাকে। আজ থেকে প্রায় এক হাজার ৫০০ বছর আগেই বিশ্বস্রষ্টা তাঁর মহাগ্রন্থ আল-কোরআনে এ ব্যাপারে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। ‘অবিশ্বাসীরা কি দেখে না যে সপ্তাকাশ ও পৃথিবী পুঞ্জীভূত হয়ে ছিল। অতঃপর আমি উভয়টি এক মহাবিস্ফোরণের মাধ্যমে সূচনা করেছি।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত -৩০)তিনি নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলকে অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে আনয়নকারী; তিনি যখন কিছু করতে চান তখন সেটিকে বলেন: ’হও’, অমনি তা হয়ে যায়।" (সূরা ইমরান, আয়াতঃ ১১৭)।এই আয়াতদ্বয় দ্বারা মহাবিশ্ব সৃষ্টির সাধারণ...

পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম ভোটার

ছবি
#মো আবু রায়হান বাংলাদেশ লাগোয়া ভারতের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে জনগণনা ২০১১ অনুযায়ী মোট জনসংখ্যা ৯ কোটি ১২ লক্ষ। ধর্ম ভিত্তিতে হিন্দু রয়েছে ৬ কোটি ৪ লক্ষ। মোট জনসংখ্যার ৭০.৫৩ শতাংশ হিন্দু রয়েছে। মুসলিম জনসংখ্যা ২ কোটি ৪ লক্ষ।যারা এই রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ২৭.০১%।জনসংখ্যার নিরিখে পশ্চিমবঙ্গে তিন জেলায় এগিয়ে রয়েছে মুসলিম সম্প্রদায়। মুর্শিদাবাদে মুসলিম জনসংখ্যা ৪৭ লক্ষ, হিন্দু ২৩ লক্ষ। মালদায় ২০ লক্ষ মুসলিম, হিন্দু ১৯ লক্ষ। উত্তর দিনাজপুরে ১৫ লক্ষ মুসলিম, ১৪ লক্ষ হিন্দুপশ্চিমবঙ্গে ভোটারদের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ মুসলিম। তাই রাজ্য রাজনীতিতে মুসলমানদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। মুসলমানদের দলে ভেড়ানোর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে টানাটানিও অব্যাহত। ভোটের রাজনীতির অঙ্ক সম্পর্কে যাঁরা মোটামুটি ওয়াকিবহাল, তাঁরা জানেন যে মুসলমানদের সমর্থন পেলে পশ্চিমবঙ্গে ভোটযুদ্ধে জেতা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। বামফ্রন্টের আমলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের একটা বড় অংশের সমর্থন তাদের দিকে ছিল। কিন্তু ২০০৯ লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকে সংখ্যালঘুরা বামফ্রন্টের দিক থেকে যেই মুখ ফিরিয়ে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তূণমূল কংগ্রেসের দিকে ...