পোস্টগুলি

ছবি
#মো. আবু রায়হান ১৯৮৬ সাল থেকে মালয়েশিয়ার খ্রিস্টানরা আল্লাহ নাম মুখে নিতে পারতো না। ঈশ্বরকে তারা আল্লাহ নামে ডাকতে পারতো না। ভাইরে আল্লাহ তো আল্লাহ। আল্লাহর নাম উচ্চারণে কাউকে কী বাঁধা দেয়া যায়। যদি আল্লাহর নাম বিকৃত করে কিছু করতো তাহলে ভিন্ন কথা ছিল।আল্লাহ তায়ালা বলেন, আল্লাহর অনেক সুন্দর সুন্দর নাম আছে। সুতরাং তোমরা তাঁকে সেসব নামেই ডাকবে। আর যারা তাঁর নাম বিকৃত করে তাদের বর্জন করবে। শিগগিরই তাদেরকে তাদের কৃতকর্মের ফল দেওয়া হবে। (সুরা : আরাফ, আয়াত - ১৮০) আল্লাহ' ওই সত্তাকে বলা হয়, যিনি স্বয়ম্ভু, সদা বিরাজমান, পূর্ণতা ও মহত্ত্বের যত গুণ হতে পারে, তিনি সেসব গুণের অধিকারী। 'আল্লাহ' শব্দটি পৃথিবীর সব ভাষায় ব্যবহৃত হয়। এর ভাষান্তর চলে না, চলে না লিঙ্গান্তর। দেহে কেবল শ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা থাকলে, জিহ্বা হেলানোর শক্তি থাকলেই এ নাম উচ্চারণ করা যায়। সর্বশেষ মালয়েশিয়ার আদালত রায় দিয়েছে এখন থেকে খ্রিস্টানরাও ঈশ্বরকে আল্লাহ বলে ডাকতে পারবে। খ্রিস্টানরা যদি তাদের ঈশ্বরকে আল্লাহ বলে ডাকে এতে আমার আল্লাহ শান, মর্যাদা গরীমা একটুও কমবে না। আরবের খ্রিস্টানরাও প্রাচীনকাল থেকে আল্লাহ শব্দটি...

ভারতে কোরআনের ২৬ আয়াতের বিরুদ্ধে রিট ও কিছু কথা

ছবি
#মো.আবু রায়হান এবার কোনো অমুসলিম নয়, নামধারী মুসলিম ভারতের শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াসিম রিজভী কোরআনের ২৬টি আয়াতের ওপর আপত্তি তোলে পরিবর্তনের আবেদন জানিয়ে ভারতের সুপ্রিমকোর্টে রিট করেছে। রিট আবেদনে বলা হয়েছে, ২৬টি আয়াত উদ্দেশ্যমূলকভাবে ইসলামের তিন খলিফা হযরত আবু বকর, হযরত ওমর এবং হযরত ওসমান কোরআনের মধ্যে ঢুকিয়েছেন। ক্ষমতা সুসংহত করতেই তারা এ কাজ করেছেন বলে রিটে উল্লেখ করা হয়। এই আয়াতগুলোতে মানুষকে সহিংস জিহাদে উৎসাহিত করা হয়েছে। কত বড় বুকের পাটা ওই কুলাঙ্গারের! যে কাজটি অমুসলিমরা করতে গিয়ে চৌদ্দবার ভাবে। সেখানে মুসলিম নামধারণ করে এই ইহুদি খ্রিস্টানদের এজেন্ট ওদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের দুঃসাহস পায় কোথায়? আল কোরআন যার হেফাজত বা সংরক্ষণের দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের জিম্মাদারিতে। আল্লাহ তায়ালা বলেন: ‘নিশ্চয়ই আমিই কোরআন নাজিল করেছি এবং অবশ্যই আমিই তা সংরক্ষণ করব।’ (সুরা-হিজর, আয়াত -৯)। এই রিট শুধু মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটাবে, ক্ষুব্ধ করে তুলবে। কিন্তু আলটিমেটলি কুরআনের মহিমা ও নুরকে নির্বাপিত করা যাবে না। বিগত চৌদ্দশ বছর ধরে কুরআনের বিরুদ্ধে অসংখ্যবার ষড়যন...

বোরকা ফ্যাশন হিসাবে নয় , হোক আল্লাহর ভয়ে

ছবি
ইসলামসম্মত পোশাক বলতে সেই পোশাককে বোঝায়, যা লজ্জাস্থান আবৃতকারী, মানানসই, সাদৃশ্যবর্জিত, ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ, বিলাসিতাবিবর্জিত, অহংকারমুক্ত, পরিচ্ছন্ন ।বোরকার দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে দেওয়া, যাতে করে পরপুরুষের দৃষ্টি শরীরে না পড়ে। উপরোক্ত উদ্দেশ্য শরীর ঢেকে দেয়, এমন প্রতিটি বোরকা দ্বারাই অর্জিত হয়ে যায়।তবে খেয়াল রাখতে হবে, যেনো বোরকা এমন না হয়, যার ওপরের অংশই পুরুষদের আকর্ষিত করে। এ হিসেবে কালো বোরকা পরিধান করাই সর্বোত্তম।যদি পরপুরুষকে আকৃষ্ট করার জন্য ডিজাইন করা বোরকা পরিধান করা হয়, তাহলে খারাপ নিয়তের কারণে ওই নারী গোনাহগার হবে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর গবেষণা তথ্যের বিবেচনায় দেশে বোরকা ও হিজাব ব্যবহারকারী নারীর সংখ্যা প্রায় দুই কোটি ২০ লাখ। এ পোশাক বাবদ একজন নারী বছরে গড়ে এক হাজার টাকা ব্যয় করলেও দেশে বোরকা ও হিজাবের বাজার দাঁড়ায় দুই হাজার কোটি টাকার বেশি।কারণ বিশ্ববাজারে বোরকা ও হিজাবের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। তবে দেশে যেসব উন্নতমানের বোরকা ও হিজাব দেখা যায় তার সবই প্রায় পাকিস্তান, ইরানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানির মাধ্যমে আসে।‘বাংলাদেশ ইয়ুথ সার্ভে’ শীর...

গণভোট দিয়ে সুইজারল্যান্ড বোরকা নিষিদ্ধ করল

ছবি
ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ড ৭ মার্চ গণভোট দিয়ে বোরকা নিষিদ্ধ করল। গণভোটের সরকারি ফলাফলে দেখা যায়, সামান্য ব্যবধানে এই নিষেধাজ্ঞা অনুমোদিত হয়। নিষেধাজ্ঞার পক্ষে ৫১.২% এবং বিপক্ষে ৪৮.৮% ভোট পড়েছে।এর ফলে মুসলিম নারীদের বোরকা বা নিকাবসহ প্রকাশ্যস্থানে মুখ-ঢাকা পোশাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে ভোট পড়ল। তবে দেশটির ২৬টি ক্যান্টনের (প্রশাসনিক অঞ্চল) ছয়টিতে বেশির ভাগ মানুষ এই প্রস্তাব সমর্থন করেননি। এই ছয় ক্যান্টনের মধ্যে রয়েছে দেশটির সবচেয়ে বড় তিন শহর জুরিখ, জেনেভা ও বাসেল।এ ছাড়া রাজধানী বার্নের বেশির ভাগ মানুষও ছিলেন বিপক্ষে। বোরকা ও নিকাব বিরোধীরা তাদের প্রচারাভিযানে নিকাব-পরা মুসলিম নারীর ছবি দিয়ে "উগ্র ইসলাম প্রতিহত করার" শ্লোগান দিয়েছিল।তাদের বিলি করা একটি প্রচারপত্রে বোরকা পরা এক নারীর চিত্র ব্যবহার করে লেখা হয়েছে, ‘ইসলামী উগ্রবাদ থামাও’।উল্লেখ্য সুইজারল্যান্ডে মাত্র ৩০ জন নারী বোরকা পরেন। ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৮৬ লাখ জনসংখ্যার সুইজারল্যান্ডে মাত্র পাঁচ দশমিক পাঁচ ভাগ মুসলিম।ফ্রান্স, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডসসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রয়েছে...

হুজুর আর মারবেন না, আমি মরে যাবো, আমাকে আমার মায়ের কাছে পাঠিয়ে দেন

ছবি
ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার জামিরদিয়া মাদ্রাসায় হেফজ শ্রেণির ছাত্র ছিল তাওহিদুল ইসলাম। পড়া মুখস্থ করতে না পারায় মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ আমিনুল ইসলাম লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তাওহিদুলের পাজরের হাড় ও একটি পা ভেঙে দেন। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন ওই শিক্ষক।ঘটনাটি ঘটে ২০১৮ সালে। তাওহিদুল তখন ১৮ পারা কোরআন মুখস্থ করেছিল, কিন্তু মাদ্রাসা থেকে ছেলের লাশ বাড়িতে আসবে কখনও ভাবেননি তার মা। তার মায়ের দাবি, তাওহিদুল মাঝেমধ্যে স্বপ্নে বলতো ‘হুজুর আর মারবেন না, আমি মরে যাবো, আমাকে আমার মায়ের কাছে পাঠিয়ে দেন।’শেষ পর্যন্ত তাওহিদুল মারা যায় কিন্তু এরপরও থেমে যায়নি শিশু নির্যাতনের ঘটনা। কোমলমতি শিশুদের পিটিয়ে জখম করে কুরআনের হাফেজ বানাতে হবে এই শিক্ষা তারা কোথায় পেলেন?অথচ ইসলাম শিশুদের আদর ভালোবাসা দিয়ে লালন পালনে গুরুত্বারোপ করেছে। রাসুলুল্লাহ (সা) শিশুদের দেখলে খুব খুশী হতেন। তাদের নিকটে যেতেন, সালাম দিয়ে কুশল বিনিময় করতেন, খোঁজ-খবর নিতেন, মাথায় হাত বুলাতেন, কোলে নিতেন, কাঁধে উঠাতেন, আদর-স্নেহ করতেন, খুব ভালবাসতেন। এমনকি চুমু খেতেন এবং দো‘আ করতেন। তাদের সাথে তিনি আকর্ষণীয়, রসাত্মক ও...

শবে মেরাজের ১৪ দফা

ছবি
১.একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত করা, তাঁর সঙ্গে কারও শরিক না করা, ২. পিতা-মাতার সঙ্গে সদাচরণ করা, ৩. আত্মীয়স্বজন, এতিম ও মুসাফিরের হক মেনে চলা, ৪. অপচয় না করা, ৫. অভাবগ্রস্ত ও প্রার্থীকে বঞ্চিত না করা, ৬. হাতকে গুটিয়ে না রেখে সব সময় কিছু দান করা, ৭. অন্যায়ভাবে কোনো মানুষকে হত্যা না করা, ৮. দারিদ্র্যের ভয়ে সন্তান হত্যা না করা, ৯. ব্যভিচারের নিকটবর্তীও না হওয়া, ১০. এতিমের সম্পদের ধারে-কাছেও না যাওয়া, ১১. যে বিষয়ে জ্ঞান নেই তা অনুসন্ধান করা, ১২. মেপে দেওয়ার সময় সঠিক ওজন পরিমাপ করা, ১৩. প্রতিশ্রুতি পালন করা, ১৪. পৃথিবীতে দম্ভভরে চলাফেরা না করা।

ফেসবুকীয় পাপ

ছবি
মানুষের মৃত্যুর পর তার আমল করার পথ বন্ধ হয়ে যায় তখন পাপ ও পূণ্য অর্জনের পথও বন্ধ । হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, ‘তিনটি জিনিস মৃত ব্যক্তিকে অনুসরণ করে থাকে। দু’টি ফিরে আসে, আর একটি তার (মৃত ব্যক্তির) সঙ্গে থেকে যায়। জিনিস তিনটি হলো- তার পরিবার; তার ধন-সম্পদ ও তার আমলনামা। এর মধ্যে পরিবার ও ধন-সম্পদ ফিরে আসে। তার সঙ্গে শুধুমাত্র আমলনামায় থেকে যায়। (বুখারি ও মুসলিম) দুনিয়ার বুকে রেখে যাওয়া কিছু ভালো কিংবা খারাপ আমলের ছোয়াব কবর থেকে সে বখশিস হিসেবে পেতে থাকে। কবরে বসে যদি সে দুনিয়ার ভালো কাজের ছোয়াব পেতে পারে তাহলে দুনিয়ার বুকে করে যাওয়া খারাপ কৃতকর্মের ফলাফল পেতেও সে বাধ্য। কবরে যে সব ছোয়াব পৌঁছে -, হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মানুষ মৃত্যুবরণ করলে তার যাবতীয় আমল বন্ধ হয়ে যায়, তবে ৩টি আমল বন্ধ হয় না- ১. সদকায়ে জারিয়া, ২. এমন জ্ঞান (ইলম)- যার দ্বারা উপকৃত হওয়া যায় ও ৩. এমন নেক সন্তান- যে তার জন্য দোয়া করে। ( সহিহ মুসলিম - ৪৩১০)অন্য এক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হযরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.)...