পোস্টগুলি

সাংবিধানিকভাবে ঘোষিত ইসলামি প্রজাতন্ত্রের দেশগুলো

ছবি
মুসলিম প্রধান দেশসমূহে ধর্মীয় অবস্থা বিবেচনা করে দেশগুলোকে চারটি শ্রেণিতে বিন্যস্ত করা হয়েছে।ক. ইসলামি রাষ্ট্র-রাষ্ট্রীয় কার্যে ইসলামকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ।খ.দেশ ধর্ম-ধর্মীয় সংগঠন বা ধর্ম বিশ্বাস রাষ্ট্রীয়ভাবে অনুমোদন।গ. ধর্মনিরপেক্ষ-রাষ্ট্র-রাষ্ট্রীয়ভাবে ধর্মীয় বিষয়সমূহে নিরপেক্ষতা ঘোষণা নেই। ঘ. আনুষ্ঠানিক বা সরকারিভাবে কোন বক্তব্য নেই।বিশ্বে সাংবিধানিকভাবে ঘোষিত ইসলামি প্রজাতন্ত্র দেশ চারটি- ১. ইসলামিক রিপাবলিক অব আফগানিস্তান ২. ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান ৩. ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান ৪. ইসলামিক রিপাবলিক অব মৌরিতানিয়া এসব দেশে ইসলামি আইন পুরোপুরি বলবদ নেই বললেই চলে। শিয়া অধ্যুষিত ইরানে কিছুটা ইসলামি আইন চালু আছে।পাকিস্তানে খুবই নগণ্য।বাকি দেশ আলঙ্কারিক ইসলামি প্রজাতন্ত্র। The classical  sharia  system is exemplified by Saudi Arabia and some other Gulf states. Iran shares many of the same features, but also possesses characteristics of mixed legal systems, such as a parliament and codified  laws . আফগানিস্তান আফগানিস্তান যার সরকারি নাম  Islamic Republic of Afghanistan. দক্ষিণ

যে যুদ্ধ থামিয়ে দিল মুসলমানদের ইউরোপ জয়

ছবি
চার্লস মার্টেল হাতুরি হাতে মো.আবু রায়হানঃমহানবী (সা.) এর ওফাতের একশ বছরের মাথায় বিশ্ব ইতিহাসে ঘটল টুরসের যুদ্ধ।যা একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ধারণকারী যুদ্ধ। যে যুদ্ধে পরাজয়ে থেমে গেল মুসলমানদের ইউরোপ জয়। বিশ্ব ইতিহাসে এই যুদ্ধের গুরুত্ব অপরিসীম। ঐতিহাসিক Godefroid Kurth বলেন, “must ever remain one of the great events in the history of the world, as upon its issue depended whether Christian Civilization should continue or Islam prevail throughout Europe.” টুরসের যুদ্ধ সম্পর্কে জানার আগে আসুন পটভূমি জেনে আসি। ইসলামের ইতিহাসে উমাইয়া আমলকে বলা হয় সম্প্রসারণের যুগ বা The age of expansion। মুসলমানরা একদিন বিশাল পারসিক সাম্রাজ্য পদানত করলো।ধীরে ধীরে অধিকৃত হল সিরিয়া, আর্মেনিয়া ও উত্তর আফ্রিকাসহ বাইজান্টাইনীয় সাম্রাজ্যের বৃহত্তর অংশও। ৭১১ সালে জিব্রাল্টারে তারিক বিন জিয়াদের অবতরণের মাধ্যমে আইবেরিয়ান উপদ্বীপে তথা স্পেনে মুসলিম আরবদের অভিযান শুরু। তারিক বিন জিয়াদ এবং মুসা ইবনে নুসাইরের স্পেন বিজয়ের পরপরই খলীফা ওয়ালিদ ইবনে আবদুল মালিকের শাসনামলে ফ্রান্স তথা মধ্য ইউরোপ অভিমুখে মুসলমানদের বিজয়াভিযা

স্পেন বিজয়ী তারেক বিন জিয়াদের ঐতিহাসিক ভাষণ

ছবি
মো.আবু রায়হানঃতারিক বিন জিয়াদ ৭১১ থেকে ৭১৮ সাল পর্যন্ত ভিসিগথ শাসিত স্পেনের মুসলিম বিজয় অভিযানের একজন সেনানায়ক।বিশ্ব ইতিহাসে তাঁকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সেনা কমান্ডার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। উমাইয়া খলিফা প্রথম আল ওয়ালিদের আদেশে তিনি একটি বিরাট বাহিনীকে মরক্কোর উত্তর উপকূল থেকে নেতৃত্ব দিয়ে স্পেন জয় করেন। তারিক বিন জিয়াদ উত্তর আফ্রিকার বার্বার বংশোদ্ভূত লোক।তবে বেশ কিছু ভিন্ন রকম তথ্য আছে। Tariq bin Ziyad was a new convert to Islam from the Berber tribe of Algeria. He was said to be a freed slave. তারিক ছিলেন মুসা বিন নুসায়েরের একজন দাস, পরবর্তীতে মুসা তাকে মুক্ত করে দিয়ে তাকে বাহিনীর সেনাপতি বানান। যদিও তাঁর দাস হবার সম্ভাবনা তার উত্তরসূরিরা অস্বীকার করেন। মুসা বিন নুসায়েরে ৭১০-৭১১ সালে তানজিয়ার জয়ের পর তারিক বিন জিয়াদকে এর গভর্নর নিয়োগ দেন।বলা হয় তারিক বিন জিয়াদ স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে স্পেন জয় করেন। অভিযানের দায়িত্ব লাভের পর তিনি মহানবী (সা.)-কে স্বপ্ন দেখেন। ঐতিহাসিক ইবনে বাশকাওয়ালের বর্ণনায়, ‘তিনি দেখলেন, আনসার ও মুহাজির সাহাবিগণ রাসুল (সা.)-এর চারপাশে বসে আছেন। তাঁদের গলায়

জীব জন্তুরা মুসলমানদের বন ছেড়ে দিয়েছিল

ছবি
মো.আবু রায়হান: আরব উপদ্বীপের বাইরে,আফ্রিকা মহাদেশ প্রথম যেখানে ইসলাম ৭ম শতাব্দীর গোড়ার দিকে ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্বের মুসলিম জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এই মহাদেশে বাস করে। ২০০২ সালের হিসাব অনুসারে, আফ্রিকার মোট জনসংখ্যার ৪৫% মুসলিম । উত্তর আফ্রিকায় ইসলামের একটি বড় উপস্থিতি রয়েছে। এছাড়াও হর্ন অব আফ্রিকা ( ইরিত্রিয়া, ইথিওপিয়া, জিবুতি,সোমালিয়া) সোয়াহিলি কোস্ট ও অনেকাংশ পশ্চিম আফ্রিকা ইসলাম আছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় সংখ্যালঘু কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অভিবাসী জনগোষ্ঠী রয়েছে।মুসলমানদের প্রথম হিজরত ছিল আফ্রিকার আবিসিনিয়ায়(বর্তমানের ইথিওপিয়ায়)।বর্তমানের জিবুতি, সোমালিয়া ও ইরিত্রিয়া অতিক্রম করে হিজরতের সময় মুসলমানেরা ইথিওপিয়ায় আশ্রয় নেয়।Following the conquest of North Africa by Muslim Arabs in the 7th century CE, Islam spread throughout West Africa via merchants, traders, scholars, and missionaries, that is largely through peaceful means whereby African rulers either tolerated the religion or converted to it themselves. In this way, Islam spread across and around the Sahara Desert.আফ্

আফ্রিকায় ইসলামের আগমন ও উকবা বিন নাফের বীরত্ব

ছবি
মো.আবু রায়হান: আরব উপদ্বীপের বাইরে,আফ্রিকা মহাদেশ প্রথম যেখানে ইসলাম ৭ম শতাব্দীর গোড়ার দিকে ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্বের মুসলিম জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এই মহাদেশে বাস করে। ২০০২ সালের হিসাব অনুসারে, আফ্রিকার মোট জনসংখ্যার ৪৫% মুসলিম । উত্তর আফ্রিকায় ইসলামের একটি বড় উপস্থিতি রয়েছে। এছাড়াও হর্ন অব আফ্রিকা ( ইরিত্রিয়া, ইথিওপিয়া, জিবুতি,সোমালিয়া) সোয়াহিলি কোস্ট ও অনেকাংশ পশ্চিম আফ্রিকা ইসলাম আছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় সংখ্যালঘু কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অভিবাসী জনগোষ্ঠী রয়েছে।মুসলমানদের প্রথম হিজরত ছিল আফ্রিকার আবিসিনিয়ায়(বর্তমানের ইথিওপিয়ায়)।বর্তমানের জিবুতি, সোমালিয়া ও ইরিত্রিয়া অতিক্রম করে হিজরতের সময় মুসলমানেরা ইথিওপিয়ায় আশ্রয় নেয়।Following the conquest of North Africa by Muslim Arabs in the 7th century CE, Islam spread throughout West Africa via merchants, traders, scholars, and missionaries, that is largely through peaceful means whereby African rulers either tolerated the religion or converted to it themselves. In this way, Islam spread across and around the Sahara Desert.আফ্

চীনে মুসলমানদের আগমন ও প্রথম মসজিদ

ছবি
মো.আবু রায়হানঃ ইসলামের আবির্ভাবের শুরুতে যে সব স্থানে প্রথম ইসলামের বাণী প্রচারিত হয় সেসব স্থানের মধ্য চীন অন্যতম।বর্তমানে মুসলিমরা চীনা জনসংখ্যার ১.৫ শতাংশ। সাম্প্রতিক আদমশুমারি থেকে জানা যায়, চীনে প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ মুসলিম রয়েছে। এদের অধিকাংশই হুই, উইঘুর, কাযাখ ও তাতার জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। মুসলিমরা চীনের একটি অন্যতম সংখ্যালঘু গোষ্ঠী।তারা তৃতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় জনগোষ্ঠী।কম-বেশি চীনের সবখানেই মুসলমান রয়েছে। হুই মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও জিনজিয়াং প্রদেশে রাষ্ট্রের দমন ও নিপীড়নমূলক কার্যক্রমের শিকার উইঘুর জনগোষ্ঠী মুসলিম জনসংখ্যার গুরুত্বপূর্ণ অংশ দখল করে আছে।হুই,উইঘুর, কাজাক, উজবেক, তাজিক, তাতার, কিরগিজ, ডোংসিয়াং, সালার, বোনান প্রভৃতি সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মধ্যে ইসলামের অনুসারীর সংখ্যা বেশি।জিংজিয়াং, গানচু, নিংজিয়া, ইউনান, হেনান ও কুনমিং অঞ্চলে মুসলমানরা সংখ্যাধিক্য। চীনের সরকারিভাবে স্বীকৃত ৫৫টি সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মধ্যে দশটি গোষ্ঠীই প্রধানত সুন্নি মুসলিম। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের আর্থিক সংস্থার সহায়তায় চীনে ২০১৪ সালে একটি অত্যাধুনিক শিল্পকলা, কারুকার্য