পোস্টগুলি

তাহলে শাদ্দাদের বেহেশত নির্মাণের কাহিনি ভিত্তিহীন ?

ছবি
শাদ্দাদের বেহেশত নির্মাণ নিয়ে নানান মুখরোচক গল্প কাহিনি প্রচলিত আছে। শাদ্দাদের কাহিনী আলিফ লায়লা ওয়া লায়লা অর্থাৎ আরব্য রজনী গ্রন্থের ২৭৭ থেকে ২৭৯ তম রাতে বলা হয়। কাসাসুল আম্বিয়া গ্রন্থেও কাহিনি উল্লেখ আছে। কিন্তু কুরআন ও হাদিসের বর্ণনায় শাদ্দাদের বেহেশত নির্মানের কাহিনি উল্লেখ নেই। ইসলামি চিন্তাবিদদের জিজ্ঞেস করলে, তারা বলে থাকেন শাদ্দাদের বেহেশতের কাহিনী স্বীকার বা অস্বীকার করবার মতো উপাত্ত হাতে নেই, তাই এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় না।বলা হয়, শাদ্দাদ এবং তার ভাই শাদ্দিদ পালা করে এক হাজার আদ গোত্রের ওপর রাজত্ব করে। পুরো আরব আর ইরাকের রাজা ছিল শাদ্দাদ। উপকথা অনুযায়ী, হুদ (আ) শাদ্দাদকে পরকালের বেহেশতের প্রতিশ্রুতি দেন, কিন্তু শাদ্দাদ বলল সে নিজে বেহেশত বানাবে দুনিয়াতেই, লাগবে না তার পরকালের বেহেশত। এরপর ইয়েমেনের আদানের কাছে এক বিশাল এলাকা জুড়ে শাদ্দাদের বেহেশত নির্মাণ শুরু হয়। প্রাচীর দেয়ালগুলো ৭৫০ ফুট উঁচু ছিল, আর প্রস্থে ৩০ ফুট। চারদিকে চারটি ফটক। ভেতরে তিন লক্ষ প্রাসাদবাড়ির কথা বর্ণিত আছে, উপকথা অনুযায়ী জানা যায় যার নির্মাণ কাজ শেষ হয় ৩০০ /৫০০ বছরে। ফটক দিয়ে ঢুক

হযরত সুলায়মান (আ. ও তার হুদহুদ পাখি

ছবি
হযরত সুলায়মান (আ.) ছিলেন একজন নবী এবং প্রতাপশালী বাদশাহ্‌।তিনি জেরুজালেম নগরী প্রতিষ্ঠা করেন এবং আল্লাহ তায়ালার মহিমা তুলে ধরতে মুসলমানদের প্রথম কিবলা আল-আকসা মসজিদ পুন:নির্মাণ করেন। আল্লাহ হযরত সুলায়মান (আ.)-কে বিরল ক্ষমতার অধিকারী করেছিলেন। পশুপাখি, জিন থেকে শুরু করে প্রবাহিত বাতাস পর্যন্ত তাঁর অনুগত ছিল। তাঁর বাহিনীতে অসংখ্য জিন ও পশুপাখি সংযুক্ত ছিল।হযরত সুলায়মান (আ.) এর বার্তাবাহকের দায়িত্ব ছিল হুদহুদ পাখির ওপর। হুদহুদ এক জাতীয় ছোট্ট পাখির নাম। আরবি ও উর্দুতে একে ডাকা হয় হুদহুদ নামে।  যা পক্ষীকুলের মধ্যে অতীব ক্ষুদ্র ও দুর্বল এবং যার সংখ্যাও দুনিয়াতে খুবই কম। মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিটি দেশ, মিসর, মাদাগাস্কার, এমনকি ইউরোপের কোনো কোনো দেশেও এর দেখা পাওয়া যায়। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও মাঝেমধ্যে এই পাখির দেখা পাওয়া যায়। আমাদের দেশের মানুষ এটিকে মোহনচূড়া বা কাঠকুড়ালি হিসেবে চেনে। যেহেতু হুদহুদ পাখির অনেক উপপ্রজাতি আছে, তাই আমাদের দেশের মোহনচূড়াই সুলাইমান (আ.)-এর হুদহুদ কি না তা নিয়ে সংশয় আছে। ইংরেজিতে একে হুপো বা হুপি বলে ডাকা হয়। সাধারণত এই পাখিটি ২৫ থেকে ৩২ সেন্টিমিটার (৯.৮ থেকে ১২.৬ ইঞ

দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে ইসলাম

ছবি
মো. আবু রায়হান: দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি এদেশের কাঁচাবাজারে  সাধারণ দৃশ্য। সুযোগ পেলেই এক শ্রেণীর সুযোগ সন্ধানী মুনাফাখোর ব্যবসায়ী অধিকাংশ সময় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মূল্য বৃদ্ধি করে থাকে। বাংলাদেশ বোধহয় বিশ্বের একমাত্র মুসলিম দেশ যেখানে রমজান মাস এলেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়ে সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যায়। সেসময় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধি করা হয়।রমজান মাস ছাড়াও প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট সময় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য হয় আকাশচুম্বী।আল্লাহ তায়ালা ব্যবসাকে হালাল করেছেন। কিন্তু কিছু কার্যকলাপের কারণে সেই ব্যবসার মুনাফা কখনো সখনো হারামে পরিণত হয়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্ব গতি সাধারণ মানুষের জীবন নাকাল করে তোলে। দ্রব্য মূ‌ল্যের আচমকা বৃদ্ধির কিছু কারণ রয়েছে, যেমন -ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট, মধ্যস্বত্বভোগীদের অতিরিক্ত মুনাফার লালসা। এছাড়াও কিছু কারণ রয়েছে,  যেমন- আন্তর্জাতিক  বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়া, শুল্ক বৃদ্ধি করা, বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং তদারকির ক্ষেত্রে সরকারের অমনোযোগিতা ও ব্যর্থতা, শিল্প মালিক, উদ

দান

ইসলামী জীবন ব্যবস্থায় সাদকা বা দান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।দান করা একটি অতি মহৎ কাজ।  ধনী গরীব ব্যবধান দূরীভূত করে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা কায়েমে দানের রয়েছে অপরিসীম গুরুত্ব। দান করতে বিশাল অর্থ বিত্তের মালিক হতে হয় না। অল্প পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেও দান করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট।দানের জন্য বিত্তের চেয়ে চিত্তের ঐকান্তিক ইচ্ছা ও উদারতা বেশি প্রয়োজন। অনেকের ধারণা দান করলে সম্পদ কমে যায় এটি একটি ভুল ধারণা বরং সম্পদ বৃদ্ধি ও বরকত প্রাপ্ত হয়।রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন,  “সাদকা করলে কোন মানুষের সম্পদ কমে না।” (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ)।দানের ফলে বিপদ আপদ দূর হয়।মানুষের কল্যাণে নিজের অর্থ-সম্পদ ব্যয় বা প্রদান করাকে দান বলা হয়।Cambridge Dictionary তে দানের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে,"money or goods that are given to help a person or organization." হযরত সালেম (রা.) হতে বর্ণিত। রাসূল (সা.) বলেন, শুধুমাত্র দু’জন লোকের ওপর ঈর্ষা করা যায়। একজন হলন সেই ব্যক্তি যাকে আল্লাহ তায়ালা কুরআনের জ্ঞান দিয়েছেন আর সে রাত দিন তা চর্চা করে। অপরজন হলেন যাকে আল্লাহ সম্পদ দিয়েছেন আর রাতদিন সে তা মানব কল্যাণে

হযরত দাউদ ও সুলাইমানের ন্যায় বিচার

ছবি
এবং স্মরণ কর দাঊদ ও সুলাইমানের কথা, যখন তারা বিচার করছিল শস্য ক্ষেত্র সম্পর্কে; তাতে রাত্রিকালে প্রবেশ করেছিল কোন সম্প্রদায়ের মেষ; আর আমি প্রত্যক্ষ করছিলাম তাদের বিচার। (সুরা আম্বিয়া আয়াত-৭৮)। দুইজন লোক দাউদ (আ.) এর কাছে উপস্থিত হন। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন ছাগলপালের মালিক ও অপরজন শস্যক্ষেত্রের মালিক। শস্যক্ষেত্রের মালিক ছাগলপালের মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন যে, তার ছাগলপাল রাতে আমার শস্যক্ষেত্রে চড়াও হয়ে সম্পূর্ণ ফসল নষ্ট করে দিয়েছে। ফসলের কিছুই অবশিষ্ট রাখেনি। এই অভিযোগ ছ াগলপালের মালিক স্বীকার করে নিয়েছিল। ঘটনা শুনে দাউদ (আ.) রায় দিলেন যে, ছাগলপালের মালিক তার ছাগলপাল শস্যক্ষেত্রের মালিককে অৰ্পণ করবে। (ফিকহ এর পরিভাষায় ‘যাওয়াতুল কিয়াম’ অর্থাৎ যেসব বস্তু মূল্যের মাধ্যমে আদান প্রদান করা হয়, সেগুলো কেউ বিনষ্ট করলে তার জরিমানা মূল্যের হিসাবেই দেয়া হয়। ছাগলপালের মূল্য বিনষ্ট ফসলের মূল্যের সমান বিধায় বিধি মোতাবেক এই রায় দেয়া হয়েছে)। মামলার রায়ের পর বাদী ও বিবাদী উভয়ই দাউদ (আ.) এর আদালত থেকে বের হলে, দরজায় তার পুত্র সুলাইমান (আ.) এর সাথে তাদের দেখা হয়। সুলাইমান (আ.)  তখন

জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ও ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি

ছবি
মো আবু রায়হানঃমুসলিম আলেম ওলামাদের মধ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে বিতর্ক বহু দিনের। এ নিয়ে তাদের মধ্যে  বিভেদও বিস্তর। তবে শর্তাসাপেক্ষে কিছু আলেম ওলামা কুরআন হাদিসের দলিলের ভিত্তিতে জন্মনিয়ন্ত্রণের বৈধতা দিয়ে থাকেন।  কুরআন হাদিসে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা, না করার পক্ষে যথেষ্ট দলিলাদি রয়েছে যা তারা প্রমাণ হিসাবে পেশ করে থাকেন। জন্মনিয়ন্ত্রণ বলতে সন্তান সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং প্রত্যাশিত সময়ে গর্ভধারন কে বোঝানো হয়। জন্মনিয়ন্ত্রণের সমার্থক শব্দ হিসেবে  গর্ভবিরতিকরণ,  গর্ভনিরোধ,  প্রজনন নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করা হয়।জন্মনিয়ন্ত্রণের ইংরেজি হলো Birth control।উইকিপিডিয়া মতে Birth control, also known as contraception and fertility control, is a method or device used to prevent pregnancy.গর্ভধারণ প্রতিরোধের এক বা একাধিক কর্মপ্রক্রিয়া, পদ্ধতি, সংযমিত যৌনচর্চা অথবা ঔষধ প্রয়োগের মাধ্যমে ঐচ্ছিকভাবে গর্ভধারণ বা সন্তান প্রসব থেকে বিরত থাকার স্বাস্থ্যবিধিই হলো জন্ম নিয়ন্ত্রণ। ইতিহাস ঘেটে পাওয়া যায় সর্বপ্রথম   ৫০০০ -৩২০০ খ্রি.পূর্বে মিসরীয় সভ্যতায় জন্মনিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি ব্যবহারের উল্লেখ পাওয়া

সুফফা ইসলামের প্রথম আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

ছবি
মো.আবু রায়হান:  সুফফা মসজিদে নববির একটি স্থান। যেখানে একদল নিঃস্ব মুহাজির যারা মদিনায় হিজরত করেন এবং বাসস্থানের অভাবে মসজিদে নববির সেই স্থানে থাকতেন।এটি প্রথমদিকে মসজিদ উত্তর-পূর্ব কোণায় ছিল এবং রাসুলের আদেশে এটাকে পাতার ছাউনি দিয়ে ছেয়ে দেয়া হয় তখন থেকে এটি পরিচিতি পায় আল-সুফফা বা আল-জুল্লাহ নামে। ( A Suffah is a room that is covered with palm branches from date trees, which was established next to Al-Masjid al-Nabawi by Islamic prophet Muhammad during the Medina period.)। মোটকথা রাসুল (সা) মসজিদে-নববির চত্ত্বরের এক পাশে আস সুফফা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সুফফা হলো ছাদবিশিষ্ট প্রশস্ত স্থান। সুফফার আকৃতি ছিল অনেকটা মঞ্চের মতো, মূল ভূমির উচ্চতা ছিল প্রায় অর্ধমিটার। প্রাথমিক পর্যায়ে এর দৈর্ঘ্য ছিল ১২ মিটার এবং প্রস্থ ছিল ৮ মিটার। মসজিদে নববির উত্তর-পূর্বাংশে নির্মিত সুফফার দক্ষিণ দিকে ছিল রাসুলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর স্ত্রীদের অবস্থানের হুজরা এবং সংলগ্ন পশ্চিম পাশে ছিল মেহরাব।আসহাবে সুফফা অৰ্থ চত্বরবাসী। ঐ সকল মহৎ প্ৰাণ সাহাবি আসহাবে সুফফা নামে পরিচিত, যারা জ্ঞানার্জনের জন্য ভোগবিলাস ত্যাগ কর

প্রাথমিক শিক্ষকদের সুখ-দুঃখ

ছবি
মো আবু রায়হানঃমানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক সমাজ। জাতি গড়ার কারিগরদের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে আমাদের বিদ্যা অর্জনের হাতেখড়ি। ছোট বেলায় আমরা পিতামাতার পর যাদের সংস্পর্শে সবচেয়ে বেশি সময় কাটিয়েছি তারা হলেন আমাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকমণ্ডলী।কথায় বলে পিতামাতা জন্মদাতা আর শিক্ষক হলেন জ্ঞানদাতা ।এদেশে একসময় মক্তব মাদরাসায় ছোট বাচ্চারা পড়াশোনা করত। এখন এসব নেই বললেই চলে। যদিও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ ভিত্তিক কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়। ১৯৯০ সালে জাতীয় সংসদে ‘প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক আইন’পাস হয়েছিল। প্রাথমিক শিক্ষার কাঠামোকে শক্তিশালী করা, সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং নিরক্ষরতা দূরীকরণের লক্ষ্যে ১৯৯২ সালের আগস্টে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ নামে একটি নতুন বিভাগও গঠিত হয়েছিল। এরপর থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আসে। বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা প্রায় ৮০,৪০১ টি। এর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৩,৬০১ টি। শহর, গ্রাম,চরাঞ্চল, হাওড়,বাওড়, দুর্গম পাহাড়ী এলাকাসহ সব খানেই প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ।দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্

শহিদ বুদ্ধিজীবী ও বর্তমানের মেরুদন্ডহীন বুদ্ধিজীবী সমাজ

১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ সময় জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করা হয়।ভাষা আন্দোলন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে তাদের অবদান ছিল অগ্রগন্য। বুদ্ধিজীবীর বিভিন্ন সমার্থক শব্দ প্রচলিত রয়েছে। পণ্ডিত, বিদ্বান টাইপের মানুষ। কার্ল মার্কসের তত্ত্ব এবং গোষ্ঠীভিত্তিক যে শ্রেণিবিশ্লেষণ তা সম্ভবত বুর্জোয়ার সঙ্গে এই intelligentsia-কে এক করে দিয়েছেন।উইকিপিডিয়া মতে, বুদ্ধিজীবীর ইংরেজি প্রতিশব্দ Intellectual. বুদ্ধিজীবী হলেন এমন ব্যক্তি যিনি সমাজ সম্পর্কিত জটিল চিন্তা, গবেষণা ও প্রভাব-বিস্তারে জড়িত থাকেন, সমাজের মূল সমস্যাগুলোর সমাধান ও সমাধানের পদ্ধতির প্রস্তাব দেন, এবং একজন জনপ্রিয় ব্যক্তির স্বীকৃতি অর্জন করেন।বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত শহীদ বুদ্ধিজীবী কোষ গ্রন্থে বুদ্ধিজীবীদের যে সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে তা হলো, বুদ্ধিজীবী অর্থ লেখক, বিজ্ঞানী, চিত্রশিল্পী, কন্ঠশিল্পী, সকল পর্যায়ের শিক্ষক, গবেষক, সাংবাদিক, রাজনীতিক, আইনজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, স্থপতি, ভাস্কর, সরকারি ও বেসরকারি কর্মচারী, চলচ্চিত্র ও নাটকের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, সমাজসেবী ও সংস্কৃতিসেবী। Oxford English