পোস্টগুলি

কেন বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ?

দুটো অচেনা অজানা নর -নারীর মধ্যে হয় বিয়ে নামক আত্মিক সম্পর্ক। এতে তাদের দুই পরিবারের মধ্যে গড়ে উঠে আত্মীয়তার সমন্ধ। পরম সুখে দুজনে শুরু করেন জীবনের নতুন অধ্যায়। এক বুক আশা আর অকৃত্রিম ভালোবাসা নিয়ে শুরু হয় তাদের বর্ণিল পথচলা। তখন তাদের পরিচয় হয় স্বামী এবং স্ত্রী হিসেবে। স্বামী স্ত্রীর এযেন মধুর এক সম্পর্ক। দুটো দেহ মন যেন মিশে যায় একটি আত্মায়। দুজনে হয়ে যায় একে অপরের পরিপূরক। তারা দিনদিন একই সত্ত্বা ও অনুভূতির অনবদ্য বন্ধনে বাঁধা পড়ে। সুখ দুঃখ হাসি কান্না ভাগাভাগি করে নিতেও তাদের থাকে না আপত্তি। তাদের সেই সংসার বিচ্ছেদ নামক কাল নাগিনীর ছোবলে কখনো হয়ে যায় বিষাক্ত।আলাদা হয়ে যায় দুজনের স্বপ্ন ও ভবিষ্যৎ। হারিয়ে যায় একই পথে চলার কুসুমাস্তীর্ণ সেই পথ। সিঁধকেটে ঢোকা বিচ্ছেদে অশান্তির অনলে জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যায় দুটো হৃদয়। বিদগ্ধ হৃদয় লুটে পড়ে তাসের ঘরের মতো। ঘোর অমানিশায় হারিয়ে যায় শক্ত করে ধরা দুটো যুগল হাত। এতক্ষণ বর্ণনা করছিলাম বিয়ে এরপর বিচ্ছেদের সেই বিষাদময় যন্ত্রণার কথা। আজ বিবাহ বিচ্ছেদ যেন বাংলাদেশে মামুলি ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে ঢাকা শহরে বিবাহ বিচ্ছেদের পরিসংখ্যান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বিতর্ক কেন?

২০২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবের ১০০ বছরের পূর্তি। তার পূর্বে হঠাৎ করে শিক্ষক,  মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ছিল কি না এ নিয়ে চলছে বাহাস। কেউ বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ছিল আবার কেউ কেউ বলেন ছিল। ২০১৬ সালে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ বিষয়টি সত্য নয়। তিনি বলেছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড এটা কথিত কথা। এটা দলিলপত্রে কোথাও লেখা নেই। এটা হওয়ার কোন কারণও নেই। এটা লোকে বলে। আর বলতে বলতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এরমধ্যে পদ্মা মেঘনা যমুনার অনেক পানি গড়িয়েছে। কখনো বিষয়টি এতোটা আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়নি।ইদানিং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচিত বিষয় ছিল বিশ্ব তালিকায় ঢাবির ক্রমাবনতি। বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  নাম না থাকা। শিক্ষার গুনগত মানের চরম অবনতি। চরমদলীয়করণ, অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ। শিক্ষকদের দায়িত্ব জ্ঞানহীন মন্তব্য। বিরোধী মত ও দলের ছাত্র সংগঠনগুলোর  প্রতি বৈরী আচরণ এবং দীর্ঘ আটাশ বছর পর বহু কাঙ্ক্ষিত বিতর

হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ও তাঁর কাব্য প্রতিভা

প্রেম বিরহ ও মানবতার কবি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। এক সময়ের বাংলাদেশের শক্তিমান স্বৈরশাসক এরশাদ ক্ষমতায় থাকাবস্থায় ও ক্ষমতার বাইরে এমনকি জেলে বসে লিখেছেন অসংখ্য প্রেম ভালোবাসা বিরহ ও কষ্টের কবিতা। সেনাপ্রধান থেকে সামরিক শাসক- বিপুল অভিজ্ঞতায় ও ব্যস্ত জীবনে এক সময় ক্ষমতা, প্রেমিকা, স্ত্রীরা সকলেই তাকে ছেড়ে গেছে। কিন্তু তিনি কখনো কবিতা ছাড়েনি।কবিতাও তাঁকে কখনো ছাড়েনি।এরশাদ হয়ত চরম দুঃখের সময়েও সঙ্গী করে নিয়েছেন এ কবিতাকে। লিখে গেছেন ক্ষমতা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দিনেও। লিখে গেছেন প্রেম ও প্রেয়সীদের সঙ্গে  সংসার জীবনেও।কবিতা লিখেছেন সংসারহীন নিঃসঙ্গ একাকী দিনগুলিতে। লিখেছেন যখন ক্ষমতার রাজনীতিতে দুর্দিনের অনিশ্চয়তা ও কষ্টের দিনে। কৈশোর হতে যার কবিতায় হাতে খড়ি। শরীরের অস্থি মজ্জায় যার কবিতার পংক্তি জড়িয়ে। তাঁকে কি কোনো বাধা হার মানাতে পারে? তার কিছু কবিতা বিভিন্ন সময় আবৃত্তির সিডি এলবাম হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে।কখনো কখনো এরশাদ মহান সংসদেও আবৃত্তি করেছেন তাঁর জীবনমুখী কবিতা। এরশাদের প্রতিটি কবিতায় যেন তার জীবন প্রেম,  ভালোবাসা ও বিরহের সঙ্গে মিশিয়ে থাকা একেকটি কবিতার চরণ। এরশাদের ভক্ত অনুরাগী

মাশরাফির কি দিন শেষ নয়?

মাশরাফিকে খুব বেশি ভালোবাসি। তাঁর একজন ভক্তও বটে। যেদিন রাজনীতিতে তাঁর অভিষেক হলো সেদিন খুব বেশি ব্যথিত হয়েছিলাম। বাংলাদেশের তারুণ্যের অহঙ্কার তিনি। তার বিনয় নম্রতা নিরহংকার চরিত্রে সবাই মোটামুটি মুগ্ধ। বাংলাদেশের কলুষিত রাজনীতিতে তিনি হতে পারতেন বিকল্প একটি প্লাটফর্ম। যেখানে তারুণ্যের ভাগ্যাকাশের কালো ঘনঘটার পরিবর্তনে নেতৃত্ব দিতে পারতেন।কিন্তু তিনি দূষিত পানির স্রোতে গা ভাসিয়ে দিলেন। বর্তমানের নোংরা রাজনীতির দুর্গন্ধ কিছুটা তাকেও স্পর্শ করবে এবং ব্যর্থতা তাঁর স্কন্ধেও বর্তাবে। কিছুদিন আগে ডাক্তারদের চিকিৎসায় অবহেলা এবং  তৎপরবর্তীতে তাঁর তৎপরতায় তাকে তীর্যক বিতর্কের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে। বিশ্বকাপে সাত ম্যাচে এক উইকেট পেয়ে তিনি এখনো দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অন্য কোনো দেশ হলো বিকল্প কেউ  নেতৃত্ব আসতো  কিংবা নিজেই মান সম্মান বজায় রেখে দল থেকে পদত্যাগ করতেন। আমাদের দেশে অবশ্য এসব বিরল ও অকল্পনীয় ব্যাপার। কেউ পদ ছাড়তে চায় না। হাজারো অকাম বদকাম দুর্নীতি কিংবা অদক্ষতার পরিচয় দিলেও। পাবলিককেই আন্দোলন করে টেনে হেঁচড়ে নামাতে হয়। যাকগে আর একটি ম্যাচ বাকি তারপর বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশনের