মাশরাফির কি দিন শেষ নয়?
মাশরাফিকে খুব বেশি ভালোবাসি। তাঁর একজন ভক্তও বটে। যেদিন রাজনীতিতে তাঁর অভিষেক হলো সেদিন খুব বেশি ব্যথিত হয়েছিলাম। বাংলাদেশের তারুণ্যের অহঙ্কার তিনি। তার বিনয় নম্রতা নিরহংকার চরিত্রে সবাই মোটামুটি মুগ্ধ। বাংলাদেশের কলুষিত রাজনীতিতে তিনি হতে পারতেন বিকল্প একটি প্লাটফর্ম। যেখানে তারুণ্যের ভাগ্যাকাশের কালো ঘনঘটার পরিবর্তনে নেতৃত্ব দিতে পারতেন।কিন্তু তিনি দূষিত পানির স্রোতে গা ভাসিয়ে দিলেন। বর্তমানের নোংরা রাজনীতির দুর্গন্ধ কিছুটা তাকেও স্পর্শ করবে এবং ব্যর্থতা তাঁর স্কন্ধেও বর্তাবে। কিছুদিন আগে ডাক্তারদের চিকিৎসায় অবহেলা এবং তৎপরবর্তীতে তাঁর তৎপরতায় তাকে তীর্যক বিতর্কের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে। বিশ্বকাপে সাত ম্যাচে এক উইকেট পেয়ে তিনি এখনো দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অন্য কোনো দেশ হলো বিকল্প কেউ নেতৃত্ব আসতো কিংবা নিজেই মান সম্মান বজায় রেখে দল থেকে পদত্যাগ করতেন। আমাদের দেশে অবশ্য এসব বিরল ও অকল্পনীয় ব্যাপার। কেউ পদ ছাড়তে চায় না। হাজারো অকাম বদকাম দুর্নীতি কিংবা অদক্ষতার পরিচয় দিলেও। পাবলিককেই আন্দোলন করে টেনে হেঁচড়ে নামাতে হয়। যাকগে আর একটি ম্যাচ বাকি তারপর বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশনের সমাপ্তি। অনেকেই দলে থাকবেন না।হয়তো তারুণ্য নির্ভর দল গঠিত হবে।এরপর মাশরাফীর উচিত হবে জনগণের ভালোবাসা ও সম্মানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অধিনায়কের পদ ছেড়ে দিয়ে পুরোদস্তুর রাজনীতিতে মনোনিবেশ করা। এখন ক্রিকেটের বাইশ গজ পিচে তিনি বড্ড বেমানান। মাশরাফি বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য অনেক দিয়েছেন যা জাতি চিরকাল শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণে করবে। তিনি এখন মাননীয় এমপি সামনে মন্ত্রী হতে পারেন কি না সেদিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। দেশের জনগণের সেবার জন্য উচ্চ নেতৃত্বের সমাসীন হওয়া প্রয়োজন। একটি কথা হিরোদের হিরো থাকাবস্থায় বিদায় নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। মানির মানটাই অনেক কিছু । সবশেষে বলি ভালোবাসি মাশরাফী। এ ভালোবাসা রাখেন ধরে চিরকাল। যেভাবে কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এমনিভাবে দাঁড়িয়ে যান সুখে দুঃখে এদেশের মানুষের পাশে। ভালো থাকবেন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন