পোস্টগুলি

কুরআন হাদিস ও বিজ্ঞান - ১

ইসলামের সঙে বিজ্ঞানের কোনো দ্বন্দ্ব বা সংঘাত নেই।ইসলামে আছে যাবতীয় সমস্যার সমাধান।সেই ক্ষেত্রে আল  কুরআন হচ্ছে যাবতীয় জ্ঞানের আকর গ্রন্থ। আল্লাহ পাক বলেন -তিনি তোমাকে তাই শিখিয়েছেন যা তুমি জানতে না।( সুরা বাকানো -২৩৫ ) আল্লাহ পাক বলেন -আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে হচ্ছে মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি, আর তোমাদের ভাষা ও তোমাদের বর্ণের বৈচিত্র্য। নিশ্চয় এতে জ্ঞানীদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে। (সূরা রুম, আয়াত- ২২) আইনস্টাইন বলেছিলেন -Science without religion is lame, religion without science is blind যদিও বিজ্ঞানের ওপর কুরআন নির্ভরশীল নয় বরং বর্তমানের যত আবিষ্কার এবং ভবিষ্যতে যা আবিষ্কৃত হবে সবকিছুর ইশারা কুরআনে বর্ণিত হয়েছে। সেই হিসেবে কুরআন হচ্ছে এক দিক দিয়ে বিজ্ঞানের গ্রন্থও বটে। কয়েকটি পর্বে কুরআন ও হাদিসের সঙে বিজ্ঞানের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। আজ প্রথম পর্ব। রাসূল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পুরুষের জন্য স্বর্ণ ব্যবহার হারাম।’ (মুসলিম ১৬৫৫) বিজ্ঞান বলে, স্বর্ণ এমন একটি পদার্থ যা স্কিনের সঙ্গে মিশে ব্লাডের মাধ্যমে ব্রেনে চলে যায়। আর তার পরিমান যদি ২.৩ হয় তাহলে মানুষ তার আগের

আবেগী বাঙালি বাস্তবতায় নিরুপায়

হকার ফেরি করে পতাকা বিক্রি করছে। এতে এতো উচ্ছ্বসিত ও আহ্লাদিত হবার কিছু নেই। ঐদেশের মন্ত্রী বা এমপি পতাকা নিয়ে কিছু করলে ভাববার অনেক কিছু ছিল। আমাদের অনুভূতি এমন যে ব্রিটিশ বুঝি আমাদের কলোনি হয়ে গেছে। আজ আমেরিকায় খেলা হলে সেখানকার হকারও অনুরূপ কিছু করত। তবে এটি গৌরবের যে লাল সবুজের পতাকা কোথাও পতপত করে উড়তে দেখলে বুকটা গর্বে দেড় ইঞ্চি ফুলে উঠে। হুজুগে বাঙালি নয়।  আসুন বাস্তবে বাঙালি হয়। আসল জায়গায় হাত দেই। দেশটাকে স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে নিয়ে যাই।এবার ঈদে ৬ লক্ষ বাংলাদেশী দেশের বাইরে যাচ্ছে তাদের খোঁজ খবর একটু রাখি। তারা কারা?  কি তাদের পেশা? তাদের আয়ের উৎসই বা কি? এগুলো জানেন। লাভ দেবে। দেশটা আর কতভাবে শুষে খাবে ওরা?ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মতো লাফালাফি বাদ দে ই ।  হয়তো আজ শেষ তারাবী। আল্লাহ হাফেজ।

আমরা যে হুজুগে বাঙালি আবারও প্রমাণ করিলাম

আড়ং এ অভিযান চালানোর কয়েক ঘন্টার মধ্যে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোঃ শাহরিয়ারকে খুলনায় বদলী করা হলো। ব্যস এ পর্যন্ত এনাফ। এখন যত রাগ আড়ংয়ের উপর তাই না? আড়ংয়ের স্বার্থে আঘাত লাগছে। লেজে পা পড়ছে এজন্য ওরা যা করার করবে।আড়ংয়ের জায়গায় আপনি আমি হলে সেম কাজটাই করতাম। প্রয়োজনে অর্থ ঢালতাম। এদেশে সবকিছু অর্থ আর প্রতিপত্তির মানদন্ডে পরিচালিত হয়। আইনের শাসন, ন্যায় নীতি এগুলো এখন মুখরোচক গালগল্প।আমরা অাড়ংয়ের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করছি।মূল ব্যাপার হলো ঢাকায় বেশ কিছু অভিযোনে উনি সরব ছিলেন। গতকালের ঘটনা ও জরিমানার পর তৎক্ষণাৎ বদলীর আদেশ হলো এনিয়ে আমরা খুবই সরব। তার জন্য দরদ দেখাচ্ছি। ভালো মানুষের সততার প্রতি আমাদের অকৃত্রিম সমর্থন ও ভালোবাসা অতীতে ছিল ভবিষ্যতে থাকবে। আড়ং পণ্যের দাম বেশি নিয়ে গর্হিত কাজ করেছে। এটা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয় ।এর পরের ঘটনা আরো নিন্দনীয়। বদলীটা আচমকা কেন হলো? তার বদলী কার ইশারায় হলো? এটি কিন্তু কাকতালীয় কোনো ঘটনা নয়। আমার দুটো প্রশ্নের উত্তর দেন- এক. অাড়ং কাকে ম্যানেজ করে এ বদলীর ব্যবস্থা করল? দুই. পেছনের কলকাঠি কে নাড়িয়েছিল

অভিশপ্ত পরকীয়া সম্পর্ক এবং এর শাস্তি!

পরকীয়ার আগ্নেয় থাবায় বিপর্যয়ের মূখে সংসার ও পরিবার প্রথা।  অনেকেই সমাজ, লোকসজ্জা ও সন্তানের বভিষ্যত চিন্তা করে নিরবে সহ্য করে যাচ্ছে স্বামী বা স্ত্রীর এই নিষিদ্ধ প্রণয় । অনেকেই আবার এর অনল যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে ঘটাচ্ছেন বিবাহ বিচ্ছেদ । কেউবা আবার বেছে নিচ্ছে অত্মহননের মতো অভিশপ্ত পথ। বিবাহিত কোন নারী বা পুরুষ স্বীয় স্বামী বা স্ত্রী ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তির সঙ্গে কোনও ধরণের সর্ম্পক কিংবা বিবাহবহির্ভূত প্রেম, যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার মত গর্হিত কর্মকে কীভাবে ইসলাম সমর্থন করতে পারে?এ বিকৃত কর্মের অসারতা বিবেকও ধিক্কার দেয়। নিজ স্বামী বা স্ত্রী অন্য কারো সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করবে, সুস্থ বিবেকবান কোনো মানুষ এটা মেনে নিতে পারে না। এ কর্মের কারণে সমাজ যেমন শৃঙ্খলতা হারায়, তেমনি পারিবারিক বন্ধনেও ধরে ফাটল। পর্যুদুস্ত হয়ে পড়ে সামাজিক সকল রীতিনীতি। পুরুষ-মহিলা সবাইকে চরিত্র সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না। এটা অশ্লীল কাজ এবং নিকৃষ্ট আচরণ।’ (সুরা বনি ইসরাইল, ৩২ ) হজরত সাহল ইবনে সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্

প্রশ্নফাঁস ব্যাধির আরোগ্য কী মিলিবে?

বাংলাদেশের সরকারি বেসরকারি চাকরির পরীক্ষা ও বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।যা এখন আমাদের ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ধাবিত করছে। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিসিএস, খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তা, অডিট,অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক,এনবিআর, এটিইও,  গোয়েন্দা কর্মকর্তা, সমাজসেবা কর্মকর্তা,, মেডিকেল, প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা, এসএসসি, এইচএসসি,  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাসহ  প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ও অভিযোগ পাওয়া যায়। বিভিন্ন সূত্র মতে, বর্তমান সরকরের সময়ের মতো অতীতে এত বেশি ও গণহারে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা কখনো ঘটেনি। ২০১৫ সালের টিআইবির এক রিপোর্টে  বলা হয়েছিল, বিগত চার বছরে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মোট ৬৩টি ঘটনা ঘটেছে।  এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে প্রশ্ন ফাঁসকারী একাধিক চক্র এর সঙ্গে জড়িত । তারা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করে থাকে । প্রযুক্তির অপব্যবহার  করেও এরা পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করছে। এদের নেপথ্যে শক্তিশালী হাত থাকার অাভাস পাওয়া যায়। অভিযোগ করা হয়ে থাকে সর্ষের ভেতরেই রয়েছে ভূত। নাহলে প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের