আমরা যে হুজুগে বাঙালি আবারও প্রমাণ করিলাম
আড়ং এ অভিযান চালানোর কয়েক ঘন্টার মধ্যে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোঃ শাহরিয়ারকে খুলনায় বদলী করা হলো। ব্যস এ পর্যন্ত এনাফ। এখন যত রাগ আড়ংয়ের উপর তাই না? আড়ংয়ের স্বার্থে আঘাত লাগছে। লেজে পা পড়ছে এজন্য ওরা যা করার করবে।আড়ংয়ের জায়গায় আপনি আমি হলে সেম কাজটাই করতাম। প্রয়োজনে অর্থ ঢালতাম। এদেশে সবকিছু অর্থ আর প্রতিপত্তির মানদন্ডে পরিচালিত হয়। আইনের শাসন, ন্যায় নীতি এগুলো এখন মুখরোচক গালগল্প।আমরা অাড়ংয়ের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করছি।মূল ব্যাপার হলো ঢাকায় বেশ কিছু অভিযোনে উনি সরব ছিলেন। গতকালের ঘটনা ও জরিমানার পর তৎক্ষণাৎ বদলীর আদেশ হলো এনিয়ে আমরা খুবই সরব। তার জন্য দরদ দেখাচ্ছি। ভালো মানুষের সততার প্রতি আমাদের অকৃত্রিম সমর্থন ও ভালোবাসা অতীতে ছিল ভবিষ্যতে থাকবে। আড়ং পণ্যের দাম বেশি নিয়ে গর্হিত কাজ করেছে। এটা
নিঃসন্দেহে নিন্দনীয় ।এর পরের ঘটনা আরো নিন্দনীয়। বদলীটা আচমকা কেন হলো? তার বদলী কার ইশারায় হলো? এটি কিন্তু কাকতালীয় কোনো ঘটনা নয়। আমার দুটো প্রশ্নের উত্তর দেন-
এক. অাড়ং কাকে ম্যানেজ করে এ বদলীর ব্যবস্থা করল?
দুই. পেছনের কলকাঠি কে নাড়িয়েছিল?
যারা তার বদলীর জন্য তদবির করেছিল এবং যারা বদলী প্রক্রিয়ায় জড়িত তাদের আগে জন সম্মুখে আনেন। তারপর আড়ংয়ের পণ্য কিনেন। না কিনেন। ফেলে দেন। সেটা একান্ত আপনার বিষয়। গোড়ায় না হাতড়িয়ে আগা হাতড়াতে আমরা খুব পটু। চিলে কান নিয়ে গেছে বলে চিলের পেছনে দেই ভোঁদৌড়। এই সৎ মানুষটির বদলির সাথে কে জড়িত? কোনো লেনদেন হয়েছে কি না? খোঁজে বের করি। তারপর সোজা বাঙালা কথা প্রয়োজনে আড়ংয়ের বিপণী বিতানে গিয়ে সবাই একযোগে হিসু করি। যা ইচ্ছে করি। আগে ঘাপটি মেরে থাকা সেই চক্রকে বের করতে হবে। নচেৎ পদে পদে ভালো মানুষগুলো এভাবে হোচট খেয়ে কর্মস্পৃহা হারিয়ে ফেলবে। এমনিতো দেশে ভালো মানুষের বড়ই আকাল। তাদের কোণঠাসা করে রাখলে দেশটা আরো বেশি নষ্টদের অধিকারে যাবে। আসুন আগে রোগ নির্ণয়ের পর সঠিক দাওয়া দেই।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন