কুকুরের প্রভুভক্তি
কুকুর স্বভাবসুলভ প্রভুভক্ত। এ কথা কারও অজানা থাকার কথা নয়। কুকুরের প্রভুভক্তির অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। মালিক না থাকলে বাড়ি পাহারা দেওয়া, অচেনা কাউকে দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়া কিংবা বাড়ির প্রিয় কেউ অসুস্থ হলে ছোটাছুটি করা- কুকুরের এমন আচরণের কথা প্রায়ই শোনা যায়।
এক লোক তার পোষা কুকুরকে রেখে মারা গেল।পরবর্তীতে লোকটির ছেলে কুকুরটিকে খুঁজে পেল না।কুকুরটি নিখোঁজ...
কয়েকদিন পর, কবরস্থান কর্তৃপক্ষ ছেলেটিকে জানায় যে, একটি কুকুর তার বাবার কবরে গর্ত খুঁড়েছে! ছেলে কবরস্থানে গেল। সেখানে তার বাবার কবরের পাশে কুকুরটিকে পেয়ে বাড়িতে নিয়ে গেল। দু'দিন পরে কুকুরটি আবার পালিয়ে গেল। বাধ্য হয়ে ছেলেটিকে তার বাবার কবরের পাশে কুকুরটিকে রেখে যেতে হয়েছিল। এরপর ছেলেটি প্রতিদিন কুকুরকে খাবার এবং পানি দিয়ে আসতো। কিন্তু কুকুরটি কোনো কিছুই মুখে নিত না এমনকি কাউকে কবরের কাছে ভিড়তেও দিত না। দিনদিন না খেয়ে কুকুরটি দুর্বল ও অসুস্থ হয়ে পড়ে।কুকুরটি তার মালিকের কবরে মারা যাওয়ার আগে এক সপ্তাহ বেঁচে ছিল...
কুকুর থেকে বিভিন্ন হাদিসের মাধ্যমে বিরত থাকতে বললেও তাকে কষ্ট দেয়ার কথা বলা হইনি বরং কুকুরের সেবা করার মাধ্যমে জান্নাত লাভের ঘটনা হাদিসে বর্ণিত আছে, সম্ভব হলে কুকুরকে খাবার দেয়া, পানি দেয়া, কুকুর কোথাও পড়ে গেলে তাকে উদ্ধার করা ইসলামের দৃষ্টিতে সওয়াবের কাজ। বিশুদ্ধ হাদিসে কুকুরকে পানি খাওয়ানোর কারণে ব্যভিচারীনি নারীকেও জান্নাত দান করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘একবার এক পিপাসা কাতর কুকুর কূপের পাশে ঘোরাঘুরি করছিল। পিপাসায় তার প্রাণ বের হওয়ার উপক্রম হয়ে গিয়েছিল। হঠাৎ বনি ইসরাইলের এক ব্যভিচারীনী নারী তা দেখতে পায়। সে নিজের পায়ের মোজা খুলে কুকুরটিকে পানি পান করায়। এ কারণে তার অতীত পাপ ক্ষমা করে দেয়া হয়।’ (বুখারি, হাদিস- ৩৪৬৭)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন