সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বেনিন

 


বেনিন পশ্চিম আফ্রিকার একটি প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এটি আফ্রিকার ক্ষুদ্রতর দেশগুলির একটি। পশ্চিম আফ্রিকার এ দেশটির পশ্চিমে টোগো, পূর্বে নাইজেরিয়া ও বুরকিনা ফাসো, উত্তরে নাইজার। দক্ষিণের উপকূল রেখা ঘেঁষে বেশির ভাগ মানুষের বাস। আটলান্টিক মহাসাগরের গালফ অব গুইনির অংশবিশেষে এর অবস্থান।

রাজধানীঃ বেনিনের রাজধানী পোর্ট নভো

আয়তন : এক লাখ ১৪ হাজার ৭৬৩ বর্গ কিমি।

জনসংখ্যা: সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) তথ্য অনুযায়ী দেশটিতে বর্তমান জনসংখ্যা এক কোটি ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৫০৪ জন।

জাতিগোষ্ঠী : ফন ৩৯.২%, আদজা ১৫.২%, ইউরুবা ১২.৩%, বারিবা ৯.২%, ফুলা ৭% , ওত্তামারি৬.১% , কাবিয়া৪%, ড্যান্ডি ২.৫%, অন্যান্য ১.৬% , অনির্ধারিত ২.৯%।

ধর্মঃ ২৭.৭ শতাংশ মুসলিম, ২৫.৫ শতাংশ রোমান ক্যাথলিক, ১১.৬ শতাংশ বৌদ্ধ, ৯.৫ শতাংশ খ্রিস্টানসহ বাকি আরো কিছু ধর্মবিশ্বাসের সংমিশ্রণ সেখানে রয়েছে।

ভাষা : ফরাসি (সরকারি), ফন, ইউরুবা

মুদ্রা : পশ্চিম আফ্রিকান ফ্রেঞ্চ

জাতিসংঘে সদস্যপদ : ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৬০

ইতিহাস

বেনিনের প্রাক্তন নাম ছিল দাহোমি । ঊনবিংশ শতাব্দীতে বেনিনে স্বাধীন দাহোমি রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৭২৬ থেকে ১৭৪৮খ্রিস্টাব্দে এই দাহোমি রাজ্য পার্শ্ববর্তী (বর্তমান দক্ষিণ-পশ্চিম নাইজেরিয়ার) ইয়ারুবাউপজাতিদের ওয়ে রাজ্যের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।কিন্তু ওয়োরাজ্য অধিকতর শক্তিশালী হওয়ায় ডাহোমকেতাদের অধীনতা স্বীকার করতে হয়।কিন্তু ১৮১৮ ওয়োরঅধীনতা অ স্বীকার করে।

.১৮৫১ সনে ফ্রান্স দাহোমি উপকূলে প্রথম ঘাঁটি নির্মাণ করে ।১৮৮৪সনে পশ্চিম আফ্রিকায় জার্মানদের আবির্ভাবের পর অঞ্চলগুলোকে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য ব্রিটিশ ফরাসিদের মধ্যে জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়। ১৮৯৩ সনেফ্রান্স দাহোমি রাজ্য দখল করে নেয়।দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর সারা পশ্চিমআফ্রিকায় জাতির জাগরণ শুরু হয় । ফলে ফরাসি সরকারকে পশ্চিম আফ্রিকার জনগণের অধিকারের কিছুটা স্বীকৃতি দিতে হয়। এভাবে ১৯৫৩৮সালের ৪ ডিসেম্বর দাহোমি ফরাসি কমিউনিটিরভিতরে অভ্যন্তরীণ স্বায়ত্তশাসন অর্জন করে।১৯৬০সালের জুন মাসে দেশটির সম্পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জন করে।সামরিক শাসক দেশটি শাসন করেন। ১৯৭২ সালে মার্ক্সবাদী ম্যাথিউ কেরেকউ।সরকার ক্ষমতায় আসে।২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনিই ক্ষমতায় ছিলেন। ঔপনিবেশিক সময়ে এবং স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে এই দেশটির নাম ছিলো দাহোমি। ১৯৭৫ সালের ৩০শে নভেম্বর তারিখে দেশটির নাম পালটে গণপ্রজাতন্ত্রী বেনিন করা হয়। এই নামটি এসেছে এই দেশের তীরের কাছের বেনিন উপসাগর থেকে, যার নাম আবার এসেছিলো বেনিন রাজ্য হতে।১৯৮০র দশকে অর্থনৈতিক সমস্যায় জর্জরিত বেনিন পশ্চিমের দেশগুলির কাছে সাহায্য চায়। ১৯৮৯ সালে সরকার মার্কসবাদ পরিত্যাগ করে। ১৯৯০ সালে নতুন সংবিধান পাস করা হয় ও গণতান্ত্রিক সংস্কার সাধন করা হয়। বর্তমানে বেনিন একটি রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকারব্যবস্থা; রাষ্ট্রপতি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন।

ইসলাম ও মুসলমান

বেনিনে মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপের নানা এলাকা থেকে বাণিজ্যিক কাফেলা নিজেদের পণ্য নিয়ে উপস্থিত হতো এই সমুদ্র উপকূলে। আবার কেউ বা আসত দাস সংগ্রহের অভিপ্রায়ে। যদিও তৎকালীন সময়ে পৌত্তলিকতা ছিল বেনিনের প্রধান ধর্মবিশ্বাস। কিন্তু এসব বাণিজ্য কাফেলার মধ্য থেকে মুসলিম বণিকরা নিজেদের ব্যাবসায়িক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি ইসলামের সুমহান সৌন্দর্য বেনিনবাসীর সামনে তুলে ধরতে পিছপা হননি। যার ফলে মুসলিম বণিকদের উত্তম চরিত্র-মাধুর্য আর নীতিনৈতিকতায় মুগ্ধ হয়ে অনেক লোক ইসলামের সুমহান ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করতে শুরু করে। এর মধ্যে কেনিয়া থেকে আগত বেনিনে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী অধিবাসীরা প্রথম ইসলামের ছায়াতলে আসার সৌভাগ্য অর্জন করে। আর কেনীয় নেতাদের আহ্বানে দলে দলে লোক ইসলাম গ্রহণ করতে থাকে। ঞযব ড়িত্ষফ ভধপঃ নড়ড়শ-এর তথ্যানুযায়ী নাইজেরিয়া ও মালি থেকে আগত মুসলিম পণ্ডিতরাই ইসলামের শাশ্বত আদর্শ তুলে ধরতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। তবে বেশির ভাগ বেনিন মুসলিমই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের নীতি-আদর্শ গ্রহণ করেন। যদিও মধ্যপ্রাচ্য থেকে আগত শিয়া মুসলিম বণিকরাও নিজেদের আদর্শ প্রচারে চেষ্টার ত্রুটি করেননি। বেনিনের জাতিগুলোর মধ্য থেকে ইউরোবা ও বারিবা জাতিগুলোই ইসলাম গ্রহণের দিক থেকে অগ্রগামী ছিল। তবে বেনিনের হাউসা ও ফুলানি উপজাতিগুলোও ইসলামের প্রচার ও প্রসারে অনেক ভূমিকা রেখেছে। বিখ্যাত ঐতিহাসিক শাকির মাহমুদের রচিত আফ্রিকান ইতিহাস-বিষয়ক গ্রন্থ ‘তারিখুল ইসলামী’র ভাষ্য মতে, ১৮৫১ সালে বেনিনে ফরাসি উপনিবেশবাদ গড়ে উঠার পর সেখানে ইসলামের প্রচার ও প্রসার আরো ব্যাপকতা লাভ করে। যদিও সে সময় দেশটির দক্ষিণ প্রান্তে বসবাসরত পৌত্তলিক উপজাতিরা ফরাসি দখলদারদের সহায়তায় ইসলামী জোয়ারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চেয়েছিল। কিন্তু ইসলামী দাওয়াহ সংস্থাগুলোর প্রাণান্ত প্রচেষ্টায় সেই প্রতিরোধ ডিঙিয়ে ইসলামের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকে। এ ক্ষেত্রে নাইজেরিয়ান সুফি নেতাদের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। ফলে আজ বেনিনে ইসলামই হচ্ছে সর্বাধিকসংখ্যক জনতার ধর্মবিশ্বাস। পশ্চিম আফ্রিকার অন্য দেশগুলোর মতো বেনিনেও সর্বাধিকসংখ্যক মুসলিম মালেকি মাজহাবের অনুসরণ করে থাকেন।ইসলামী শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (ইসেসকো) তথ্য মতে, বেনিনের মুসলমানরা ১৯৯০ দশকে গণতান্ত্রিক উত্তরণের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের পাশাপাশি ইসলামী কর্মকাণ্ডের প্রতিও গভীর মনোযোগী হয়ে ওঠেন। আর সে সময় তাঁরা দেশের নানা প্রান্তে মসজিদ প্রতিষ্ঠা, ‘নূর আল ইসলাম’ নামক সংবাদপত্র ও ‘দ্য ইসলামিক উম্মাহ’ নামে একটি মাসিক ম্যাগাজিন প্রকাশ করেন। তাঁরা ‘সাওতুল ইসলাম’ নামে একটি রেডিও কেন্দ্র স্থাপনে সক্ষম হন। দেশটির কোটোনো শহরেই রয়েছে কয়েক শ মসজিদ, যার মধ্য থেকে অন্তত ১২টিতে শুক্রবারে জুমার নামাজ আদায় করা হয়। ইউনেসকো ২০১৫ সালে কোটোনোকে বেনিনের ইসলামিক সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করে।

অর্থনীতি

আফ্রিকার সবচেয়ে স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বেনিন। একসময় এটি দাহোমে নামে পরিচিত ছিল। দেশটির রয়েছে শক্তিশালী সুশীল সমাজ ও বহুদলীয় গণতন্ত্র। তবে অর্থনীতির ভিত ততটা মজবুত নয়। অনুন্নত দেশটির রন্ধ্রে রন্ধ্রে রয়েছে দুর্নীতি। বেনিনের তীরবর্তী এলাকাগুলো ‘দাস উপকূল’ হিসেবে পরিচিত। এ উপকূল ধরেই আটলান্টিকের বিভিন্ন দেশে দাসদের পাঠানো হতো। এসব এলাকা থেকে দাসদের বয়ে নিয়ে যাওয়া ধর্ম ও সংস্কৃতি আজও আমেরিকাসহ বহু এলাকায় দেখতে পাওয়া যায়। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাবে ফরাসি উপনিবেশ ছিল বেনিন। সুপ্রশিক্ষিত সেনাবাহিনী দিয়ে এলাকাটি নিয়ন্ত্রণ করা হতো। এখান থেকে দাস বিক্রির বিষয়টি ব্যাপকহারে সম্প্রসারিত হয়। পরবর্তী সময়ে এ উপকূল দিয়েই পাম তেল রপ্তানি হতো।সম্প্রতি উন্নত দেশগুলোর সংগঠন জি-এইটের ঋণ মওকুফের সিদ্ধান্তে ব্যাপক উপকৃত হয় বেনিন। এ ছাড়া তুলা উত্পাদনকারী পশ্চিমা দেশগুলোর সরকারকে তাদের কৃষকদের ভর্তুকি দেওয়ার বিষয়টি বন্ধ করার ব্যাপারেও চাপ প্রয়োগে সমর্থ হয় তারা। মূলত কৃষির ওপর নির্ভরশীল এই দেশটি এ থেকেও উপকৃত হয়।

 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

যে গাছ ইহুদিদের আশ্রয় দেবে অর্থাৎ ইহুদিদের বন্ধু গাছ

মো.আবু রায়হান:  কিয়ামত সংঘটিত হবার  পূর্বে হযরত ঈসা (আ.) এর সঙ্গে দাজ্জালের জেরুজালেমে যুদ্ধ হবে। সেই যুদ্ধে ইহুদিরা দাজ্জালের পক্ষাবলম্বন করবে। হযরত ঈসা (আ.) দাজ্জালকে হত্যা করবেন।এদিকে  ইহুদিরা প্রাণ ভয়ে পালাতে চেষ্টা করবে।  আশেপাশের গাছ ও পাথর/ দেয়ালে আশ্রয় নেবে। সেদিন গারকাদ নামক একটি গাছ ইহুদিদের আশ্রয় দেবে। গারকাদ ইহুদীবান্ধব গাছ।গারকাদ একটি আরবি শব্দ। এর অর্থ হল কাটাওয়ালা ঝোঁপ।গারকাদ এর ইংরেজী প্রতিশব্দ Boxthorn। Boxএর অর্থ সবুজ ঝোঁপ এবং thorn এর অর্থ কাঁটা। এ ধরনের গাছ বক্সথর্ন হিসেবেই পরিচিত। এই গাছ চেরি গাছের মতো এবং চেরি ফলের মতো লাল ফলে গাছটি শোভিত থাকে।  ইসরায়েলের সর্বত্র বিশেষত অধিকৃত গাজা ভূখন্ডে গারকাদ গাছ ব্যাপকহারে  দেখতে পাওয়া যায়।ইহুদিরা কোথাও পালাবার স্থান পাবে না। গাছের আড়ালে পালানোর চেষ্টা করলে গাছ বলবে, হে মুসলিম! আসো, আমার পিছনে একজন ইহুদী লুকিয়ে আছে। আসো এবং তাকে হত্যা কর। পাথর বা দেয়ালের পিছনে পলায়ন করলে পাথর বা দেয়াল বলবে, হে মুসলিম! আমার পিছনে একজন ইহুদী লুকিয়ে আছে, আসো! তাকে হত্যা কর। তবে গারকাদ নামক গাছ ইহুদিদেরকে ...

খন্দক যুদ্ধ কারণ ও ফলাফল

#মো. আবু রায়হান ইসলামের যুদ্ধগুলোর মধ্যে খন্দকের যুদ্ধ অন্যতম। ৫ হিজরির শাওয়াল মাসে খন্দকের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। নবীজি (সা.) মদিনায় আসার আগে সেখানে বড় দুটি ইহুদি সম্প্রদায় বসবাস করত। বনু নাজির ও বনু কোরায়জা। ইহুদিদের প্ররোচনায় কুরাইশ ও অন্যান্য গোত্র মদিনার মুসলমানদের সঙ্গে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করে। খন্দকের এই যুদ্ধ ছিল মদিনার ওপরে গোটা আরব সম্প্রদায়ের এক সর্বব্যাপী হামলা এবং কষ্টকর অবরোধের এক দুঃসহ অভিজ্ঞতা। এসময় ২৭দিন ধরে আরব ও ইহুদি গোত্রগুলি মদিনা অবরোধ করে রাখে। পারস্য থেকে আগত সাহাবি সালমান ফারসির পরামর্শে হযরত মুহাম্মদ (স:) মদিনার চারপাশে পরিখা খননের নির্দেশ দেন। প্রাকৃতিকভাবে মদিনাতে যে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিল তার সাথে এই ব্যবস্থা যুক্ত হয়ে আক্রমণ কারীদেরকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে। জোটবাহিনী মুসলিমদের মিত্র মদিনার ইহুদি বনু কোরায়জা গোত্রকে নিজেদের পক্ষে আনে যাতে তারা দক্ষিণ দিক থেকে শহর আক্রমণ করে। কিন্তু মুসলিমদের তৎপরতার ফলে তাদের জোট ভেঙে যায়। মুসলিমদের সুসংগঠিত অবস্থা, জোটবাহিনীর আত্মবিশ্বাস হ্রাস ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে শেষপর্যন্ত আক্রমণ ব্যর্থ হয়।এই যুদ্ধে জয়ের ফলে ইসল...

উটের যুদ্ধ ইসলামের প্রথম ভাতৃঘাতি যুদ্ধ

#মো.আবু রায়হান উটের যুদ্ধ বা উষ্ট্রের যুদ্ধ বা জামালের যুদ্ধ ( Battle of the Camel) ৬৫৬ খ্রিষ্টাব্দের শেষের দিকে ইরাকের বসরায় সংঘটিত হয়। এটি ইসলামের ইতিহাসের প্রথম গৃহযুদ্ধ।এই যুদ্ধ ছিল ইসলামের চতুর্থ খলিফা হযরত আলী এর বিরুদ্ধে হযরত তালহা-জুবায়ের ও আয়েশা (রা)সম্মলিত যুদ্ধ। পটভূমি হযরত ওসমান (রা) এর বিভিন্ন প্রদেশে প্রাদেশিক শাসনকর্তা নিয়োগ নিয়ে একদল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ টেনে বিদ্রোহ শুরু করে।হযরত ওসমান বিভিন্নভাবে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করতে থাকেন। তাদের কথামত মিশরের গভর্নরকে প্রতিস্থাপন করে আবু বকরের ছেলে মুহাম্মদ ইবনে আবু বকর কে নিয়োগ করলেও বিদ্রোহীরা শান্ত হয় নি। তারা নানাভাবে অভিযোগ টেনে এনে ওসমান (রা) এর অপসারণের দাবী করতে থাকে। ওসমান সবকিছু মীমাংসার আশ্বাস দিলেও তারা ৬৫৬ সালের ১৭ জুন তারা বাড়ি অবরুদ্ধ করে এবং এক পর্যায়ে তারা তার কক্ষে প্রবেশ করে কুরআন তেলাওয়াত করা অবস্থায় হত্যা করে।ওসমান (রা.)-এর হত্যাকাণ্ডের পর আলী (রা.) খলিফা হন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করে যখনই আলী (রা.) ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কাজে হাত দেন তখনই ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতার অভাবের কার...