আজারবাইজানে হিজাব নিষিদ্ধ, আর্মেনিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের প্রতিদান!
আজারবাইজানে পবিত্র রমজান মাসে নারীদের ইসলামি শালিন পোশাক বা হিজাব নিষিদ্ধের ঘটনা দক্ষিণ ককেশিয় অঞ্চলের এই মুসলিম দেশের ধর্মপরায়ণ মানুষের মর্মবেদনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজারবাইজানের জনগণ এবার এমন সময় রোজা পালন করছে যখন বিগত বছরগুলোর মতো এ বছরও সেদেশের সরকার মসজিদগুলো বন্ধ রেখেছে এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ওপর বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাপ ও বিধিনিষেধ অব্যাহত রেখেছে।এ বিষয়ে রুশ বিশেষজ্ঞ সের্গেই জেন্ট মার্কুস বলেন, মুসলিম দেশ হিসেবে আজারবাইজানে হিজাব নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক। এ ধরণের পদক্ষেপ দেশটির জনগণকে ক্ষুব্ধ করে তুলতে পারে।
বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে সম্প্রতি আর্মেনিয়ার সঙ্গে নগর্নকারাবাখ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ৪৪ দিনের যুদ্ধে আজারবাইজানের জনগণও সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছে এবং প্রচণ্ড ওই যুদ্ধে আজারবাইজান বিজয়ী হয়। এ বিজয়ের পর দেশটির ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ভেবেছিলেন তাদের মসজিদগুলো খুলে দেয়া হবে এবং তারা স্বাধীনভাবে ধর্ম প্রচারের কাজ করতে পারবে। কিন্তু তাদের সে প্রত্যাশা আজো পূরণ হয়নি। তাই অনেকের কাছেই প্রশ্ন তাহলে কি এটা জনগণের ওই আত্মত্যাগের পুরস্কার আজারবাইজানের মোট জনসংখ্যার ৯৮ ভাগ মুসলমান, যাদের ৮০ শতাংশই শিয়া সম্প্রদায়ের।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন