আফগানিস্তানে কে জিতল?

 





২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল। এ হামলায় আল কায়েদার ওসামা বিন লাদেন জড়িত অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের নামে আফগানিস্তানে সামরিক অভিযানে নামে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে সেই সন্ত্রাসী হামলা নাইন–ইলেভেন নামে পরিচিত। আফগানিস্তানে যুদ্ধ চালাতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে অনেক মাশুল দিয়েছে।২০ বছরে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় আড়াই হাজার সেনা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ২০ হাজারেরও বেশি। আফগানিস্তানে থাকা জাতিসংঘের সংস্থা ইউনাইটেড নেশন অ্যাসিসটেন্স মিশন ইন আফগানিস্তান বা উনামা বলছে, ২০০৯ সালে তারা হিসাব শুরু করার পর গত বছরের মার্চ পর্যন্ত এক লাখেরও বেশি আফগান বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছে।প্রেসিডেন্ট ঘানি ২০১৯ সালে বলেন, ২০১৪ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট হবার পর থেকে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর ৪৫ হাজারের বেশি সদস্য নিহত হয়েছে।এযুদ্ধে আমেরিকার ডলার খরচ হয়েছে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন। আফগানিস্তানে বর্তমানে ন্যাটো-আফগান মিশনে সেনা রয়েছে ৯ হাজার ৬০০ জন। তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা অন্তত আড়াই হাজার।প্রায় দুই দশক ধরে চলা এই যুদ্ধে আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের পতন হয়েছে ঠিকই; কিন্তু দেশটিতে তারা এখনো বহাল তবিয়তেই আছে। তালেবানের দাবি, তারা এখন আফগানিস্তানের ৭০ শতাংশের বেশি এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। তবে আফগানিস্তানের একটি সংবাদ সংস্থার সাম্প্রতিক জরিপে দেখা যায়, তালেবান অন্তত ৫২ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে।ওয়াশিংটন পোস্টসহ অন্যান্য মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক প্রতিবেদনে জানায়, নাইন–ইলেভেনের ঘটনার ২০ বছর পূর্তির আগে, অর্থাৎ আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের আগেই আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হবে।হেলমান্দ প্রদেশের মুসা কালা শহরের এক বাসিন্দা সিএনএনকে জানিয়েছেন, ‘দিন শেষে তালেবানদের হাতেই ক্ষমতা। তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাওয়ার কোনো সুযোগই নেই।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

যে গাছ ইহুদিদের আশ্রয় দেবে অর্থাৎ ইহুদিদের বন্ধু গাছ

খন্দক যুদ্ধ কারণ ও ফলাফল

রক্তপাতহীন মক্কা বিজয়ের দিন আজ