ব্যাঙের প্রতিবাদ
নমরুদ ইবরাহিম (আ.)-এর সময়ে পৃথিবীর বাদশাহ ছিল। সে ছিল পৃথিবীর চারজন বড় বড় শাসকের অন্যতম। নমরুদ প্রায় ৪০০ বছর রাজত্ব করেছে। সে পৃথিবীর প্রথম স্বৈরশাসক।পবিত্র কোরআনে তার সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। পৃথিবীতে সে-ই সর্বপ্রথম রাজমুকুট পরিধান করেছে এবং নিজেকে খোদা দাবি করেছে।অত্যাচারী নমরুদ , ইব্রাহীম (আ) কে বিশাল এক অগ্নিপিণ্ডের ফেলে দিয়েছে কিন্তু আগুন তাকে স্পর্শ করতে পারছে না।মহান আল্লাহ আগুনকে নির্দেশ দেন—‘হে অগ্নি, তুমি হযরত ইবরাহিমের জন্য শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত -৬৯)হযরত ইবরাহিম (আ.) ৪০ দিন পর্যন্ত অগ্নিকুণ্ডে ছিলেন। সেদিন একটি ব্যাঙ দিশেহারা হয়ে গিয়েছিল। সে তা সহ্য করতে পারছিল না, তার প্রিয় নবীকে আগুনে ফেলা হয়েছে । তাই সে লাফাতে লাফাতে আগুনের কাছে এসে প্রস্রাব করতে লাগলো। জিব্রাইল (আ) ব্যাঙকে জিজ্ঞেস করলেন, 'হে ব্যাঙ তুমি কেন আগুনের উপর প্রস্রাব করছ? ব্যাঙ উত্তর দিল, 'জনাব আমি আগুন নেভাতে চেষ্টা করছি। জিব্রাইল (আ) আবার বললেন, 'তোমার এই সামান্য প্রস্রাবে কী এই বিশাল অগ্নিপিণ্ড নিভবে ? ব্যাঙ আবার দৃঢ়তার সাথে উত্তর দিল। 'আমি জানি আমার এই সামান্য প্রস্রাবে এই বিশাল আগুন নিভবে না কিন্তু আমি চেষ্টা করছি এবং খোদাকে জানিয়ে দিতে চাচ্ছি, 'আমি ইব্রাহীমের পক্ষে আছি, আমি ইসলামের পক্ষে আছি। আর ঘৃণা পোষণ করছি ঐ নমরুদের উপর। রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তোমাদের আকৃতি ও ধন-সম্পদের দিকে তাকাবেন না; বরং তিনি তোমাদের অন্তর ও কর্মের দিকে খেয়াল করবেন।’ (মুসলিম)। সুতরাং আপনার লেখা, আপনার প্রতিবাদ, আপনার অবস্থান ন্যায়ের পক্ষে হোক, তা যতই ছোট ও ক্ষুদ্র প্রয়াস হোক না কেন, এর প্রতিদান আল্লাহর কাছে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন