দায়িত্ব পালনে বাড়াবাড়ি না করি
হযরত ওমর(রা) তখন মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় খলিফা। তিনি প্রায় রাতে ছদ্মবেশে বের হতেন। জনগণের সুখ দুঃখ দেখার জন্য। এমনই এক রাতে বের হয়ে সুরেলা আওয়াজ শুনতে পেলেন। একটি লোক গান গাইছিল।তাঁর সন্দেহ হলো। তিনি প্রাচীরে উঠে দেখলেন, পাশের ঘরে এক পুরুষ বসে আছে।
তার পাশে মদ ভর্তি একটি পাত্র ও গ্লাস। অদূরে এক মহিলাও সঙ্গে রয়েছে।খলিফা চিৎকার করে বললেন, ওরে আল্লাহর দুশমন! তুই কি মনে করেছিস যে, তুই আল্লাহর নাফরমানী করবি, আর তিনি তোর গোপন অভিসারের কথা ফাঁস করবেন না? জবাবে সে বললো, “আমিরুল মোমেনীন, তাড়াহুড়ো করবেন না।
আমি যদি একটি গুনাহও করে থাকি, তবে আপনি করেছেন তিনটি গুনাহ।
প্রথমত: আল্লাহ তায়ালা মানুষের দোষত্রুটি খুঁজে বেড়াতে নিষেধ করেছেন কিন্তু আপনি দোষ ত্রুটি খুঁজছেন।
দ্বিতীয়ত:আল্লাহ আদেশ দিয়েছেন কারো বাড়িতে ঢুকলে দরজা দিয়ে ঢুকতে, কিন্তু আপনি প্রাচীর ডিঙ্গিয়ে ঘরে প্রবেশ করেছেন।
তৃতীয়ত:আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন যে, নিজের বাড়ি ছাড়া অন্যের বাড়িতে অনুমতি নিয়ে ঢুকতে।কিন্তু আপনি আমার অনুমতি ছাড়াই আমার বাড়িতে প্রবেশ করেছেন।”
এ জবাব শুনে হযরত ওমর(রা) নিজের ভুল স্বীকার করলেন এবং তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করলেন না।তবে তার কাছ হতে অংগীকার আদায় করলেন যে, সে পাপের পথ ত্যাগ করে সৎ পথে ফিরে আসবে।
শিক্ষাঃ অন্যায়ের প্রতিরোধে সক্রিয় থাকা প্রত্যেক মুসলিমের সার্বক্ষণিক দায়িত্ব।কিন্তু এই দায়িত্ব পালনেও অনেক সতর্কতা ও বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে হয়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন