সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

সংগ্রামী নারী নুসাইবা বিনতে কাব






#মো আবু রায়হান
ইসলামের সোনালি ইতিহাস রচনায় যেসব নারীর আত্মত্যাগ সবচেয়ে বেশি, তাঁদের একজন উম্মে আম্মারা নুসাইবা বিনতে কাব (রা.)। তিনি একজন বিশিষ্ট আনসারি নারী সাহাবি। মদিনার প্রসিদ্ধ আনসার গোত্র বনু নাজ্জারে তাঁর জন্ম। নুসাইবা বিনতে কাব ছিলেন আব্দুল্লাহ্ ইবনে কাব এর বোন। তিনিই প্রথম নারী যিনি ইসলামের জন্য যুদ্ধের ময়দানে গিয়ে যুদ্ধ করেছেন। উম্মে আম্মারা (রা.)-এর পুরো নাম ছিল নুসাইবা বিনতে কাব বিন আমর বিন নাজ্জার। নুসাইবা বিনতে কাব যিনি উম্মে উমর বা উম্মে আম্মারা নামে অধিক পরিচিত। স্বামী জায়েদ ইবনে আসেম ইবনে কাব (রা.)। দুই ছেলে আব্দুল্লাহ্ ও হাবিব ইবনে জায়েদ আল-আনসারী। উম্মে আম্মারা (রা.), তাঁর স্বামী ও দুই ছেলে উহুদ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।তিনি পরে বিন আমর কে বিবাহ করেন এবং আরো এক পুত্র তামীম ও এক কন্যা সন্তান খাওলাহ্কে জন্ম দেন।হিজরতপূর্ব মদিনায় যেসব নারী প্রথমে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন, তিনি ছিলেন তাঁদের অন্যতম। উম্মে আম্মারা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে উহুদ, খাইবার, মক্কা অভিযান, হুনাইন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি হিজরতের আগে বাইয়াতে আকাবার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল। এ ছাড়া আবু বকর (রা.)-এর নেতৃত্বে ‘রিদ্দাহ’-এর যুদ্ধে এবং ইয়ামামার যুদ্ধেও অংশগ্রহণ কীর্তিময় সংগ্রামী এই মহীয়সী নারীর বীরত্বগাথা ইতিহাস নিয়ে আজকের এই লেখা।হিজরতের পূর্বে হজ্জ্বের মৌসুমে আইয়্যামে তাশরীকের মাঝামাঝি রাতের প্রথম প্রহরের শেষ মুহূর্তে মিনা প্রান্তরের আকাবা উপত্যকায় কুরাইশদের সম্পূর্ণ অগোচরে ৭২ জন পুরুষ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সম্মুখে এগিয়ে এলেন, তারা প্রত্যেকে একে একে তাঁর দু’হাতে নিজেদের হাত রেখে বাইয়াত গ্রহণ করলেন। এই মর্মে শপথের বাক্য উচ্চারণ করলেন যে, দুশমন থেকে তাঁকে তাঁরা রক্ষা করবে যেমনটি তাঁরা করে থাকে নিজেদের স্ত্রী ও সন্তানদের বেলায়। বাইয়াত শেষ হলে এগিয়ে এলেন ২ জন নারী। পুরুষদের মতো তারাও বাইয়াত গ্রহণ করলেন হাতে হাত রাখার পর্বটি ছাড়া। কারণ রাসূলুল্লাহ (সা) নারীদের সঙ্গে হাত মেলাতেন না। এই দুই নারীর একজন পরিচিত ছিলেন উম্মে মানী’ নামে আর দ্বিতীয় জন ছিলেন নুসাইবা বিনতে কাব । তিনি ফিরে আসলেন মদীনায়, আল্লাহ তাআলা প্রদত্ত সম্মান (অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাক্ষাৎ লাভের চরম সৌভাগ্য) বুকে নিয়ে বাইয়াতের শর্তসমূহ পূরণ করার দৃঢ় সংকল্প নিয়ে। মূলত ঐদিন যারা রাসূল (সা) এর কাছে বাইয়াত গ্রহন করেছিলেন তারা সবাই ছিলেন মদীনার আদিবাসী। যা পরবর্তীতে রাসূল (সাঃ) এর মদীনা হিজরতের অবস্থান তৈরী করে।

ইসলামের ইতিহাসে ওহুদ যুদ্ধ ছিল বিরাট শিক্ষণীয়। সামান্য অবহেলায় মুসলমানদের বিজয় হাতছাড়া হয়ে যায়। চরম সংকটময় মুহূর্তে সাহাবিরা আত্মত্যাগের যে দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে তার কোনো উদাহরণ নেই। প্রায় ৭০ জনেরও বেশি সাহাবি শহীদ হন এ যুদ্ধে। রক্তক্ষয়ী সে যুদ্ধে নারী সাহাবি নুসাইবা বিনতে কাব (রা.)-এর ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। উহুদের যুদ্ধে নুসাইবা বিনতে কাব সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন।তিনি প্রথমে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুসলিমবাহিনীর পানির মশক বহনে নিয়োজিত ছিলেন। যখন মুসলিম বাহিনীর এক অংশ বিজয় অর্জিত হয়েছে ভেবে নবীজী এর নির্দেশ ভুলে গিয়ে নির্দেশিত অংশ থেকে সরে গেল তখন কাফিরবাহিনী সেই স্থান দিয়ে এগিয়ে এসে পেছন দিক থেকে মুসলিম বাহিনীকে আক্রমণ করল। এ সময় নবীজী কে অরক্ষিত অবস্থায় দেখে তাকে রক্ষা করার জন্য নুসাইবা তীরধনুক হাতে নিয়ে অগ্রসরমান প্রতিপক্ষকে তীর ছুড়ে নবীজী কে নিরাপত্তা দেয়ার প্রচেষ্টায় রত ছিলেন। ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) উহুদের যুদ্ধে উম্মে আম্মারা (রা.)-এর ভূমিকা সম্পর্কে বলেন, ‘আমি যখন ডানে-বাঁয়ে তাকিয়েছি কেবল তাঁকে যুদ্ধ করতে দেখেছি।’ (কানজুল উম্মাল, হাদিস : ৩৭৫৮৯)তার স্বামী ও পুত্র যুদ্ধের ময়দানে যুদ্ধ করছিল। যুদ্ধ শেষে তাকে আহত ও অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়। জ্ঞান ফেরার পরও তার প্রথম বাক্য ছিল, রাসূলুল্লাহ জীবিত আছেন কিনা।তাঁর নিজ বর্ণনায় বিভীষিকাময় সেই যুদ্ধের ঘটনা এভাবে তুলে ধরেন, “আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছাকাছি ছিলাম। মুসলমানদের হাত থেকে যখন যুদ্ধের মোড় ঘুরে গেল এবং নবীজির নিরাপত্তায় কয়েকজন সাহাবি তাঁকে বেষ্টন করে রাখলেন। তখন আমিও তাঁদের অন্তর্ভুক্ত হলাম এবং প্রাণপণ যুদ্ধ করতে আরম্ভ করলাম। ইতিমধ্যেই কাফেরদের এক যোদ্ধা ইবনে কিমিয়্যা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর দিকে চিৎকার করে এগিয়ে আসছিল এবং বলছিল, ‘মুহাম্মদকে দেখিয়ে দাও! সে যদি আজ বেঁচে যায় তাহলে আমার মুক্তি নেই।’তার এই চিৎকার শুনে মুসআব ইবনে উমাইর এবং কয়েকজন সাহাবি তাকে প্রতিরোধ করতে অগ্রসর হলেন। এটা দেখে আমিও দ্রুত অগ্রসর হলাম। আমি তার কাছাকাছি না যেতেই সে আমাকে দেখে দূর থেকে আমার কাঁধে তরবারির আঘাত করল। তরবারির আঘাতে কাঁধে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হলো। প্রচণ্ড ব্যথাও করছিল। কিন্তু আমি হাল ছাড়িনি; বরং পাল্টা আক্রমণ করলাম। কিন্তু আল্লাহর দুশমন সেদিন বর্ম পরিহিত থাকায় আমার হাত থেকে বেঁচে যায়!” (তবাকাতে ইবনে সাদ : ৮/৪৪০-৪৪১)
তাঁর ছেলে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে উহুদ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। যখন মানুষ তাঁর থেকে দূরে সরে গিয়েছিল, আমি ও আমার মা তাঁর নিকটবর্তী হই এবং তাঁকে রক্ষার চেষ্টা করি।... তখন রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর চোখে পড়ল আমার মায়ের কাঁধের ক্ষত। তিনি বললেন, তোমার মা! তোমার!! তাঁর ক্ষত বেঁধে দাও। আল্লাহ তোমাদেরকে আহলে বাইতের মতো বরকতময় করুন। তোমার মায়ের মর্যাদা অমুক ও অমুকের চেয়ে উত্তম। আল্লাহ তোমাদের প্রতি আহলে বাইতের মতো দয়া করুন। তোমার মায়ের স্বামীর মর্যাদা অমুক অমুকের চেয়ে উত্তম। আল্লাহ তোমাদের প্রতি আহলে বাইতের মতো অনুগ্রহ করুন।’ (তাবাকাতুল কুবরা লি-ইবনে সাদ, হাদিস : ১২৪৬১)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ইবনে কিমিয়্যা মহানবী (সা.)-কে আঘাত করতে উদ্ধত হলে তিনি নিজের কাঁধ দিয়ে তা প্রতিহত করেন।
উম্মে আম্মারা (রা.) মহানবী (সা.)-এর কাছে অনুযোগ করে বলেন, কোরআনে সর্বত্র পুরুষদের সম্বোধন করা হয়েছে। নারীদের উল্লেখ খুব কম। তাঁর এই অনুযোগের উত্তরে আল্লাহ সুরা আহজাবের ৩৫ নম্বর আয়াত অবতীর্ণ করেন। যেখানে আল্লাহ কোনো ভালো কাজের প্রতিদানে নারী-পুরুষে বৈষম্য করা হবে না বলে ঘোষণা দেন।

সংগ্রামী এই নারী শুধু নবী (সা.) জীবিত থাকা অবস্থায় ইসলামের জন্য নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন না; বরং নবীজির মৃত্যুর পর হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.)-এর খেলাফতকালে মিথ্যা নবুয়তের দাবিদার মুসাইলামাতুল কাজ্জাবের বিরুদ্ধে যে বাহিনী পাঠানো হয়েছিল তাতেও তিনি স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন, সাহাবিদের জীবনীর ওপর লিখিত কিতাব ‘উসদুল গাবাহতে’ সে যুদ্ধে তাঁর বীরত্বগাথার কথা এভাবে তুলে ধরা হয়েছে, ‘মুসাইলামার বিরুদ্ধে যে সৈন্য বাহিনী প্রেরিত হয়েছিল তার অন্যতম যোদ্ধা ছিল নাসিবা (রা.)। তিনি তাঁর পুত্র হাবিব বিন জায়েদকে নিয়ে এ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যুদ্ধের একপর্যায়ে অত্যন্ত মর্মান্তিকভাবে মুসাইলামাতুল কাজ্জাব তার প্রিয় পুত্রকে শহীদ করে। এরপর নাসিবা (রা.) শপথ করেন যে মুসাইলামা জীবিত থাকতে তিনি গোসলের পানি স্পর্শ করবেন না। সে যুদ্ধে তিনি অসামান্য বীরত্ব প্রদর্শন করেন। যুদ্ধ শেষে যখন ফিরে আসেন তখন তাঁর শরীরে তরবারি ও বর্শার বারোটি আঘাত ছিল। এমনকি এ যুদ্ধে তিনি একটি হাতও হারান!’ (উসদুল গাবাহ : ৫/৪৭৬)
খলীফা উমার (রাঃ) এর খেলাফত কালে একবার গনীমতের মালের মধ্যে কিছু চাদর আসে। তার মধ্যে একটি চাদর ছিল খুবই সুন্দর ও দামী। অনেকে বললেন, এটি খলীফা তনয় আবদুল্লাহর (রা) স্ত্রীকে দেওয়া হোক। অনেকে খলীফার স্ত্রী কুলছুম বিনত আলীকে (রা) দেওয়ার কথা বললেন। খলীফা কারো কথায় কান দিলেন না। তিনি বললেন, আমি এ চাদরের সবচেয়ে বেশী হকদার উম্মু আমারাকে মনে করি। এটি তাকেই দেব। কারণ, আমি উহুদের দিন তার সম্পর্কে রাসূলুল্লাহর (সা) বলতে শুনেছি : “আমি যে দিকেই দৃষ্টিপাত করছিলাম, শুধু উম্মু উমারাকেই লড়তে দেখছিলাম।“ অতপর তিনি চাদরটি তার কাছে পাঠিয়ে দেন। (তাবাকাত-৮/৪১৫; সিয়ারু আ‘লাম আন-নুবালা-২/২৮১)
সংগ্রামী এই মহীয়সী নারী মদিনায় ১৩ হিজরিতে ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)-এর শাসনকালে মৃত্যুবরণ করেন। জান্নাতুল বাকিতে তাঁর দাফন হয়।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সুফফা ইসলামের প্রথম আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

মো.আবু রায়হান:  সুফফা মসজিদে নববির একটি স্থান। যেখানে একদল নিঃস্ব মুহাজির যারা মদিনায় হিজরত করেন এবং বাসস্থানের অভাবে মসজিদে নববির সেই স্থানে থাকতেন।এটি প্রথমদিকে মসজিদ উত্তর-পূর্ব কোণায় ছিল এবং রাসুলের আদেশে এটাকে পাতার ছাউনি দিয়ে ছেয়ে দেয়া হয় তখন থেকে এটি পরিচিতি পায় আল-সুফফা বা আল-জুল্লাহ নামে। ( A Suffah is a room that is covered with palm branches from date trees, which was established next to Al-Masjid al-Nabawi by Islamic prophet Muhammad during the Medina period.)। মোটকথা রাসুল (সা) মসজিদে-নববির চত্ত্বরের এক পাশে আস সুফফা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সুফফা হলো ছাদবিশিষ্ট প্রশস্ত স্থান। সুফফার আকৃতি ছিল অনেকটা মঞ্চের মতো, মূল ভূমির উচ্চতা ছিল প্রায় অর্ধমিটার। প্রাথমিক পর্যায়ে এর দৈর্ঘ্য ছিল ১২ মিটার এবং প্রস্থ ছিল ৮ মিটার। মসজিদে নববির উত্তর-পূর্বাংশে নির্মিত সুফফার দক্ষিণ দিকে ছিল রাসুলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর স্ত্রীদের অবস্থানের হুজরা এবং সংলগ্ন পশ্চিম পাশে ছিল মেহরাব।আসহাবে সুফফা অৰ্থ চত্বরবাসী। ঐ সকল মহৎ প্ৰাণ সাহাবি আসহাবে সুফফা নামে পরিচিত, যারা জ্ঞানার্জনের জন্য ভোগবিলাস ত্যা...

খন্দক যুদ্ধ কারণ ও ফলাফল

#মো. আবু রায়হান ইসলামের যুদ্ধগুলোর মধ্যে খন্দকের যুদ্ধ অন্যতম। ৫ হিজরির শাওয়াল মাসে খন্দকের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। নবীজি (সা.) মদিনায় আসার আগে সেখানে বড় দুটি ইহুদি সম্প্রদায় বসবাস করত। বনু নাজির ও বনু কোরায়জা। ইহুদিদের প্ররোচনায় কুরাইশ ও অন্যান্য গোত্র মদিনার মুসলমানদের সঙ্গে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করে। খন্দকের এই যুদ্ধ ছিল মদিনার ওপরে গোটা আরব সম্প্রদায়ের এক সর্বব্যাপী হামলা এবং কষ্টকর অবরোধের এক দুঃসহ অভিজ্ঞতা। এসময় ২৭দিন ধরে আরব ও ইহুদি গোত্রগুলি মদিনা অবরোধ করে রাখে। পারস্য থেকে আগত সাহাবি সালমান ফারসির পরামর্শে হযরত মুহাম্মদ (স:) মদিনার চারপাশে পরিখা খননের নির্দেশ দেন। প্রাকৃতিকভাবে মদিনাতে যে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিল তার সাথে এই ব্যবস্থা যুক্ত হয়ে আক্রমণ কারীদেরকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে। জোটবাহিনী মুসলিমদের মিত্র মদিনার ইহুদি বনু কোরায়জা গোত্রকে নিজেদের পক্ষে আনে যাতে তারা দক্ষিণ দিক থেকে শহর আক্রমণ করে। কিন্তু মুসলিমদের তৎপরতার ফলে তাদের জোট ভেঙে যায়। মুসলিমদের সুসংগঠিত অবস্থা, জোটবাহিনীর আত্মবিশ্বাস হ্রাস ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে শেষপর্যন্ত আক্রমণ ব্যর্থ হয়।এই যুদ্ধে জয়ের ফলে ইসল...

কাবা ঘর নির্মাণের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

মো. আবু রায়হানঃ কাবা মুসলমানদের কিবলা, অর্থাৎ যে দিকে মুখ করে নামাজ পড়ে বা সালাত আদায় করে, পৃথিবীর যে স্থান থেকে কাবা যে দিকে মুসলমানগণ ঠিক সে দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করেন। হজ্জ এবং উমরা পালনের সময় মুসলমানগণ কাবাকে ঘিরে তাওয়াফ বা প্রদক্ষিণ করেন।কাবা শব্দটি এসেছে আরবি শব্দ মুকাআব অর্থ ঘন থেকে।কাবা একটি বড় ঘন আকৃতির ইমারত। (The Kaaba, meaning cube in Arabic, is a square building elegantly draped in a silk and cotton veil.)।যা সৌদি আরবের মক্কা শহরের মসজিদুল হারাম মসজিদের মধ্যখানে অবস্থিত। প্রকৃতপক্ষে মসজিদটি কাবাকে ঘিরেই তৈরি করা হয়েছে।কাবার ভৌগোলিক অবস্থান ২১.৪২২৪৯৩৫° উত্তর ৩৯.৮২৬২০১৩° পূর্ব।পৃথিবীর সর্বপ্রথম ঘর বায়তুল্লাহ বা পবিত্র কাবা ঘর ।আল্লাহ বলেন, নিশ্চয় সর্বপ্রথম ঘর যা মানুষের জন্য নির্মিত হয়েছে তা মক্কা নগরীতে। (সুরা আল ইমরান - ৯৬)। “প্রথম মাসজিদ বায়তুল্লাহিল হারাম তারপর বাইতুল মাকদিস, আর এ দুয়ের মধ্যে সময়ের ব্যবধান হলো চল্লিশ বছরের”।(মুসলিম- ৫২০)। ভৌগোলিকভাবেই গোলাকার পৃথিবীর মধ্যস্থলে কাবার অবস্থান। ইসলামের রাজধানী হিসেবে কাবা একটি সুপরিচিত নাম। পৃথিবীতে মাটির সৃষ্টি ...