সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

মদিনা সনদ ও প্রধান ধারা




#মো. আবু রায়হান
৬২২ খ্রিষ্টাব্দে মক্কা থেকে হিজরতের পর রাসূলুল্লাহ (সা) মদিনায় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ও ইহুদিদের মধ্যে সামাজিক ঐক্য ও রাজনৈতিক সমীকরণ, জাতীয় নিরাপত্তা, ভ্রাতৃত্ব, সম্প্রীতি ও ধর্মীয় সহিষ্ণুতার মাধ্যমে একটি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চুক্তি সম্পাদন করেছেন, যা ইতিহাসে মদিনা সনদ (Charter of Madinah) নামে পরিচিতি লাভ করে। এটাই ইতিহাসে প্রথম লিখিত সংবিধান (The first written constitution)। ইবনে হিশাম (র.) তাঁর 'সিরাতুননবী (সা.)' গ্রন্থে এ সনদের ৫৩টি ধারার বর্ণনা করেছেন। [ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ থেকে বাংলা ভাষায় অনূদিত এই গ্রন্থের দ্বিতীয় খণ্ডের (ঢাকা১৯৯৪, পৃ. ১৬৩-১৭১) তবে উইলিয়াম মন্টেগোমারি ওয়াট তাঁর Muhammad at Medina গ্রন্থে এই সনদের (পৃ. ২২১-২২৫) ৪৭টি ধারা উল্লেখ করেছেন]।ইয়াসরিববাসীর সঙ্গে স্বাক্ষরিত এই সনদের মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপিত হয়। এই সনদই ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নব প্রতিষ্ঠিত মদিনা রাষ্ট্রের সর্বময় কর্তৃত্ব প্রদান করে। এই সনদ স্বাক্ষরিত হওয়ার পর ইয়াসরিব উপত্যকার নাম পরিবর্তিত হয়ে মদিনাতুন্নবী বা নবীর শহর নাম ধারণ করে। পরবর্তী সময়ে এই শহর মদিনা নামেই জগৎময় পরিচিতি লাভ করে। ইবনে ইসহাক (রা.) বলেন, 'রাসুলুল্লাহ (সা.) মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে একটি চুক্তিপত্র লিখে দেন এবং এতে ইহুদিদেরও এ চুক্তির অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ চুক্তিতে তাদের ধর্ম ও ধন-সম্পদের নিরাপত্তা প্রদান করা হয়, তাদের অধিকারগুলোর নিশ্চয়তা প্রদান করা হয় এবং তাদের ওপর কিছু শর্ত শরায়েতও আরোপ করা হয়।এর প্রদান শর্তগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো-

#ইহা মহানবী মুহাম্মদ (সা)-এর পক্ষ থেকে লিখিত অঙ্গীকারনামা।
#মদিনা সনদে স্বাক্ষরকারী মুসলমান, ইহুদি, খ্রিস্টান, পৌত্তলিকসহ সব সম্প্রদায় একটি সাধারণ জাতি গঠন করবে এবং সব সম্প্রদায় সমান নাগরিক অধিকার ভোগ করবে।
#হযরত মুহাম্মদ (সা.) নব গঠিত মদিনা প্রজাতন্ত্রের সভাপতি হবেন এবং পদাধিকার বলে তিনি মদিনার সর্বোচ্চ বিচারালয়ের সর্বময় কর্তা হবেন।
#সব নাগরিক পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করবে। কেউ কারো ধর্মে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
#সর্বপ্রকার পাপ ও অপরাধকে ঘৃণা করতে হবে। কোনোক্রমেই পাপী ও অপরাধী ব্যক্তিকে রেহাই দেওয়া যাবে না।
#কেউ কুরাইশদের সঙ্গে বা অন্য কোনো বহিঃশত্রুর সঙ্গে কোনো প্রকার গোপন সন্ধি করতে পারবে না কিংবা মদিনাবাসীর বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্রে কুরাইশদের সাহায্য করতে পারবে না। কোনো সম্প্রদায় মদিনা প্রজাতন্ত্রের স্বার্থের পরিপন্থী কোনো কাজে লিপ্ত হতে পারবে না।
#সনদে স্বাক্ষরকারী সম্প্রদায়ের কোনো ব্যক্তি অপরাধ করলে তা ব্যক্তিগত অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। এ জন্য সম্প্রদায়কে দায়ী করা যাবে না।
#মদিনা নগরী আক্রান্ত হলে দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য সবাই যুদ্ধ করবে এবং প্রতিটি সম্প্রদায় নিজ নিজ ব্যয়ভার বহন করবে।
#মদিনা নগরীকে পবিত্র বলে ঘোষণা করা হলো এবং এখানে রক্তপাত, হত্যা, বলাৎকার ও অপরাধমূলক কাজ নিষিদ্ধ করা হলো।
#দুর্বল ও অসহায়কে সর্বাÍকভাবে সাহায্য ও রক্ষা করতে হবে।
# অপরাধীকে উপযুক্ত শাস্তি ভোগ করতে হবে এবং সব ধরনের পাপী ও অপরাধীকে ঘৃণার চোখে দেখতে হবে।
# মদিনায় কোনো মুসলমান, অমুসলমান কিংবা ইহুদি হজরতের বিনানুমতিতে যুদ্ধ ঘোষণা করতে অথবা সামরিক অভিযানে যেতে পারবে না।
#নিজেদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে হযরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর বিধান অনুযায়ী তা মীমাংসা করে দেবেন।
#এই সনদের শর্ত ভঙ্গকারীর ওপর আল্লাহর অভিসম্পাত বর্ষিত হবে।

সনদের ফলাফল-
মদিনার সনদ মদিনার রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও নাগরিক জীবনে বিরাট পরিবর্তন আনে। প্রথমত, এ সনদ রাজনৈতিক ঐক্য স্থাপনে সাহায্য করে। হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নেতৃত্বে নিয়ত যুদ্ধরত গোত্রগুলোর শহর শান্তিপূর্ণ প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়। প্রাচ্যবিদ উইলিয়াম মুরের বক্তব্য অনুসারে, এই চুক্তির মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ সা: একজন মহান পরিকল্পনাবিদ ও পরিচালক রূপে ধ্যান-ধারণা ও চিন্তা-চেতনায় বহুধাবিভক্ত, আদর্শ-বিশ্বাসে বিভিন্নমুখী এবং পরস্পর থেকে চরম বিচ্ছিন্ন একটি জনগোষ্ঠীকে সুসংহত ও ঐক্যবদ্ধ করার সুকঠিন কাজটি একজন শ্রেষ্ঠ ও বিজ্ঞ রাজনীতিবিদের মতো পরম দক্ষতার সাথে সুচারুরূপে সম্পাদন করেন। রাসূলুল্লাহ (সা.)এমন একটি রাষ্ট্র এবং এমন একটি জনসমাজ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেন, যা ছিল আন্তর্জাতিক রীতিনীতির ওপর সুপ্রতিষ্ঠিত (ড. মুহাম্মদ হামীদুল্লাহ, আল-ওয়াছা’ইকুস সিয়াসিয়াহ ফিল আহ্দিন নববী, পৃ.১৫-২১; ইব্ন হিশাম, সীরাতুন্নবী, ১খ.,পৃ. ৫৫৪-৫৬১)।দ্বিতীয়ত, আল্লাহর রসুলের দেওয়া নতুন সংবিধান অনুযায়ী এটা গৃহযুদ্ধ ও অনৈক্যের স্থলে শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করে। নবী কারিম (সা.) মদিনার প্রত্যেক মানুষের (মুসলমান বা ইহুদি) জানমালের নিরাপত্তা বিধান করেন। তৃতীয়ত, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মদিনার সব নাগরিককে এ সনদ সমানাধিকার দান করে। চতুর্থত, এটা মদিনার মুসলমান ও অমুসলমানদের মধ্যে সম্প্রীতি গড়ে তোলে এবং মোহাজেরদের মদিনায় বসবাসের জীবিকা উপার্জনের ব্যবস্থা করে। পঞ্চমত, মদিনায় ইসলামের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, এ সনদ প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করে।This was the first attempt in the history of Arabia at a social organization with religion than blood as its basis (P.K hitti, History Of the Arabs ,p .120)

মদিনার সনদের গুরুত্ব-
মদিনার সনদ হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, কূটনৈতিক দূরদর্শিতা ও অসাধারণ প্রতিভার পরিচয় বহন করে। তার প্রণীত সনদ 'দুনিয়ার ইতিহাসে সর্বপ্রথম লিখিত শাসনতন্ত্র'। এটা নাগরিক সাম্যের মহান নীতি, আইনের শাসন, ধর্মের স্বাধীনতা ও ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ঘোষণা করে। তাই এটাকে ইসলামের 'মহাসনদ' বলা হয়। মদিনা সনদই পৃথিবীর সর্বপ্রথম একটি পূর্ণাঙ্গ লিখিত সংবিধান। এর আগে সুমেরীয় রাজা ডুঙ্গি ‘ডুঙ্গি কোড’ (Dungi Code) ব্যাবলনীয় রাজা হাম্মুরাবি হাম্মুরাবি আইন সংহিতা (Code of Hammurabi) ১৭৫৪ খ্রিস্টপূর্ব ও রোমানরা ‘দ্বাদশ সারণি’ (Twelve Tables) ৪৫০ খ্রিস্টপূর্ব লিখিত সংবিধান প্রণয়ন করেন। যুগের চাহিদা অনুযায়ী এসব আইন বা সংবিধান অভিনব হলেও আধুনিক রাষ্ট্রীয় সংবিধানের ন্যায় তা রাষ্ট্র পরিচালনা ও নাগরিকদের সব ধরনের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম ছিল না। এরপর দীর্ঘকাল বিরতির পর মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) মদিনা সনদ নামে যে আইনটি প্রণয়ন করেন, তা ছিল সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সংবিধান। এ আইনে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছিল।সনদের প্রতিটি ধারা পর্যালোচনা করলে বলা যায়, মহানবী সা:-এর মানবাধিকার ঘোষণার প্রকৃষ্ট পরিচয় প্রতিভাত হয়ে ওঠে। ১২১৫ সালের ম্যাগনা কার্টা, ১৬২৮ সালের পিটিশন অব রাইটস্ ১৬৭৯ সালের হেবিয়াস কর্পাস অ্যাক্ট, ১৬৮৯ সালের বিল অব রাইটস এবং ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসঙ্ঘ কর্তৃক ঘোষিত সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা (Universal Declaration of Human Rights)-এর শত শত বছর আগে মানবতার ঝাণ্ডাবাহী মহানবী সা: সর্বপ্রথম মানুষের আর্থসামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক অধিকার ঘোষণা করেন। পরস্পরবিরোধী ধর্ম সম্প্রদায়ের মধ্যে মহানবী সা: কর্তৃক সম্পাদিত এ সনদ সমগ্র মানবজাতি ও অখণ্ড মানবতার এক চূড়ান্ত উত্তরণ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

যে গাছ ইহুদিদের আশ্রয় দেবে অর্থাৎ ইহুদিদের বন্ধু গাছ

মো.আবু রায়হান:  কিয়ামত সংঘটিত হবার  পূর্বে হযরত ঈসা (আ.) এর সঙ্গে দাজ্জালের জেরুজালেমে যুদ্ধ হবে। সেই যুদ্ধে ইহুদিরা দাজ্জালের পক্ষাবলম্বন করবে। হযরত ঈসা (আ.) দাজ্জালকে হত্যা করবেন।এদিকে  ইহুদিরা প্রাণ ভয়ে পালাতে চেষ্টা করবে।  আশেপাশের গাছ ও পাথর/ দেয়ালে আশ্রয় নেবে। সেদিন গারকাদ নামক একটি গাছ ইহুদিদের আশ্রয় দেবে। গারকাদ ইহুদীবান্ধব গাছ।গারকাদ একটি আরবি শব্দ। এর অর্থ হল কাটাওয়ালা ঝোঁপ।গারকাদ এর ইংরেজী প্রতিশব্দ Boxthorn। Boxএর অর্থ সবুজ ঝোঁপ এবং thorn এর অর্থ কাঁটা। এ ধরনের গাছ বক্সথর্ন হিসেবেই পরিচিত। এই গাছ চেরি গাছের মতো এবং চেরি ফলের মতো লাল ফলে গাছটি শোভিত থাকে।  ইসরায়েলের সর্বত্র বিশেষত অধিকৃত গাজা ভূখন্ডে গারকাদ গাছ ব্যাপকহারে  দেখতে পাওয়া যায়।ইহুদিরা কোথাও পালাবার স্থান পাবে না। গাছের আড়ালে পালানোর চেষ্টা করলে গাছ বলবে, হে মুসলিম! আসো, আমার পিছনে একজন ইহুদী লুকিয়ে আছে। আসো এবং তাকে হত্যা কর। পাথর বা দেয়ালের পিছনে পলায়ন করলে পাথর বা দেয়াল বলবে, হে মুসলিম! আমার পিছনে একজন ইহুদী লুকিয়ে আছে, আসো! তাকে হত্যা কর। তবে গারকাদ নামক গাছ ইহুদিদেরকে ...

খন্দক যুদ্ধ কারণ ও ফলাফল

#মো. আবু রায়হান ইসলামের যুদ্ধগুলোর মধ্যে খন্দকের যুদ্ধ অন্যতম। ৫ হিজরির শাওয়াল মাসে খন্দকের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। নবীজি (সা.) মদিনায় আসার আগে সেখানে বড় দুটি ইহুদি সম্প্রদায় বসবাস করত। বনু নাজির ও বনু কোরায়জা। ইহুদিদের প্ররোচনায় কুরাইশ ও অন্যান্য গোত্র মদিনার মুসলমানদের সঙ্গে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করে। খন্দকের এই যুদ্ধ ছিল মদিনার ওপরে গোটা আরব সম্প্রদায়ের এক সর্বব্যাপী হামলা এবং কষ্টকর অবরোধের এক দুঃসহ অভিজ্ঞতা। এসময় ২৭দিন ধরে আরব ও ইহুদি গোত্রগুলি মদিনা অবরোধ করে রাখে। পারস্য থেকে আগত সাহাবি সালমান ফারসির পরামর্শে হযরত মুহাম্মদ (স:) মদিনার চারপাশে পরিখা খননের নির্দেশ দেন। প্রাকৃতিকভাবে মদিনাতে যে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিল তার সাথে এই ব্যবস্থা যুক্ত হয়ে আক্রমণ কারীদেরকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে। জোটবাহিনী মুসলিমদের মিত্র মদিনার ইহুদি বনু কোরায়জা গোত্রকে নিজেদের পক্ষে আনে যাতে তারা দক্ষিণ দিক থেকে শহর আক্রমণ করে। কিন্তু মুসলিমদের তৎপরতার ফলে তাদের জোট ভেঙে যায়। মুসলিমদের সুসংগঠিত অবস্থা, জোটবাহিনীর আত্মবিশ্বাস হ্রাস ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে শেষপর্যন্ত আক্রমণ ব্যর্থ হয়।এই যুদ্ধে জয়ের ফলে ইসল...

উটের যুদ্ধ ইসলামের প্রথম ভাতৃঘাতি যুদ্ধ

#মো.আবু রায়হান উটের যুদ্ধ বা উষ্ট্রের যুদ্ধ বা জামালের যুদ্ধ ( Battle of the Camel) ৬৫৬ খ্রিষ্টাব্দের শেষের দিকে ইরাকের বসরায় সংঘটিত হয়। এটি ইসলামের ইতিহাসের প্রথম গৃহযুদ্ধ।এই যুদ্ধ ছিল ইসলামের চতুর্থ খলিফা হযরত আলী এর বিরুদ্ধে হযরত তালহা-জুবায়ের ও আয়েশা (রা)সম্মলিত যুদ্ধ। পটভূমি হযরত ওসমান (রা) এর বিভিন্ন প্রদেশে প্রাদেশিক শাসনকর্তা নিয়োগ নিয়ে একদল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ টেনে বিদ্রোহ শুরু করে।হযরত ওসমান বিভিন্নভাবে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করতে থাকেন। তাদের কথামত মিশরের গভর্নরকে প্রতিস্থাপন করে আবু বকরের ছেলে মুহাম্মদ ইবনে আবু বকর কে নিয়োগ করলেও বিদ্রোহীরা শান্ত হয় নি। তারা নানাভাবে অভিযোগ টেনে এনে ওসমান (রা) এর অপসারণের দাবী করতে থাকে। ওসমান সবকিছু মীমাংসার আশ্বাস দিলেও তারা ৬৫৬ সালের ১৭ জুন তারা বাড়ি অবরুদ্ধ করে এবং এক পর্যায়ে তারা তার কক্ষে প্রবেশ করে কুরআন তেলাওয়াত করা অবস্থায় হত্যা করে।ওসমান (রা.)-এর হত্যাকাণ্ডের পর আলী (রা.) খলিফা হন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করে যখনই আলী (রা.) ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কাজে হাত দেন তখনই ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতার অভাবের কার...