সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ভিয়েতনামে ইসলাম ও মুসলমান



মো.আবু রায়হানঃভিয়েতনামের সরকারী নাম সোশ্যালিস্ট রিপাবলিক অব ভিয়েতনাম।ভিয়েতনাম ইন্দো-চীন উপদ্বীপের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র। দেশটির উত্তরে গণচীন, পশ্চিমে লাওস ও কম্বোডিয়া, দক্ষিণ ও পূর্বে দক্ষিণ চীন সাগর অবস্থিত। ভিয়েতনামের মোট আয়তন তিন লাখ ২৯ হাজার ২৪৭ বর্গকিলোমিটার।দেশটির আকৃতি অনেকটা ইংরেজি এস (s) অক্ষরের মত। এটি উত্তরে চীনের সীমান্ত থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণে থাইল্যান্ড উপসাগর পর্যন্ত উত্তর-দক্ষিণে প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার বিস্তৃত। ১৯৭৬ সালে উত্তর ও দক্ষিণ ভিয়েতনাম পুনরেকত্রিত হওয়ার পর থেকে দেশটির রাজধানী হ্যানয়। হো চি মিন সিটি হল বৃহত্তম শহর।ভিয়েতনাম কমিউনিস্ট পার্টি শাসিত একটি একদলীয় সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র। ১৯৪৫ সালের ২রা সেপ্টেম্বর দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে। জনসংখ্যা আট কোটি ৯৭ লাখ (জাতিসংঘের তথ্য ২০১২)ভিয়েতনামে ৫৩টি ভিন্ন জাতিগত ও ভাষাগত গোষ্ঠী বসবাস করেন। তবে ভিয়েত বা ভিয়েতনামীয় জাতির লোকেরাই সর্বতোভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ।দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী। ভিয়েতনামের সবচেয়ে প্রাচীন তিনটি ধর্ম হল মহায়ন বৌদ্ধধর্ম, কনফুসিয়াসবাদ এবং তাওবাদ। এগুলি ভিয়েতনামে ত্রিধর্ম নামে পরিচিত। এছাড়াও এখানে রোমান ক্যাথলিক ধারার খ্রিস্টধর্ম, কাও দাই, হোয়াও হো ধর্মের উল্লেখযোগ্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আছে। সাম্প্রতিক শতকগুলিতে ভিয়েতনামে প্রোটেস্টান্ট ধারার খ্রিস্টধর্ম, ইসলাম, হিন্দুধর্ম এবং থেরবাদ বৌদ্ধধর্ম প্রচলিত হয়। ভিয়েতনামের ৬টি ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে মুসলমানরাই হচ্ছে সবচেয়ে ছোট জনগোষ্ঠী।
ভিয়েতনামের সংস্কৃতি চীনাদের দ্বারা প্রভাবিত হলেও মুসলমানরা আলাদা সংস্কৃতি বজায় রেখে চলেছে যদিও সেখানে তারা একেবারেই ক্ষুদ্র একটি জনগোষ্ঠী। ভিয়েতনামের ১৯৯৯ সালের আদমশুমারিতে ৬৩১৪৬ জন মুসলমান ছিল। দক্ষিণ মধ্য উপকূলে ৭৭% এরও বেশি লোক বাস করত, নিনাহ থুয়ান প্রদেশে ৩৪%, বেন থুয়ান প্রদেশে ২৪% এবং হো চি মিন সিটিতে ৯% বাস করত; আরও ২২% মেকং ডেল্টা অঞ্চলে বাস করতেন, মূলত আন জিয়াং প্রদেশে। মাত্র ১% মুসলমান দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বাস করত।হো চি মিন সিটির শহরতলীতে অবস্থিত ডিস্ট্রিক্ট-৮ নামে অভিহিত একটি অঞ্চলে মুসলমানরা বসবাস করছে। মেট্টোপলিটান এলাকায় বসবাসকারী এসব মুসলমান চাম মুসলিম নামে পরিচিত। ১৩ শ'র বেশি মুসলমান এই শহরতলীতে বাস করে। তাদের রয়েছে হালাল রেস্তোরাঁ, বড় আকারের একটি মসজিদ ও মাদরাসা। এ থেকে উচ্চতর শিক্ষালাভের জন্য প্রতি বছরই ছাত্রদের মালয়েশিয়ায় পাঠানো হয়। ৮ কোটি ৬০ লাখ অধিবাসীর দেশ ভিয়েতনামে চাম মুসলমানের সংখ্যা ১ লাখের বেশি। ভিয়েতনামের মেকং ডেল্টা এলাকার মেকং নদীর ধারে কম্বোডিয়া সীমান্তে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এক গ্রামে মুসলমান জনসাধারণ চাম জনগোষ্ঠী নামে পরিচিত। ভিয়েতনামের কম্বোডিয়া সীমান্ত ঘেঁষে বয়ে গেছে মেকং নদী। নদীর তীর ধরে গড়ে উঠেছে অ্যান গিয়াং প্রদেশ। প্রদেশের অন্যতম জেলা মেকং ডেল্টা। এই মেকং ডেল্টায় সাউ ডক নামক গ্রামটির অবস্থান। গ্রামটির আয়তন প্রায় ১০৫ বর্গ কিলোমিটার। ২০১৩ সালের আদমশুমারি অনুসারে গ্রামটির মোট জনসংখ্যা ১,৫৭,২৯৪ জন। গ্রামের প্রধান ধর্ম বৌদ্ধ, দ্বিতীয় প্রধান ধর্ম ইসলাম। এরা সবাই এখানকার আদিবাসী জনগোষ্ঠী। মেকং ডেল্টাসহ দক্ষিণ ভিয়েতনামের বর্তমান এলাকাগুলো একসময়ে চাম্পা রাজার অধীনে ছিল। এই রাজ্যে যারা বসবাস করতো তাদের সবাইকে চাম বলা হতো। চাম্পা রাজত্বের সূচনা ঘটে ১৯২ খ্রিস্টাব্দে। দীর্ঘকাল পর ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দে এই রাজত্বের পতন ঘটে। শুরুর দিকে চাম্পা রাজারা হিন্দু ধর্মের অনুসারী ছিলেন, ফলে চাম্পা রাজত্বের অধিকাংশ জনগণ হিন্দু ধর্মের অনুসারী ছিলেন। নবম শতকে এসে অত্র অঞ্চলে বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব বাড়তে থাকে। একাদশ শতকে এসে আরব বণিকদের আগমনের ফলে এই অঞ্চলে ইসলামের প্রভাব বাড়তে থাকে। সপ্তদশ শতকে এই প্রভাব পূর্ণতা লাভ করে। উনবিংশ শতাব্দীতে এসে তা আবার হ্রাস পায়।রাজত্বের পতন ও নানা নির্যাতনের কারণে চাম আদিবাসীরা ছড়িয়ে পড়ে বর্তমান ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া,মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও চীনসহ পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে। বর্তমানে চাম আদিবাসীদের অধিকাংশই বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্ম প্রভাবিত নিজস্ব ধর্মের অনুসারী। চাম্পা রাজত্বের অধীনস্থ এলাকায় ইসলামের আগমন সম্পর্কে প্রধানত দুটি মত পাওয়া যায়। একদল ইতিহাসবিদের মতে, ইসলামের তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান (রা) এর শাসনামলে অত্র অঞ্চলে সর্বপ্রথম ইসলামের আগমন ঘটে। তাদের মতে, হযরত উসমান (রা) ৬৫০ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন টাং সাম্রাজ্যে, তথা বর্তমান ভিয়েতনাম ও চীনে একজন ইসলামের দূত প্রেরণ করেছিলেন। তিনি চাম্পা সাম্রাজ্যে তার জাহাজ নোঙর করেছিলেন এবং অত্র অঞ্চলে প্রথমবারের মতো ইসলাম প্রচার করেছিলেন। তবে এ সময়ে চাম্পা রাজত্বে ইসলাম তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। আরেকদল ইতিহাসবিদ মনে করেন, উসমান (রা) এর আমলে নয়, বরং একাদশ শতকে চাম্পা রাজত্বে ইসলামের আগমন ঘটে। এ সময়ে অত্র অঞ্চলে আরব বণিকরা চন্দন কাঠের ব্যবসা করতে শুরু করে। এসব আরব বণিকদের অধিকাংশই ছিল ইসলাম ধর্মের অনুসারী। তাদের হাত ধরেই চাম্পা অঞ্চলে ইসলামের প্রসার ঘটতে থাকে। কিন্তু স্থানীয় রাজার ধর্মই অধিকাংশ প্রজাদের ধর্ম হওয়ায় তখনও ইসলাম তেমন প্রভাব বিস্তার সক্ষম হয়নি। পরবর্তীতে সপ্তদশ শতকে এসে এক চাম্পা রাজা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করাতে অত্র অঞ্চলে ইসলামের দ্রুত প্রসার ঘটে। এ সময়ে প্রায় সকল প্রজা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। তাং রাজবংশের পতনের পরে আব্বাসীয় খিলাফত আমলে ভিয়েতনামীদের সাথে বাণিজ্য চালিয়ে যায।সপ্তদশ শতকে চাম রাজা অনুষ্ঠানিকভাবে ইসলাম গ্রহণ করেন এবং তার লোকদের মাঝে ব্যপকহারে ইসলামের প্রচার শুরু করেন। একই শতকে ভিয়েতনামীদের আগ্রাসনের কারণে ইসলামের প্রচার কাজ থমকে যায়। এর ফলেই হয়তো ভিয়েতনামের মূল ভূখন্ডে ইসলাম খুব সহজে পৌছতে পারেনি । তাদের নামানুসারে কম্বোডিয়ায় তাদের বসবাসের প্রধান অঞ্চলটির নাম হয়েছে কাম্পং চাম বা চামদের বন্দর।ভিয়েতনামের সাউ ডক গ্রামের চ্যাম মুসলমানরা প্রধানত সুন্নি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। গ্রামটিতে বর্তমানে পার্শ্ববর্তী দেশ মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার মুসলমানদের বেশ যাতায়াত রয়েছে। তাদের সহায়তায় এখানে একটি মসজিদ ও একটি মাদরাসা গড়ে উঠেছে। মসজিদের ও মাদরাসার খরচও মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থার মাধ্যমে জোগাড় হয়। কেননা, স্থানীয় চাম মুসলমানদের অর্থনৈতিক অবস্থা বেশ নিম্ন পর্যায়ের। পুরুষদের অধিকাংশ জেলে। বাকিরা মাছের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য ব্যবসার সাথে যুক্ত। গবেষকরা বলছেন, চামদের শতকরা ৮০ ভাগই ইসলামী অনুশাসন মেনে চলে। In Vietnam, there are about 40 masjid and 21 suraos. The Muslims in Vietnam mostly live in Ho Chi Minh City and An Giang Province, therefore, the largest sanctums are all located in these areas. হো চি মিন সিটিতে ১৬টির মত মসজিদ আছে। এর মধ্যে বিদেশী সহায়তায় কয়েকটি মসজিদ স্থাপিত হয়েছে। চামদের অঞ্চলে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও রেডক্রিসেন্টের অর্থসাহায্য ২০০৬ সালে জামিউল আনোয়ার মসজিদটি পুনঃনির্মিত হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে সমর্থন পেলেও চাম মুসলমানরা মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গেই সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করে থাকে। অনেক বয়স্ক মুসলমান পবিত্র হজব্রত পালন করেছেন। অধিকাংশ মুসলমানের নাম আরবিতে রাখা হয়। চাম মুসলিম মহিলারা সাধারণ হিজাব ও টিলেঢালা পোশাক পরেন।২০০৯ সালের পরিসংখ্যান অনুসারে ভিয়েতনামে মোট ৭৫ হাজার মুসলমান রয়েছে। এর প্রায় ৮০ শতাংশ এই চাম মুসলমান। আদিবাসী হওয়া সত্ত্বেও এখনো তারা সেখানে পুরোপুরি নিরাপদ নয়। সমাজের মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সুফফা ইসলামের প্রথম আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

মো.আবু রায়হান:  সুফফা মসজিদে নববির একটি স্থান। যেখানে একদল নিঃস্ব মুহাজির যারা মদিনায় হিজরত করেন এবং বাসস্থানের অভাবে মসজিদে নববির সেই স্থানে থাকতেন।এটি প্রথমদিকে মসজিদ উত্তর-পূর্ব কোণায় ছিল এবং রাসুলের আদেশে এটাকে পাতার ছাউনি দিয়ে ছেয়ে দেয়া হয় তখন থেকে এটি পরিচিতি পায় আল-সুফফা বা আল-জুল্লাহ নামে। ( A Suffah is a room that is covered with palm branches from date trees, which was established next to Al-Masjid al-Nabawi by Islamic prophet Muhammad during the Medina period.)। মোটকথা রাসুল (সা) মসজিদে-নববির চত্ত্বরের এক পাশে আস সুফফা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সুফফা হলো ছাদবিশিষ্ট প্রশস্ত স্থান। সুফফার আকৃতি ছিল অনেকটা মঞ্চের মতো, মূল ভূমির উচ্চতা ছিল প্রায় অর্ধমিটার। প্রাথমিক পর্যায়ে এর দৈর্ঘ্য ছিল ১২ মিটার এবং প্রস্থ ছিল ৮ মিটার। মসজিদে নববির উত্তর-পূর্বাংশে নির্মিত সুফফার দক্ষিণ দিকে ছিল রাসুলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর স্ত্রীদের অবস্থানের হুজরা এবং সংলগ্ন পশ্চিম পাশে ছিল মেহরাব।আসহাবে সুফফা অৰ্থ চত্বরবাসী। ঐ সকল মহৎ প্ৰাণ সাহাবি আসহাবে সুফফা নামে পরিচিত, যারা জ্ঞানার্জনের জন্য ভোগবিলাস ত্যা...

খন্দক যুদ্ধ কারণ ও ফলাফল

#মো. আবু রায়হান ইসলামের যুদ্ধগুলোর মধ্যে খন্দকের যুদ্ধ অন্যতম। ৫ হিজরির শাওয়াল মাসে খন্দকের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। নবীজি (সা.) মদিনায় আসার আগে সেখানে বড় দুটি ইহুদি সম্প্রদায় বসবাস করত। বনু নাজির ও বনু কোরায়জা। ইহুদিদের প্ররোচনায় কুরাইশ ও অন্যান্য গোত্র মদিনার মুসলমানদের সঙ্গে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করে। খন্দকের এই যুদ্ধ ছিল মদিনার ওপরে গোটা আরব সম্প্রদায়ের এক সর্বব্যাপী হামলা এবং কষ্টকর অবরোধের এক দুঃসহ অভিজ্ঞতা। এসময় ২৭দিন ধরে আরব ও ইহুদি গোত্রগুলি মদিনা অবরোধ করে রাখে। পারস্য থেকে আগত সাহাবি সালমান ফারসির পরামর্শে হযরত মুহাম্মদ (স:) মদিনার চারপাশে পরিখা খননের নির্দেশ দেন। প্রাকৃতিকভাবে মদিনাতে যে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিল তার সাথে এই ব্যবস্থা যুক্ত হয়ে আক্রমণ কারীদেরকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে। জোটবাহিনী মুসলিমদের মিত্র মদিনার ইহুদি বনু কোরায়জা গোত্রকে নিজেদের পক্ষে আনে যাতে তারা দক্ষিণ দিক থেকে শহর আক্রমণ করে। কিন্তু মুসলিমদের তৎপরতার ফলে তাদের জোট ভেঙে যায়। মুসলিমদের সুসংগঠিত অবস্থা, জোটবাহিনীর আত্মবিশ্বাস হ্রাস ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে শেষপর্যন্ত আক্রমণ ব্যর্থ হয়।এই যুদ্ধে জয়ের ফলে ইসল...

কাবা ঘর নির্মাণের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

মো. আবু রায়হানঃ কাবা মুসলমানদের কিবলা, অর্থাৎ যে দিকে মুখ করে নামাজ পড়ে বা সালাত আদায় করে, পৃথিবীর যে স্থান থেকে কাবা যে দিকে মুসলমানগণ ঠিক সে দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করেন। হজ্জ এবং উমরা পালনের সময় মুসলমানগণ কাবাকে ঘিরে তাওয়াফ বা প্রদক্ষিণ করেন।কাবা শব্দটি এসেছে আরবি শব্দ মুকাআব অর্থ ঘন থেকে।কাবা একটি বড় ঘন আকৃতির ইমারত। (The Kaaba, meaning cube in Arabic, is a square building elegantly draped in a silk and cotton veil.)।যা সৌদি আরবের মক্কা শহরের মসজিদুল হারাম মসজিদের মধ্যখানে অবস্থিত। প্রকৃতপক্ষে মসজিদটি কাবাকে ঘিরেই তৈরি করা হয়েছে।কাবার ভৌগোলিক অবস্থান ২১.৪২২৪৯৩৫° উত্তর ৩৯.৮২৬২০১৩° পূর্ব।পৃথিবীর সর্বপ্রথম ঘর বায়তুল্লাহ বা পবিত্র কাবা ঘর ।আল্লাহ বলেন, নিশ্চয় সর্বপ্রথম ঘর যা মানুষের জন্য নির্মিত হয়েছে তা মক্কা নগরীতে। (সুরা আল ইমরান - ৯৬)। “প্রথম মাসজিদ বায়তুল্লাহিল হারাম তারপর বাইতুল মাকদিস, আর এ দুয়ের মধ্যে সময়ের ব্যবধান হলো চল্লিশ বছরের”।(মুসলিম- ৫২০)। ভৌগোলিকভাবেই গোলাকার পৃথিবীর মধ্যস্থলে কাবার অবস্থান। ইসলামের রাজধানী হিসেবে কাবা একটি সুপরিচিত নাম। পৃথিবীতে মাটির সৃষ্টি ...