এসব জানলে ময়ূরের পালক বইয়ে রাখতাম না



ময়ূর শুধু ভারতের জাতীয় পাখিই নয়, ময়ূরের পালককে হিন্দুরা মঙ্গলের চিহ্ন হিসেবে মনে করে।তারা যে কোনও শুভ কাজে বা মঙ্গলের চিহ্ন হিসেবে ময়ূরের পালক ব্যবহার করে। অনেকেই আবার বাড়িতে ময়ূরের পালক রাখেন। তাঁরা বিশ্বাস করেন যে, বাড়িতে ময়ূরের পালক রাখলে তা বাড়িতে সৌভাগ্য বহন করে আনবে।আমরা ছোট বেলায় না বুঝে বই ও খাতার ভেতরে ময়ূরের পালক রেখেছি ।এসব জানলে হয়তো আমরা কখনো ময়ূরের পালক বইয়ে রাখতাম না। মায়ানমারের জাতীয় প্রতীক হিসেবেও ময়ূরকে গণ্য করা হয়।
ময়ূরের পালককে শুভ বা মঙ্গল বলে মনে করার কারণ হলো-
ময়ূর বিশ্বের সব থেকে পুরনো শোভাময় পাখি।প্রচলিত আছে যে, গরুড় পাখির পালক থেকে ময়ূরের সৃষ্টি। আর তাই ময়ূর সাপ ধ্বংস করতে পারে বলে বিশ্বাস করা হয়।কথিত আছে যে, প্রাচীন যুগে একসময় ময়ূরের লেজ নিষ্প্রভ ছিল। রাবন এবং দেবরাজ ইন্দ্রের যুদ্ধের সময় ময়ূর তার লেজ বিস্তৃত করে দিয়েছিল, যাতে দেবরাজ ইন্দ্র সেখানে লুকতে পারেন। নিজের লেজ দিয়ে দেবরাজ ইন্দ্রকে রক্ষা করতে সফল হয়েছিল ময়ূর। এরপর থেকে ময়ূরের পালককে মঙ্গলময় বলে স্বীকৃতি দেব দেবতারা। এরপর দেবরাজ ইন্দ্রকে ময়ূর সিংহাসনে উপবিষ্ট হতে দেখা যায়। ভগবান কৃষ্ণকে তাঁর মুকুটে ময়ূরের পালক ধারণ করতে দেখা যায়। তাই ময়ূরের পালককে হিন্দুত্বের অন্যতম চিহ্ন বলে মনে করা।ময়ূরকে ধন-সম্পদের প্রতীক হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়। আর এই কারণেই বাড়িতে ধন-সম্পদের বৃদ্ধি করতে অনেকে বাড়িতে ময়ূরের পালক রাখেন। এছাড়াও এমনও মনে করা হয়, ময়ূরের পালক বাড়িতে রাখলে, বাড়িতে মশা-মাছি, পোকা-মাকড়ের উপদ্রব হয় না। ময়ূর আমাদের মনে আনন্দ এবং একাত্মতা নিয়ে আসে। একে গর্বেরও চিহ্ন বলে ধরা হয়।যেহেতু যুদ্ধের সময় ময়ূর নিজের লেজ দিয়ে দেবরাজ ইন্দ্রকে রক্ষা করেছিল, তাই একে নিরাপত্তার প্রতীক হিসেবে মনে করা হয়।হিন্দু ধর্মে কথিত আছে, দেবরাজ ইন্দ্রকে একবার পশুর রূপ ধারণ করতে হয়েছিল। তিনি ময়ূরের বেশ ধারণ করেছিলেন।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

যে গাছ ইহুদিদের আশ্রয় দেবে অর্থাৎ ইহুদিদের বন্ধু গাছ

রক্তপাতহীন মক্কা বিজয়ের দিন আজ

খন্দক যুদ্ধ কারণ ও ফলাফল