করোনায় কী বোধোদয় হবে ?
অথচ মাস খানেক আগেও এসব ভিআইপি সিআইপি হাঁচি-কাশি,জ্বর-ঠান্ডা হলেই এয়ার এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে সিঙ্গাপুর চলে যেতেন মেডিক্যাল চেকাপ করতে। আজ একটি আইসিইউ বেড ও অক্সিজেন সাপোর্টের অভাবে মারা যেতে হচ্ছে।করোনায় আক্রান্ত হলেও অনেকেই সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না। বিশেষ করে সঙ্কটাপন্ন রোগীদের জন্য আইসিইউ ও ভেন্টিলেটরের যোগান দেওয়া কঠিন হয়ে উঠেছে। অপরদিকে গরীব মানুষের জন্য করোনার চিকিৎসা রীতিমতো দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে।দেশে স্বাস্থ্য খাতে সীমাহীন দুর্নীতির কারণে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা অবকাঠামো গড়ে ওঠেনি। ফলে এ ধরণের মহামারি পরিস্থিতি সামাল দিতে চরম বেগ পেতে হচ্ছে। আর শিল্পপতিরাও হাজার হাজার কোটি টাকা আয় করলেও দেশের চিকিৎসা খাতের জন্য তারা তেমন কিছুই করেনি।কোটিপতিরা এতদিন অসুস্থ হলেই বিদেশে ছুটে গেছেন। অথচ তারা মুনাফার কিছু অংশ দেশের স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ করলে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার চিত্র পাল্টে যেত। তাদের নিজেদেরকেও এমন করুন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হতো না।
বোধোদয় কবিতা-
গরীবের বুকের পাঁজর দিয়ে তৈরি হয় লোভীর প্রাসাদ, আকাশ চুম্বি লোভ লালসা।।
চাপা পড়ে থাকে অধিকার।
একসময়, লোভের পতন হয়, প্রাসাদ ধ্বংস হয়, সেই পাঁজরেই সব দম্ভ ধসে পড়ে।
ভাঙ্গা প্রাসাদে মানুষ চাপা পড়ে না, পড়ে আমাদের বিবেক, মনুষ্যত্ব।।
মৃত্যু হয় গরীবের, এ যেন মুক্তি। মুক্তি সব অন্যায়,অবিচার, জুলুমের।
তারা একে একে মুক্ত হয়ে চলে যায়, আর আমাদের বেঁধে রাখে বিবেকের কাঠগড়ায়।
গ্রন্থনায়-মো.আবু রায়হান
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন