বাংলাদেশের প্রথম মসজিদ “হারানো মসজিদ”


হারানো মসজিদের নতুন অবকাঠামো (The Daily Star)

আমরা এতোদিন জেনে এসেছি বাংলাদেশের প্রাচীনতম মসজিদ নওগাঁর কুসুম্বা।যেমন ঢাকার প্রাচীন মসজিদ পুরান ঢাকার বিনত বিবির মসজিদ। কিন্ত ইতিহাস গবেষণায় প্রতিনিয়ত বাঁক বদলায়।উপরের দ্বিতীয় তথ্য এখন পর্যন্ত ঠিক থাকলেও প্রথম তথ্যটি নিয়ে নতুন করে আলোচনা হচ্ছে । বাংলাদেশে সুফি সাধক,বনিক ও ১২০৪ সালে ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন খিলজীর বিজয়ের মাধ্যমে বাংলায় ইসলামের আগমন ঘটে।ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন খিলজীর আগে বাংলাদেশে ইসলাম আগমনের সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য পথ হচ্ছে চট্টগ্রামের নৌবাণিজ্য পথটি।এপথ দিয়েই আগমন ঘটেছিল অষ্টম থেকে দশম শতকের সুফি ধর্মপ্রচারকদের। চট্টগ্রামে বায়েজিদ বোস্তামি (মৃত্যু ৮৭৪ খ্রিস্টাব্দ), বগুড়ার মহাস্থানগড়ে সুলতান মাহি সওয়ার (আগমনকাল ১০৪৭ খ্রিস্টাব্দ) এবং নেত্রকোনায় মুহাম্মদ সুলতান রুমি (আগমনকাল ১০৫৩ খ্রিস্টাব্দ) প্রমুখও এই পথেই বাংলাদেশে এসেছিলেন।আরব বণিকদের এ পথে যাতায়াত ও ভিনদেশি সুফিদের আগমনের ফলে এই বিশাল বাংলার চট্টগ্রামে প্রথম মুসলিম সভ্যতা গড়ে ওঠার যে ইতিহাস আমরা জানি সেটাকে নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করেছে। নতুন তথ্য প্রমাণে এর অনেক আগেই এদেশে ইসলাম প্রচারিত হয়। ১২০৪ খ্রিষ্টাব্দে ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন খিলজীর বাংলা বিজয়ের প্রায় ৬০০ বছর আগেই সাহাবিদের দ্বারা বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মের আবির্ভাব হয়। বিভিন্ন গবেষণা ও প্রাপ্ত শিলালিপি এমন দাবিই জোরালো করেছে। এতে আরও দেখা যায় ৬৯ হিজরি ৬৯০ খ্রিষ্টাব্দে দেশের প্রথম মসজিদটিও নির্মিত হয় লালমনিরহাট জেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের মজেদের আড়া নামক গ্রামে। সুপ্রাচীন এই মসজিদটি রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের ১ কিলোমিটার দক্ষিণে লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় অবস্থিত। এই মসজিদটিকে বাংলাদেশের তথা দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে পুরনো মসজিদ বলে ধারণা করা হচ্ছে।


হারানো মসজিদ আবিষ্কারের ইতিকথা-
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা লালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস গ্রামের একটি আড়ার মাঝে এই হারানো মসজিদটি আবিষ্কৃত হয়।আড়াটি স্থানীয় লোকদের কাছে পরিচিত ছিলো মোস্তের আড়া বা মজদের আড়া নামে। স্থানীয় লোকজন হিংস্র জীবজন্তু, সাপ-বিচ্ছু ইত্যাদির ভয়ে অনেকদিন ধরে পতিত এই আড়াটির ভিতরে প্রবেশ করে না। এখানে মসজিদ, মন্দির বা অন্য কিছু আছে কিনা কেউ কিছুই অনুমান করতে পারেনি। ১৯৮৩-৮৪ সালে স্থানীয়রা আড়াটি চাষাবাদের জন্য পরিষ্কার করার উদ্যোগ নেয়। ঝোপঝাড় পরিষ্কার করতে গিয়ে তারা দেখে জায়গাটি সমতল জমি থেকে উঁচু এবং সেখানে রয়েছে প্রায় সাত-আটটির মতো মাটির উঁচু টিলা।জায়গাটি সমতল করার জন্য খোঁড়া শুরু হলে সেখনে প্রাচীনকালের তৈরি প্রচুর ইট পাওয়া যেতে থাকে। ইটগুলোর গায়ে ছিলো ফুল আঁকানো। স্থানীয় লোকজন তখন ধারণা করেছেন, পুরনো কোনো জমিদার বা রাজার বাড়ি হয়তো এখানে ছিল। এ কারণে তারা এ নিয়ে কোনো রকম বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি। যে যার মতো পেরেছে ভাঙা ইটের টুকরো নিয়ে নিজেদের বাড়িঘরের কাজে লাগিয়েছে। তবে একদিনের ঘটনায় পাল্টে যায় পুরো প্রেক্ষাপট। দিনটি ছিলো ১৯৮৬ সালের ১০ই মহররম। সেদিন গ্রামের আইয়ুব আলী নামের এক ব্যক্তি অন্য অনেকের মতো ইটের স্তুপ থেকে ইট কুড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে দেখেন ইটের উপর কিছু একটা লেখা। লেখা স্পষ্ট দেখার জন্য টিউবওয়েলের পানিতে ভালোমতো ধুয়ে নেন। ইট থেকে ময়লা পরিষ্কার হওয়ার পর দেখতে পান ঐ ইটটি একটি প্রাচীন শিলালিপি। ওপরে স্পষ্টাক্ষরে লেখা, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ হিজরি সন ৬৯।এরপর স্থানীয় লোকদের মনে অকাট্য বিশ্বাস জন্মে, এটা কোনো হারানো মসজিদের ধ্বংসাবশেষ। দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে পূর্বের চেয়ে আরো সতর্ক ও যত্নবান হয়ে মসজিদটির উদ্ধার কাজ চালিয়ে মসজিদের মেহরাব, মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ, খুৎবা দেয়ার মিম্বার আবিষ্কার করেন। তারপর থেকে সেখানকার লোকজন মসজিদের আঙিনায় টিন দিয়ে সাদামাটা একটি মসজিদ নির্মাণ করে নামাজ আদায় করে আসছেন। স্থানীয়রা মসজিদটির নাম দিয়েছেন ‘হারানো মসজিদ’।গ্রামের বর্তমানের বাসিন্দাদের পূর্বপুরুষরা ২০০ বছর আগে এখানে বসতি শুরু করেছিলেন। একসময় এই পতিত জায়গাটির মালিক ছিলো পচা দালাল’ নামের এক ব্যক্তি। আনুমানিক ১৯৪৯ সালে ইয়াকুব আলী নামের এক ব্যক্তি তার কাছ থেকে এই জায়গাটি কিনে নিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে উত্তরাধিকারসূত্রে জায়গাটির মালিক হন নবাব আলী এবং তার মালিকানাধীন অবস্থায়ই মসজিদটি আবিষ্কৃত হয়েছে। পরে তিনি জায়গাটি হারানো মসজিদ কমপ্লেক্সের নামে দিয়ে দেন।
নতুন মসজিদ

জাতীয় অধ্যাপক মরহুম দেওয়ান মুহাম্মদ আজরফের মতে, হযরত ওমর (রা.) এর শাসনামলে মামুন, মুহাইমেন (রা.) নামক সাহাবিদ্বয় বাংলাদেশে আগমন করেন।বিশিষ্ট সাহাবি আবু ওয়াক্কাস (রা.) ৬২৬ খ্রি. ইসলাম প্রচারের জন্য চীন যাওয়ার পথে কিছুকাল রংপুর এলাকায় অবস্থান করে ইসলাম প্রচার করেন, বিষয়টি ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বিষয়টির পক্ষে জোড়ালো প্রমাণ উপস্থান করা যায়। উত্তরবঙ্গের বৃহত্তম রংপুরের ৪৮ কিমি দূরে লালমনিরহাট জেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের বড়বাড়িতে রামদাস মৌজার মসতার পাড় নামক স্থানে এক অভূতপূর্ব গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক নিদর্শন পাওয়া গেছে, যা ৬৯ হিজরিতে (আনুমানিক ৬৯০ খ্রি.) নির্মিত একটি মসজিদ। এই মসতার পাড় স্থানটি বহুকাল ধরে ৭/৮টি উঁচু মাটির টিলা ও জঙ্গল দ্বারা আবৃত ছিল। যার স্থানীয় নাম ‘মজদের আড়া’। স্থানীয় ভাষায় ‘আড়া’ অর্থ জঙ্গলময় স্থান। এতোদিন কেউ হিংস্র জীবজন্তু, সাপ-বিচ্ছুর ভয়ে ভেতরে প্রবেশ করার সাহস পেত না। ১৯৮৭ সালে জমির মালিক তা আবাদযোগ্য করার চিন্তা করে জঙ্গল পরিষ্কার করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে প্রাচীনকালের তৈরি ইট, যাতে আঁকা ছিল ফুল। আর মাটি ও ইট সরাতে সরাতে আশ্চর্যজনকভাবে পূর্ণ একটি মসজিদের ভিত খুঁজে পাওয়া গেল।মতিউর রহমান বসুনিয়া রচিত ‘রংপুরে দ্বীনি দাওয়াত’ গ্রন্থেও এই মসজিদের বিশদ বিবরণ আছে।রংপুর জেলার ইতিহাস গ্রন্থ থেকে জানা যায়, রাসুল (সা.)-এর মামা, মা আমেনার চাচাতো ভাই আবু ওয়াক্কাস (রা.) ৬২০ থেকে ৬২৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাদেশে ইসলাম প্রচার করেন (পৃ. ১২৬)। ধারণা করা হয় চীনে যাওয়ার সময় নৌ রুটে তিনি চট্টগ্রাম বন্দরে থেমেছেন এরং বাংলাকে ইসলামের সাথে পরিচয় করানোয় তার অবদান আছে। ধারণা করা হয়, ৬৪৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি বাংলাদেশের লালমনিরহাটের পঞ্চগ্রামের মসজিদটি একটি মসজিদ নির্মাণ করেন, যা স্থানীয়ভাবে আবু ওয়াক্কাস মসজিদ নামে পরিচিত। অনেকে অনুমান করেন, পঞ্চগ্রামের মসজিদটিও তিনি নির্মাণ করেন যা ৬৯০ খ্রিষ্টাব্দে সংস্কার করা হয়।
ধ্বংস-অবশেষ

দেশের প্রথম ও প্রাচীন এই মসজিদটি উত্তর-দক্ষিণে ২১ ফুট ও প্রস্থ ১০ ফুট। মসজিদের ভিতরে রয়েছে একটি কাতারের জন্য ৪ ফুট প্রস্থ জায়গা। মসজিদের চার কোণে রয়েছে অষ্টকোণ বিশিষ্ট স্তম্ভ। ধ্বংসাবশেষ থেকে মসজিদের চূড়া ও গম্বুজ পাওয়া গেছে। মসজিদের ধ্বংসস্তূপের ভিতরে ৬’’×৬’’×২’’ আকারের একটি শিলালিপি পাওয়া যায়।যার মধ্যে স্পষ্টাক্ষারে আরবিতে লেখা আছে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ, হিজরি ৬৯ সাল। শিলালিপিটি এখন আছে তাজহাট জমিদারবাড়ি জাদুঘরে।খননকাজে বিস্ময় বাড়তে থাকে। আরও খননের পর মসজিদের মেহরাব এবং মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠ ও ইমাম সাহেব যে স্থানে খুৎবা পাঠ করতেন, তাও আবিষ্কৃত হয়। তখন থেকেই এলাকার লোকজন এ স্থানে টিন দিয়ে একটি সাধারণ ছোটোখাট মসজিদ তৈরি করে নামাজ পড়ে থাকেন। তারা মসজিদটির নাম দিয়েছেন হারানো মসজিদ। তাই এটা বলা যেতে পারে, আরব থেকে আগত মুসলমান যারা ৬৯ হিজরিতে এ এলাকায় বসবাস করেছিলেন এবং নিজেদের ধর্মীয় প্রয়োজনে মসজিদও তৈরি করে ছিলেন। সেই থেকেই বাংলাদেশে ইসলামের প্রচারের কাজ আরম্ভ হয়। তাহলে আমরা বলতে পারি যে দেশের সর্বপ্রথম মসজিদ হলো আবি ওয়াক্কাস (রা) মসজিদ যা লালমনিরহাটের পঞ্চগ্রামে অবস্থিত এবং এটি নির্মাণ করেন বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবি ওয়াক্কাস (রা)। রাসুল (সাঃ) যে দশজন সাহাবিকে বেহেস্তী বলে ঘোষণা করেছিলেন তার মধ্যে একজন ছিলেন আবি ওয়াক্কাস (রা)।

প্রাচীন ইটের স্তুপ


শৌখিন ব্রিটিশ প্রত্নতাত্ত্বিক টিম স্টিল তখন বাংলাদেশের টাইগার ট্যুরিজম নামের একটি পর্যটন উন্নয়ন বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা হিসাবে কর্তব্যরত ছিলেন। তিনি মসজিদটির আবিষ্কারের কথা শুনে লালমনিরহাট ছুটে গেলেন। বাংলাদেশ ও উপমহাদেশের প্রাচীন ইতিহাস তন্ন তন্ন করে খুঁজতে শুরু করলেন। ৬৯১ খ্রিস্টাব্দে কে বা কেন লালমনিরহাটে এই মসজিদটি নির্মাণ করল তা খুঁজতে নেমে গেলেন তিনি। সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদটি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের রামদাস গ্রামটিতে অবস্থান করছে তা প্রমাণ করতে টিম স্টিল সহায়তা নেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্নতাত্ত্বিকদের সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান ‘আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব আর্কিওলজিস্ট এর।সেখানকার ইসলামের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন নিয়ে গবেষকরা জানান- “মসজিদটি সেই সময়ের নির্মিত মসজিদ হতে কোনো অসুবিধা নেই।

শিলালিপি

১৯৯৩ সালে রংপুুরের টাউন হলে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়, যার বিষয়বস্তু ছিল ‘হিজরি প্রথম শতাব্দীতে ইসলাম ও বাংলাদেশ’। এতে সভাপতিত্ব করেন কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল কুদ্দুস বিশ্বাস। সেদিন প্রবন্ধকার ও সব আলোচক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে প্রমাণ করতে সক্ষম হন যে, ৬৯ হিজরি অর্থাৎ ৬৯০ খ্রিস্টাব্দে সাহাবায়ে কেরামগণ কর্তৃক এই হারানো মসজিদ নির্মাণ করা মোটেই অসম্ভব নয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান কর্তৃক আবিষ্কৃত নরসংদী থেকে কিশোরগঞ্জ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে প্রাচীন নগর সভ্যতা অর্থাৎ উয়ারি-বটেশ্বর সভ্যতা, প্রত্নতাত্ত্বিক অধ্যাপক শাহনেওয়াজ কর্তৃক আবিষ্কৃত পঞ্চগড়ের ভিটাগড়ে প্রাচীন নগরের নিদর্শন এবং সর্বোপরি, বগুড়ার মহাস্থানগড় বা নওগাঁর প্রাচীন মসজিদ নিয়ে গবেষণায় যে নিদর্শন পাওয়া গেছে তাতে এটা ধীরে ধীরে পরিষ্কার হয়ে উঠে এসেছে যে, দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতা বাংলাদেশের ভূখণ্ডে গড়ে উঠেছিল। মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা) ইন্তেকালের পঞ্চাশ বছরের মধ্যেই এই ভূখণ্ডে মুসলিম সভ্যতা গড়ে উঠেছিলো।এই ভূখণ্ডে মুসলমানদের আগমনের প্রারম্ভিক ইতিহাসের এ যেন রাজসাক্ষী। বিশেষজ্ঞদের আগের সমস্ত মতামতকে তুড়ি দিয়ে উড়িয়ে নতুনভাবে এই মসজিদটি প্রমাণ করলো এ ভূখণ্ডে মুসলিমদের আগমন আজকালকার ঘটনা নয়। অন্তত সাড়ে তেরশ বছর আগের। ৬৯ হিজরি সনে নির্মিত এই মসজিদটির অনতি দূরে তিস্তা নদীর অবস্থান। প্রাচীন মেসোপটেমীয় সভ্যতার দজলা ও ফোরাতের মতো ব্রহ্মপুত্র-তিস্তা অববাহিকাকে পৃথিবীর প্রাচীনতম অববাহিকাগুলোর একটি গণ্য করা হয়। কাজেই এই অববাহিকায় অদূরেই ৬৯ হিজরি তথা ৬৯০ খ্রিস্টাব্দে একটি মসজিদ নির্মাণের ঘটনা অস্বাভাবিক কিছু নয়।

গ্রন্থনায় -মো. আবু রায়হান

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

যে গাছ ইহুদিদের আশ্রয় দেবে অর্থাৎ ইহুদিদের বন্ধু গাছ

রক্তপাতহীন মক্কা বিজয়ের দিন আজ

খন্দক যুদ্ধ কারণ ও ফলাফল