সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ছাত্র রাজনীতি নয়, অপরাধী সংগঠন নিষিদ্ধ করুন

বর্তমানে ছাত্র রাজনীতির গৌরবোজ্জ্বল অতীত মুখরোচক গল্পে পরিণত হয়েছে। বুয়েটে শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে হত্যা করার পর কলুষিত ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা, না করা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। যদিও বুয়েটে ইতোমধ্যে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা কোন দূরদর্শী সিদ্ধান্ত হতে পারে না। কেননা যেসব কারণে ছাত্র রাজনীতি বিতর্কিত ও সমালোচনার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে সেসব বিষয় মূলোপাটনে ভূমিকা নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। দুচারজন বড় ভাই, সহমত ভাই আর বখে যাওয়া নেতা কর্মীর কারণে গোটা ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা সমীচীন হবে না। মনে রাখতে হবে ছাত্র রাজনীতি হচ্ছে জাতির ওয়াচডগ। জাতির দুর্দিনে ছাত্ররা হয়েছে জাতির কান্ডারি। আজ ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করলে কার লাভ? প্রথমত ক্ষমতাসীনদের জন্য পোয়াবারো। কেননা ছাত্র সমাজ যেকোনো সরকারের অপকর্মের জবাবে বেশি সোচ্চার থাকে এবং এমনই হবার কথা।সেক্ষেত্রে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে পারলে তাদের ক্ষমতা আরো পাকাপোক্ত ও স্থায়ী হবে। এছাড়া লেজুড়বৃত্তির কারণ ক্ষমতাসীন সরকারের ছাত্র সংগঠন তাদের সোপান হিসেবে তো ব্যবহৃত হয়েই থাকে। কিন্তু ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করলে ক্ষমতাসীনরাই বেশি লাভবান হবে এই সুযোগে তারা আরো বেশি অপ্রতিরোধ্য ও স্বৈরাচারী হবার সুযোগ পাবে। তাদের বিরুদ্ধে রাজপথে কোনো ছাত্র সংগঠন থাকবে না, ফলে তাদের জন্য খালি মাঠে গোল দেওয়া ও জনস্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজতর হবে । সামরিক শাসকেরা ছাত্র রাজনীতিকে প্রতিপক্ষ ভেবে তা নিষিদ্ধের পদক্ষেপ নেয়।কেননা তাদের ভয়ের বিষয় শিক্ষার্থীদের বাধ ভাঙা প্রতিরোধ ও প্রতিবাদ।  দ্বিতীয়ত :বর্তমানের ছাত্র রাজনীতি থেকে গড়ে উঠে ভবিষ্যতের দেশের নেতৃত্ব। নেতৃত্ব  তৈরীর এ পাইপ লাইন বন্ধ হলে জাতীয় রাজনীতিতে নেতৃত্বের শূন্যতা তৈরি হবে। তৃতীয়ত : ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হলে প্রতিক্রিয়াশীল, জঙ্গী, মৌলবাদীরা তাদের গোপন তৎপরতা চালাবে বলে অনেকের অভিমত। যদিও ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হলে এমন সুযোগ তৈরি হবার সম্ভাবনা ক্ষীণ। আজকে একটা বিষয় মাথায় কিছুতেই ঢুকছে না। সমস্যা অসৎ দুরাচার ও সন্ত্রাসী ছাত্র নেতৃত্ব সুতরাং  তাদের জন্য ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হবে কেন? হাতে গোনা এসব গুন্ডা কথিত ছাত্র নেতাদের  বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে পরিশীলিত রাজনীতি চর্চার সুযোগ করে দিতে পারেন। ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ  মানে মাথা ব্যথার জন্য দেহ থেকে মাথা কেটে, মাথার আলাদা  চিকিৎসা করার মতো ঘটনা। যা কোনো ফলদায়ক কিছু বহন করে না। মাথা যেমন দেহের সঙ্গে রেখেই চিকিৎসা করতে হয়। তেমনি ছাত্র রাজনীতি পরিশুদ্ধ করে তা টিকে রাখতে হবে। দুচারজনের বিতর্কিত ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হবে বাজে ও অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত।স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘাত সংঘর্ষে এ পর্যন্ত খুন হয়েছে ১৫১ জন শিক্ষার্থী।অথচ একটি খুনের বিচারও আলোর মুখ দেখেনি। এখন আমরা আবরার হত্যার বিচার চাচ্ছি। বিচার চাইতেই পারি কিন্তু ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার আমাদের নেই। যদি একটি খুনের বিচার কার্যক্রমে অপরাধীকে শাস্তি দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারতো তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এতোগুলো তরতাজা প্রাণ অকালে ঝরে যেত না।বাবা মার বুক খালি হতো না। ছাত্র রাজনীতি এতোটা কলুষিত হতো না। আজ ছাত্র রাজনীতি বন্ধের কেউ হুংকার দিতো পারতো না। আমাদের অবস্থা হয়েছে শেয়ালের লেজ কাটার কাহিনীর মতো। একটি শিয়াল ধৃত হয়ে লেজ কর্তনের শিকার হয়। সেই লেজ হারানো শেয়াল মিটিং করে সব শেয়ালের লেজ কাটার বয়ান দেয়। শুধু তাই নয় সঙ্গে লেজ রাখার কুফলও তাদের শুনিয়ে দেয়। লেজ যে কত ঝামেলার তা বুঝিয়ে দেয়। আমাদের ছাত্র রাজনীতির অবস্থাটা হয়েছে এমন। বর্তমানে একদিনে ছাত্র রাজনীতি এতোটা নোংরা ও কদর্য হয়নি। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলো কম দায়ী নয়। ছাত্র রাজনীতিকে পেশিশক্তি ও ক্ষমতা আরোহণের সিঁড়ি ও ক্ষমতায় টিকে থাকার খুঁটি হিসেবে ব্যবহার করেছে বিভিন্ন সরকার। বর্তমান ছাত্র রাজনীতির এ বীভৎস চেহারার জন্য এটি একমাত্র অন্যতম কারণ। আজ যেখানে ছিদ্র বা ফোঁটা সেখানে বন্ধ না করে আমরা অন্যত্র  ছিদ্র বন্ধ করা নিয়ে খুব বেশি পেরেশান।ছাত্রদের স্বাধীনভাবে ছাত্র রাজনীতি করার সুযোগ দিতে হবে। কোনো রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের শক্তি নয় বরং ছাত্ররা সাধারণ শিক্ষার্থী ও দেশের স্বার্থে থাকবে সর্বদা সোচ্চার।কিন্তু তা হচ্ছে কোথায়? ১৯৬৮-১৯৭১ সময়কাল ছাত্র রাজনীতির ছিল সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও গৌরবোজ্জ্বল যুগ। এরপর ঘটলো ১৯৬৬ সালে ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসের যুগান্তকারী ঘটনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৬ দফা কর্মসূচি এবং পরবর্তীকালে তাঁর বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের হলে ছয়দফা সমর্থন ও শেখ মুজিবের মুক্তির দাবিতে ছাত্রদের মধ্যে এক নজিরহীন ঐক্য গড়ে ওঠে। এ লক্ষ্যে ১৯৬৯ সালে সকল ছাত্রসংগঠন সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে এবং ১১-দফা দাবি উপস্থাপন করে।১৯৬৯ সালের শুরুর দিকে যে গণঅভ্যুত্থান আইয়ুব খানকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার ও শেখ মুজিবকে মুক্তিদানে বাধ্য করে, তা ছিল সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আন্দোলনর ফসল। শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিলাভের পর এক জনসমাবেশে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ প্রদত্ত বঙ্গবন্ধু উপাধি গ্রহণের মাধ্যমে ছাত্রদের তৎকালীন প্রভাবকে স্বীকৃতি দেন।১৯৭১ সালের ১ মার্চের পরে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বাংলাদেশ জাতিসত্তার ধারণাগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অগ্রসর হয়। ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাবিতে  বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে। পরেরদিন ৩ মার্চ পল্টন ময়দানে এক জনসভায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও শেখ মুজিবকে জাতির পিতা ঘোষণা করে। সেই সভায় আমার সোনার বাংলা জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গৃহীত হয়। তারপরই শুরু হয় ছাত্র সমাজের জাতীয় মুক্তিসংগ্রামে জনগণকে সংগঠিত করার এক উদ্যোগ।যে ছাত্র সমাজের নেতৃত্বে একটি দেশের স্বাধীনতা অর্জন হলো সেই ছাত্র রাজনীতি আজ নিষিদ্ধ ঘোষণার কথা শুনতে হচ্ছে।
ছাত্ররাজনীতির সেই সোনালী অধ্যায় এখন শুধুই ইতিহাসের অংশ। ৯০ এর দশক থেকে মূলত ছাত্ররাজনীতির পচন ধরতে শুরু করেছে এবং সে পচন এখন ক্যান্সারের রূপ ধারণ করেছে। যে ছাত্ররা ’৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ এবং ’৯০ এর স্বৈরশাসককে গদিচ্যুত করতে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেছিল সেই ছাত্রদের উত্তরসূরীরা আজ চাপাতি হকিস্টিক, রামদা অাধুনিক অস্ত্র নিয়ে একদল আরেক দলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে। জখম খুন পর্যন্ত করছে। বড়ই লজ্জার বিষয়।আজ ছাত্রলীগের অপকর্মের জন্য ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার আওয়াজ যৌক্তিক কোনো দাবি হতে পারে না। বরং যে সংগঠন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করবে সেই সংগঠন নিষিদ্ধ করতে হবে,  হোক না সেটি ছাত্রলীগ, ছাত্রদল বা অন্যান্য সংগঠন। ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ কেউ মেনে নেবে না। এখনো সময় আছে শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে ছাত্র রাজনীতির পুরনো সেই গৌরব ও ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

যে গাছ ইহুদিদের আশ্রয় দেবে অর্থাৎ ইহুদিদের বন্ধু গাছ

মো.আবু রায়হান:  কিয়ামত সংঘটিত হবার  পূর্বে হযরত ঈসা (আ.) এর সঙ্গে দাজ্জালের জেরুজালেমে যুদ্ধ হবে। সেই যুদ্ধে ইহুদিরা দাজ্জালের পক্ষাবলম্বন করবে। হযরত ঈসা (আ.) দাজ্জালকে হত্যা করবেন।এদিকে  ইহুদিরা প্রাণ ভয়ে পালাতে চেষ্টা করবে।  আশেপাশের গাছ ও পাথর/ দেয়ালে আশ্রয় নেবে। সেদিন গারকাদ নামক একটি গাছ ইহুদিদের আশ্রয় দেবে। গারকাদ ইহুদীবান্ধব গাছ।গারকাদ একটি আরবি শব্দ। এর অর্থ হল কাটাওয়ালা ঝোঁপ।গারকাদ এর ইংরেজী প্রতিশব্দ Boxthorn। Boxএর অর্থ সবুজ ঝোঁপ এবং thorn এর অর্থ কাঁটা। এ ধরনের গাছ বক্সথর্ন হিসেবেই পরিচিত। এই গাছ চেরি গাছের মতো এবং চেরি ফলের মতো লাল ফলে গাছটি শোভিত থাকে।  ইসরায়েলের সর্বত্র বিশেষত অধিকৃত গাজা ভূখন্ডে গারকাদ গাছ ব্যাপকহারে  দেখতে পাওয়া যায়।ইহুদিরা কোথাও পালাবার স্থান পাবে না। গাছের আড়ালে পালানোর চেষ্টা করলে গাছ বলবে, হে মুসলিম! আসো, আমার পিছনে একজন ইহুদী লুকিয়ে আছে। আসো এবং তাকে হত্যা কর। পাথর বা দেয়ালের পিছনে পলায়ন করলে পাথর বা দেয়াল বলবে, হে মুসলিম! আমার পিছনে একজন ইহুদী লুকিয়ে আছে, আসো! তাকে হত্যা কর। তবে গারকাদ নামক গাছ ইহুদিদেরকে ...

খন্দক যুদ্ধ কারণ ও ফলাফল

#মো. আবু রায়হান ইসলামের যুদ্ধগুলোর মধ্যে খন্দকের যুদ্ধ অন্যতম। ৫ হিজরির শাওয়াল মাসে খন্দকের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। নবীজি (সা.) মদিনায় আসার আগে সেখানে বড় দুটি ইহুদি সম্প্রদায় বসবাস করত। বনু নাজির ও বনু কোরায়জা। ইহুদিদের প্ররোচনায় কুরাইশ ও অন্যান্য গোত্র মদিনার মুসলমানদের সঙ্গে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করে। খন্দকের এই যুদ্ধ ছিল মদিনার ওপরে গোটা আরব সম্প্রদায়ের এক সর্বব্যাপী হামলা এবং কষ্টকর অবরোধের এক দুঃসহ অভিজ্ঞতা। এসময় ২৭দিন ধরে আরব ও ইহুদি গোত্রগুলি মদিনা অবরোধ করে রাখে। পারস্য থেকে আগত সাহাবি সালমান ফারসির পরামর্শে হযরত মুহাম্মদ (স:) মদিনার চারপাশে পরিখা খননের নির্দেশ দেন। প্রাকৃতিকভাবে মদিনাতে যে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিল তার সাথে এই ব্যবস্থা যুক্ত হয়ে আক্রমণ কারীদেরকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে। জোটবাহিনী মুসলিমদের মিত্র মদিনার ইহুদি বনু কোরায়জা গোত্রকে নিজেদের পক্ষে আনে যাতে তারা দক্ষিণ দিক থেকে শহর আক্রমণ করে। কিন্তু মুসলিমদের তৎপরতার ফলে তাদের জোট ভেঙে যায়। মুসলিমদের সুসংগঠিত অবস্থা, জোটবাহিনীর আত্মবিশ্বাস হ্রাস ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে শেষপর্যন্ত আক্রমণ ব্যর্থ হয়।এই যুদ্ধে জয়ের ফলে ইসল...

উটের যুদ্ধ ইসলামের প্রথম ভাতৃঘাতি যুদ্ধ

#মো.আবু রায়হান উটের যুদ্ধ বা উষ্ট্রের যুদ্ধ বা জামালের যুদ্ধ ( Battle of the Camel) ৬৫৬ খ্রিষ্টাব্দের শেষের দিকে ইরাকের বসরায় সংঘটিত হয়। এটি ইসলামের ইতিহাসের প্রথম গৃহযুদ্ধ।এই যুদ্ধ ছিল ইসলামের চতুর্থ খলিফা হযরত আলী এর বিরুদ্ধে হযরত তালহা-জুবায়ের ও আয়েশা (রা)সম্মলিত যুদ্ধ। পটভূমি হযরত ওসমান (রা) এর বিভিন্ন প্রদেশে প্রাদেশিক শাসনকর্তা নিয়োগ নিয়ে একদল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ টেনে বিদ্রোহ শুরু করে।হযরত ওসমান বিভিন্নভাবে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করতে থাকেন। তাদের কথামত মিশরের গভর্নরকে প্রতিস্থাপন করে আবু বকরের ছেলে মুহাম্মদ ইবনে আবু বকর কে নিয়োগ করলেও বিদ্রোহীরা শান্ত হয় নি। তারা নানাভাবে অভিযোগ টেনে এনে ওসমান (রা) এর অপসারণের দাবী করতে থাকে। ওসমান সবকিছু মীমাংসার আশ্বাস দিলেও তারা ৬৫৬ সালের ১৭ জুন তারা বাড়ি অবরুদ্ধ করে এবং এক পর্যায়ে তারা তার কক্ষে প্রবেশ করে কুরআন তেলাওয়াত করা অবস্থায় হত্যা করে।ওসমান (রা.)-এর হত্যাকাণ্ডের পর আলী (রা.) খলিফা হন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করে যখনই আলী (রা.) ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কাজে হাত দেন তখনই ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতার অভাবের কার...