সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ইতিহাসের শিক্ষা ও সমকামিতা


মো.আবু রায়হান : ইতিহাসের চরম রূঢ় বাস্তবতা হলো ইতিহাস থেকে আমরা কেউ শিক্ষা নেই না। যদি শিক্ষা নিতে পারতাম তাহলে পৃথিবীর রূপ এতো বীভৎস ও কদর্যতা হতো না। হতো না হরহামেশাই মানবাধিকার লংঘনের মতো জঘন্য অপরাধ। সাম্য শান্তিতে ভরে উঠতো বসুন্ধরা। প্রাচীনকালে সমকামিতার মতো জঘন্যতম পাপে ধবংস হয়েছে জনপদ। যে জনপদ এখন ডেডসি বা মৃত সাগর নামে পরিচিত।এ ঘটনা থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারিনি যে কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সমকামিতাকে এখনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট কয়েক বছর আগে সমকামিতাকে বৈধতা দিয়ে ইতিহাসকে দারুণভাবে চপেটাঘাত করেছে। মানবতার সুশৃঙ্খল জীবনকে পাশ্চাত্য বিশ্ব দিনদিন দুর্বিষহ করে তুলছে। স্রষ্টা প্রদত্ত কোনো নিয়ম পদ্ধতি তাদের আকৃষ্ট করছে না। ফলে নিজস্ব ধ্যান ধারণার ও বিকৃত রুচির মনমানসিকতাকে সমাজে ঠাঁই দিয়ে পাপাচার নোংরামিকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে। চারিত্রিক স্খলন, বিকৃত রুচি ও বিকারগ্রস্ত মনমানসিকতা ছাড়া এধরনের অনৈতিক কার্যের অনুমতি কোনো সভ্য জাতি দিতে পারে না। ২০১৯ সালের হিসেব অনুযায়ী, ২৮টি দেশ সমকামি বিয়েকে স্বীকৃতি দিয়েছে, দেশগুলো হল-আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ব্রাজিল, কানাডা, কলম্বিয়া, ডেনমার্ক, ইকুয়েডর, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, মেক্সিকো, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, পর্তুগাল, দক্ষিণ আফ্রিকা, স্পেন, সুইডেন, তাইওয়ান, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং উরুগুয়ে।ইসলামে সমকামিতাকে বড় ধরনের অপরাধ বলা হয়েছে। কিন্তু, তা সত্বেও পাঁচটি মুসলিম দেশ সমকামিতাকে আইনতগত বৈধতা দিয়েছে। দেশগুলো হলো- ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, মালি, জর্ডন, ও আলবানিয়া।এদের মধ্যে তুরস্ক ১৮৫৮ সালেই এর বৈধতা দেয়। অথচ তারা লুত (আ) এর কাওমের ওপর আপতিত আজাবের ঘটনা থেকে শিক্ষা নেয়নি। পৃথিবীর প্রাচীনতম অভিজাত জনপদগুলোর একটি ছিল ইতালির পম্পেই নগরী। ব্যভিচার, সমকামিতা ও পতিতাবৃত্তির কারণে আল্লাহ পম্পে নগরী ধ্বংস করে দেন। এমনকি তারা নিজেরা পশু-পাখির সঙ্গেও যৌন বিকৃতির পিপাসা মেটাত। আল্লাহ সেই জনপদকে ধ্বংস করে দেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি ধ্বংস করেছি কত জনপদ, যার অধিবাসীরা ছিল জালিম (পাপাচারী) এবং তাদের পরে সৃষ্টি করেছি অন্য জাতি।’ (সুরা আম্বিয়া আয়াত - ১১)
আধুনিক সভ্যতার তথাকথিত দাবিদার আজকের আমেরিকা সমকামিতার স্বীকৃতির মাধ্যমে চরম নৈতিক অবক্ষয় ও দেওলিয়াপনার পরিচয় দিয়েছে। ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিবে সমকামীদের সমর্থনে প্রতি বছর বার্ষিক গৌরব মিছিল অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। ইহুদীবাদী ইসরায়েল রাষ্ট্র এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে সমকামীদের প্রতি সবচেয়ে উপযোগী দেশ বলে মনে করা হয়ে থাকে। তেলআবিবকে অনেকে "মধ্যপ্রাচ্যের পুরুষ সমকামীদের রাজধানী" বলেন।বিশ্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশসমূহের সবদেশেই সমকামিতা অবৈধ। অনেক মুসলিম দেশে সমকামীদের মৃত্যুদণ্ডের সাজাও প্রদান করে থাকে যেমন সৌদি আরব,সুদান, ইয়েমেন, ইরান, মোরিতানিয়া ও উত্তর নাইজেরিয়া । আধুনিককালে মহিলা সমকামীদের বোঝাতে লেসবিয়ান শব্দটি এবং পুরুষ সমকামীদের ক্ষেত্রে গে শব্দটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যদিও বর্তমানে গে শব্দটি মহিলা ও পুরুষ উভয়কে বোঝাতেও ব্যবহৃত হয়। সমকামিতা বলতে একই লিঙের পুরুষ বা নারীর সঙ্গে যৌনাচারকে বুঝায়। সমকামিতাকে ইংরেজিতে homosexuality বলা হয়।
আজকে যারা সমকামিতায় লিপ্ত তাদের জন্য অতীতে সমকামিদের শাস্তি ও পাপাচারের দৃষ্টান্ত যথেষ্ট। হয়তো তারা অতীতে সমকামিতার পাপাচারে ধবংস হওয়া হযরত লুত ( আ.) এর কাওমের মানুষের ইতিহাস বিস্মৃত হয়েছে। যে কারণে তারা এখনো সমকামিতার মতো জঘন্য পাপাচারের স্বীকৃতি দিয়ে রেখেছে। বর্তমান লেবানন, ইসরায়েল, ফিলিস্তিন, মিসর ও জর্ডান ঘেরা ডেড সী বা মৃত সাগর এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। যার অন্য নাম সলট সী, আরবিতে বাহরুল মাইয়াত এবং বাহরে লুতও বলা হয়। বর্তমানে মৃত সাগরের দৈর্ঘ্য ৫০ কিমি. এবং প্রস্থ ১৫ কিমি.। ডেড সি সাগরের পৃষ্ঠ থেকে ৪২০ মিটার (১,৩৭৮ ফিট) নিচে। এটি পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের সবচেয়ে নীচু স্থান। একে সাগর বলা হলেও এটি মূলত একটি হ্রদ যার সর্বোচ্চ গভীরতা ৩০৪ মিটার।
প্রাচীনকালে মৃত সাগরের স্থানটি একটি সমতল ভুমি ছিল। এ অঞ্চলের নাম সাডম ও গোমারাহ ছিল। এখানে হযরত লুত (আ.) কাওমের লোকেরা বাস করতো। তার কাওমের লোকেরা চুরি, খুন, যৌনাচারে লিপ্ত ছিল। সবচেয়ে বেশি ছিল তারা সমকামিতায় আসক্ত। আল কুরআনের এসেছে, "আমি লুত (আ.) কে প্রেরণ করেছিলাম। যখন তিনি তাঁর সম্প্রদায়কে বললেন, তোমরা চরম অশ্লীলতা ও নির্লজ্জতার কাজ করছো যা তোমাদের পূর্বে সারা বিশ্বে কেউ কখনো করেনি। তোমরা কামপ্রবৃত্তি পূরণ করার জন্য মেয়েদের কাছে না গিয়ে পুরুষদের কাছে যাচ্ছ। প্রকৃতপক্ষে তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী জাতি।” (সূরা আ’রাফ - ৮০-৮১)।তাফসীরকারকদের মতে, হযরত জিবরাইল (আ.), ইস্রাফিল (আ.) ও মিকাইল (আ.) সুদর্শন পুরুষের রূপ ধারণ করে হযরত লুত (আ.) এর বাড়িতে উপস্থিত হন, এবং তাঁর মেহমান হন। লূত(আ.) গোপনে তাদেরকে আশ্রয় দেন, কিন্তু লুত (আ.) এর কাফির স্ত্রী এই খবর পাপাচারী সমকামী সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছে দেয়।আল্লাহ পাক বলেন, “হে লুত (আ.)! আমরা তোমার পালনকর্তার পক্ষ হতে প্রেরিত ফেরেশতা। এরা কখনো তোমার দিকে পৌঁছাতে পারবে না। ব্যস তুমি কিছুটা রাত থাকতে থাকতে নিজের লোকজন নিয়ে বাইরে চলে যাও। আর তোমাদের কেউ যেন পিছনে ফিরে না তাকায়। কিন্তু নিশ্চয় তোমার স্ত্রীর উপরও তা আপতিত হবে, যা ওদের উপর আপতিত হবে। ভোর বেলাই তাদের প্রতিশ্রুতির সময়, ভোর কি খুব নিকটে নয়?”। (সূরা হুদ-১১)
এরপর হযরত জিবরাইল (আ.) হযরত লুত( আ.) এর প্রস্থানের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন।এরমধ্যে জিবরাইলের ডানার হালকা ঝাপটায় জনপদের পাপিরা অন্ধ হয়ে গেল। হযরত লুত (আ.)এলাকা ত্যাগের পর এবার পুরো জনপদকে উল্টো করে সজোরে জমিনে ধসিয়ে দেওয়া হলো। আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রত্যেক পাপীর নাম লেখা কংকর বর্ষণ করা হলো। এরপর আল্লাহ সে জনপদে দূষিত পানির জলাধারা প্রবাহিত করে দেন। সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “অবশেষে আমার (আল্লাহর) আদেশ চলে আসলো, তখন আমি উক্ত জনপদকে ধ্বংস করে দিলাম এবং তাদের উপর স্তরে স্তরে পাথর বর্ষণ করলাম।” (সূরা হুদ- ৮২)।
পৃথিবীর কোনো ধর্মেই সমকামিতার বৈধতা দেওয়া হয়নি। হযরত লুত ( আ.) এর যামানায় সমকামীদের বসবাসের স্থানকে আল্লাহর ফেরেশতারা এসে উল্টে দেন এবং আকাশ হতে মুষল ধারে যে বৃষ্টি বর্ষিত হয়েছিল। ফলে ঐ জনপদ ধবংস হয়ে গভীর জলাভূমির সৃষ্টি করেছিল। হযরত লুত (আ.) এর সময়ে ধবংস প্রাপ্ত সেই নগরীই এখনকার মৃত সাগর বা ডেড সী বলে বিশেষজ্ঞ, আলেম ওলামাদের ধারণা। অভিশপ্ত জাতির পাপাচারের নীরব সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আজকের এ মৃত সাগর। যা সমকামী পাপীদের ধবংসের প্রতীক। এটি সমকামিদের জন্য কঠিন শাস্তির হুঁশিয়ারি ও তাদের সামনে উপস্থাপিত সাক্ষাৎ নমুনা।মৃত সাগরের পানি বিশ্লেষণে দেখা যায় মহাসাগরের পানির তুলনায় মৃত সাগরের পানিতে মিশে থাকা খনিজ উপাদানগুলো বেশি। মৃত সাগরের পানিতে মিশে থাকা লবণে ৫০% ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড, ৩০% সোডিয়াম ক্লোরাইড, ১৪% ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড এবং ৪% পটাশিয়াম ক্লোরাইড রয়েছে। মৃত সাগরের লবণাক্ততা শতকরা ৩০ ভাগ এবং এটি সমুদ্রের পানির চাইতে ৮.৬ গুণ বেশি লবণাক্ত । মৃত সাগরের লবণাক্ততার কারণে মানুষ মৃত সাগরে সহজে ডুবেনা। কোনো মানুষ চাইলেও এর পানিতে প্রবেশ করতে পারবে না। যতই চেষ্টা করবে ডুবে যাওয়ার চেষ্টা করলেও ভেসেই থাকবে।অত্যধিক লবণাক্ততার কারণে প্রাণী বাসে অনুপযোগী পরিবেশে জলজ প্রাণীরা এখানে বসবাস ও জীবনধারণ করতে পারে না। তাই এই সাগরে কোনো প্রাণের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। এমনকি মৃত সাগরে কোনো মাছ নেই। কারণ এই সাগরের পানিতে কোনো মাছ বাস করতে পারে না। তেমনিভাবে মৃত সাগরের পাশে অবস্থিত জর্ডান নদীতেও কোনো মাছ পাওয়া যায় না। এই সাগরের পানিতে কোন উদ্ভিদ বা মাছ বাঁচতে পারে না বলেই মূলত এই জলাভূমিকে মৃত সাগর বলা হয়ে থাকে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সুফফা ইসলামের প্রথম আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

মো.আবু রায়হান:  সুফফা মসজিদে নববির একটি স্থান। যেখানে একদল নিঃস্ব মুহাজির যারা মদিনায় হিজরত করেন এবং বাসস্থানের অভাবে মসজিদে নববির সেই স্থানে থাকতেন।এটি প্রথমদিকে মসজিদ উত্তর-পূর্ব কোণায় ছিল এবং রাসুলের আদেশে এটাকে পাতার ছাউনি দিয়ে ছেয়ে দেয়া হয় তখন থেকে এটি পরিচিতি পায় আল-সুফফা বা আল-জুল্লাহ নামে। ( A Suffah is a room that is covered with palm branches from date trees, which was established next to Al-Masjid al-Nabawi by Islamic prophet Muhammad during the Medina period.)। মোটকথা রাসুল (সা) মসজিদে-নববির চত্ত্বরের এক পাশে আস সুফফা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সুফফা হলো ছাদবিশিষ্ট প্রশস্ত স্থান। সুফফার আকৃতি ছিল অনেকটা মঞ্চের মতো, মূল ভূমির উচ্চতা ছিল প্রায় অর্ধমিটার। প্রাথমিক পর্যায়ে এর দৈর্ঘ্য ছিল ১২ মিটার এবং প্রস্থ ছিল ৮ মিটার। মসজিদে নববির উত্তর-পূর্বাংশে নির্মিত সুফফার দক্ষিণ দিকে ছিল রাসুলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর স্ত্রীদের অবস্থানের হুজরা এবং সংলগ্ন পশ্চিম পাশে ছিল মেহরাব।আসহাবে সুফফা অৰ্থ চত্বরবাসী। ঐ সকল মহৎ প্ৰাণ সাহাবি আসহাবে সুফফা নামে পরিচিত, যারা জ্ঞানার্জনের জন্য ভোগবিলাস ত্যা...

খন্দক যুদ্ধ কারণ ও ফলাফল

#মো. আবু রায়হান ইসলামের যুদ্ধগুলোর মধ্যে খন্দকের যুদ্ধ অন্যতম। ৫ হিজরির শাওয়াল মাসে খন্দকের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। নবীজি (সা.) মদিনায় আসার আগে সেখানে বড় দুটি ইহুদি সম্প্রদায় বসবাস করত। বনু নাজির ও বনু কোরায়জা। ইহুদিদের প্ররোচনায় কুরাইশ ও অন্যান্য গোত্র মদিনার মুসলমানদের সঙ্গে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করে। খন্দকের এই যুদ্ধ ছিল মদিনার ওপরে গোটা আরব সম্প্রদায়ের এক সর্বব্যাপী হামলা এবং কষ্টকর অবরোধের এক দুঃসহ অভিজ্ঞতা। এসময় ২৭দিন ধরে আরব ও ইহুদি গোত্রগুলি মদিনা অবরোধ করে রাখে। পারস্য থেকে আগত সাহাবি সালমান ফারসির পরামর্শে হযরত মুহাম্মদ (স:) মদিনার চারপাশে পরিখা খননের নির্দেশ দেন। প্রাকৃতিকভাবে মদিনাতে যে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিল তার সাথে এই ব্যবস্থা যুক্ত হয়ে আক্রমণ কারীদেরকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে। জোটবাহিনী মুসলিমদের মিত্র মদিনার ইহুদি বনু কোরায়জা গোত্রকে নিজেদের পক্ষে আনে যাতে তারা দক্ষিণ দিক থেকে শহর আক্রমণ করে। কিন্তু মুসলিমদের তৎপরতার ফলে তাদের জোট ভেঙে যায়। মুসলিমদের সুসংগঠিত অবস্থা, জোটবাহিনীর আত্মবিশ্বাস হ্রাস ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে শেষপর্যন্ত আক্রমণ ব্যর্থ হয়।এই যুদ্ধে জয়ের ফলে ইসল...

কাবা ঘর নির্মাণের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

মো. আবু রায়হানঃ কাবা মুসলমানদের কিবলা, অর্থাৎ যে দিকে মুখ করে নামাজ পড়ে বা সালাত আদায় করে, পৃথিবীর যে স্থান থেকে কাবা যে দিকে মুসলমানগণ ঠিক সে দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করেন। হজ্জ এবং উমরা পালনের সময় মুসলমানগণ কাবাকে ঘিরে তাওয়াফ বা প্রদক্ষিণ করেন।কাবা শব্দটি এসেছে আরবি শব্দ মুকাআব অর্থ ঘন থেকে।কাবা একটি বড় ঘন আকৃতির ইমারত। (The Kaaba, meaning cube in Arabic, is a square building elegantly draped in a silk and cotton veil.)।যা সৌদি আরবের মক্কা শহরের মসজিদুল হারাম মসজিদের মধ্যখানে অবস্থিত। প্রকৃতপক্ষে মসজিদটি কাবাকে ঘিরেই তৈরি করা হয়েছে।কাবার ভৌগোলিক অবস্থান ২১.৪২২৪৯৩৫° উত্তর ৩৯.৮২৬২০১৩° পূর্ব।পৃথিবীর সর্বপ্রথম ঘর বায়তুল্লাহ বা পবিত্র কাবা ঘর ।আল্লাহ বলেন, নিশ্চয় সর্বপ্রথম ঘর যা মানুষের জন্য নির্মিত হয়েছে তা মক্কা নগরীতে। (সুরা আল ইমরান - ৯৬)। “প্রথম মাসজিদ বায়তুল্লাহিল হারাম তারপর বাইতুল মাকদিস, আর এ দুয়ের মধ্যে সময়ের ব্যবধান হলো চল্লিশ বছরের”।(মুসলিম- ৫২০)। ভৌগোলিকভাবেই গোলাকার পৃথিবীর মধ্যস্থলে কাবার অবস্থান। ইসলামের রাজধানী হিসেবে কাবা একটি সুপরিচিত নাম। পৃথিবীতে মাটির সৃষ্টি ...