কুরআনের দৃষ্টিতে সাফল্য!
দুনিয়ার জীবনে সাফল্য বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন রকম। কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ-সম্পদ কামানোর নামই কি সফলতা? নাকি নিজের পরিবারের সবার মুখে হাসি ফোটানোতে, অল্পে তুষ্ট থাকতে পারাতেই সফলতা? একেকজনের দৃষ্টিকোণ থেকে সফলতার সংজ্ঞা হতে পারে একেক রকম। কেউ হয়তো অ্যাপলের নতুন আইফোন পকেটে রাখাকে সফলতা মনে করবেন। আবার নিম্ন মধ্যবিত্ত কারও কাছে ওয়ালটন মোবাইলই হতে পারে সফলতা।কারো কাছে সাফল্য মানে ৯ বার পড়ে গিয়ে ১০ম বার উঠে দাঁড়ানো। কিন্তু একজন মুসলিমের জীবনে যে ব্যক্তি নিজের ইচ্ছাকে সঁপে দিয়েছেন মহান আল্লাহর কাছে, তার কাছে সফলতা শুধু দুনিয়াবি চাওয়া-পাওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সীমাবদ্ধ নয় নিজের কিংবা সমাজের দৃষ্টিকোণের সীমিত গন্ডির মধ্যে। এমন ব্যক্তির কাছে সফলতার সংজ্ঞা অনেক বেশি প্রশস্ত। অনেক বেশি বাস্তব। অনেক বেশি সত্য। এই সফলতা চূড়ান্ত সফলতা; কারণ, যে ব্যক্তি আল্লাহর চোখে সফল সেই প্রকৃত অর্থে সফল
সফলতা অনুভবের বিষয় বটে। এটি আপেক্ষিক বিষয়। কুরআনের দৃষ্টিতে সাফল্য -
যারা আল্লাহ, তাঁর রাসূল, তাঁর ফেরেশতা, তাঁর পাঠানো গ্রন্থগুলো এবং পরকালের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসী । (২:৫)
যারা সৎকাজের প্রতি আহ্বান করে, ভালো কাজের নির্দেশ দেয় ও খারাপ কাজে বারণ করে। (৩:১০৪)
যাদের ডান পাশের ওজনের পাল্লা বিচারের দিনে ভারী হবে। (৭:৮)
যারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বিশ্বাস করে, তাঁকে অনুসরণ করার মাধ্যমে তাঁকে প্রকৃত অর্থেই সম্মান করে, আল-কুর’আনকে অনুসরণ করে। (৭:১৫৭)
যারা কঠিন সংগ্রাম করে এবং নিজেদের সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করে। (৯:৮৮)
আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের যেকোনো আদেশ নিষেধ শোনামাত্রই যারা বলে, “আমরা শুনলাম ও মানলাম।” (২৪:৫১)
যারা আত্মীয়-স্বজন, মিসকীন ও অসহার ভ্রমণরতদের প্রাপ্য দান করার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে। (৩০:৩৮)
নিয়মিত, সঠিক সময়ে, সঠিকভাবে আস-সালাত প্রতিষ্ঠা করে ও যাকাত দান করে। (৩১:৫)
এমন লোকদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে না যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিরোধী, ইসলামবিদ্বেষী—এমনকি এ ধরনের লোক যদি তাদের নিকটাত্মীয়, বাবা কিংবা সন্তানও হয় তবুও। (৫৮:২২)
অন্যের কি আছে, অন্যে কী পেল এগুলোর প্রতি যাদের মোহ নেই। (৫৯:৯)
সর্বোপরি পরকালে জান্নাত অর্জন করতে পারাটায় সাফল্য।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন