পোস্টগুলি

ছবি
মোহাম্মদ আলি একজন মার্কিন পেশাদার মুষ্টিযোদ্ধা ছিলেন, সাধারণভাবে যাকে ক্রীড়ার ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হেভিওয়েট হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। ক্রীড়াজীবনের শুরুর দিকে আলি রিংয়ের ভেতরে ও বাইরে একজন অনুপ্রেরণাদায়ক ও বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন।স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেড তাকে শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড় ও বিবিসি তাকে শতাব্দীর সেরা ক্রীড়াব্যক্তিত্ব হিসেবে সম্মানিত করেছে। ১৯৬৪ সালে তিনি সৈনিক জীবনে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হন পরীক্ষায় অনুত্তীর্ন হওয়ার কারণে। ১৯৬৬ সালে তিনি উত্তীর্ণ হন। তিনি ভিয়েতনাম যুদ্ধে যেতে অস্বীকার করেন। পরের বছরের জুনে তিনি আইন লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত হন। তাঁকে ১০ হাজার ডলার জরিমানা ও পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি বলেন যে কোরআন যুদ্ধ সমর্থন করে না। আল্লাহ বা নবীর নির্দেশ ছাড়া তিনি যুদ্ধে যাবেন না। “Why should they ask me to put on a uniform and go 10,000 miles from home and drop bombs and bullets on brown people in Vietnam while so-called Negro people in Louisville are treated like dogs?” ‘কেন আমাকে বলা হচ্ছে ইউনিফর্ম পরে দেশ থেকে ১০ হাজার মাইল দূরে গিয়ে ভিয়েতনা...

নাসিরুদ্দিন মুহম্মদ হুমায়ুন

ছবি
নাসিরুদ্দিন মুহম্মদ হুমায়ুন ( ১৫০৮ - ১৫৫৬) মুঘল সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় সম্রাট, যিনি ১৫৩০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দ এবং ১৫৫৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত দুই দফায় আধুনিক আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং ভারতের উত্তরাঞ্চলে রাজত্ব করেছেন।সম্রাট বাবরের মোট সন্তান ছিল ১৮ জন। চারজন বাদে সবাই শৈশবে ইন্তেকাল করেন। চার ছেলেরা হলেন - হুমায়ূন, কামরান, হিন্দাল ও আসকরি । বাবরের প্রথম ছেলে হুমায়ুন পিতার মৃত্যুর তিনদিন পর ১৫৩০ সালের ২৯ ডিসেম্বর দিল্লীতে সিংহাসনে আরোহণ করেন। হুমায়ূন যখন ২২ বছর বয়সে ক্ষমতায় আসেন তখন তিনি একজন অনভিজ্ঞ শাসক ছিলেন। তাঁর সৎ ভাই, কামরান মির্জা তাদের পিতার সাম্রাজ্যের উত্তরতম অংশ কাবুল এবং কান্দাহার উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছিলেন। পরে মির্জা হুমায়ূনের তিক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠে।হুমায়ুন শেরশাহ সুরির কাছে পরাজিত হয়ে মুঘল সাম্রাজ্য হারিয়েছিলেন । ১৫৩৯ সালের ২৬ জুন চৌসার যুদ্ধে পরাজিত হন এবং ১৫৪০ খ্রিস্টাব্দে কনৌজের যুদ্ধেও পরাজিত হওয়ার কারণে একদিকে হুমায়ুনকে সিংহাসন ত্যাগ করতে হয় এবং অন্যদিকে আফগান সালতানাত পুনরুদ্ধারে শেরশাহ সমর্থ হন। কনৌজের যুদ্ধে...

পলাশীর গাদ্দারদের শেষ পরিণতি

ছবি
মোহাম্মদী বেগ- মোহাম্মদী বেগ যাকে নবাব সিরাজ-উ-দৌলার নানা আলীবর্দী খাঁ রাস্তা থেকে তুলে এনে খাদ্য দেন,থাকার জায়গা দেন এবং সেনাবাহিনীতে চাকুরী দেন। যখন কেউই নবাব সিরাজ-উ-দৌলাকে হত্যা করতে রাজি হয়নি তখন এই মোহাম্মদী বেগ রাজি হয়ে ছিল এবং তার খঞ্জরের আঘাতেই মারা যায় বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব। মীর জাফর তনয় মিরনের ইশারায় মোহাম্মদী বেগ তাকে হত্যা করে এবং এর পর মীর জাফর নবাব হন। কিন্তু প্রকৃতি বড়ই নির্মম। আল্লাহ কোনো জুলুমবাজ,প্রতারক,অত্যাচারীকে কখনও ক্ষমা করে না।সিরাজকে হত্যা করার কিছুদিন পরই খুনি মোহাম্মদী বেগের মাথায় গোলমাল দেখা দিলে সে নিজেই কুপে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে। মীরণ- মীরণের মৃত্যু ঘটেছিল বজ্রপাতে। আবার কেউ কেউ বলেন জনৈক ইংরেজ সেনাপতি তার বাড়াবাড়ি দেখে গুলি করে হত্যা করেছে। ঘসেটি বেগম- সিরাজের খালা ষড়যন্ত্রকারী ঘসেটি বেগমকে মীরণ বুড়িগঙ্গার প্রবল খরস্রোতা নদীতে নৌকা ডুবিয়ে মেরে ফেলে। মীর জাফর- মীর জাফর ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে দু’দুবার বাংলার মসনদে বসেছিলেন। কুষ্ঠ রোগে আক্রন্ত হয়ে মীর জাফরের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। তার শরীরে অসংখ্য ঘাঁ ও ফোড়া হয়ে রক্ত ও পুজ পড়ে এবং দুর্গন্ধ বের হয়। এ ...

ইংল্যান্ডে শাহজাহান মসজিদ

ছবি
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইংল্যান্ডে শাহজাহান মসজিদের সামনে ভারতীয় সৈনিকরা চা পান করছেন। ওকিংয়ে শাহজাহান মসজিদ নির্মাণের আগেই ১৮৮৭ সালে লিভারপুলে একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন আব্দুল্লাহ কুইলিয়াম। তারপরও একদিক থেকে শাহজাহান মসজিদ এগিয়ে। কেননা শাহজাহান মসজিদই হ’ল ব্রিটেনের প্রথম মসজিদ, যেটির দালান শুরু থেকেই মসজিদ নির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে নির্মিত হয়। অন্যদিকে লিভারপুলে মূলত ইতোমধ্যে বিদ্যমান একটি ভবনকে মসজিদে রূপ দিয়েছিলেন কুইলিয়াম। মসজিদটি নির্মাণের জন্য অর্থ সাহায্য দিয়েছিলেন ভারতের ভূপাল রাজ্যের শাসক এবং সুলতানা শাহজাহান বেগম (১৮৩৮-১৯০১খ্রি.)।

মরক্কোয় বেদুইন তাবু

ছবি
‘আমি বেদুইন, আমি চেঙ্গিস আমি আপনারে ছাড়া করিনা কাহারে কুর্নিশ’ বেদুঈন’ শব্দের অর্থ ‘মরুভূমির মানুষ’। বেদুঈন শব্দটি এসেছে আরবি শব্দ ‘বেদু’ থেকে। এই শব্দ দ্বারা মরুভূমির স্থায়ী বাসিন্দা (যেমন- কৃষক) আর যাযাবরদের মধ্যে পার্থক্য করা হতো। বেদুঈনরা অন্যান্য পেশার মানুষের মতো একস্থানে বসবাস না করে যাযাবর হিসেবে বিভিন্ন স্থানে বসবাস করত। মূলত তারা উট, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি চরাতো, যেখানে তারা তাদের পোষা প্রাণীদের জন্যে দরকারি খড়-খাগড়া বা ঘাসের সন্ধান পেতো সেখানে পশুর দল নিয়ে বসবাস করত। বেদুঈন মূলত আরব উপদ্বীপ (বর্তমান ইয়েমেন, আরব আমিরাত), মধ্যপ্রাচ্য আর উত্তর আফ্রিকা- এসব অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা যাযাবর অধিবাসী। গোত্রভিত্তিক জীবনযাপন করা এই সম্প্রদায় নিজেদেরকে প্রকৃত আরব দাবী করে নিজেদেরকে অভিহিত করে থাকে ‘Heirs of Glory’ তথা ‘গৌরবের উত্তরাধিকারী’ হিসেবে। আরবের অনেক বাসিন্দার কাছেও বেদুঈনরা রোমাঞ্চ আর স্বাধীনতা বা স্বাধীনচেতা জীবনের প্রতীক হিসেবে পরিচিত। কিন্তু তাদের জীবন এত সহজ নয়। ব্রিটিশ ভ্রমণ লেখক স্যার উইলফ্রেড থিসিঙ্গার তার জীবনের একটা বড় সময় বেদুঈনদের সাথে কাটিয়ে লিখেছেন, ”বেদুঈনদের জীবন কঠ...

সাম্প্রতিক বিতর্ক ও হযরত আয়েশা (রা.)

ছবি
  আগেও মহানবী (সা) ও আয়েশা (রাঃ) কে নিয়ে নানারকম বিতর্কিত মন্তব্য করা হলেও এমন গর্হিত শব্দ ও বাক্য ব্যবহার করা হয়নি। কি সেই বাক্য? অনেকেই জানতে চেয়েছেন। কিন্তু একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ হিসেবে সেই শব্দ মুখে আনা অসম্ভব। তাই আপনাদের সামনে সেই বাক্য উপস্থাপন করা যাচ্ছে না। সম্ভবত এ জন্যই সৌদি আরব সহ মুসলিম বিশ্ব ক্ষোভে ফুঁসছে। এর ঢেউ লেগেছে সারা দুনিয়ায়। কয়েকদিন এটা টক অব দ্য ওয়ার্ল্ড। বিতর্কিত মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এমন অবস্থা। কি সেই মন্তব্য! এটা এতটাই নিকৃষ্ট, অশালীন এবং অশ্লীল যে তা উচ্চারণ করা বা পাঠকদের সামনে পেশ করা সম্ভব নয়। কথা হলো হযরত আবু বকার (রা) তার মেয়েকে বিয়ে দিয়েছে রাসূলুল্লাহ (সা)'র সাথে এতে তার কোনো ব্যথা নাই যন্ত্রণা নাই। আয়েশা (রা) কোনদিন আল্লাহর রাসূলের সাথে পারিবারিক ও দাম্পত্য জীবনে অস্বস্তি প্রকাশ করেনি ৷ ১৪০০ বছর পরে বিজেপির নেতা - নেত্রীদের অস্বস্তি দেখা দিয়েছে ৷ তাদের অন্তরে খুব জ্বালা। মুসলমানদের নবী নাকি চরিত্রহীন ছিলো। শিশু কন্যা আয়েশা (রা) কে নাকি জোর করে বিবাহ করেছেন,,অর্থের লোভ দিয়ে নাকি নিজের লিপ্সা পুরণ করেছেন,, আয়েশা (রা) কে নাকি যৌন হয়রানি ক...

আত্মহত্যার পরিসংখ্যান, কারণ, প্রতিরোধ ও ইসলাম কী বলে?

ছবি
  Suicide হচ্ছে আত্মহত্যার ইংরেজি প্রতিশব্দ। লাতিন ভাষা Sui Sediur থেকে মূলত Suicide শব্দের উৎপত্তি।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, প্রতি ৪০ সেকেন্ডে আত্মহত্যা করছেন একজন। ধারণা করা হয়ে থাকে, বিশ্বজুড়ে বছরে ৮ থেকে ১০ লাখ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন নিজের হাতেই। বাংলাদেশের চিত্রও আশঙ্কাজনক। বেসরকারি এক সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এক বছরে দেশে আত্মহত্যা করেছেন ১৪ হাজার ৪৩৬ জন। অর্থাৎ প্রতিদিন আত্মহননে প্রাণ যাচ্ছে ৩৯ জনের। করোনার এই সময়ে আগের বছরের তুলনায় আত্মহত্যা বাড়ে ৪৪ শতাংশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আত্মহত্যা প্রবণতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে দশম।২০১৯-২০ করোনার সময়ে বাংলাদেশে আত্মহত্যা করছে ১৪ হাজার ৪৩৬ জন। যাদের মধ্যে ২০ থেকে ৩৫ বয়সীরাই বেশি। বর্তমানে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের আত্মহত্যার পরিমাণ তিন গুণ।বেসরকারি সংস্থা আঁচল ফাউন্ডেশনের পরিচালিত এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে ২০২১ সালে ১০১ জন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। ২০২০ সালে এই সংখ্যাটা ছিল ৭৯ জন।জরিপে উঠে এসেছে যে, আত্মহত্যা করা ১০১ জন শিক্ষা...