পোস্টগুলি

ভ্যালেন্টাইন দিবস পর্ব - ৫

কি স্মার্ট বয় আজকে তো খুব একটা শীত নেই। তারপরও এতো কাঁপছো কেন? আজকে বুঝি ভাইব্রেশন ডে ( কম্পন দিবস )? -না রিয়া আজকেও একটা দিবস আছে কিন্তু আমার বলতে লজ্জা করছে। তা তো দেখছি। লজ্জায় চেহারাটা কেমন লালে লাল হয়ে গেছে। আরে বল, কিসের লজ্জা। লজ্জা তো নারীর ভূষণ। ছেলেদের লজ্জা থাকতে নেই। -রিয়া আজকে কোনো দিবস পালন না করলে হয়না। বরং চল দুজনে কোথাও আড্ডা দেই। না তা হবে কেন? দিবস ছাড়া কোনো আড্ডা না। আগে বল আজকে কি দিবস? -আজকে হাগ ( hug) দিবস। কি হাগু দিবস? -হাগু না হাগ দিবস। সেটা আবার কি দিবস? - ( লজ্জায় রিমন অস্পষ্ট কণ্ঠে বলল) আলিঙ্গন দিবস। কি এতো বড় স্পর্ধা। এক সপ্তাহও হয়নি রিলেশনের এর মধ্যে আলিঙ্গনের ধান্দা। তোমরা ছেলেরা বিভিন্ন দিবসের নাম দিয়ে আর কত মেয়েদের উপভোগ করতে চাও ? দাঁড়াও আলিঙ্গন দিতাছি ...এমন আলিঙ্গন দেব। বাপ মায়ের নাম ভুলে যাবি। এ পালাচ্ছিস কেন দাঁড়া .. -না রিয়া আমার আলিঙ্গন দরকার নেই। ভলো থাকিস বোন ..

জাতিসংঘের প্রবেশ দ্বারে মুসলিম কবির কবিতা

ছবি
ফার্সি গদ্য সাহিত্যের জনক মহাকবি শেখ সাদি।শেখ সাদির পুরো নাম আবু মুহাম্মদ মোশাররফ উদ্দিন বিন মোসলেহ উদ্দিন আবদুল্লাহ সাদি সিরাজি।তিনি বাংলাভাষী পাঠকের কাছে শেখ সাদি নামে সমধিক পরিচিত। শুধু বাঙালিই নয় বিশ্বজুড়ে তিনি সচেতন বিবেকবান মানুষের কাছে সমভাবে সমাদৃত।জাতিসংঘের দেয়ালে সেঁটে আছে একটি কার্পেট। যেটি ইরানি জনগণের পক্ষ থেকে দেয়া একটি উপহার। নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘের সদর দপ্তরের প্রবেশপথের নর্থ ডেলিগেট লাউঞ্জে রয়েছে সেই মহৎ কার্পেট ।  কার্পেটিতে উৎকীর্ণ আছে ইরানের মহাকবি সাদির ‘গুলিস্তাঁ’ গ্রন্থে উদ্ধৃত একটি চমৎকার কবিতা। সেই কবিতাটির মূল ফার্সি পাঠ হলো— بنى آدم اعضای یک پیکرند٭٭٭ که در آفرینش ز یک گوهرند چو عضوى به درد آورد روزگار٭٭٭ دگر عضوها را نماند قرار تو کز محنت دیگران بیغمی ٭٭٭ نشاید که نامت نهند آدمی بنى آدم اعضای یک پیکرند٭٭٭ که در آفرینش ز یک گوهرند چو عضوى به درد آورد روزگار٭٭٭ دگر عضوها را نماند قرار تو کز محنت دیگران بیغمی ٭٭٭ نشاید که نامت نهند آدمی بنى آدم اعضای یک پیکرند٭٭٭ که در آفرینش ز یک گوهرند چو عضوى به درد آورد روزگار٭٭٭ دگر عضوها را نماند قرار...

ভ্যালেন্টাইন দিবস পর্ব -৪

ছবি
কি তোমার মন খারাপ ? তোমাকে এরকম বিধ্বস্ত লাগছে কেন ? আজকে না প্রমিজ ডে। -রিয়া তোমার কাছে যে প্রমিজ করেছিলাম তা আর রাখতে পারছি না।  শোন আজকে প্রমিজ করার দিন, ভাঙার দিন না। আজকের দিনে তুমি আমার কাছে  প্রমিজ করবে। বুঝছো ?  বল তুমি আমাকে কবে বিয়ে করছো ?   -তা আর বুঝি হচ্ছে না রিয়া। কেন? -এই বিয়ে আমার পরিবার মেনে নিবে না। কি যাতা বলছো? তোমার পরিবারে কে কে আছে শুনি। -আমার ওয়াইফ আর দুই ছেলে মেয়ে। কী , দাঁড়া দেখাচ্ছি মজা ....... ........

ভ্যালেন্টাইন দিবস পর্ব -৩

ছবি
কি মাথা চুলকাও কেন? আজকে কি কোনো দিবস নেই? আজকে বুঝি মাথা চুলকানো দিবস। -না রিয়া আজকেও একটা দিবস আছে। কিন্তু বুঝতেছিনা সেটি কি দিবস। কেন সে দিবসের নাম কি? -রিয়া সবাই তো বলছে টেডি ডে আরে এটা বুঝলে না, গতকাল কি দিবস ছিল -কেন চকলেট ডে। তাহলে অবশ্যই আজকে আইসক্রিম ডে হবে।  -রিয়া আসলেই তুমি সো জিনিয়াস। দেখতে হবে না আমার যে টেডি বয় আছে। চল এবার আইসক্রিম খেতে -ওকে  তাহলে চল।

কবিতা : বিষাদ

তুমি কি শুনেছো ?  গহীন অরণ্যের আত্মচিৎকার নিসঃঙ্গতার প্রলাপ,  ঘোর অন্ধকারে চাদরে মোড়া নির্বাক বিলাপ। তুমি কি দেখেছো ? প্রখর চৈত্রে কোমল মৃত্তিকার চিড় তৃষ্ণায় হাহাকার,  ভরা যৌবনা নদীর ছুটে চলা কচুরিপানার সাঁতার। তুমি কি কান পেতে শুনেছো ?  আহত সৈনিকের সদা আর্তনাদ গগণ বিদারী আহাজারি,  প্রসূতি জননীর গঞ্জনা কাতর কণ্ঠে রোনাজারি। তুমি কি অনুভব করেছো? ব্যথিত মনে কষ্টের আর্তি আগ্নেয়গিরির লাভা,  বিচ্ছেদের করুণ বেদনায় দগ্ধ  দহনে প্রজ্জলিত আভা।

ইতিহাস থেকে হারিয়ে যাওয়া শের -ই- মহিশুর টিপু সুলতান

  অষ্টাদশ শতক ভারতীয় উপমহাদেশে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জন্য ছিল প্রভাব বিস্তারের শতাব্দী। এই শতকের মাঝামাঝিতে  ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতের পূর্বে বাংলায় স্বাধীন নবাব, নবাব সিরাজউদ্দৌলার প্রধান  সেনাপতি মীর জাফরকে হাত করে বাংলায় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের সূচনা করে। ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে নবাবের পতন সমগ্র ভারতে ব্রিটিশ প্রভুত্ব কায়েমের দ্বার উন্মুক্ত হয়ে যায়। যার ধারাবাহিকতায় গুটিকয়েক স্বরাজ ব্যতীত সমগ্র ভারত ব্রিটিশদের পদানত হয়। এই শতকে ১৭৯৯ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর বিরুদ্ধে তৃতীয় মহিশুরের যুদ্ধে টিপু সুলতান নিহত হন। ভারতবর্ষের প্রথম স্বাধীনতাসংগ্রামী বলা হয় তাঁকে। বহু যুদ্ধে জয়ী হয়ে অবশেষে শ্রীরঙ্গপত্তনমের যুদ্ধে নিজের দুর্গে তাঁর পতন হয়।সেসময় ব্রিটিশ সৈন্যরা ভেঙে ফেলে নগরের প্রাচীর। যুদ্ধ উপদেষ্টারা টিপুকে পরামর্শ দেয় গুপ্ত দরজা দিয়ে পালিয়ে যেতে। তিনি বলেন ‘ভেড়া বা শিয়ালের মতো দু'শ বছর বাঁচার চেয়ে বাঘের মতো দু'দিন বেঁচে থাকাও ভালো।' তিনি ভীরুর জীবন বেঁচে নেননি। বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলার প্রধান সেনাপতি মীর জাফরের মতো টিপুর এক সেনাপত...

মুসলিম হলে কেউ কি ভারতে সংস্কৃত পড়তে বা পড়াতে পারবেন না ?

বর্তমান ভারত জুড়ে চলছে নানা বিষয়ে বিতর্ক। কাশ্মীর ইস্যু ও বাবরি মসজিদের রায় নিয়ে  মুসলিমদের হৃদয়ের রক্তক্ষরণ বন্ধ না হতেই প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছে নতুন নতুন বিতর্কিত ইস্যু।  ভারতের বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে সংস্কৃত বিভাগে সংস্কৃতে পিএইচডি ডিগ্রিধারী ফিরোজ খান নামের একজন মুসলিমকে নিয়োগ দেওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।বারো দিন আগে বেনারসের ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিদ্যা ধর্ম বিজ্ঞান (এসভিডিভি)-এ যোগদান করেন ফিরোজ খান নামের মুসলিম শিক্ষক। সংস্কৃত বিভাগে মুসলিম শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে হিন্দু শিক্ষার্থীদের মধ্যে চলছে জোর প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ। হিন্দু শিক্ষার্থীরা ফিরোজ খানকে ক্লাসেই ঢুকতে দিতে রাজি নয়।তারা উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনেও অবস্থান নিয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি ফিরোজ খানের চেয়ে  যোগ্যতর আর কোনো প্রার্থী ওই পদে ছিলেন না বলে তিনি নিয়োগ পেয়েছেন।ফিরোজ খান নিজে গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে জানিয়েছেন, তাদের পরিবারে সংস্কৃতের চর্চা আছে বহুকাল ধরে।তার বাবা রমজান খান ভজন গান করেন - এমন কী গোশালা রক্ষায় প্রচার পর্যন্ত চালান।ফলে তার বিরুদ্ধে এই ধরনের আন্দোলনে ফিরোজ খান...