পোস্টগুলি

নীল নদ নয় লোহিত সাগর পাড়ি দিয়েছিলেন হযরত মুসা (আ.)

ছবি
মো আব রায়হানঃ  হযরত মুসা (আ.) একজন নবি ও রাসুল।বাইবেলে তিনি মোজেস নামে পরিচিত।তাঁর ওপর আসমানী কিতাব তাওরাত নাযিল হয়েছিল। আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথা বলার জন্য তাঁকে কালিমুল্লাহ বলা হয়।তিনি  ইহুদি, খ্রিস্টান এবং ইসলাম ধর্মে স্বীকৃত রাসুল বা আল্লাহর  বার্তাবাহক। কোরআনে মুসা (আ.) এর নাম অন্য নবীদের তুলনায় বেশি উল্লেখ করা হয়েছে। ধারণা করা হয় যে মুসা (আ.) ১২০ বছর বেঁচে ছিলেন। হযরত মুসা (আ.) এর অসংখ্য মুজেজা ছিল। তন্মধ্যে উল্লেখ করার মতো মুজেজা হলো তাঁর হাতের লাঠি মাটিতে নিক্ষেপ করলে  বিশালাকার অজগর সাপে পরিণত হতো। হযরত মুসা (আ.) এর জাতি বা কাওমের নাম ছিল বনী-ইসরাঈল। ইসরাঈল একটি হিব্রু শব্দ।  যার অর্থ–আল্লাহর বান্দা। হযরত ইয়াকুব (আ.)এর আরেকটি নাম হলো ইসরাঈল। কুরআনে ইহুদিদেরকে ইয়াকুব (আ.) এর বংশধর’ না বলে ইসরাঈলের বংশধর বলা হয়েছে, যেন ইহুদিরা এটা ভুলে না যায় যে, তারা আল্লাহর বান্দার বংশধর। তাদেরকে মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে  তারা যেন তাদের রাবাইদের উপাসনা না করে, শুধুমাত্র আল্লাহরই উপাসনা করে।আরেকটি ব্যাপার হলো বনী ইসরাঈল বলতে আজকের  ‘ইসরাঈল’ নামক দেশ...

ভারতের নতুন নাগরিকত্ব সংশোধন আইন এবংকিছু প্রাসঙ্গিক কথা

  ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের বিল ১০ ডিসেম্বর ভারতের লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও পাশ হলো।ইতোমধ্যে ভারতের  রাষ্ট্রপতি বিলে স্বাক্ষর করায় তা আইনে পরিণত হয়েছে । বিল পাশের পর ভারতের আসাম পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ এবং রক্তক্ষয়ী সংঘাত। বিলের বিরুদ্ধে উত্তর-পূর্ব ভারতে আন্দোলনে  আসাম এখন অগ্নিগর্ভ। ত্রিপুরাও চলছে প্রতিবাদ।নিহত হয়েছেন কয়েকজন আন্দোলনকারী।আসামে  ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনারকে বহনকারী গাড়ি বিমানবন্দর থেকে শহরে আসার সময় নিরাপত্তা-বহরে হামলা চালায় নাগরিকত্ব বিলের বিরোধী উত্তেজিত জনতা। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সহকারী হাই কমিশনারের গাড়ী। রাজ্যসভায় বিল পেশের আশঙ্কায় এই বছরের শুরুতে প্রায় পুরো উত্তরপূর্ব ভারত জুড়ে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ব্যাপক বিক্ষোভ সংঘটিত হয়েছিল।নতুন করে বিলটি পাশের ফলে আবারও উত্তপ্ত ভারতের রাজ্যগুলো।ভারতের নাগরিকত্ব আইন ১৯৫৭, ১৯৬০, ১৯৮৫, ১৯৮৬, ১৯৯২ এবং ২০০৩ সালে অর্থাৎ মোট ছয় বার সংশোধন করা হয়েছে।এবার দিয়ে সাত বারের মতো সংশোধন করা হলো।  নাগরিকত্ব সংশোধন বিল পাশ করা বিষয়ে  বিজেপি সরকার বলছে, বাংলাদে...

পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের সংখ্যালঘুরা কতটা নিরাপদ?

ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশের পর গোটা ভারত জুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। এই আইন পাশের পর জনগণ রাস্তায় নেমে আসে। ভারতের পূর্বাঞ্চল আসাম, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গে চলছে প্রতিবাদ বিক্ষোভ। অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে দোকানপাট, বাস ও ট্রেনে।১৯৫৫ সালে ভারতের নাগরিক আইন প্রবর্তনের পর এর আগে ১৯৫৭, ১৯৬০, ১৯৮৫, ১৯৮৬, ১৯৯২ এবং ২০০৩ সালে অর্থাৎ মোট ছয় বার নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করা হয়েছে।তখন সেই নাগরিকত্ব আইন সংশোধন নিয়ে বর্তমানের মতো এতোটা সহিংস  প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়নি। এবারেই এধরনের ঘটনা প্রথম ঘটছে।এই বিক্ষোভ প্রতিবাদের মূলে রয়েছে এবারের নাগরিকত্ব সংশোধন আইনে বিতর্কিত কিছু ধারা। নাগরিকত্ব সংশোধন বিল পাশ করা বিষয়ে  বিজেপি সরকার বলছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আসা অমুসলিম সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়াই আইন সংশোধনের উদ্দেশ্য। বিজেপি সরকারের যুক্তি তিন দেশে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ফলে ঐসব দেশে মুসলিমদের ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হতে হয় না।  কিন্তু অমুসলিম সংখ্যালঘুরা এসব দেশে নির্যাতনের শিকার। তাদের সুরক্ষা দিতে বিজেপি সরকার এই নাগরিকত্ব আইন সংশোধন  করেছে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্...

আসুন ইলিয়াস কাঞ্চনের পাশে দাঁড়াই

ছবি
একসময়ে চলচ্চিত্র জগতে সাড়া জাগানো নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন এখন আর ঢালিউডে অভিনয়ে নিয়মিত নন। তিনি এখন এদেশের মানুষের হৃদয়ের নায়ক বনে গেছেন। নিরাপদ সড়কের দাবিতে তাঁর ২৬ বছরের আন্দোলন যখন পূর্ণতা পেতে চলে‌ছে তখন সুযোগ সন্ধানী কিছু পরিবহন শ্রমিকের তিনি চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছেন।গত ১ নভেম্বর থেকে নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর হয়েছে। এই আইন প্রণয়নে সরকারে সহযোগী হিসেবে ছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন।এই নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংস্কারের দাবিতে পরিবহন শ্রমিকরা কর্মবিরতিও পালন করেছে। শুধু তাই নয় নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে গত কয়েকদিন বাংলাদেশের বাস-ট্রাক শ্রমিকরা যে 'কর্মবিরতি' পালন করেছেন, সেখানে নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের ছবিকে হেয় প্রতিপন্ন করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ইলিয়াস কাঞ্চনের ছবি সম্বলিত ব্যানার টাঙিয়ে কোথাও কোথাও  কুশপুত্তলিকা তৈরি করে সেখানে জুতার মালা দেয়া হয়েছে। তার ছবি পুড়ানো হয়েছে।তাকে হে'ন'স্থা করার চেষ্টা করা হচ্ছে । এমতাবস্থায় প্রিয় তারকা ইলিয়াস কাঞ্চনের পাশে দেশের লাখ লাখ মানুষ দাঁড়িয়েছেন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিও দাঁড়...

মুসলমানদের কোনো মানবাধিকার নেই

মরুক রোহিঙ্গা পুড়ুক বসত। তোরা মুসলিম। তোরা বাঙালি। তোরা বহিরাগত। তোরা ভিনদেশি। তোরা ভিন জগতের। মঙল গ্রহের। তোরা শান্তির ধর্ম বৌদ্ধের অনুসারীর দেশে অচল। মূলকথা তোরা এলিয়েন। তোরা ভাসমান। সাগর ভাসা । এদেশে বসবাসে অযোগ্য। বের হ এখান থেকে। নইলে আগুন হবে তোর শেষ ঠিকানা। হাড় হাড্ডিও হবে তোর ভস্মীভূত।  এতো শুধু রোহিঙ্গা মুসলমানদের করুন আর্তনাদ ও নির্যাতনের সহজে অনুমেয় কিছু সাধারণ চিত্র। এছাড়াও ফিলিস্তিন, ফিলিপাইনের মিন্দানা, শ্রীলংকার মান্নার দ্বীপে, কাশ্মীরে, আসামে, চেচনিয়া, দাগেস্তান, চিনের জিনজিয়াং, সিরিয়া ইরাক আফগানিস্তান  কোথায় মুসলমানরা সুখে আছে?  এইতো যেদিন বি বাড়ীয়ায় সংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার খবর এলো। একই সময়ে ভারতে আটজন মুসলিম ছাত্রকে বিনা কারণে ক্রসফায়ারে মারা হলো। মিডিয়া তো ঘটনাটা নিয়ে তোলপাড় করলো না। ইসলামের জন্মস্থান  সৌদি অারব তো ভারতীয় কুটনৈতিককে পররাষ্ট্র দফতরের ডাকিয়ে শাঁসালো না। নিশ্চুপ রইল। নাসির নগরের ঘটনার পর ভারত যে প্রতিক্রিয়া দেখালো একবার চিন্তা করতে পারি? ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় কত হাজার মুসলিম মারা যায়। তাদের জন্য কী কেউ টু শব্দটি করেছে।...

ভারতের বিজেপি সরকারের পরবর্তী টার্গেট কি তাজমহল ?

  ভারতের বিজেপি সরকারের চলছে বসন্তকাল। চরম হিন্দুত্ববাদী নীতি আদর্শ বাস্তবায়নে তারা আপোসহীন।  কঠোর হিন্দুত্ববাদীর সমর্থক শিবসেনা ও আরএসএসকে পকেটে রেখে বিজেপি এগিয়ে যাচ্ছে চরম হিন্দুকরণের দিকে। ইতোমধ্যে ভারত তার ধর্মনিরপেক্ষতার চেহারা হারিয়েছে। বিজেপি সরকার মুসলমানদের তালাক প্রথা নিষিদ্ধ, কাশ্মীরের সাংবিধানিক সুবিধার ৩৭০ ধারা বাতিল ও সর্বশেষ বাবরী মসজিদ রায় নিজেদের পক্ষে নিয়ে ফুরফুরে মেজাজে। ভারতকে  হিন্দু রাষ্ট্রকরণের লক্ষ্যে তারা বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে বিজেপিসহ হিন্দুত্ববাদী সংগঠন গুলো ভারতে মুসলমানদের প্রায় সাতশ বছরের শাসনামলের স্মৃতিস্তম্ভ , স্মারক, স্থাপনা, ধর্মীয় ঐতিহ্য ধবংসে মরিয়া। এজন্য বিজেপি ও সমমনারা কয়েক বছর আগে থেকে  আগ্রার তাজমহলকে টার্গেট বানিয়েছে।বাবরি মসজিদের ন্যায় তারা তাজমহল ধ্বংসে ধীরগ‌তিতে ধাবমান। স্লো পয়জনিংয়ে যেমন একজন মানুষকে তিলে তিলে নিঃশেষ করে দেওয়া যায় তেমনি ধীরগ‌তি অবলম্বনে বিজেপি ভারতে  মুসলিম ইতিহাস ঐতিহ্য ও চিহ্ন নিশ্চিহ্ন করতে উন্মুখ। যেভাবে বাবরি মসজিদ প্রথমে ভেঙ্গে পরে আদালতের মাধ্যমে নিজেদের পক্ষে রায় নিল।ঠিক তেমনিভাবে ভারতে...

পেঁয়াজে আগুন ও দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে ইসলামের বিধান

দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি এদেশের কাঁচাবাজারে  সাধারণ দৃশ্য। সুযোগ পেলেই এক শ্রেণীর সুযোগ সন্ধানী মুনাফাখোর ব্যবসায়ী অধিকাংশ সময় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মূল্য বৃদ্ধি করে থাকে। বাংলাদেশ বোধহয় বিশ্বের একমাত্র মুসলিম দেশ যেখানে রমজান মাস এলেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়ে সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যায়। সেসময় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধি করা হয়।রমজান মাস ছাড়াও প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট সময় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য হয় আকাশচুম্বী আর পেঁয়াজের ঝাঁজে ভোক্তারা হন  আক্রান্ত । এ বছর পেঁয়াজের দাম যেন লাগামহীন ঘোড়ার মতো লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সরকার নির্বিকার, জনগণ ক্ষুব্ধ। তারপরও যেন দেখার  কেউ নেই। স্মরণকালে এই প্রথম বাংলাদেশে এক কেজি পেঁয়াজের দাম ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছে।গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষ থেকে পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে উঠে।ভারত ২৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে।  এরপর ধাপে ধাপে পেঁয়াজের দাম উঠানামা করে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ প্রায় ৫০ থেকে ৬...