পোস্টগুলি

আসুন ইলিয়াস কাঞ্চনের পাশে দাঁড়াই

ছবি
একসময়ে চলচ্চিত্র জগতে সাড়া জাগানো নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন এখন আর ঢালিউডে অভিনয়ে নিয়মিত নন। তিনি এখন এদেশের মানুষের হৃদয়ের নায়ক বনে গেছেন। নিরাপদ সড়কের দাবিতে তাঁর ২৬ বছরের আন্দোলন যখন পূর্ণতা পেতে চলে‌ছে তখন সুযোগ সন্ধানী কিছু পরিবহন শ্রমিকের তিনি চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছেন।গত ১ নভেম্বর থেকে নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর হয়েছে। এই আইন প্রণয়নে সরকারে সহযোগী হিসেবে ছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন।এই নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংস্কারের দাবিতে পরিবহন শ্রমিকরা কর্মবিরতিও পালন করেছে। শুধু তাই নয় নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে গত কয়েকদিন বাংলাদেশের বাস-ট্রাক শ্রমিকরা যে 'কর্মবিরতি' পালন করেছেন, সেখানে নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের ছবিকে হেয় প্রতিপন্ন করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ইলিয়াস কাঞ্চনের ছবি সম্বলিত ব্যানার টাঙিয়ে কোথাও কোথাও  কুশপুত্তলিকা তৈরি করে সেখানে জুতার মালা দেয়া হয়েছে। তার ছবি পুড়ানো হয়েছে।তাকে হে'ন'স্থা করার চেষ্টা করা হচ্ছে । এমতাবস্থায় প্রিয় তারকা ইলিয়াস কাঞ্চনের পাশে দেশের লাখ লাখ মানুষ দাঁড়িয়েছেন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিও দাঁড়...

মুসলমানদের কোনো মানবাধিকার নেই

মরুক রোহিঙ্গা পুড়ুক বসত। তোরা মুসলিম। তোরা বাঙালি। তোরা বহিরাগত। তোরা ভিনদেশি। তোরা ভিন জগতের। মঙল গ্রহের। তোরা শান্তির ধর্ম বৌদ্ধের অনুসারীর দেশে অচল। মূলকথা তোরা এলিয়েন। তোরা ভাসমান। সাগর ভাসা । এদেশে বসবাসে অযোগ্য। বের হ এখান থেকে। নইলে আগুন হবে তোর শেষ ঠিকানা। হাড় হাড্ডিও হবে তোর ভস্মীভূত।  এতো শুধু রোহিঙ্গা মুসলমানদের করুন আর্তনাদ ও নির্যাতনের সহজে অনুমেয় কিছু সাধারণ চিত্র। এছাড়াও ফিলিস্তিন, ফিলিপাইনের মিন্দানা, শ্রীলংকার মান্নার দ্বীপে, কাশ্মীরে, আসামে, চেচনিয়া, দাগেস্তান, চিনের জিনজিয়াং, সিরিয়া ইরাক আফগানিস্তান  কোথায় মুসলমানরা সুখে আছে?  এইতো যেদিন বি বাড়ীয়ায় সংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার খবর এলো। একই সময়ে ভারতে আটজন মুসলিম ছাত্রকে বিনা কারণে ক্রসফায়ারে মারা হলো। মিডিয়া তো ঘটনাটা নিয়ে তোলপাড় করলো না। ইসলামের জন্মস্থান  সৌদি অারব তো ভারতীয় কুটনৈতিককে পররাষ্ট্র দফতরের ডাকিয়ে শাঁসালো না। নিশ্চুপ রইল। নাসির নগরের ঘটনার পর ভারত যে প্রতিক্রিয়া দেখালো একবার চিন্তা করতে পারি? ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় কত হাজার মুসলিম মারা যায়। তাদের জন্য কী কেউ টু শব্দটি করেছে।...

ভারতের বিজেপি সরকারের পরবর্তী টার্গেট কি তাজমহল ?

  ভারতের বিজেপি সরকারের চলছে বসন্তকাল। চরম হিন্দুত্ববাদী নীতি আদর্শ বাস্তবায়নে তারা আপোসহীন।  কঠোর হিন্দুত্ববাদীর সমর্থক শিবসেনা ও আরএসএসকে পকেটে রেখে বিজেপি এগিয়ে যাচ্ছে চরম হিন্দুকরণের দিকে। ইতোমধ্যে ভারত তার ধর্মনিরপেক্ষতার চেহারা হারিয়েছে। বিজেপি সরকার মুসলমানদের তালাক প্রথা নিষিদ্ধ, কাশ্মীরের সাংবিধানিক সুবিধার ৩৭০ ধারা বাতিল ও সর্বশেষ বাবরী মসজিদ রায় নিজেদের পক্ষে নিয়ে ফুরফুরে মেজাজে। ভারতকে  হিন্দু রাষ্ট্রকরণের লক্ষ্যে তারা বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে বিজেপিসহ হিন্দুত্ববাদী সংগঠন গুলো ভারতে মুসলমানদের প্রায় সাতশ বছরের শাসনামলের স্মৃতিস্তম্ভ , স্মারক, স্থাপনা, ধর্মীয় ঐতিহ্য ধবংসে মরিয়া। এজন্য বিজেপি ও সমমনারা কয়েক বছর আগে থেকে  আগ্রার তাজমহলকে টার্গেট বানিয়েছে।বাবরি মসজিদের ন্যায় তারা তাজমহল ধ্বংসে ধীরগ‌তিতে ধাবমান। স্লো পয়জনিংয়ে যেমন একজন মানুষকে তিলে তিলে নিঃশেষ করে দেওয়া যায় তেমনি ধীরগ‌তি অবলম্বনে বিজেপি ভারতে  মুসলিম ইতিহাস ঐতিহ্য ও চিহ্ন নিশ্চিহ্ন করতে উন্মুখ। যেভাবে বাবরি মসজিদ প্রথমে ভেঙ্গে পরে আদালতের মাধ্যমে নিজেদের পক্ষে রায় নিল।ঠিক তেমনিভাবে ভারতে...

পেঁয়াজে আগুন ও দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে ইসলামের বিধান

দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি এদেশের কাঁচাবাজারে  সাধারণ দৃশ্য। সুযোগ পেলেই এক শ্রেণীর সুযোগ সন্ধানী মুনাফাখোর ব্যবসায়ী অধিকাংশ সময় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মূল্য বৃদ্ধি করে থাকে। বাংলাদেশ বোধহয় বিশ্বের একমাত্র মুসলিম দেশ যেখানে রমজান মাস এলেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়ে সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যায়। সেসময় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধি করা হয়।রমজান মাস ছাড়াও প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট সময় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য হয় আকাশচুম্বী আর পেঁয়াজের ঝাঁজে ভোক্তারা হন  আক্রান্ত । এ বছর পেঁয়াজের দাম যেন লাগামহীন ঘোড়ার মতো লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সরকার নির্বিকার, জনগণ ক্ষুব্ধ। তারপরও যেন দেখার  কেউ নেই। স্মরণকালে এই প্রথম বাংলাদেশে এক কেজি পেঁয়াজের দাম ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছে।গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষ থেকে পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে উঠে।ভারত ২৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে।  এরপর ধাপে ধাপে পেঁয়াজের দাম উঠানামা করে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ প্রায় ৫০ থেকে ৬...

শহিদ নূর হোসেন তুমি কার?

ছবি
‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক।' আজকের দিনে ১৯৮৭ সালে বিরোধী দলের  অবরোধ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ঢাকায় একটি মিছিলে নূর হোসেন অংশ নেন এবং প্রতিবাদ হিসেবে বুকে পিঠে সাদা রঙে লিখিয়ে নেন উপরের স্লোগানটি। মিছিলটি ঢাকার গুলিস্তানের জিপিও-র সামনে জিরো পয়েন্টের কাছাকাছি আসলে স্বৈরশাসকের মদদপুষ্ট পুলিশবাহিনীর গুলিতে নূর হোসেন নিহত হন। মোট তিনজন আন্দোলনকারী সেদিন নিহত হন। এসময় বহু আন্দোলনকারীও আহত হন। নিহত অপর দুই ব্যক্তি হলেন যুবলীগ নেতা নুরুল হূদা বাবুল এবং আমিনুল হূদা টিটু। নূর হোসেনরা সব সময় জন্ম গ্রহণ করেন না। জাতির দুর্দিনে প্রয়োজনে দুঃসময়ে তারা অবতারের মতো অবতীর্ণ হন  জাতির ত্রাণকর্তা হিসেবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্বে স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের পতনে যেমন দুজন বাংলার দামাল ছেলে অনন্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। তেমনি স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে ক্ষমতার মসনদে জেকে বসা স্বৈরশাসক এরশাদের পতনে দুজন সূর্য সন্তানের শাহাদাত এরশাদের পতন ত্বরান্বিত করেছিল।আমরা ইতিহাস থেকে জানি পাকিস্তান আমলে শহিদ আসাদ তিনি আইয়ুব খানের পতনের দাবীতে মিছিল করার সময় ২০ জানুয়ারি ১৯৬৯ সালে পুল...

মুসলিম নাম নিশানা মুছে ভারত হতে চায় হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র।

ভারতে চলছে চরম হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের উত্থানের যুগ। বিশেষ করে বর্তমান নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতা আসার পর সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর আক্রমণ ও জোর করে ধর্মান্তরিত করার প্রক্রিয়ায় বিষয়টি এখন বেশি আলোচনা হচ্ছে।দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে  পাক ভারত বিভক্ত হয়ে  যায়।এরপর ভারত সাংবিধানিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য  ধারণ করে।কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতার খোলসে ভারত  সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধিয়ে বিভিন্ন সময়ে হাজার হাজার মুসলমানকে হত্যা করেছে। এ হত্যাযজ্ঞের যাত্রা এখনো চলমান।বর্তমান ভারতে মুসলমান জনসংখ্যা সমগ্র বিশ্বের নিরিখে তৃতীয় বৃহত্তম।ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের পর সবচেয়ে বেশি মুসলমানদের বাস ভারতে। সেহিসেবে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম সংখ্যালঘু-মুসলমান অধ্যুষিত রাষ্ট্র। ভারতের হিন্দু ধর্মের পর দ্বিতীয় বহুল-প্রচলিত ধর্মবিশ্বাসের অনুসারীরা হচ্ছেন মুসলমানেরা।তাই জনসংখ্যার বিচারে ভারতে মুসলমানদের সংখ্যা ঠিক হিন্দুদের পরেই। ভারতের জনসংখ্যার মোট ১৩.৪ শতাংশ মুসলমান। দেশের মুসলমান জনসংখ্যা ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে ১৩৮,০০০,০০০ এবং ২০০৯ সালের প্রাককলন অনুসারে ১৬০,৯৪৫,০০০। এখন ভারত ...

বাবরি মসজিদ মামলার রায় মুসলমানদের রক্তক্ষরণ বাড়িয়েছে

ছবি
  আজ ৯ নভেম্বর বিশ্ব ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়। আজকের দিনে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু জনগোষ্ঠীকে খুশি করতে ভারতীয় সুপ্রিমকোর্ট প্রায় পাঁচশ বছরের পুরনো মসজিদ বাবরি মসজিদ নিয়ে এক বিতর্কিত রায় দিল। এই রায় ভারতের ২০ কোটি মুসলমানসহ বিশ্বের ১৮০ কোটি মুসলমানকে চরমভাবে মর্মাহত করেছে। ঘটিয়েছে হৃদয়ের রক্তক্ষরণ ।আমার ধারণা এই রায় যতটা না সাক্ষ্যপ্রমাণের ওপর ভিত্তি করে, তার চেয়েও বেশি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও চরম হিন্দুত্ববাদীদের খুশি করতে কোর্ট এই রায় দিয়েছে। রায়টা দেখে অন্তত সে রকমই মনে হয়েছে।এমনিতেই ভারতে  মুসলমানরা তীব্র চাপের মধ্যে বসবাস করছেন। সুপ্রিম কোর্টের এই রায় ভারতে বাস করা মুসলমানদের আরও চাপের মধ্যে ফেলবে। ভারতের অন্য মসজিদের ওপর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দৃষ্টি পড়বে এবং তারা আরো উৎসাহিত হবে।একটি কথা বলে রাখা প্রয়োজন,  সেদিন যদি হিন্দুরা বাবরি মসজিদকে ধবংস না করতো তাহলে আজ এই সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে সুপ্রিমকোর্ট এমন আবেগী রায় দিতে  না। রায়টি একটি ষড়যন্ত্রের অংশ মাত্র।সুপ্রিমকোর্টের রায়টি একটি মানুষকে হাড় হাড্ডি ভেঙ্গে আহত করে তার নামে উলটো মামলা দিয়ে তাকেই শাস্তি ভোগ করান...