পোস্টগুলি

নাইজেরিয়া

    নাইজেরিয়া পশ্চিম আফ্রিকার একটি রাষ্ট্র। পশ্চিমে বেনিন , পূর্বে চাদ ও ক্যামেরুন , উত্তরে নাইজার এবং দক্ষিণে গিনি উপসাগর অবস্থিত। নাইজেরিয়ার নাম শুনলে প্রথমেই মনে আসে আফ্রিকার বৃহৎ তেল উৎপাদনকারী দেশের কথা। এছাড়া চলচ্চিত্র ও সঙ্গীতের জন্য রয়েছে দেশটির সুনাম। তবে দুর্নীতির জন্যেও দেশটি অনেকের কাছে পরিচিত। তবে এই জানার বাইরেও রয়েছে নাইজেরিয়ার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির দীর্ঘ ইতিহাস। রাজধানীঃ আবুজা ও সবচেয়ে বড় শহর । শহরটিকে ১৯৮০-র দশকে পরিকল্পিতভাবে উপকূলীয় ঘনবসতিপূর্ণ শহর লেগোসের বিকল্প রাজধানী শহর হিসেবে নির্মাণ করা হয়। ১৯৯১ সালের ১২ই ডিসেম্বর লেগোসের পরিবর্তে আবুজাকে রাজধানীর মর্যাদা দান করা হয়। আয়তনঃ ৯ লাখ ২৩ হাজার ৭৬৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের জনসংখ্যাঃ দেশটিতে প্রায় ২০ কোটি মানুষের বসবাস। আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশ এটি। জনসংখ্যা ও অর্থনীতির বিচারে নাইজেরিয়াকে আফ্রিকার দৈত্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জাতিগোষ্ঠীঃহাউসা ২১% , ইউরুবা ২১% , ইবো ১৮% ও ফুলানি ১১%।ছোট-বড় প্রায় ৫০০ টি জাতিগোষ্ঠীর বাস এখানে। ভাষাঃ নাইজেরিয়ার সরকারি ভাষা ইংরেজি হলেও ইয়োরুবা , ইগবো ও হাউসা ভাষা তিনটি কার্য

নাইজার

    পশ্চিম আফ্রিকার সবচেয়ে বড় দেশ নাইজার। দক্ষিণে নাইজেরিয়া ও বেনিন , পশ্চিমে বুরকিনা ফাসো ও মালি , উত্তরে আলজেরিয়া ও লিবিয়া , এবং পূর্বে চাদ। স্থলবেষ্টিত এই দেশটির নাম রাখা হয়েছে নাইজার নদীর নামানুসারে। আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত সম্পূর্ণ স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র নাইজার। দেশটির শতকরা ৮০ ভাগ এলাকাজুড়ে রয়েছে সাহারা মরুভূমি। দেশটির উচ্চতম স্থান হচ্ছে মাউন্ট গ্রিবাউন , যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬ , ৩৭৮ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এবং নিম্নতম স্থান হচ্ছে নাইজার নদীর সীমান্তে ও সেনেগাল নদীর শুরুতে। যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৯০ ফুট উঁচু। রাজধানী ও সবচেয়ে বড় শহর : নিয়ামি। আয়তন : ১২ লাখ ৬৭ হাজার বর্গকিলোমিটার। আয়তনের দিক থেকে এটি বিশ্বের ২২তম বৃহত্তম দেশ। জনসংখ্যা : দুই কোটি ছয় লাখ ৭৩ হাজার। জাতিগোষ্ঠী হাউসা ৫৬% , জেরমা ২২% , ফুলানী ৯% , তুয়ারেগ ৮%। ধর্মঃ ৯৮% মুসলিম , ০.৫ % খ্রস্টান। জাতীয় ভাষা : আরবি বুদুমা , ফুফুলদে , গৌরমানচেমা , হাউসা কানুরি। আইনসভা : জাতীয় পরিষদ। দাপ্তরিক ভাষা : ফরাসি। ফ্রান্স থেকে স্বাধীনতা : ৩ আগস্ট ১৯৬০। মূদ্রা : পশ্চিম আফ্রিকান সিএফএ ফ্রাঁ। জাতিসংঘে যোগদান :

পশ্চিম আফ্রিকা

    পশ্চিম আফ্রিকা বলতে আফ্রিকা মহাদেশের পশ্চিমাংশ অবস্থিত একটি বিশেষভাবে সংজ্ঞায়িত অঞ্চলকে বোঝায়। সংজ্ঞা অনুযায়ী এটি ১৮টি দেশ বা রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত: বেনিন , বুর্কিনা ফাসো , কাবো ভের্দি , গাম্বিয়া , গানা , গিনি , গিনি বিসাউ , কোত দিভোয়ার , লাইবেরিয়া , মালি , মোরিতানিয়া , নাইজার , নাইজেরিয়া , সেন্ট হেলেনা দ্বীপ , সেনেগাল , সিয়েরা লিওন , সাঁউ তুমি ও প্রিন্সিপি এবং টোগো।আয়তন : ৫১ লক্ষ ১২ হাজার ৯০৩ বর্গকিলোমিটার । জনসংখ্যা৩৮১মিলিয়ন। পশ্চিম আফ্রিকার ৬০%মানুষের ধর্ম ইসলাম ।মুসলিম অঞ্চলগুলির মধ্যে রয়েছে সেনেগাল , গাম্বিয়া , মালি , মৌরিতানিয়া , গিনি , নাইজার ; সিয়েরা লিওন এবং অভ্যন্তরীণ লাইবেরিয়ার উপরের উপকূল এবং অভ্যন্তরীণ দুই-তৃতীয়াংশ। বুর্কিনা ফাসোর পশ্চিম , উত্তর এবং সুদূর-পূর্ব অঞ্চল ; এবং নাইজেরিয়া , বেনিন , টোগো , ঘানা এবং আইভরি কোস্টের উপকূলীয় দেশগুলির উত্তর ভাগে। পশ্চিম আফ্রিকায় ইসলাম – ৭মশতাব্দীতে মুসলিম আরবদের দ্বারা উত্তর আফ্রিকা বিজয়ের পরে , ইসলাম ৯ম শতাব্দীতেপশ্চিমআফ্রিকায়বণিক , ব্যবসায়ী , পণ্ডিত এবং ধর্ম প্রচারকদেরমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল।ইসলাম অষ্টম শত

বিন লাদেন হত্যার দশ বছর এবং পরবর্তী প্রভাব

ছবি
বিন লাদেন সৌদী আরবে জন্মগ্রহণকারী যাকে আল কায়েদা সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। সাধারণত তিনি ওসামা বিন লাদেন নামে পরিচিত। বিন লাদেন ১১ সেপ্টেম্বর ২০০১ সালে আমেরিকা টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার জন্য বহুলভাবে পরিচিত। ওসামা বিন লাদেন দুইটি ফতোয়া জারি করেন; একটি ১৯৯৬ সালে, অন্যটি ১৯৯৯ সালে । তার ফতোয়াটি ছিল, ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের উচিত মার্কিন সামরিক ও বেসামরিক জনগণকে হত্যা করা যতক্ষণ না যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের প্রতি সব সহায়তা বন্ধ করে এবং সব মুসলিম দেশ থেকে সামরিক শক্তি অপসারণ করে। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর পর লাদেন মার্কিন প্রশাসনের চোখে বিশ্বের শীর্ষ সন্ত্রাসী হয়ে ওঠেন। বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র ও টুইন টাওয়ারে চালানো ওই হামলায় তিন হাজারের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার দায় চাপে বিন লাদেনের ওপর। হামলার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। হামলার পর প্রথম দিনেই নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে বড় ধস নামে। এক মাসেই চাকরি হারান ১ লাখ ৪৩ হাজার মানুষ। ধারণা করা হয়, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলায় আনুমানিক ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূ