পোস্টগুলি

লাত উযযা ও মানাত এদের পরিণতি

ছবি
তোমরা কি ভেবে দেখেছ লাত ও উযযা সম্পর্কে এবং তৃতীয় আরেকটি মানাত সম্পর্কে।(সুরা নাজম আয়াত-১৯-২০)। এ কথা মুশরিকদেরকে তিরস্কার করে বলা হচ্ছে যে, এই হল আল্লাহর মহিমা যা উল্লেখ হয়েছে। তিনি হলেন জিবরীল (আ)-এর মত মহান ফিরিশতার স্রষ্টা। মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর মত ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষটি হল তাঁর রসূল। তাঁকে তিনি আসমানে ডেকে নিয়ে স্বীয় বড় বড় নিদর্শনসমূহ প্রদর্শন করেন। তাঁর উপর অহীও অবতীর্ণ করেন। বল তো, তোমরা যেসব উপাস্যের উপাসনা কর, তাদের মধ্যেও কি এই বা এই ধরনের গুণাবলী আছে? অর্থাৎ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তোমাদের যে শিক্ষা দিচ্ছেন তোমরা তো তাকে গোমরাহী ও কুপথগামিতা বলে আখ্যায়িত করছে। অথচ এ জ্ঞান তাকে আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে দেয়া হচ্ছে। আর আল্লাহ তা’আলা তাকে চাক্ষষভাবে এমন সব সত্য ও বাস্তবতা দেখিয়েছেন যার সাক্ষ্য তিনি তোমাদের সামনে পেশ করছেন। এ প্রসঙ্গে বিশেষভাবে মুশরিক আরবদের তিনজন দেবীর কথা উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে যাদেরকে মক্কা, তায়েফ, মদীনা এবং হিজাজের আশে পাশের লোক জন বেশী বেশী পূজা করত। তফসীরে কুরতুবীর বরাতে তফসীরে মাআরেফুল কোরআনে বলা হয়েছে,

আল্লাহ যেভাবে ইহুদিদের বানর বানিয়ে ধ্বংস করলেন

ছবি
হযরত ইসহাক (আ.)-এর পুত্র হযরত ইয়াকুব (আ.)-এর বংশধররা বনি ইসরাইল নামে পরিচিত। বনি ইসরাইল হচ্ছে আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহপ্রাপ্ত ইব্রাহিম (আ.)-এর বংশধরদের একটি শাখা। এ শাখারই একটি অংশ পরবর্তীকালে নিজেদের ইহুদি নামে পরিচয় দিতে থাকে। ইয়াকুব (আ)-এর উপাধি ইসরায়েল। এই ইয়াকুব বা ইসরায়েলের ১২ সন্তান। ১২ সন্তানের চতুর্থ জনের নাম ইয়াহুদাহ। ইয়াহুদাহর অনুসারীরা তাঁর নামানুসারে ইয়াহুদি নামে পরিচিত হয়।হজরত ইয়াকুব (আ.)-এর এক পুত্রের নাম ছিল ইয়াহুদা । সেই নামের অংশবিশেষ থেকে ‘ইহুদি’ নামকরণ করা হয়েছিল। (তাফসিরে মাওয়ারদি - ১/১৩১)। ইহুদিবাদের আদি স্থপতি মুসা বা মোজেস। এ জাতি যুগ যুগ ধরে খোদাদ্রোহিতা, কুফরি ও তাদের খারাপ কর্মকাণ্ডের জন্য মানুষের কাছে অত্যন্ত ঘৃণাভরে পরিচিতি পেয়ে এসেছে। জন্মগতভাবেই এই জাতি খুবই চতুর ও ধুরন্ধর হওয়ায় বিভিন্ন ছলচাতুরী দিয়ে মানুষকে বশীভূত রাখার কৌশল অবলম্বন করে। এর মাধ্যমে তারা অন্যের ওপর দিয়ে যুগে যুগে তাদের নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তাদের ওপর আরোপ করা হলো লাঞ্ছনা ও পরমুখাপেক্ষিতা। তারা আল্লাহর রোষানলে পতিত হয়ে ঘুরতে থাকল। এ জন্য যে তারা আল্লাহর বিধা

হযরত দাউদ (আ.) তালুত বনাম অত্যাচারী শাসক জালুতের যুদ্ধ

ছবি
আল কুরআনে আল্লাহ পাক আলোচ্য কাহিনী রাসুল্ কে জানিয়ে দিয়েছেন, যা তিনি কখনো কারো কাছে পড়েননি, কারো কাছে শোনেননি কিংবা তিনি নিজেও সেসব ঘটনা দেখেননি; আর সে সময় তথ্যপ্রযুক্তিরও যুগ ছিল না যে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ধারণকৃত দৃশ্য তিনি দেখে বলছেন, তাও নয়। বরং এ ঘটনা স্বয়ং আল্লাহ জানিয়ে দিচ্ছেন, যা সত্যিই বিস্ময়। দাউদ বাইবেলে যাকে ডেভিড নামে অভিহিত করা হয়েছে। বাইবেলের পুরানো নিয়মে (ওল্ড টেস্টামেন্ট) দাউদ(আ.) কে বলা হয়েছে সেন্ট লুইস ডেভিড।বাইবেলের বর্ণনা অনুসারে, তিনি ছিলেন একজন ইসরায়েল রাজতন্ত্রের দ্বিতীয় রাজা এবং বাইবেলের নূতন নিয়ম অনুসারে গালাতীয়দের প্রতি পত্র ও লূকলিখিত সুসমাচার মতে যীশুর পুর্বপুরুষ ইয়াকুবের পুত্র, ইয়াহুদার অধস্তন বংশধর । তার পিতার নাম জেসি।তার পিতামাতার অনেক পুত্র সন্তানের মধ্যে দাউদ ছিলেন পিতার কনিষ্ঠ সন্তান।বাইবেলের বিবরণে, ডেভিড একজন অল্প বয়সী মেষপালক ছিলেন, যিনি প্রথম একজন সঙ্গীতজ্ঞ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন এবং গলিয়াত দ্বারা মৃত্যুবরণ করেন। ইসরাইল রাষ্ট্রের প্রথম রাজা ছিলেন তালুত, যাকে বাইবেলে বলে সল (Saul)।দাউদ রাজা সল প্রিয় ছিলেন এবং সলের ছেলে যোন

কুরআনে বর্ণিত আসহাবুল উখদুদের কাহিনি

ছবি
কুরআনের সূরা বুরুজের ৪ নং আয়াত হতে ৮ নং আয়াত পর্যন্ত আসহাবুল উখদুদের ঘটনা আলোচনা করা হয়েছে । আল্লাহ বলেন,  অভিশপ্ত হয়েছিল কুণ্ডের অধিপতিরা। যে কুণ্ডে ছিল ইন্ধনপূর্ণ আগুন । যখন তারা এর পাশে উপবিষ্ট ছিল এবং তারা মুমিনদের সাথে যা করছিল তা প্ৰত্যক্ষ করছিল। আর তারা তাদেরকে নির্যাতন করেছিল শুধু এ কারণে যে , তারা ঈমান এনেছিল পরাক্রমশালী ও প্রশংসার যোগ্য আল্লাহর উপর। ( সুরা আল বুরুজ আয়াত ,  ৪ -৮ )। যারা বড় বড় গর্তের মধ্যে আগুন জ্বলিয়ে ঈমানদারদেরকে তার মধ্যে ফেলে দিয়েছিল এবং তাদের জ্বলে পুড়ে মরার বীভৎস দৃশ্য নিজেদের চোখে দেখেছিল তাদেরকে এখানে গর্তওয়ালা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে , তাদের ওপর আল্লাহর লা ' নত পড়েছিল এবং তারা আল্লাহর আযাবের অধিকারী হয়েছিল।(ইবন কাসীর ; ফাতহুল কাদীর) এর আরেক অর্থ ধ্বংস হয়েছিল।(সা ' দী)। জমিনে গর্ত করে এবং তাতে আগুন জ্বালিয়ে ঈমানদার লোকদের তার মধ্যে নিক্ষেপ করে পুড়িয়ে মারার ঘটনার কথা আল কুরআন ও হাদিসে রাসূল-এ পাওয়া যায়।   মুসলিম ও তিরমিযী শরিফে বর্ণিত হয়েছে ঘটনাটি।গর্তে আগুন জ্বলিয়ে ঈমানদারদেরকে তার মধ্যে নিক্ষেপ করার ঘটনা।সুহাইব রুমী (রা) রাসূলুল

কুরআনে আলোচিত আসহাবে কাহফের কাহিনি

ছবি
ছবিঃ প্রতীকী আসহাবে কাহাফ অর্থ গুহাবাসী।আসহাবে কাহাফকে পাশ্চাত্যে Seven sleepers of Ephesus অর্থাৎ এফিসাসের সুপ্ত সপ্তক আখ্যায় আখ্যায়িত করা হয়। হযরত ঈসা (আ.)-এর ঊর্ধ্বলোকে গমনের পরবর্তী সময়ে আসহাবে কাহফের ঘটনা ঘটেছিল। ঘটনাটি তৎকালীন রোম সাম্রাজ্যের কোনো এক স্থানে সংঘটিত হয়েছিল। রোমের ক্ষমতায় তখন অধিষ্ঠিত ছিলেন একজন অত্যাচারী শাসক। তাফসিরে ইবনে কাসিরে উল্লেখ আছে, যে অত্যাচারী শাসকের তাড়ায় যুবকরা পালিয়েছিল, তার নাম ছিল দাকিয়ুস। তাদের সঙ্গে একটি কুকুর ছিল। কুকুরের নাম ছিল কিতমির।হযরত ইবনে আব্বাস (রা.)বলেছেন, গুহাবাসীর সংখ্যা ছিল সাত জন। কোনো কোনো বর্ণনা মতে, তাদের নাম ছিল—মুকসালমিনা, তামলিখা, মারতুনিস, সানুনিস, সারিনুনিস, জু-নিওয়াস, কাস্তিতিউনিস।সুরা কাহাফের ৯-২৬ নং আয়াতে আসহাবে কাহাফের ঘটনা উল্লেখ রয়েছে ।কুরআনের সুরা কাহাফ মক্কাতে অবতীর্ণ হয়, অর্থাৎ তখনও হযরত মুহাম্মাদ (সা) ও তাঁর অনুসারীরা হিজরত করে মদিনায় চলে যাননি। কিন্তু মক্কাতে তখন তাঁর অনুসারীর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে দেখে কাফের কুরাইশরা খুবই চিন্তিত হয়ে পড়ে। যেহেতু নবী (সা) এমন ধর্ম প্রচার করে চলেছিলেন, যেখ

হারুত মারুত ও জোহরা নামক নারীকে নিয়ে যে মুখরোচক গল্প প্রচলিত আছে

ছবি
বর্তমানে ইরাকের ফোরাত নদীর তীরের ধ্বংস হয়ে যাওয়া তৎকালীন সময়ের উন্নত এক শহরের নাম বাবেল। যার অবস্থান প্রাচীন মেসোপটেমিয়া বর্তমানের মধ্য ইরাক।সারা দুনিয়া যেটিকে ব্যাবিলন নামে চেনে।বাবেল শহরে হারুত ও মারুত দুটি নাম জড়িয়ে আছে। যাঁদের নিয়ে রচিত হয়েছে নানা কল্পকাহিনি। গদ্য-পদ্য আর সাহিত্যরসে ভরপুর সেসব ঘটনাবলি কমবেশি সবাই জানেন।ঘটনাটি এমন- হারুত এবং মারুত দুজন ফেরেশতার নাম। যাদেরকে বিশেষ কারণে পৃথিবীর কিছু বিষয় নিরীক্ষণের জন্য আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াতে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু তারা তাদের নিরীক্ষায় অপরিণামদর্শিতার পরিচয় দেয় এবং শাস্তির মুখোমুখি হয়। ঘটনাটি এরকম- হজরত আদম (আ.) এবং বেশ কিছু নবি-রাসুলের পরলোক গমনের পর ধীরে ধীরে মানুষের মাঝে যখন পাপাচার এবং অবাধ্যতা ছড়িয়ে পড়ে তখন ফেরেশতারা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে লাগলো, দেখো, মানুষগুলো কেমন অবাধ্য। তারা আল্লাহর আনুগত্য ছেড়ে পাপাচার এবং বিশৃংখলায় লিপ্ত হয়ে গেছে। আমরা যদি হতাম তবে কখনোই এমনটি করতাম না। আল্লাহ তাআলা তাদের কথা শুনে বললেন, ঠিক আছে, তবে তোমাদের মধ্য থেকে দুজনকে পৃথিবীতে পাঠাও পরীক্ষার জন্য। দেখা যাক তারা পৃথিবীতে কীভাবে নিজে

জুলকারনাইন ও কুরআনে বর্ণিত ইয়াজুজ-মাজুজের কাহিনি

ছবি
জুলকারনাইন কুরআনে উল্লিখিত একজন ব্যক্তি। কুরআনের সুরা কাহাফে জুলকারনাইন নামটি উল্লিখিত আছে।জুলকারনাইন কে ছিলেন, কোন যুগে ও কোন দেশে ছিলেন এবং তার নাম জুলকারনাইন হল কেন? জুলকারনাইন নামকরণের হেতু সম্পর্কে বহু উক্তি ও তীব্র মতভেদ পরিদৃষ্ট হয়। কেউ বলেন,তার মাথার চুলে দুটি গুচ্ছ ছিল। তাই জুলকারনাইন (দুই গুচ্ছওয়ালা) আখ্যায়িত হয়েছেন। কেউ বলেন,পাশ্চাত্য ও প্রাচ্যদেশসমূহ জয় করার কারণে জুলকারনাইন খেতাবে ভূষিত হয়েছেন। কেউ এমনও বলেছেন যে, তার মাথায় শিং-এর অনুরূপ দুটি চিহ্ন ছিল। কোন কোন বর্ণনায় এসেছে যে, তার মাথার দুই দিকে দুটি ক্ষতচিহ্ন ছিল।(ইবন কাসীর; ফাতহুল কাদীর) ‘তাফহিমুল কোরআন’ গ্রন্থে এসেছে, জুলকারনাইন সম্পর্কে কোরআন থেকে চারটি কথা জানা যায়। এক. তাঁর ‘শিংওয়ালা’ উপাধি সম্পর্কে ইহুদিরা জানত। দুই. তাঁর বিজয়াভিযান পূর্ব থেকে পশ্চিমে পরিচালিত হয়েছিল এবং উত্তর-দক্ষিণ দিকে বিস্তৃত হয়েছিল। তিন. তিনি ইয়াজুজ মাজুজের হাত থেকে রক্ষার জন্য কোনো পার্বত্য গিরিপথে একটি মজবুত প্রাচীর নির্মাণ করেন। চার. তিনি আল্লাহর আনুগত্যশীল ও ন্যায়পরায়ণ শাসক ছিলেন। আধুনিক যুগের গবেষক ও পন্ডিতদের ম