পোস্টগুলি

নারী

কবিতা নারী নারীকে কে বলে অবলা! ওরে অবুঝের দল নারীর আছে শক্তি সাহস বিপ্লবী হবার বল। প্রীতিলতা ইলামিত্র ইতিহাসের বিপ্লবী নারী অধিকার আদায়ে দিয়েছ দুর্গম পথ পাড়ি। নারী হয়েছে পুরুষের সঙ্গী দৃঢ় মনোবল সেই নারীর ছলনায় কত জীবন বিফল। নারীর ছলনায় পুরষ হারিয়েছে রাজ্য সিংহাসন পথের ধুলোয় লুটিয়েছে,  জোটেনি খাদ্য বসন। নারীর ছলনায় কত পুরুষ হয়েছে ফেরারী বৈরাগ্য সাধনে পথে পথে ঘোরে ছেড়ে বাড়ী। নারীর পরশে জীবনে কারো গহীন অন্ধকার,   চূর্ণ বিচূর্ণ করেছে নারী কত পুরুষের অহঙ্কার। নারীর সামনে নত হয়েছে কত বিশ্বজয়ী বীর। নারীর পরশ পেতে পুরষ কতটা উন্মুখ অধীর। নারী হয়েছে ঘসেঠি বেগম কখনো মাদার তেরেসা নারীর ছোঁয়ায় জীবন্ত পুরুষ পেয়ে সেবা শুশ্রুষা।

অভিশাপ

যদি সহস্র বছর চরণে বসে কাঁদো যদি সমগ্র বসুধা হয় অশ্রুতে নদও তবুও ক্ষমা  নেই তোমার। যদি হাতে দাও পূর্ণিমা শোভিত চাঁদ যদি উচ্চকিত হয় দিগ্বিদিক বজ্রনাদ, তবুও তোমার ক্ষমা নেই প্রিয়তমা। তোমার দুচোখে দেখেছি অামি ছলনা অনুক্ষণ সুরতে দেখেছি আমার সাথে জোচ্চুরির বাঁধ ভাঙ্গা উল্লাসের অনুরণন । যখন আমি হৃদয়ের ব্যথার কাতরে সংজ্ঞাহীন,  গভীর রজনীতে নিদ্রাহীন, তখন তুমি ভেসেছো নিত্য আনন্দের জোয়ারে, নিঃসংশয়ে দ্বিধাহীন । তোমার চিত্তে ছিল ভরা অাষাঢ়ের চির চেনা প্রমত্তা পদ্মা নদী, আমার চিত্তে বইছিল মরু ঝড়ের তান্ডবলীলা নিরবধি। ক্ষমা!ক্ষমা করিব কারে? জেনে শুনে যে দিল প্রশান্ত বারি সম ব্যথা? ক্ষত বিক্ষত হৃদয়ে দিল মোর শোক মর্সিয়ার কাব্যগাথা। ক্ষমা নেই ছলনাময়ীর যে ভাঙ্গে স্বপ্ন মোর, হৃদয়  মন্দিরে কুঠার হানে, মোর দেহে বসে মোরে আঘাতে জর্জরিত করে,হৃদয় খুনের অস্ত্র শানে। ক্ষমায় আমি বড়ই অনুদার, বলতে পারো নিরুপায়, আঘাতে আমি নির্বাক বলে, পারিনে উচ্চারণে ক্ষমায়। দিলুম বিদায় লগ্নে তোমারে অভিশপ্ত জীবনের যন্ত্র‌ণা।  তখন শুধরে কি হবে? কি হবে করে মোর ভূয়সী  বন্দনা। যখন বইতে হবে বিরহ জগত সংসারে অসহ্য

আমার বাবা

'মা' এর মতো ‘বাবা’ও ছোট্ট একটি শব্দ, অথচ গভীরতা অতলান্ত-অসীম। বাবা নিদাঘ সূর্যের তলে সন্তানের অমল-শীতল ছায়া। বাবার তুলনা তিনি নিজেই। বাবা শাশ্বত, চির আপন, চিরন্তন। বাবার সঙ্গে সন্তানের সম্পর্কে মিশে থাকে খানিকটা দূরত্ব, খানিকটা সংকোচ, খানিকটা ভীতি মেশানো শ্রদ্ধা। আবার কীভাবে যেন তাঁর মধ্যেই খুঁজে পাওয়া যায় এক আকাশ নির্ভরতা আর একরাশ নিরাপত্তার অনুভূতি। তিনি ভালোবাসেন ঠিকই, স্নেহও করেন। কোথা থেকে যে বাবার জন্য এত মায়া, এত ভালোবাসা, এত টান তৈরি হয়েছে বুঝতে পারি না। শুধু বুঝি বাবা আমার পরম প্রিয় বন্ধু। আমার অনুপ্রেরণা। আমার আত্মবিশ্বাস। সবকিছু উজাড় করে দেয়ার পরও তাকে কোনোভাবে নিঃস্ব বলে মনে হয় না। মনে হয় তিনি যেন পরম তৃপ্তিতে আরও পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছেন। "মরিয়া বাবর অমর হইয়াছে, নাহি তার কোনো  ক্ষয়, পিতৃস্নেহের কাছে হইয়াছে মরণের পরাজয়। " আজ বয়সের ভারে বাবা খানিকটা দুর্বল। আগের মত শক্তি হাঁটা চলা না থাকলেও সবকিছুই চলে নিয়ম মাফিক। কণ্ঠ স্বর আগের মতোই বুলন্দ ও দরাজ। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামায়াতে পড়ার অভ্যাসটা এখনো তার রয়ে গেছে। আমার প্রিয় মানুষটির বয়স এখন আশির  ঘর পেরিয়ে

মুসলিমরা কেন নির্যাতিত ও ইতিহাসের একটি গল্প

গল্পটি বলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। "মঙ্গোল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা চেঙ্গিস খানের নাতি হালাকু খান ইরাকের বাগদাদ শহর দখল করার পর, শহরের শুরু থেকে শেষ আগুন লাগিয়ে দেয়।আমীর আলীর মতে, ‘বাগদাদ আক্রমণে যে ধ্বংসলীলা অনুষ্ঠিত হয় তা থেকে অন্যান্য শহরে কি ঘটেছিল তার আভাস পাওয়া যায়। তিনদিন ধরে শহরের পথে রক্তের স্রোত প্রবাহিত হয়েছিল এবং তাইগ্রিস নদীর পানি মাইলের পর মাইল রক্তে লাল হয়ে উঠেছিল।" ঐতিহাসিকদের কারো কারো মতে প্রায় ৪ লক্ষ মানুষকে হালাকু খান হত্যা করে।ইবনে খলদুনের মতে, মোঙ্গলদের আক্রমণের ফলে ১,৬০,০০০ লোক প্রাণ হারায়, মতান্তরে ২০,০০,০০০ অধিবাসীদের ১৬,০০,০০০ লোক মারা যায়। দজলা ফোরাত নদী রক্তিম বর্ণ ধারণ করে।  শত শত বছরের পরিশ্রমে নির্মিত বাগদাদের মসজিদ,প্রাসাদ, লাইব্রেরী এবং বাসভবনগুলো মাটির সাথে মিশিয়ে দেয় হালাকু খানের সেনাবাহিনী। বাগদাদ ধ্বংসের নিষ্ঠুরতা সম্পর্কে ব্রাউন বলেন, ‘সম্ভবত কখনোই এত বড় ও সমৃদ্ধশালী একটি সভ্যতা এত দ্রুত অগ্নিশিখায় বিধ্বস্ত ও রক্তধারায় নিশ্চিহ্ন হয়নি। এরপর এই জালিম হালাকু খান বাগদাদের সবচেয়ে বড় আলেমের সাথে দেখা করতে চাইলো। কিন্তু, কোনো আলেম-ই হা

এবারের বাজেট এবং শিক্ষা বাজেট

  শিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের  সাফল্য ইতিবাচক হলেও শিক্ষার গুণগত মান অর্জনে বাংলাদেশ এখনো পিছিয়ে রয়েছে এবং পরিতাপের বিষয় হলো শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ অদ্যবধি নেওয়া হয়নি। প্রতি বছর বাজেট পেশ হয় শিক্ষাখাতে অর্থ ব্যয় হয় কিন্তু প্রত্যাশিত অর্জন এখনো আমাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে।সুশিক্ষিত জাতি তৈরি ও উন্নত রাষ্ট্র বিনির্মাণে শিক্ষা খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন। বর্তমানের বাজেট কতটুকু শিক্ষা সহায়ক তা নিয়ে আজকের আলোচনা। আট বছর আগে ২০১১-১২ অর্থবছরে জাতীয় বাজেট ছিল ১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকার। যেখানে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিল ১২ দশমিক ১১ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেটের শিক্ষা বাজেটে মোট ৮৭ হাজার ৬২০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে যা মোট বাজেট বরাদ্দের ১৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এটা জিডিপির ৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। এটি এখন পর্যন্ত বাজেটে শিক্ষায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ।। যদিও ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল জাতীয় বাজেটের ১৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এদুটো বাজেট বাদে বিগত বছরের অধিকাংশ বাজেট তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা গেছে,সব সময়ই শিক্ষা খাতে বরাদ্দ জাতীয় বাজেটের ১০ থেকে ১২ শতা

কুরআনের দৃষ্টিতে সাফল্য!

দুনিয়ার জীবনে সাফল্য বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন রকম। কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ-সম্পদ কামানোর নামই কি সফলতা? নাকি নিজের পরিবারের সবার মুখে হাসি ফোটানোতে, অল্পে তুষ্ট থাকতে পারাতেই সফলতা? একেকজনের দৃষ্টিকোণ থেকে সফলতার সংজ্ঞা হতে পারে একেক রকম। কেউ হয়তো অ্যাপলের নতুন আইফোন পকেটে রাখাকে সফলতা মনে করবেন। আবার নিম্ন মধ্যবিত্ত কারও কাছে ওয়ালটন মোবাইলই হতে পারে সফলতা।কারো কাছে সাফল্য মানে ৯ বার পড়ে গিয়ে ১০ম বার উঠে দাঁড়ানো।  কিন্তু একজন মুসলিমের জীবনে যে ব্যক্তি নিজের ইচ্ছাকে সঁপে দিয়েছেন মহান আল্লাহর কাছে, তার কাছে সফলতা শুধু দুনিয়াবি চাওয়া-পাওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সীমাবদ্ধ নয় নিজের কিংবা সমাজের দৃষ্টিকোণের সীমিত গন্ডির মধ্যে। এমন ব্যক্তির কাছে সফলতার সংজ্ঞা অনেক বেশি প্রশস্ত। অনেক বেশি বাস্তব। অনেক বেশি সত্য। এই সফলতা চূড়ান্ত সফলতা; কারণ, যে ব্যক্তি আল্লাহর চোখে সফল সেই প্রকৃত অর্থে সফল সফলতা অনুভবের বিষয় বটে। এটি আপেক্ষিক বিষয়। কুরআনের দৃষ্টিতে সাফল্য - যারা আল্লাহ, তাঁর রাসূল, তাঁর ফেরেশতা, তাঁর পাঠানো গ্রন্থগুলো এবং পরকালের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসী । (২:৫) যারা সৎকাজের প্রতি আহ্বান করে, ভালো কাজ

এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না!

ধর্ষণের খবরে চারিদিকে ছড়াছড়ি। এটি যে নিছক গুজব বলে উড়িয়ে দেবেন সেই সুযোগ এখন নেই। ঘটনা চারিদিকে ঘটছে। চাউর হচেছ। পত্র পত্রিকা ফেসবুকের নিউজ ফিডে আসছে। একই সংবাদ বিভিন্ন মিডিয়ায় আসছে বলে এর সত্যতা নিয়ে সন্দিহান হবার অবকাশ নাই।  গুজব বলে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যায় চলতি বছরের প্রথম সাড়ে তিন মাসে ৩৯৬ জন নারী-শিশু হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। হঠাৎ করে বাঙালি সমাজে ধর্ষণের মত বিকৃত মানসিকতার এত বিস্তার লাভের  কারণ কি? এজন্য বিশাল গবেষণার প্রয়োজন নেই। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী  মমতার মতো বলার প্রয়োজন নেই“ জনসংখ্যা বাড়ছে তাই ধর্ষণ বাড়ছে ”।কথাটা বড়ই অশালীন ও অশ্রাব্য। একজন নারী হয়ে সমস্যার গোড়ায় হাত না দিয়ে দায়িত্বশীল একজন ব্যক্তির  এরকম উদ্ভট কথা বলাটা কতটুকু সমীচীন? রাজনীতির কারণে কত লাগামহীন কথায় না তাদের বলতে হয়।তাই বলে এখানেও। হায়রে মানুষ ক্ষমতার জন্য আমরা কতটা অন্ধ হয়ে যাই। আজ  সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত বেঁচে থাকলে শেখ সাদীর কবিতার এভাবেই  বঙ্গানুবাদ করতেন। ধর্ষকের কাজ ধর্ষক করেছে সম্ভ্রম কেড়েছে নারীর, তা বলে ধর্ষকের বিচার করা সভ্য সমাজে কু নজির। রাজনীতিকদের