সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আইভরি কোস্ট

 


দেশটির পশ্চিমে গিনি ও লাইবেরিয়া, উত্তরে বুর্কিনা ফাসো ও পূর্বে ঘানা। আলাসেন ওয়াট্টারা আরবিতে দেশটির নাম ‘সাহিলুল আজ’। যার অর্থ হলো, হস্তীদন্তের উপকূল।

দেশটির রাজনৈতিক রাজধানী ইয়ামুসুক্রো। বৃহত্তম বন্দর নগরী আবিদজান হলো অর্থনৈতিক রাজধানী।

আয়তনঃ ৩২২,৪৬৩ বর্গকিলোমিটার

জনসংখ্যা

ধর্মঃ ৪২ দশমিক ৯ শতাংশ মুসলিম।

নামকরণ

আইভরি কোস্টের নামকরণের ব্যাপারে বলা হয়, প্রাচীনকালে আফ্রিকার ব্যবসায়ীরা হাতির দাঁত একত্র করে উপকূলে এসে বিক্রি করত। তা থেকেই ‘আইভরি কোস্ট’ বা ‘হাতির দাঁতের উপকূল’ নামে পরিচিতি লাভ করে।

ইতিহাস

ইউরোপীয় উপনিবেশসহ বিভিন্ন রাষ্ট্র দ্বারা শাসিত দেশটি ১৯৬০ সালে স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৬০ সালের ৭ আগস্ট দেশটি ফ্রান্স থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। তবে ফ্রান্সের সঙ্গে দেশটি এখনো বিভিন্ন চুক্তিতে আবদ্ধ। ১৯৯৯ সালে আবারও দুটি গৃহযুদ্ধের মুখোমুখি হয়। প্রথমটি ২০০২-২০০৭ সালের দিকে। দ্বিতীয়টি ২০১০-২০১১ সালে।

ইসলামের আগমন

আইভরি কোস্টে নানা উপায়ে ইসলামের আগমন হয়। মুসলিম ব্যবসায়ীদের পদচারণ ছিল আফ্রিকার এ অঞ্চলে। ব্যবসা-বাণিজ্যে মুসলিম বণিকদের সদাচার ও সততা দেখে মুগ্ধ হয় স্থানীয়রা। মুসলিমদের মধ্যে কোরআন ও হাদিসের পাঠ ও কর্মপন্থায় এর অনুসরণ তাদের অন্তরে দাগ কাটে। ফলে তারা ধীরে ধীরে আগ্রহী হয়ে ওঠে ইসলামের প্রতি। পৌত্তলিক গোত্রগুলোতে মুসলিমদের আদর্শ ও শিক্ষার প্রভাব বাড়তে থাকে।

বিশেষ একটি কারণে আইভরি কোস্টে ইসলামের ব্যাপক প্রচার-প্রসার হয়। ১০২৫ খ্রিস্টাব্দে আইভরি কোস্টের প্রসিদ্ধ পরিবার মান্ডিংকা গোত্রের নেতারা ইসলাম গ্রহণ করেন। আইভরি কোস্টে ইসলাম প্রচারে তাঁদের ব্যাপক ভূমিকা আছে। মান্ডিংকা গোত্রটি পশ্চিম আফ্রিকার বৃহৎ ও প্রাচীন একটি পরিবার। পশ্চিম ও দক্ষিণে আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূলে এবং নাইজার নদীর আশপাশসহ পশ্চিম ও উত্তরের মরুভূমিতে ছড়িয়ে আছে গোত্রটির সদস্যরা। বর্তমানের সুবিশাল আফ্রিকার দেশগুলোতে এই গোত্রটির বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা ছড়ানো।

১০৫০ সালে আইভরি কোস্টের উত্তরাঞ্চলে মান্ডিংকা বংশের মুসলিম গোত্রগুলো ঘানা সাম্রাজ্য থেকে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য প্রচেষ্টা শুরু করে। দীর্ঘ ২০ বছর পর ১০৭৬ সালে দেশটির দক্ষিণের মুরাবিত নেতা আবু বকর বিন উমরের নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন করে। এর পর থেকে সুদীর্ঘকাল ধরে আফ্রিকার এই অঞ্চলটি মুসলিম শাসনাধীন ছিল। সাম্রাজ্যের সব ক্ষেত্রেইসলামী আইন ও নীতিমালার বাস্তবায়ন ছিল।

অতঃপর ১৫ শতাব্দীর শেষলগ্নে পশ্চিম আফ্রিকার উপকূলে ইউরোপের অত্যাধুনিক নৌবহরের যাত্রা শুরু হয়। ১৪৯২ সালে আমেরিকা আবিষ্কারের পর উপকূলবর্তী এই অঞ্চল থেকে ব্যাপকভাবে নারী, শিশু, তরুণ-তরুণীদের লুণ্ঠন করা শুরু হয়। অত্যন্ত ঘৃণ্য পন্থায় স্থানীয়দের বন্দি করে আমেরিকায় তাদের দাস-দাসী হিসেবে বিক্রি করা হয়। ১৮৪৮ সালে দাস প্রথার বিলুপ্তি পর্যন্ত ‘মানব লুণ্ঠন ও পাচার’ অব্যাহত থাকে। হত্যা, লুণ্ঠন ও লুটতরাজের কারণে মুসলিম শাসক ও জনগণের মধ্যে চরম অস্থিরতা বিরাজ করে। ১৮৬১ সালে মান্ডিংকার লোকদের সাহায্যে আফ্রিকার বিখ্যাত বীর শাসক সামোরি তুরে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা করে একটি সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন। এ সময় সামোরির নেতৃত্বে আইভরি কোস্টের মুসলিমরা দীর্ঘ সংগ্রাম করে। কিন্তু ১৮৯৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ফ্রান্স সেনাবাহিনীর হাতে সামোরি বন্দি হন এবং ১৯০০ সালে মৃত্যুবরণ করেন। অতঃপর ফ্রান্সের শাসনাধীন হয় আইভরি কোস্টসহ আফ্রিকার বিশাল অঞ্চল। আর অস্থিরতা ও যুদ্ধ-বিগ্রহে ইসলামী সভ্যতা ও সংস্কৃতির পরিসমাপ্তি ঘটে। বিশৃঙ্খলা ও স্থবিরতা আজও সেখানে বিরাজ করছে।

খনিজ সম্পদ

বিশ্বের অন্যতম প্রধান স্বর্ণ ও হীরা উৎপাদনকারী দেশ আইভরি কোস্ট। এছাড়াও রয়েছে তামা, নিকেল, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসহ আরো অনেক সম্পদ। বিশ্বের প্রধান কফি ও কোকো রফতানিকারক দেশ আইভরি কোস্ট।

দেশটির নিজস্ব কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান নেই। এখানকার শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে ফ্রান্সের নিয়ন্ত্রণে। বড় বড় ব্যবসার খাতগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে ফ্রেঞ্চ, লেবাননি ও মৌরিতানিয়ানরা।

আইভরিয়ানদের প্রধান খাদ্য ভুট্টা, কাসাবা, ইয়াম, ভাত ও রুটি। গ্রামের মানুষ সাধারণত কাসাবা (মিষ্টি কুমড়ার মতো বড় সাইজের আলুর মত দেখতে) এবং ইয়াম (মিষ্টি আলুর মতো দেখতে সাইজে বড় কচুর মতো) খেয়ে দিন কাটায়। কাসাবা ও ইয়াম মাটির নিচে উৎপাদিত হয়।

শানখরক্ষী

দেশটিকে পূর্ব ও পশ্চিম দুই সেক্টরে ভাগ করে কাজ করছে মিশনের সেনাসদস্যরা। আইভরি কোস্টের পশ্চিমাঞ্চলের সেক্টর হেডকোয়ার্টারের দায়িত্বে আছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইনুল ইসলাম। বাংলাদেশের দুটি ব্যাটেলিয়ান (ব্যানব্যাট-১ ও ব্যানবাট-৩) ছাড়াও তার নেতৃত্বে কাজ করছেন পাকিস্তান, সেনেগাল ও বেনিনের একটি করে তিনটিসহ মোট পাঁচটি ব্যাটেলিয়ন। এছাড়াও জাতিসংঘ ফোর্স কমান্ডের অধীনে হলেও বাংলাদেশের আরো দুটি (ব্যান মেডিকেল বা ব্যানমেড ও ব্যান ইঞ্জিনিয়ারিং) ব্যাটেরিয়নেরও দেখাশোনার দায়িত্ব তার। কারণ এ দুটি ব্যাটেলিয়নের অবস্থান পশ্চিম সেক্টরের সদর দফতরের কাছেই। এ দেশের রাজধানী ইয়োমাসুক্র থেকে ২৪০ কিলোমিটার দূরত্বের দালোয়া অঞ্চলে অবস্থিত সদর দফতর। এখানে দলোয়া বিমানবন্দরের জাতিসংঘের সব বিমান ও হেলিকপ্টার ওঠা-নামার সময়ও নিরাপত্তার দায়িত্ব বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওপর। সেনা ও পুলিশ সদস্যরা সে দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে ২৫০ মাইল দীর্ঘ এবং ৬২ মাইল প্রশস্ত জোন অব কনফিডেন্সের ভেতর-বাইরে বীরত্বের সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইনুল ইসলামের অধীনস্থ ব্যাটেলিয়ানের লোকবল প্রায় তিন হাজার। এদের মধ্যে ৩২টি দেশ থেকে আসা ৮০ জন পর্যবেক্ষক আছেন। এখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২১৫টি গাড়ি গড়ে প্রতি মাসে ২ লাখ ৭৩ হাজার কিলোমিটার পথ টহল দেয়। ২০০৬ সালের জুলাই থেকে গত মে মাস পর্যন্ত বাংলাদেশের মেডিকেল ব্যাটেলিয়ন ৫৮ হাজার ৬৪৬ জন আইভরিয়ানকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে।

আইভরি কোস্টে গোষ্ঠীগত বিরোধ যাতে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, সেজন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী রাতদিন টহল অব্যাহত রেখেছে। আইভরিয়ানদের মাঝে বিশ্বাস ফিরিয়ে আনার জন্য ফ্রান্সের লিকর্ণ ফোর্স বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে নিয়মিত টহলে অংশগ্রহণ করছে।আইভরি কোস্টে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে সেখানকার মানুষের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশীদের মানবসেবার তুষ্টিতে বাণিজ্যিক শহর মান-এর দানান এলাকায় বিশাল সড়কের নাম রাখা হয়েছে ‘বাংলাদেশ সড়ক’। ইয়ামাসুক্রোর অ্যাম্বাইয়াক্রো জেলার পার্বত্যাঞ্চল কসনডগুতে গড়ে ওঠা ‘বাংলাদেশ মৈত্রী স্কুল’-এ আইভরিয়ান ভাষার পাশাপাশি বাংলা ভাষা শিক্ষা দিচ্ছেন আইভরিয়ান শিক্ষকরা। আইভরি কোস্টের জেনুলা সিটির একটি বাড়ির ভেতরে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, শিল্প-সংস্কৃতির বিভিন্ন নিদর্শন অপূর্ব দক্ষতায়। নাম দেয়া হয়েছে ‘বাংলাদেশ সেন্টার’। জেনুলা সিটির প্রধান সড়কের বাম পাশে দেড় হাজার স্কয়ার মিটার জমির ওপর পাঁচ কামরার পুরনো পাকা বাড়িটি জেনুলার সিটি মেয়র জাম্বি গুই স্থায়ীভাবে বাংলাদেশ সেন্টারের নামে লিখে দিয়েছেন। বাড়ির আঙিনায় ব্যবস্থা রয়েছে শিশু-কিশোরদের বিনোদনের। বয়স্কদের বিশ্রামের জন্য রয়েছে টিনশেড ঘর। মেয়র গুই ২০০৫ সালের মে মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ সেন্টারের উদ্বোধন করেন।

দেশটি কোকো উৎপাদনের জন্য বিখ্যাতকৃষির ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করছে অনেক মানুষ।

টোগো

টোগো পশ্চিম আফ্রিকার একটি প্রজাতন্ত্র। এর উত্তরে বুর্কিনা ফাসো, পূর্বে বেনিন, দক্ষিণে গিনি উপসাগর, এবং পশ্চিমে ঘানা।টোগো জাতিসংঘের একটি সদস্য, আফ্রিকান ইউনিয়ন, ইসলামী সহযোগিতা, দক্ষিণ আটলান্টিক শান্তি ও সহযোগিতার জোন, লা ফ্রন্কোফোনির এবং পশ্চিম আফ্রিকান অর্থনৈতিক কমিউনিটি যুক্তরাষ্ট্রের সংগঠন।

লোমে টোগোর রাজধানী ও বৃহত্তম শহর।

দেশটির আয়তন ৫৬,৭৮৫ বর্গ কিমি।

ধর্মঃ ৪৩.৭%, খ্রিস্টান ,৩৫.৬%, মুসলিম ,হিন্দু ১৪ %। টোগোর মুসলমানরা মোট জনসংখ্যার ১২ - ২০% সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক২০% এবং পিউ গবেষণা কেন্দ্রের একটি সমীক্ষা ২০০৯ সালের হিসাবে জনসংখ্যার ১২.২% মুসলমান ।

ইতিহাস

১৬ শ শতক থেকে ১১ শ, বিভিন্ন উপজাতিদের সমস্ত নির্দেশাবলী থেকে অঞ্চল প্রবেশ। ১৮ শতকে ১৬ শতাব্দী থেকে, উপকূলীয় অঞ্চল টোগো আদায় দাস, সন্ধানে ইউরোপীয়দের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যকেন্দ্র ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের নাম "স্লেভ কোস্ট" ছিল। ১৮৮৪ সালে জার্মানি টোগো একটি আশ্রিত রাজ্য ঘোষণা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর, টোগো উপর নিয়ম ফ্রান্স স্থানান্তর করা হয়। টোগো ১৯৬০ সালে ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের ১৯৬৭ সালে, গ্রেন্সিভ ইয়েদিমা তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, যা পরে একটি সফল সামরিক অভ্যুত্থান পরিচালনা। ২০০৫ সালে তার মৃত্যুর সময়ে, গ্রেন্সিভ ৩৮ বছর ধরে প্রেসিডেন্ট থাকার পর, আধুনিক আফ্রিকান ইতিহাসে দীর্ঘতম মেয়াদের নেতা ছিলেন।২০০৫ সালে, তার ছেলে ফিউর গ্রেন্সিভ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।টোগো অর্গানাইজেশন ইন্টারন্যাশনাল ডি লা ফ্রন্কোফোনির সদস্য।

ইসলামের আগমন

ইসলাম পশ্চিম আফ্রিকার অনেক দেশ যেমন করেছিল তেমন সময়ে টোগোয় এসেছিল। টোগোয় মুসলমানদের সংখ্যাগরিষ্ঠ হ'ল মালিকি মাজহাবের সুন্নি।

ইসলাম প্রথমে সাহারার দক্ষিণে লবণ ও সোনার ব্যবসায়ের পথ ধরেইআগমন করেছিল। ইসলামে ধর্মান্তরিতবারবার এবং তুয়ারেগ ব্যবসায়ীরা ট্রান্স-সাহারান বাণিজ্য রুটগুলি ভ্রমণ করেছিলেন । একই সময়ে মুসলিম আলেম ও পণ্ডিতরা - তাদের বিশ্বাসের শিক্ষা দিতে রুটগুলোতেমসজিদ ও ইসলাম প্রচার কেন্দ্র স্থাপন করে।হাউসা এবং ফুলানি নামে একটি ঐতিহ্যবাহী যাযাবর গোষ্ঠী, তাদের মুসলিম বিশ্বাসকে বর্তমান গিনি, সিয়েরা লিওন এবং লাইবেরিয়ার মতো জায়গাগুলিতে নিয়ে পুরো পশ্চিম আফ্রিকা জুড়ে ইসলাম ছড়িয়ে দেয় ।

অর্থনীতি

টোগো একটি আঞ্চলিক বাণিজ্য কেন্দ্র। অর্থনৈতিক সংস্কারের ব্যবস্থা বাস্তবায়ন বিদেশী বিনিয়োগকে উৎসাহিত, এবং ব্যয়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আয় আনতে বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দ্বারা সমর্থিত সরকারের দশকের দীর্ঘ প্রচেষ্টার, স্থগিত করেছে। ১৯৯২ এবং ১৯৯৩ সর্বত্র সরকারি ও বেসরকারী খাতে ধর্মঘট সহ রাজনৈতিক অস্থিরতা, সংস্কার কর্মসূচি ক্ষুণ্ণ ট্যাক্স বেস সংকুচিত, এবং গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বিঘ্নিত।

৫০% দ্বারা মুদ্রার ১২ জানুয়ারি ১৯৯৪ অবমূল্যায়ন পুনর্নবীকরণ কাঠামোগত সমন্বয় করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যুগিয়েছিল। এই প্রচেষ্টা ১৯৯৪ সালে শত্রুতা শেষে এবং প্রকাশ্য রাজনৈতিক শান্ত থেকে একটি ফিরতি সুগম হয়েছে।অগ্রগতি সরকারের আর্থিক অপারেশন বৃদ্ধি অকপটতা (বাড়ানো সামাজিক পরিষেবা ব্যয় বরাদ্দে সমন্বয়বিধান) এবং শাসন জায়গায় থাকার নির্ভরশীল হয়েছে যা সশস্ত্র বাহিনী, সম্ভাব্য বিস্তর উপর নির্ভর করে. এইড অভাব, অনুন্নত কোকো দাম সহ, ১৯৯৯ সালে চালু বৃদ্ধির সঙ্গে, ১৯৯৮সালে জিডিপি একটি ১% পতনের উত্পন্ন।

টোগো জিবিই পরিবারের যারা উচ্চারিত সঙ্গে দাপ্তরিক ভাষা, ফরাসি হয় টোগো সর্ববৃহৎ ধর্মীয় গ্রুপ আদিবাসী বিশ্বাসের যাদের নিয়ে গঠিত, এবং উল্লেখযোগ্য খ্রিস্টানও

 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সুফফা ইসলামের প্রথম আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

মো.আবু রায়হান:  সুফফা মসজিদে নববির একটি স্থান। যেখানে একদল নিঃস্ব মুহাজির যারা মদিনায় হিজরত করেন এবং বাসস্থানের অভাবে মসজিদে নববির সেই স্থানে থাকতেন।এটি প্রথমদিকে মসজিদ উত্তর-পূর্ব কোণায় ছিল এবং রাসুলের আদেশে এটাকে পাতার ছাউনি দিয়ে ছেয়ে দেয়া হয় তখন থেকে এটি পরিচিতি পায় আল-সুফফা বা আল-জুল্লাহ নামে। ( A Suffah is a room that is covered with palm branches from date trees, which was established next to Al-Masjid al-Nabawi by Islamic prophet Muhammad during the Medina period.)। মোটকথা রাসুল (সা) মসজিদে-নববির চত্ত্বরের এক পাশে আস সুফফা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সুফফা হলো ছাদবিশিষ্ট প্রশস্ত স্থান। সুফফার আকৃতি ছিল অনেকটা মঞ্চের মতো, মূল ভূমির উচ্চতা ছিল প্রায় অর্ধমিটার। প্রাথমিক পর্যায়ে এর দৈর্ঘ্য ছিল ১২ মিটার এবং প্রস্থ ছিল ৮ মিটার। মসজিদে নববির উত্তর-পূর্বাংশে নির্মিত সুফফার দক্ষিণ দিকে ছিল রাসুলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর স্ত্রীদের অবস্থানের হুজরা এবং সংলগ্ন পশ্চিম পাশে ছিল মেহরাব।আসহাবে সুফফা অৰ্থ চত্বরবাসী। ঐ সকল মহৎ প্ৰাণ সাহাবি আসহাবে সুফফা নামে পরিচিত, যারা জ্ঞানার্জনের জন্য ভোগবিলাস ত্যা...

খন্দক যুদ্ধ কারণ ও ফলাফল

#মো. আবু রায়হান ইসলামের যুদ্ধগুলোর মধ্যে খন্দকের যুদ্ধ অন্যতম। ৫ হিজরির শাওয়াল মাসে খন্দকের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। নবীজি (সা.) মদিনায় আসার আগে সেখানে বড় দুটি ইহুদি সম্প্রদায় বসবাস করত। বনু নাজির ও বনু কোরায়জা। ইহুদিদের প্ররোচনায় কুরাইশ ও অন্যান্য গোত্র মদিনার মুসলমানদের সঙ্গে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করে। খন্দকের এই যুদ্ধ ছিল মদিনার ওপরে গোটা আরব সম্প্রদায়ের এক সর্বব্যাপী হামলা এবং কষ্টকর অবরোধের এক দুঃসহ অভিজ্ঞতা। এসময় ২৭দিন ধরে আরব ও ইহুদি গোত্রগুলি মদিনা অবরোধ করে রাখে। পারস্য থেকে আগত সাহাবি সালমান ফারসির পরামর্শে হযরত মুহাম্মদ (স:) মদিনার চারপাশে পরিখা খননের নির্দেশ দেন। প্রাকৃতিকভাবে মদিনাতে যে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিল তার সাথে এই ব্যবস্থা যুক্ত হয়ে আক্রমণ কারীদেরকে নিষ্ক্রিয় করে ফেলে। জোটবাহিনী মুসলিমদের মিত্র মদিনার ইহুদি বনু কোরায়জা গোত্রকে নিজেদের পক্ষে আনে যাতে তারা দক্ষিণ দিক থেকে শহর আক্রমণ করে। কিন্তু মুসলিমদের তৎপরতার ফলে তাদের জোট ভেঙে যায়। মুসলিমদের সুসংগঠিত অবস্থা, জোটবাহিনীর আত্মবিশ্বাস হ্রাস ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে শেষপর্যন্ত আক্রমণ ব্যর্থ হয়।এই যুদ্ধে জয়ের ফলে ইসল...

কাবা ঘর নির্মাণের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

মো. আবু রায়হানঃ কাবা মুসলমানদের কিবলা, অর্থাৎ যে দিকে মুখ করে নামাজ পড়ে বা সালাত আদায় করে, পৃথিবীর যে স্থান থেকে কাবা যে দিকে মুসলমানগণ ঠিক সে দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করেন। হজ্জ এবং উমরা পালনের সময় মুসলমানগণ কাবাকে ঘিরে তাওয়াফ বা প্রদক্ষিণ করেন।কাবা শব্দটি এসেছে আরবি শব্দ মুকাআব অর্থ ঘন থেকে।কাবা একটি বড় ঘন আকৃতির ইমারত। (The Kaaba, meaning cube in Arabic, is a square building elegantly draped in a silk and cotton veil.)।যা সৌদি আরবের মক্কা শহরের মসজিদুল হারাম মসজিদের মধ্যখানে অবস্থিত। প্রকৃতপক্ষে মসজিদটি কাবাকে ঘিরেই তৈরি করা হয়েছে।কাবার ভৌগোলিক অবস্থান ২১.৪২২৪৯৩৫° উত্তর ৩৯.৮২৬২০১৩° পূর্ব।পৃথিবীর সর্বপ্রথম ঘর বায়তুল্লাহ বা পবিত্র কাবা ঘর ।আল্লাহ বলেন, নিশ্চয় সর্বপ্রথম ঘর যা মানুষের জন্য নির্মিত হয়েছে তা মক্কা নগরীতে। (সুরা আল ইমরান - ৯৬)। “প্রথম মাসজিদ বায়তুল্লাহিল হারাম তারপর বাইতুল মাকদিস, আর এ দুয়ের মধ্যে সময়ের ব্যবধান হলো চল্লিশ বছরের”।(মুসলিম- ৫২০)। ভৌগোলিকভাবেই গোলাকার পৃথিবীর মধ্যস্থলে কাবার অবস্থান। ইসলামের রাজধানী হিসেবে কাবা একটি সুপরিচিত নাম। পৃথিবীতে মাটির সৃষ্টি ...